গিন্নির হোটেলের ফুড রিভিউ(কলকাতার টোনে)

রাতে গিন্নির হোটেলেই খেলাম। খেতে যখন হবেই তাই দেরি না করে ঠিক দশটায় বসে গেলাম খেতে। খাওয়ার শুরুতেই দিল পুরা এক গ্লাস জল, বসার জন্য চেয়ার আর চকচক করে মাজা একটা স্টিলের থালা।

বসতে বসতে থালাতে তুলে দিল ঝুরঝুরে সাদা ভাত, ঝোল ঝোল ঝাল ঝাল দু-তিন পিচ খাসির মাংস আর বেশ বড় সাইজের কয়েক টুকরো নরম তুল তুলে আলু। সাথে আরো ছিল নিজের ক্ষেত থেকে তুলে আনা বেগুন।

চাক চাক গোল গোল করে তেলে ভাজা নতুন তুলতুলে বেগুন ভাজা খাবার এর স্বাদ আরো বাড়িয়ে দিল। খাওয়ার শেষের দিকে আরো একটু ঝোল আমি নিজেই থালাতে নিয়ে চেটে চেটে খেলাম। অনেক বেশি আইটেম না হলেও খাবারটা ছিল দারুন। খাওয়া শেষে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে আর এক গ্লাস জলের সাথে একটা প্রেসার এর ট্যাবলেট খেয়ে নিলাম। ব্যস আজকের রাতের মত শেষ হয়ে গেল পেট পুজো।

তোমরা রাতে কি খেলে বন্ধুরা কমেন্টে জানাতে ভুলে যেও না। আর তোমরা যারা আমাকে ভালোবাসো এবং যারা চাও যেন আমি এই ভাবে গিন্নির হোটেল দুটো ভালো মন্দ খেয়ে বেচে থাকি তারা লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করতে ভুল করবে না।

জয়া আহসান কেন আহসান টাইটেল ডিভোর্স এর পরও ব্যবহার করে?

ধরেন আপনি ভিডিও কন্টেন্ট বানান। ইউটিউবসহ বেশ কিছু মাধ্যমে আপ্লোড করেন কিন্তু পরিচয় দেন ইউটিউবার। এক্ষেত্রে একটা সমস্যা আচ্ছে, এটা হচ্ছে আপনার পেশা হচ্ছে কন্টেন্ট ক্রিয়েট করা কিন্তু আপনি আপনার পেশার নাম দিচ্ছেনে একটা নির্দিষ্ট কন্টেন্ট শেয়ারিং সাইট এর নামে। এমন হতে পারে না যে হুট করে ইউটিউব বন্ধ হয়ে গেল। এই ধরনের সাইট অনেক কারণে বন্ধ হতে পারে। এটা কারো জন্য একটা ব্যবসা এবং ব্যবসায় যদি ক্রমাগত লস হয় এটাও কোন দিন বন্ধ হতে পারে। তখন কি আপনি ইউটিউবার এটা বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন? ভেবে দেখেন আপনি ৩/৪ বা ৫ বছর খেটে নিজের একটা টাইটেল তৈরি করেছেন যে সাইট বা সার্ভিস এর উপর বেস করে তা এখন নাই, তখন কি করবেন? আপনার জন্য বেস্ট হবে ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’ এই ধরনের টাইটেল। যেমন ধরেন, কেউ কৃষক। ধান লাগালেও কৃষক, পাট লাগালেও কৃষক।

জয়া আহসান বিয়ের পর স্বামীর টাইটেল(ফ্যামিলি নেম বা ২য় নেম) আহসান ব্যবহার শুরু করেন, উনি ঐ নামে বিখ্যাত হয়ে যান, এরপর উনার হয়ে যায় ডিভোর্স(কি কারণে হয়েছে এটা আমার আলোচ্য বিষয় না কারণ এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়)। ডিভোর্স এর পরও উনি আহসান টাইটেল নিয়ে আছেন এখনো। নাম পরিবর্তন অনেক জটিল বিষয়। একই ভাবে নামের মাধ্যমে যে ব্রান্ডিং হয় সেটাও হারিয়ে ফেলা অনেক ক্ষতির বিষয়।

‘পুশ পুশ’ নাকি ‘সেলফ পুশ’

বুয়েটে পড়তে যাবার আগের পর্যন্ত আমার ভেতর তেমন কোন অস্থিরতা ছিল না। নিউ টেনে উঠার পর আমার মা জননীর মাথা গোলমাল হয়ে গেল। যে কোন কারনে তার চিকিৎস্যা শুরু হতে সময় লেগেছিল। আমি নিউ টেনে থেকে শুরু করে এসএসসি পর্যন্ত অনেক দিন আমি বাড়ির পাশে মাঠে বসে পড়েছি। আমার অস্থির লাগত না। ঐ সময় আমি প্রায় মাঠে বসে পড়েছি এটা ক্রেডিট নেওয়ার জন্য লিখছি না বা এজন্য আমি কাউকে অভিযোগ করি না।

ইউনিভার্সিটিতে আসার পর থেকে আমার ভেতর একটা অস্থিরতা কাজ করা শুরু করে। আমি ফোকাস করতে পারতাম না। ফোকাসড হতে আমার অনেক সময় লেগেছে যদিও রেগুলার পড়ালেখার প্রতি আমার তেমন কোন আগ্রহ কাজ করত না।

এন্ট্রাপ্রানার লাইফেও আমার অস্থিরতা আরো বাড়ে। যে কোন বিষয়ে আমার ফোকাসড হতে বা ফোকাস ধরে রাখতে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আমি অনেকটা সার্কুলার ভাবে ফোকাস হারায় ফেলি এরপর আবার ফিরে আসি কিন্তু ডেলিভারি করি না। ডেলিভারির আগে আগে আমি আবার অন্য দিকে ফোকাস করি। নাটক সিনেমাতে বাচ্চা ডেলিভারির আগ মূহুর্তে যেমন পাশে দাঁড়িয়ে ডাক্তার, নার্স বা মিডওয়াইফরা ‘পুশ পুশ’ বলে আমি আমার জীবনে এই পুশ বলা লোকের অভাব থেকে বের হতে পারিনি। দিন শেষে আমি আবার নিজের উপর ভরসা করি এবং আবার ফোকাসে ফেরার চেস্টা করি। আমার জন্য ফোকাস হারানোটাই ফোকাসড কাজ হয়ে দাড়িয়েছে।

এই লেখা কেন লিখলাম। এর একটা উদ্দেশ্য আছে। আমার এখন বয়স ৪০+ কিন্তু লেখাটা তাদের জন্য বেশি কাজে দিবে যারা আমার থেকে কম বয়স পার করছে কিন্তু অস্থিরতায় আছে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি এখনো অস্থির। আমাকে দেখে মনে হবে ডেড কুল কিন্তু ইটস রং। আমি সব সময় রং ইম্প্রেশন দেই। আমার নিজের ফাইন্ডিং হচ্ছে, ইউনিভার্সিটির আগে পর্যন্ত আমি নিজে নিজে ম্যানেজ করতে পারতাম বা তখনো এমন কিছু আমাকে ফেস করতে হয়নি যা আমার মানসিক প্রেসার নেওয়ার ক্ষমতাকে হারাতে পারেনি। পরের দিকে আমি বেন্ড হয়ে গেছি বার বার। বেন্ড থেকে সোজা হতে আমার সময় লেগেছে।

আমার দূর্বল জায়গা হচ্ছে, আমি সম্ভবত ‘পুশ পুশ’ এর জন্য অপেক্ষা করতাম কিন্তু আমাকে দিন শেষে ‘সেলফ পুশ’ এ ফিরতে হত, হয়েছে এবং হচ্ছে। প্রতিটি ব্যক্তির জন্য তার নিজের দূর্বলতা এবং সামর্থের জায়গা বুঝতে পারা খুব জরুরী। তবে শুরু ‘পুশ পুশ’ বা ‘শুধু সেলফ পুশ’ দিয়ে কাজ হয় না। এর সাথে ‘পুল পুল’ লাগে। পুশ, সেলফ পুশ এবং পুল এই তিনটার সমন্বয় জরুরী। সবার জন্য র‍্যান্ডম এরেঞ্জমেন্ট বা ভাগ্য একই রকম হয় না। আমার সম্পূর্ণ চিন্তা নিয়ে আমি অনেক বছর আগে একটা ব্লগ পোস্ট লিখেছিলাম যার জন্য নিজে কিছু ছবি এঁকেছিলাম সেগুলো এখানে যুক্ত করে দিলাম।

আগামী দুই বছর পর যারা বেসিস এর নির্বাচন করবেন তাদের জন্য আমার সামান্য কিছু ফ্রিমর্শ

একঃ হুট করে নির্বাচনের আগের সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নিবেন না। নির্বাচনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান হুট করে হওয়া উচিত না।

দুইঃ ‘আমি ভালো কথা বলতে পারি না’ এভাবে কেউ প্রচারনার সময় কথার শুরুতে বলবেন না। হয় যারা কথা বলতে পারে তাদের দাড়াতে দিন না হলে নিজে কথা বলা শুরু করুন। আগামী দুই বছরে আপনি পাবলিক স্পিকিং শিখে যাবেন। না হলে পাবলিক স্পিকিং এর উপর কোর্স করুন।

তিনঃ আগামী দুই বছর নিজের অবস্থান এমন ভাবে প্রতিষ্ঠা করুন যাতে কাউকে ভোটের জন্য ফোন দিয়ে নিজের পূর্নাঙ্গ পরিচয় না দেওয়া লাগে। লিডারশিপ ধার এবং ভার দুটোতেই কাটার জিনিস।
চারঃ একগাদা ইন্ডাস্ট্রি কলিগকে সিসি করে কোন প্রকার মেইল করবেন না। এটা ভারি বেসিক জিনিস। এই ধরনের হাস্যকর কাজ করবেন না। এইটা আইটির লোকদের মানায় না।

পাঁচঃ আপনি নির্বাচিত হলে হ্যান তেন অসংখ্য কাজ করবেন এই ধরনের প্রচারে যাবেন না। জাস্ট একটা দুইটা পয়েন্টে থাকেন। এটা প্রেসিডেন্ট পোস্ট এর জন্য পরামর্শ না। দুই বছর খুব কম সময় আপনি চাইলেও অনেক কিছু করতে পারবেন না।

ছয়ঃ আগে কোন স্ট্যান্ডিং কমিটিতে ছিলেন না এমন হলে নির্বাচন না করা ভালো। প্রয়োজনে পর পর দুই + দুই = চার বছর দুটো স্ট্যান্ডিং কমিটিতে অংশ নেন।

সাতঃ নির্বাচনের প্রচার হিসাবে অন্য কারো ব্যক্তিগত বা একান্ত ব্যক্তিগত নেগেটিভ জিনিস প্রচার করবেন না। অন্যের দূর্বলতা আপনার পজেটিভ পয়েন্ট না। এই গুলো শিশুতোষ এবং একান্তই গ্রাম্য রাজনীতির মত বিষয় হয়ে যায়।

আটঃ নিজের সাথে নিজের কম্পানীর উন্নতিও দরকার। যাতে কম্পানী দিয়েও মানুষ এক নামে চেনে। অনেক পরিচিত লিডার টাইপ মানুষ আসলে কোন কম্পানীর এটা অনেকে জানে না। মানে তাদের
কম্পানীর হদিস বা কম্পানীর কাজ কর্ম অনেকে জানে না।

আরো দুটো যুক্ত করলে পারলে দশটা পূর্ণ হত কিন্তু কীবোর্ডের কালি প্রায় শে

ভাজি, সেকচি, সেক্সি, ছেকছি, ঘন্ট, ভর্তা

হঠাৎ মায়ের কথা মনে পরল। মার রান্নার দক্ষতা ছিল অসাধারণ। মা যে লাল শাক রান্না(ভাজি) করত সেইটা দিয়ে এক থাল ভাত খাওয়া যেত। মা বেগুন/বাগুন ভেজে কলাই শাক(নাকি অন্ন কিছু ভুলে গেছি) দিয়ে যে ভাজিটা রান্না করত এইটা আমি মা মারা যাবার পর আর খাইনি।

মা ভাজি, সেকচি, সেক্সি, ছেকছি, ঘন্ট, ভর্তা এগুলো আলাদা আলাদা শব্দ ব্যবহার করত ধরন অনুসারে। মানে ধরেন নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় রান্না হলে সেইটা ভাজি, কোনটা ঘন্ট, কোনটা ভর্তা, কোনটা সেকছি ইত্যাদি।

আমাদের নড়াইলে সেক্সি মানে ইংরেজি ‘sexy’ না সব সময়।

সেক্সি/সেকচি/ছেকছি মানে ‘ভাজি’। কোন তরকারি কুচি কুচি বা ছোট ছোট করে কেটে যদি ভাজা হয় তাহলে তারে বলে সেক্সি বা ‘সেকচি’। যেমন লাউ সেকচি/সেক্সি ।

যদিও কুমড়ার ক্ষেত্রে সেক্সি শুনি নাই, কুমড়ার ক্ষেত্রে এটা হবে ঘন্ট। ঘন্ট মানে হচ্ছে যা মাখা মাখা।

আবার ধরেন ঘন্ট মানে কিন্তু ভর্তা না। যেইটা সিদ্ধা বা পোড়ানো হবে সেইটা হবে ভর্তা। যেমন পেয়ে ভর্তা যদি সিদ্ধ হয়, কিন্তু পেপে যদি ছোট ছোট/কুচি কুচি করে কেটে আপনি ভাজেন তাহলে সেই হবে পেপে সেক্সি/সেকচি/ছেকছি।

ভালোবাসা দিবসের প্রাক্কালে, ২০২৪

আগামীকাল ভালোবাসা দিবস। যদিও ভালোবাসার জন্য কোন দিবস লাগে না। তবে তর্কের খাতিতে ভালোবাসা চর্চার জন্য একটা দিবস আমার কাছে মন্দ লাগে না।

প্রতি বছর জন্মদিনে যেমন এক বছর বয়স বাড়ে, প্রতি বছর ভালোবাসা দিবসেও একই রকম আগের বছরের দিবস এর সাপেক্ষে এক বছর বয়স বাড়ে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অভিজ্ঞতাও বাড়ে। ভালোবাসার ধরন পরিবর্তন হয়। আশেপাশের মানুষদের আচরণ পালটায়।

প্রতিবছর শেষে যদি এক একটা ভালোবাসার বছরের সাল তামামি করা যায় তাহলে ভালোবাসার উঠা নামা, ভালোবাসা অর্জন, বর্জন, হারানোর হিসাব নিকাশ এর একটা সামারি পাওয়া যায়।

পৃথিবীতে ভালোবাসা যায় এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা, ভালোবাসতে পারে এমন মানুষের সংখ্যাও হাতে গোনা। অনেকেই অনেক কিছু বাসে তবে সেটা ভালোবাসা কিনা সাময়িক ভাবে বুঝা যায় না। এর জন্য জীবনভর অপেক্ষা করতে হয়, শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

5 Tips from Manchumahara

1. Enjoy every single day.
2. Don’t try to break or look for comfort zone, comfort zone is a trap or illusion.
3. Don’t waste time making money for your kids (make them ‘not stupid’ so that they can earn their own).
4. Don’t forget to give a fuck when it’s needed, don’t waste a fuck when it’s useless.
5. Don’t believe me, follow your own balls.

– The Manchumahara

Resume লেখার কিছু কুইক টিপস

১। Education: শুধুমাত্র শেষ এডুকেশনাল ডিগ্রী উল্লেখ করুন বা অনার্স/ডিপ্লোমা থেকে শুরু করুন, প্রাইমারি, হাইস্কুল, কলেজ এত কিছু দরকার নাই। যদি অনার্স বা ডিপ্লোমা না থাকে তাহলে শুধুমাত্র শেষটা।

২। Personal Details: এই অংশ টুকু দরকার নাই। আপনার চাকরি হবার পর বা চাকরি হবার আগে যদি জিজ্ঞাসা করে তখন ডিটেইলস দিবেন। রিসুম এর শুরুতে নাম, ইমেইল, ফোন এগুলো উল্লেখ করবেন। এই তিনটার বানান বা সঠিক তিন বার চেক করবেন। আমি ভুল মোবাইল বা ইমেইল নাম্বার লেখা রিজুম অনেক পেয়েছি।

৩। Job Specific Resume/Regular Update: রিজুম জমি জমার সীমানা না যে একবার লিখলেন আর সারা জীবন ওটা দিয়ে পার করবেন। আপনি যে জবে এর জন্য এপ্লাই করছেন তার উপযোগী রিজুম বানান। একটা মেইন রিজুম রাখেন যত ডিটেইলস আছে সব নিয়ে প্রয়োজনে। কিন্তু যদি প্রতিটি জব এ এপ্লাই করার আগে জব স্পেসিফিক নিজের স্কিল বা অনান্য বিষয় নিয়ে রিজুমটা নতুন আর একটা ফাইলে রিরাইট করেন তাহলে জবের ইন্টার ভিউতে ডাক পাবার সম্ভাবনা বাড়ে। ধরেন আপনি যে জবে এপ্লাই করেছেন সেটা পিএইচিপি স্পেসিফিক কিন্তু আপনি আপনার রিজিউমের শুরুতে প্রজেক্ট সেকশনে উল্লেখ করে জাভা দিয়ে বানানো প্রজেক্ট। পরেরটা নোড এর এবং ৩য়টাতে এসে পিএইচিপি। এটা না করে যদি পিএইচপি জবে পিএইচপির প্রজেক্ট আগে লিখেন তাহলে সেটা বেশি গ্রহনযোগ্য হয়।

৪। Skill: জব স্পেসিফিক স্কিল গুলো আগে লিখুন।

৫। Projects: যদি নিজের প্রজেক্ট কিছু থাকে তাহলে সেগুলো গিটহাবে সুন্দর করে উপস্থাপন করুন। গিটহাবে প্রতিটি প্রুজেক্টে রিডমি ফাইল যুক্ত করে প্রজেক্টের বর্ননা এবং কি কি কাজ করেছেন তার ডিটেইলস লিখেন, কি ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল এবং আপনি কিভাবে সলভ করেছেন তা লিখুন। রিজুমে আপনার বেস্ট২/৩/৪ টা প্রজেক্টকে সংক্ষেপে লিখুন। প্রজেক্ট এর নাম, কি কি টেক ব্যবহার করেছেন, ২/৩ লাইন বর্ননা। প্রজেক্টগুলো অবশ্যই জব স্পেসিফিক সবার আগে। প্রজেক্ট কত আগে করেছেন সেই সাল যুক্ত করুন।

৬। Experience: সবচেয়ে রিসেন্ট এক্সপেরিয়েন্স সবার আগে লিখুন, কম্পানীর নাম, সময়কাল, সেখানে কি কি কাজ করতেন সংক্ষেপে প্রতিটি এক্সপেরিয়েন্স এর জন্য লিখুন।

৭। Reference: প্রয়োজন না থাকলে বাদ দিন।

যত বেশি লম্বা রিজুম তত বিরক্তিকর। মানুষ যত এক্সপেয়েন্স গেইন করে তার রিজুম তত ছোট হয়। আপনি যদি লেখার কিছু না পান তাহলে লিখবেন না। কম বা অদরকারি বিষয়ে আপনার রিজুমে পড়তে বিরক্তি তৈরি হবে।

ভালো লাগলে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন, শেয়ার দিন।

ধন্যবাদ।

বাবা দিবস ২০২৩ঃ বাবারও বাবা আছে !

আমি ‘সুখ’ এর ছেলেঃ

ছোট বেলায় বুঝতে শেখার পর থেকে আমার একটা বুঝ হয়েছিল যে আমার বাবা আমাদের জন্য প্রানান্তকর পরিশ্রম করেন। আমার বাবার নাম নাম হচ্ছে “সুখ”। ছোটবেলা থেকে এখনও বাবার পরিচয় দিলে অনেকে বলে ‘ও আচ্ছা তুমি সুখ এর ছেলে!” । পরিবারকে টেনে নিয়ে যাওয়া এবং আমাদের বড় করার জন্য বাবার আসলে সুখের সময় ছিল না। বাবা তার জীবনের একটা বড় সময় পরিশ্রমই করে গেছেন। ছোট বেলা থেকেই আমার নিজের কাছে একটা ব্যাপার খুব ক্লিয়ার ছিল আর তা হচ্ছে বাবার কাছে আমি যত কম চাইব আমার জন্য বাবার তত পরিশ্রম কম করতে হবে।

আমি ‘আদৃতা’র বাবাঃ

আমি এখন আমার মেয়ে আদৃতার বাবা। সেই হিসাবে আমি হচ্ছি সেই বাবা যেই বাবারও বাবা আছে ! যাই হোক, আজকে সকালে নড়াইল থেকে ঢাকা এসে অফিস করছি। দুপুর বেলা মেয়ের সাথে যখন কথা হচ্ছিল ফোনে, সে আমাকে বলে, ‘বাবা আমি একা একা ভাত খাওয়া শিখে গেছি!’ এটা অবশ্যই দারুন সাহসী একটা কথা আর সেই সাথে ভয়ংকর পজেটিভ ব্যাপার। গত সপ্তাহে মেয়েকে নিয়ে একটা মাঠে গিয়েছিলাম। মাঠে নামার সময় যেহেতু ঢালু রাস্তা তাই ওর হাত ধরে প্রায় জোর করে নামালাম কারণ সে একা একা নামতে চায় আর আমার ভয় যদি পড়ে যায়। কিন্তু ঢালু অংশ নামার পর ঘটনা ঘটল আরো ভয়ংকর। সে এবার আমার হাত ছেড়ে একা একা আবার ঢালু অংশ হেটে উপরে উঠল, আর একা একা নামতে নামতে বলল, ‘বাবা আমি বড় হয়ে গেছি না, এখন আমি একা একা নামতে পারি !’ মেয়ে বড় হয়ে কি করবে তা আমি নিশ্চিত না তবে আমি তার বেড়ে উঠা নিয়ে চিন্তিতই বটে।