হাহুতাশ এবং ‘হাহা’

একদিন দলে দলে সোনার ডিম পারা হাঁসের লোভে
ঘর ছাড়া সাথীরা পরবর্তিত পরিস্থিতিতে বিষ্মিত হতে হতে থিতু হবে।

একদিন মটিভেশন এর চোটে ছটফটানিতে ভুগা হার্ট
ছুটে বেড়াবে দিগ্বিদিক, ডিমটিভেশন এর গুরুর খোঁজে।

সেদিন পেছন ফিরে আর নিজের পেছন দেখতে পাবে না,
সেদিন হাহুতাশ করতে কতে হা হয়ে থাকা হা পরিনত হবে ‘হাহা’ তে।

২৬ অক্টোবর, ২০২২
হাতিরপুর, ঢাকা

এ হাওয়া

এ হাওয়া, আমায় কোথাও নিয়ে যেও না।
আমি এখানে অনেক বছর থাকব।
আমার বীজ ঝুনো হলে এখানেই আমি বাচ্চা ফোটাবো।

এ হাওয়া, আমি গাছ কিংবা গাছের মত,
আমাকে নাড়া দাও কিন্তু ফেলে রেখে যাও।
আমি এখানেই আমার শিশুদের আমার শৈশব এর গল্প শোনাবো।

এ হাওয়া, এ হাওয়া …
আমাকে এখানেই রেখে যাও।
আমাকে ছুঁয়ে যাও কিন্তু কেড়ে নিয়ে যেও না।

দিনকাল

বাইরে অন্ধকার হয়ে আসছে,
মনে হচ্ছে প্রচন্ড বৃষ্টি হবে।

আপনাদের যাদের ঘরে পয়সা নাই,
ঘরে খাবার নাই,
পেটে খিদে আপনারা রাস্তায় বের হয়ে আসেন।

রাস্তায় এসে আকাশের দিকে মাথা তুলে ধরুন,
যতটুকু পারা যায় জিহবা বের করে রাখুন।

প্রতিটি বৃষ্টিকনাকে জিহবা দিয়ে আকড়ে ধরার চেস্টা করুন,
পেট ভরে বৃষ্টি খান।

আপনাদের যাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে তারা দাঁড়িয়ে তামাশা দেখবেন না।

দেওয়ালে পিঠ চুলকে নেন,
সমস্যাকে আপন করে কিছুটা হলেও সুবিধা নিয়ে ঘরে ফিরে তৃপ্তির ঢেকুর তুলুন।

নিষেধাজ্ঞা না

প্রিয়তমা ন্যাটো জোট রাশিয়ার উপর অনেক রকম নিষেধাজ্ঞা দিলেও
আমি তোমার উপর কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব না।

তুমি চাইলে আমাকে আরো বেশি বেশি ভালোবাসতে পার।

আমি তোমার দুয়ারে সাউন্ড গ্রেনেড, ভ্যাকুয়াম বোমা কিছুই ফাটাবো না।
এমনকি গোলাপের সুবাশও ছড়িয়েও তোমাকে পাগল করব না।

আমি তোমার বাড়ির আঙ্গিনায় গাছের পাতার ফাঁকে লুকিয়ে
টুকি টুকি দেব।
তুমি সুযোগ পেলে উকি উকি দিও।

অবৈধ হ্যান্ডসেট

প্রিয়তমা,
তোমাকে আমার পক্ষ থেকে উপহার হিসাবে পাঠানো হ্যান্ডসেটটি অবৈধ জানতে পারলাম,
তুমি কি আমাকে এখন ঘৃনা কর ?

আমাকে না হয় আর দুটো দিন পরই ঘৃনা কর,
হ্যান্ডসেটটি পুরাপুরি বন্ধ করে দেওয়ার আগে পর্যন্ত না হয় আমরা আরো
বেশি গল্প করি।

তুমি এই কটা দিন না হয় আমাকে বেশি বেশি কল দাও,
যখন তখন কল দাও, কল দিয়ে দিয়ে আমার জামার কলার ছিঁড়ে ফেল !

আমাকে বেশি বেশি এসএমএস দাও,
মিস কল দাও, আরো বেশি কিসমিস খাও।

প্রিয়তমা,
তোমার হ্যান্ডসেট অবৈধ হয়ে গেলে কি আমাদের সম্পর্কের বৈধতা নষ্ট হয়ে যাবে ?
বলও, বলো বলও, টেল মি থ্রি টাইমস !

০৫, অক্টোবর, ২০২১, হাতিরপুল (যে রাস্তা সারাদিন জ্যামাক্ত থাকে)

বিঃ দ্রঃ-১ ফেসবুক গতকাল অনেক ঘন্টা বন্ধ ছিল, তাই প্রতিবাদ স্বরূপ সকালে সিংগারা না খেয়ে একটা অবৈধ কবিতা লিখে ফেললাম।
বিঃ দ্রঃ-২ আগামী বইমেলায় কবিতার বই বের করার জন্য কবিতা লিখতেছি, বইটা বের হওয়ার আগেই পয়লা কবিতাটা ফেসবুকে লিক করে দিলাম😎

পইপই

তুমি বল পইপই
আমি বলি চৈ চৈ
এবার তবে বেধে যাবে হৈচৈ।

তুমি বল পইপই
আমি বলি কা কা
এভাবে কষলে হিসাব
কলমের কালি হবে ফাঁকা।

তুমি বল পইপই
আমি বলি সই সই
তোমার পাতে কাঁদা
আমার পাতে দই।

তুমি বল পইপই
আমি বলি কই কই।
এভাবে সবার খুললে কাছা
বের হয়ে যাবে কালো পাছা !

=====================
ভাড়া বাসায়(যে বাসার বাড়িওয়ালা কারেন্ট এর মিটার টেম্পার করে ধরে খেয়েছিল), ২৭/০৮/২০২১

সবজি, ভালোবাসা এবং সংসার

//সবজি, ভালোবাসা এবং সংসার

একদিন ফুলকপির সিজন শেষ হবে,
আমরা অন্য কোন ফুল দিয়ে ভালোবাসব।
একদিন বাঁধাকপির সময় বিদায় নেবে,
আমরা অন্য কিছু দিয়ে বাঁধব।

এই যে এখন পুরাতন আলুকে পেছনে ফেলে
নতুন চকচকে আলুর ছড়াছড়ি,
আহা, আর দুটো দিন দেরি কর, আমাদের
ছানাপোনা ঘরের মেঝেতে দিবে হামাগুড়ি।

২২ জানুয়ারি, ২০২০

ও হর্ণওয়ালা, তুমি আর একটু ভেপু বাজাও

হে তরুন ভালোবেসে
তোমাকে দিলাম একখন্ড গালি,
এলাকার সেরা বাছাই করা খিস্তি বুলি।

তোমাকে আরো দেব একটা ভেপু বা হরেন বা হর্ণ বা
বা … তোমার মটর বাইকে তোমার আঙুলের কাছে সেই চিরচেনা বাটন বা … তোমার প্রাইভেট কারের ড্যাশবোর্ডে বসানো যেই সুচারু বাটন …
যা তুমি টিপবে, তুমি টিপবে। তোমার সারা জীবনের যত স্ট্রেস তুমি ঐ বাটনে চেপে চেপে ঢাকার রাস্তায় উগ্রে দিবে।

তুমি … তুমি টিপবে, তুমি টিপবে, তুমি হরেনের বাটন চেপে চেপে আমার কান ফাটাবে।

হে তরুন, হে অচেনা বাইকার, হে অমুক ডেরাইভার
তোমাকে ভালোবেসে আমি দেব খন্ড খন্ড গালি।

তুমি … তুমি টিপবে, তুমি টিপবে, তুমি হরেনের বাটন চেপে চেপে আমার কান ফাটাবে।

তোমার গুষ্টির সবার সুখ শান্তির জন্য দৈব চয়নে বাছাই করে
আমি ঢাকার রাস্তার কোন এক চৌরাস্তার মোরে প্রার্থনা পূজায় বসব।
ঈশ্বরকে স্বাক্ষী রেখে আমি তোমাকে উদ্দেশ্য করে মনে মনে আওড়াবো বাছাই করা খিস্তি বুলি। আমার সামনে পেছনে তোমাদের ভীড় লেগে যাবে, তোমরা হর্ণ বাজিয়ে বাজিয়ে বাজিয়ে উলুধ্বনি দিবে।

হে তরুন ভালোবেসে
তোমাকে দিলাম একখন্ড গালি,
এলাকার সেরা বাছাই করা খিস্তি বুলি।

হে তরুন, হে অচেনা ডেরাইভার তোমার পশ্চাৎদ্বেশে হর্ণ বাজাও
হর্ণ বাজিয়ে বাজিয়ে আমার কানের পর্দা ফাটিয়ে দাও।

[নোটঃ জানেন ভাবি অমুক তারিখে ফেসবুকে আমার এই কবিতাটা গেছিল।]

হইচই

প্রিয়তমা,

এই সুন্দর পরিবেশে এসো আমরা দুদন্ড হইচই করি।

তুমি এক মুঠো কাঁদা আমায় ছিটিয়ে দাও, আমিও এক মুঠো তোমার গায়ে।

এরপর এই কাঁদাকাঁদির সুন্দর পরিবেশে এসো আমরা আলিঙ্গন করি, হইচই করি।

প্রিয়তমা,

তোমাকে এই সুন্দর পরিবেশে যে কোন মূল্যে হইচই করতে হবে। সুন্দর দিনের শেষে তুমি আমার গায়ে পানি ঢেলে দাও, আমিও তোমার গায়ে … পানি ঢেলে দেই…ই ?

প্রিয়তমা,

দিন শেষে রাতের সুন্দর পরিবেশেও তোমাকে হইচই করত হবে। ডিসি না মার্ভেল এর মুভি দেখব এটা নিয়ে আমাদের ভেতর তুমুল হইচই হবে।

প্রিয়তমা,

গভীর রাতের সুন্দর পরিবেশে আমরা হইচই করতে করতে একে উপরের গায়ে এলিয়ে পড়ব।

আমরা তুমুল হইচই করব।
আমরা তুমুল হইচই করব।
আমরা তুমুল হইচই করব।

//২৮/০৮/২০১৯

নতুন টাকার গন্ধ শুকি

আমাকে ভাঁজ করে তোমার মানি ব্যাগের কচকচে নোট গুলোর পাশে রেখে দাও
আমি বুক ভরে নতুন নোটের গন্ধ নেব আর
ইদুরের মত দাঁত দিয়ে কুট কুট করে কাটব নতুন রঙ্গিন কাগজ গুলো।

তোমার ঘর্মাক্ত পাছার পেছনে,
প্যান্টের পকেটে,
পকেটের ভেতর রাখা মানি ব্যাগে নতুন টাকার নোট,
নোটের পাশে আমি শুয়ে থাকব নিশ্চিত যেন।

অথবা

তোমার সুগন্ধি বোগলের নিচে ভ্যানিটি ব্যাগ,
ব্যাগের ভেতর রাখা মানি ব্যাগে নতুন টাকার নোট,
নোটের পাশে আমি গুটিশুটি মেরে রইব মরার মত।

//১৯ সেপ্ট, ২০১৮, বীর উত্তম রোড, ঢাকা