রুচির দূর্ভিক্ষ – পার্ট-একঃ ১২ হাজার স্টেপ হাঁটা এবং রাস্তার পাশের মুত্রত্যাগ দর্শন

আজকে আমি সন্ধ্যায় অফিস থেকে বের হয়ে একা একা এদিক সেদিক মিলায়ে প্রায় ১২ হাজার স্টেপ হেঁটেছি। এই ১২ হাজার স্টেপ হাঁটার পথে আমি মোট ৩ জনকে দেখেছি রাস্তার পাশে মুত্রত্যাগ করতে। সেই হিসাবে আমি প্রতি ৪ হাজার স্টেপে একজনকে মুত্রত্যাগ করতে দেখেছি। যাক, যোগ ভাগ এর হিসাবে যাব না। আসল কথায় আসি।

২০০২ সালে যখন ঢাকায় আসি তখনও রাস্তার পাশে মানুষকে মুত্রত্যাগ করতে দেখছি, ২০২৩ সালেও একই রকম দেখি। মানে দাড়াচ্ছে ঢাকার ব্যস্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে মুত্রচাপ থেকে হালকা হওয়ার মত পুরুষ মানুষ ঢাকায় গত ২০/২১ বছরে খুব বেশি কমেনি। এই যে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে মুত্রত্যাগ এটা কিন্তু গরিব বড়লোক, শিক্ষিত মূর্খ প্রায় সব শ্রেনী পেশার মানুষই করে।

ঢাকায় এখন অনেক নতুন নতুন পাবলিক টয়লেট হয়েছে। রাস্তার পাশে অনেক মার্কেটেই(কমবেশি) এখন প্রতি তলায় বাথরুম থাকে। রাস্তার পাশের অনেক রেস্টুরেন্টে বাথরুম থাকে, মসজিদে বাথরুম থাকে(যদিও বেশির ভাগ মসজিদ নামাজ এর সময় ছাড়া বন্ধ রাখে), রাস্তার পাশের যে কোন হাসপাতালে বাথরুম থাকে। এছাড়া বাসা থেকে বের হবার সময় যদি সচেতন ভাবে পায়খানা প্রস্তাব করে বের হওয়া যায় তাহলে রাস্তায় অনাকাংখিত চাপ সামলানো বেশ সম্ভব। আমি নিজেও অনেক সময় কোন মার্কেটে ঢুকি চাপ মুক্ত হবার জন্য।

এক্সপেক্টেশন ভার্সেস রিয়েলিটি

১. সকালে নড়াইল থেকে ঢাকায় আসার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলাম। ২ মিনিট এর জন্য একটা বাস মিস করলাম। পরের টা ৩০ মিনিট পরে ছাড়ল। ভোরে ঘুম থেকে উঠে অলসতা করে খাটের উপর বেশ কিছুক্ষন ঘাপটি মেরে ছিলাম।

২। ঢাকা আসলাম ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ নামের একটা পরিবহনে যাদের নড়াইল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪৫টা গাড়ি ছাড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে এবং ফিরত যায়। কথিত আছে নড়াইলের সবচেয়ে বাজে পরিবহন কিন্তু এদের এভেইলাবিলিটি সেই রকমের। মানে আপনি নড়াইল থেকে ঢাকা কিংবা ঢাকা থেকে নড়াইল যাইতে পারবেন প্রতি ৩০ মিনিট পরপর। সম্ভবত এদের কারণে যশোর থেকে ছেড়ে আসার ঢাকা গামী কোন পরিবহন নড়াইল থেকে যাত্রি তুলতে পারে না যদি তাদের নড়াইলে কোন অফিসিয়াল কাউন্টার না থাকে। আছেই হাতে গোনা দুই/তিনটার। এদিকের এদের গাড়ির মান এক একটা এক রকম। মানে ৩০টা বাস ৩০ রকম এর কারণ মালিক ৩০ জন হয়তো।

৩। ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ এর গাড়ি একটা যশোর থেকে ছাড়ে এবং পরেরটা নড়াইল থেকে ছাড়ে এবং এভাবেই রোটেট করে। যশোর থেকে ছেড়ে আসা গাড়িতে সিট অর্ধেকের বেশি বুক থাকে বা যাত্রী নিয়ে আসে, মানে আপনি সামনের দিকে সীটে বসতে পারবেন না। নড়াইল থেকে যেটা ছাড়ে সেইটার সব সীট ফাঁকা থাকে মানে আপনি যেইটা চাইবেন বসবেন।

৪। গাড়িতে যত যাত্রী বেশি গাড়ি তত জোরে চলবে। মানে যাত্রী কম তাহলে ঘাটে ঘাটে দাঁড়াবে আর যাত্রি তুলবে, যাত্রী ফুল মানে কোথাও দাড়াদাড়ি নাই।

৫। নরমালি ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট থেকে ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট লাগে নড়াইল থেকে ঢাকা বা ঢাকা থেকে নড়াইল। আজকে যাত্রি ফুল ছিল এবং ২ ঘন্টা ১৫ মিনিটে নড়াইল থেকে যাত্রাবাড়ি আসছি। এটা এখন পর্যন্ত আমার ঢাকা টু নড়াইল কিংবা নড়াইল টু ঢাকা যাতায়াতের সর্বনিম্ন। আমার ধারণা ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিটে নড়াইল থেকে ঢাকা আসা যাওয়া সম্ভব।

Find the post as status in facebook here

https://www.facebook.com/manchumahara/posts/pfbid02kDEgXeWMWzWCT4Lxaz18CSKNRWhEBupAy92ZcrNEcvsjf7KLMAs9k5njp1koJbUZl

হাহুতাশ এবং ‘হাহা’

একদিন দলে দলে সোনার ডিম পারা হাঁসের লোভে
ঘর ছাড়া সাথীরা পরবর্তিত পরিস্থিতিতে বিষ্মিত হতে হতে থিতু হবে।

একদিন মটিভেশন এর চোটে ছটফটানিতে ভুগা হার্ট
ছুটে বেড়াবে দিগ্বিদিক, ডিমটিভেশন এর গুরুর খোঁজে।

সেদিন পেছন ফিরে আর নিজের পেছন দেখতে পাবে না,
সেদিন হাহুতাশ করতে কতে হা হয়ে থাকা হা পরিনত হবে ‘হাহা’ তে।

২৬ অক্টোবর, ২০২২
হাতিরপুর, ঢাকা

এ হাওয়া

এ হাওয়া, আমায় কোথাও নিয়ে যেও না।
আমি এখানে অনেক বছর থাকব।
আমার বীজ ঝুনো হলে এখানেই আমি বাচ্চা ফোটাবো।

এ হাওয়া, আমি গাছ কিংবা গাছের মত,
আমাকে নাড়া দাও কিন্তু ফেলে রেখে যাও।
আমি এখানেই আমার শিশুদের আমার শৈশব এর গল্প শোনাবো।

এ হাওয়া, এ হাওয়া …
আমাকে এখানেই রেখে যাও।
আমাকে ছুঁয়ে যাও কিন্তু কেড়ে নিয়ে যেও না।

দিনকাল

বাইরে অন্ধকার হয়ে আসছে,
মনে হচ্ছে প্রচন্ড বৃষ্টি হবে।

আপনাদের যাদের ঘরে পয়সা নাই,
ঘরে খাবার নাই,
পেটে খিদে আপনারা রাস্তায় বের হয়ে আসেন।

রাস্তায় এসে আকাশের দিকে মাথা তুলে ধরুন,
যতটুকু পারা যায় জিহবা বের করে রাখুন।

প্রতিটি বৃষ্টিকনাকে জিহবা দিয়ে আকড়ে ধরার চেস্টা করুন,
পেট ভরে বৃষ্টি খান।

আপনাদের যাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে তারা দাঁড়িয়ে তামাশা দেখবেন না।

দেওয়ালে পিঠ চুলকে নেন,
সমস্যাকে আপন করে কিছুটা হলেও সুবিধা নিয়ে ঘরে ফিরে তৃপ্তির ঢেকুর তুলুন।

আপনার থাপ্পড় এর রেশিও ঠিক আছে কী?

এক ব্যক্তি ২য় অন্য ব্যক্তিকে উত্তপ্ত আলোচনার এক পর্যায়ে দিল গালে কষে থাপ্পড় কসিয়ে। ২য় ব্যক্তি ১ম ব্যক্তির হাতের দিকে উদ্ভুত দৃষ্টি নিয়ে থাকিয়ে থাকল। ১ম ব্যক্তি ব্যক্তি আরো রাগত স্বরে চিৎকার করে জিজ্ঞাসা করল হাতে কি দেখেন?
২য় ব্যক্তি উত্তর দিল, “মনে হচ্ছে আপনার হাতের রেশিও ঠিক নাই !”

২য় ব্যক্তি থাপ্পড় এর ব্যাথা ভুলে গেল দিন শেষে, মনের কষ্টও দিন শেষ হতে হতে হালকা হয়ে গেল।
১ম ব্যক্তি সারা দিন তার হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে পার করল যে তার হাতের রেশিও কি আসলেই সমস্যা, দিন শেষে রাতেও তার ঘুম আসল না হাতের চিন্তা নিয়ে … এভাবে হাত নিয়ে ১ম ব্যক্তি দিনের পর দিন পর করে ফেলল, তার হাতে সমস্যা, তার হাতের রেশিও ঠিক নাই।

নোটঃ ২য় ব্যক্তি হিমু হতে পারে, ১ম ব্যক্তি কে আমি জানি না।

পরামর্শঃ কাউকে থাপ্পড় দেওয়ার আগে হাতের রেশিও ঠিক আছে কিনা দেখে নিবেন।

অবৈধ হ্যান্ডসেট

প্রিয়তমা,
তোমাকে আমার পক্ষ থেকে উপহার হিসাবে পাঠানো হ্যান্ডসেটটি অবৈধ জানতে পারলাম,
তুমি কি আমাকে এখন ঘৃনা কর ?

আমাকে না হয় আর দুটো দিন পরই ঘৃনা কর,
হ্যান্ডসেটটি পুরাপুরি বন্ধ করে দেওয়ার আগে পর্যন্ত না হয় আমরা আরো
বেশি গল্প করি।

তুমি এই কটা দিন না হয় আমাকে বেশি বেশি কল দাও,
যখন তখন কল দাও, কল দিয়ে দিয়ে আমার জামার কলার ছিঁড়ে ফেল !

আমাকে বেশি বেশি এসএমএস দাও,
মিস কল দাও, আরো বেশি কিসমিস খাও।

প্রিয়তমা,
তোমার হ্যান্ডসেট অবৈধ হয়ে গেলে কি আমাদের সম্পর্কের বৈধতা নষ্ট হয়ে যাবে ?
বলও, বলো বলও, টেল মি থ্রি টাইমস !

০৫, অক্টোবর, ২০২১, হাতিরপুল (যে রাস্তা সারাদিন জ্যামাক্ত থাকে)

বিঃ দ্রঃ-১ ফেসবুক গতকাল অনেক ঘন্টা বন্ধ ছিল, তাই প্রতিবাদ স্বরূপ সকালে সিংগারা না খেয়ে একটা অবৈধ কবিতা লিখে ফেললাম।
বিঃ দ্রঃ-২ আগামী বইমেলায় কবিতার বই বের করার জন্য কবিতা লিখতেছি, বইটা বের হওয়ার আগেই পয়লা কবিতাটা ফেসবুকে লিক করে দিলাম😎

সময় খারাপ গেলে ঘাসও খাবেন কী?

আমাদের প্রতিটা দিনতো এক রকম যায় না। কোন দিন খারাপ যায় আবার কোন সময় ভালো যায়। খারাপ সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে টিকে থাকা জরুরি, এধরনের বিষয় নিয়ে একটা ছোট্ট আলোচনা।