দুপুর বেলা বিরানী না খাওয়া

বিভিন্ন এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো ছিন্নমূল, ‘সুবিধাবঞ্চিত’ এবং ‘অসুবিধায়’ থাকা মানুষদের খাওনোর সময় পোলাও বিরানী খিচুরি এগুলো খাওয়ায় এটা আমার মনে হয় ঠিক না। এমনকি ‘পেটে/প্লেটে যতক্ষন জায়গা থাকে তখনক্ষন খাওয়ায়’ স্টাইলে খাওয়ায় বলে ফেসবুকে বা তাদের ওয়েবসাইটে লিখে এটা ঠিক না। যদি খাওয়াতে হয় সাদাভাত, ডাল, সবজি/ভাজি, সম্ভব হলে ‘হাফ’ ডিম সেদ্ধ/ভাজি খাওয়ানো উচিৎ। অনেক বেশি বা রিচ ফুড খেয়ে কাজ করা যায় না। দেখাগুলো দুপুর ১২টার দিকে একলোক পেট ভরে এক প্যাকেট বিরানী খেল তার পক্ষে দিনের বাকি সময় কাজ করা সম্ভব না এবং দিনের বাকি সময় অলসতায় ধরে বসে। এতে মানুষের ক্ষতি করা হয় বলে আমার মনে হয়। মানবিক কারনে মানুষকে খাওয়ালে স্বাভাবিক ডাল ভাত খাওয়ানো ভালো। আমি যেদিন বাসায় সকালে নাস্তা না করে যদি হোটেল থেকে ডিম খিচুরি খাই সেদিন সারাদিন আমার পেটে অস্বস্থি লাগে সকালে না হাগা পর্যন্ত। এমনকি ইদানিং বিরানি খেলেও একই রকম লাগে। বিরানী খাওয়ার সময় যে আনন্দ লাগে দিনের বাকি সময় সেইটা অস্বস্থির কারণ হয়। অনেকে হয়তো বলবেন একদিন এক বেলা রিচ ফুড খেলে গরীব মানুষ খুশি হয় বা তার মন ভরে। এই সব হালকা মানবিক চিন্তা আমি করি না। প্রয়োজনে এক প্যাকেট বিরানীর যে পয়সা এইটা কাউরে দিয়ে দেওয়া যায় দুপুর বেলা বিরানী না খাওয়ায়ে।

বিভিন্ন এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো ছিন্নমূল, ‘সুবিধাবঞ্চিত’ এবং ‘অসুবিধায়’ থাকা মানুষদের খাওনোর সময় পোলাও বিরানী খিচুরি এগুলো খাওয়ায় এটা আমার মনে হয় ঠিক না। এমনকি ‘পেটে/প্লেটে যতক্ষন জায়গা থাকে তখনক্ষন খাওয়ায়’ স্টাইলে খাওয়ায় বলে ফেসবুকে বা তাদের ওয়েবসাইটে লিখে এটা ঠিক না। যদি খাওয়াতে হয় সাদাভাত, ডাল, সবজি/ভাজি, সম্ভব হলে ‘হাফ’ ডিম সেদ্ধ/ভাজি খাওয়ানো উচিৎ। অনেক বেশি বা রিচ ফুড খেয়ে কাজ করা যায় না। দেখাগুলো দুপুর ১২টার দিকে একলোক পেট ভরে এক প্যাকেট বিরানী খেল তার পক্ষে দিনের বাকি সময় কাজ করা সম্ভব না এবং দিনের বাকি সময় অলসতায় ধরে বসে। এতে মানুষের ক্ষতি করা হয় বলে আমার মনে হয়। মানবিক কারনে মানুষকে খাওয়ালে স্বাভাবিক ডাল ভাত খাওয়ানো ভালো। আমি যেদিন বাসায় সকালে নাস্তা না করে যদি হোটেল থেকে ডিম খিচুরি খাই সেদিন সারাদিন আমার পেটে অস্বস্থি লাগে সকালে না হাগা পর্যন্ত। এমনকি ইদানিং বিরানি খেলেও একই রকম লাগে। বিরানী খাওয়ার সময় যে আনন্দ লাগে দিনের বাকি সময় সেইটা অস্বস্থির কারণ হয়। অনেকে হয়তো বলবেন একদিন এক বেলা রিচ ফুড খেলে গরীব মানুষ খুশি হয় বা তার মন ভরে। এই সব হালকা মানবিক চিন্তা আমি করি না। প্রয়োজনে এক প্যাকেট বিরানীর যে পয়সা এইটা কাউরে দিয়ে দেওয়া যায় দুপুর বেলা বিরানী না খাওয়ায়ে।

কোয়ালিটি আড্ডা

স্বশরীরে আড্ডা দেওয়ার সময় যদি দেখেন আপনার সার্কেলের মানুষের চিন্তা ভাবনা, কথা বার্তা, আলোচনার বিষয় ইত্যাদির সাথে আপনি নিজেকে যুক্ত করতে পারছেন না তাহলে তাদের সাথে আড্ডা দেওয়া বন্ধ করে দিবেন। জীবনের সময় অনেক মূল্যবান। এটা সঠিক ভাবে খরচ করা উচিৎ। তবে আমার এই পরামর্শের একটা নেগেটিভ সাইড আছে, এমন হতে পারে আপনি একাকী হয়ে যেতে পারেন, আপনার আড্ডা দেওয়ার কেউ থাকবে না।

তবে কোয়ালিটি আড্ডার একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে আপনি যাদের সাথে বা যার সাথে আড্ডা দিচ্ছেন তাদের কথা আপনি শুনছেন কিনা এবং তারা আপনার কথাও একই ভাবে গুরুত্ব দিয়ে শুনছে কিনা। যদি এই পারস্পারিক একে অপারের কথা না শুনে তাহলে সেটা আড্ডা না। এটা নিছক সময় নষ্ট। অনেকে শুধুই বলে শুনতে চায় না একেবারেই।

অনেক সময় দেখবেন চার পাঁচজন এক সাথে আড্ডা দিচ্ছেন এর ভেতর দুজন এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে যা অন্যদের ডোমেইন এর একেবারে বাইরে। আমি একবার এক বন্ধুর(আমার সেই বন্ধু এই স্টাটাস পড়বে আমি জানি) সাথে দেখা সাক্ষাৎ বা গল্প করার জন্য গেলাম সে পুরাটা সময় তার গরুর খামার দেখালো এবং গরু ছাগল নিয়েই কথা বলে গেল। আমি যে গরুর খামার একেবারেই পছন্দ করি না তা, ছোট বেলায় আমাদের বাড়িতে একটা গরু সময় থাকত এবং ঢাকা আসার আগে আমি মাঝে মাঝে গরুর টুকটাক যত্ন নেওয়া বা দুই একদিন গরুর জন্য খাবার কাটা বা ঘাসও কেটেছি কিন্তু একটা ঘন্টা গরু এবং গরুর খামার নিয়ে কথা বলার মত মানসিক শক্তি এবং আগ্রহ আমার কোনটাই ছিল না।

আপনার যদি এমন একটা বন্ধু বা বন্ধু সার্কেল থাকে যাদের সাথে আপনি কোন হেজিটেশন ছাড়া ধর্ম নিয়ে যুক্তি তর্ক আলোচনা করতে পারেন তাহলে আপনি খুব লাকি একজন মানুষ তবে এটা আমাদের সমাজে খুব রেয়ার। একই বিষয় রাজনীতি নিয়েও।

আপনার অবশ্যই এমন দুই একজন বন্ধু বা পরিচিত থাকা উচিৎ যারা সাহিত্য এবং শিল্প চর্চার সাথে যুক্ত এবং যাদের সাথে এসব বিষয় নিয়ে আপনি আড্ডা দিতে পারেন। মনে রাখবেন একটা বিষয়ে আপনি কম জানতে পারেন বা আপনার সাথে বসা মানুষ কম জানতে পারে কিন্তু তারা যুক্ত হতে পারছে কিনা বা আপনি তাদের সাথে যুক্ত হতে পারছেন কিনা সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একে অপরের সাথে যুক্ত হওয়াটাই হচ্ছে কোয়ালিটি আড্ডার মূল বিষয়।

আমরা আড্ডার সময় বয়স ভেদে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। যেমন কিশোর কিংবা যৌবনের শুরুতে ছেলেরা মেয়েদের বিষয়ে আলোচনা করে অনেক। যেহেতু আমি একজন পুরুষ তাই মেয়েদের বিষয়টা উল্লেখ করলাম। অনেক সময় যৌনতা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে আপনার বয়স যদি ৩০ বা তার বেশি হয় তাহলে নারী এবং যৌনতা নিয়ে আলোচনার বয়স প্রায় শেষ।

আলোচনার সময় আপনার সার্কেলের চিন্তা ভাবনা, শিক্ষাগত যোজ্ঞতা, জ্ঞানের বহর খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক বিষয়, ভাইরাল টপিক, রাজনীতি, বিনোদন জগত এগুলো হচ্ছে খুব সহজ টপিক যা সবাই দ্রুত কানেক্ট করতে পারেন। বিজ্ঞান এবং টেক হচ্ছে এর পরের স্টেজ। ধর্ম আমি এড়িয়ে চলি কারণ আর উল্লেখ না করি। শিল্প সাহিত্য বিষয় হচ্ছে পিরামিডের সবচেয়ে উপরে। আলোচনার টপিক হচ্ছে মানুষের মৌলিক চাহিদার পিরামিডের মত। পিরামিডের যত উপরে যাবেন আপনার আড্ডাতে যুক্ত হবার মত মানুষ কমে যাবে আপনি তত একাকি বা ছোট সার্কেলের অংশ হয়ে যাবেন।

বাই দ্য ওয়ে, আপনার কোয়ালিটি আপনি ঠিক করবেন এটা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না।

How to Keep Focus on Passion

  1. Set clear goals: Identify specific, measurable goals that you want to achieve related to your passion. This will help you stay focused and motivated, as you will have a clear sense of what you want to accomplish.
  2. Create a schedule: Allocate regular time to work on your passion, and stick to that schedule as much as possible. This will help you build momentum and make progress.
  3. Eliminate distractions: Minimize any distractions that may interfere with your ability to focus. This may include turning off your phone or social media notifications while you work on your passion.
  4. Surround yourself with like-minded people: Connect with others who share your passion, as they can provide support and encouragement, and help you stay motivated.
  5. Celebrate small wins: Acknowledge and celebrate the progress you make along the way, no matter how small. This will help you stay motivated and build momentum towards achieving your larger goals.
  6. Continuously learn and grow: Keep learning and growing in your area of passion, as this will help you stay engaged and motivated. Attend workshops or conferences, read books, and seek out new experiences related to your passion.
  7. Break down your passion into smaller tasks: Sometimes, pursuing a passion can feel overwhelming, especially if it’s a big goal or requires a lot of effort. Breaking down your passion into smaller, manageable tasks can help you stay focused and make progress. Create a to-do list or an action plan, and tackle one task at a time.

  8. Practice self-discipline: Maintaining focus on your passion requires self-discipline. Avoid procrastination and stay committed to your goals. Set boundaries and prioritize your passion over distractions or other less important tasks.

  9. Find motivation: Motivation can fluctuate, so it’s important to find ways to stay motivated. Remind yourself of the reasons why you are passionate about your pursuit. Surround yourself with inspiration, such as reading books, watching videos, or listening to podcasts related to your passion. Find role models or mentors who can inspire and guide you on your journey.

  10. Take care of yourself: Your physical and mental well-being plays a crucial role in maintaining focus. Make sure to prioritize self-care by getting enough sleep, eating healthy, and engaging in regular physical activity. Take breaks when needed and avoid burnout, as it can hinder your ability to stay focused on your passion.

  11. Embrace failures and setbacks: Pursuing a passion can come with challenges and setbacks. It’s important to accept failures as part of the process and not let them discourage you. Learn from your mistakes, adapt, and keep moving forward. Use setbacks as opportunities for growth and improvement.

  12. Stay flexible and adaptable: Sometimes, the path to pursuing your passion may not go as planned. It’s important to stay flexible and adaptable to changing circumstances. Be open to new ideas, feedback, and different approaches. Adjust your strategies as needed, while keeping your end goal in mind.

  13. Stay persistent and committed: Pursuing a passion can require time and effort. Stay persistent and committed to your goals, even when things get challenging or progress seems slow. Remember that it’s a journey, and staying consistent and committed to your passion will eventually lead to success.

  14. Practice mindfulness: Mindfulness involves being fully present in the moment and aware of your thoughts and emotions without judgment. Practicing mindfulness can help you cultivate greater focus and concentration, which can be beneficial when pursuing your passion. Incorporate mindfulness techniques, such as deep breathing or meditation, into your routine to help you stay centered and focused.

  15. Minimize multitasking: While multitasking may seem like a way to get more done, it can actually hinder your ability to focus on your passion. When you try to do multiple things at once, your attention is divided, and your productivity and focus may suffer. Try to minimize multitasking and focus on one task related to your passion at a time to enhance your concentration and effectiveness.

  16. Create a conducive environment: Your environment can impact your ability to stay focused on your passion. Create a dedicated and conducive environment that is free from distractions. It could be a quiet room, a designated workspace, or a specific time of day when you are most productive. Customize your environment to suit your needs and preferences.

  17. Set realistic expectations: Pursuing a passion can be challenging, and it’s important to set realistic expectations for yourself. Avoid setting unrealistic or overly ambitious goals that may lead to disappointment or frustration. Set achievable and realistic goals that align with your passion and current circumstances, and acknowledge the progress you make along the way.

  18. Seek support: Don’t be afraid to seek support from others. Surround yourself with individuals who share your passion or who can provide encouragement and guidance. Join communities or groups related to your passion, seek mentorship, or collaborate with like-minded individuals. Having a support system can help you stay motivated, accountable, and focused on your passion.

  19. Take breaks: Taking regular breaks is crucial for maintaining focus and productivity. Working for prolonged periods without breaks can lead to burnout and decreased concentration. Schedule regular breaks during your work or pursuit of your passion to recharge and rejuvenate your mind. Use this time to relax, engage in enjoyable activities, or simply take a walk to clear your mind.

  20. Reflect and revisit your passion: Periodically reflect on your passion and revisit your reasons for pursuing it. Reflecting on your motivation, goals, and progress can reignite your passion and help you stay focused. Consider keeping a journal, setting regular review sessions, or seeking feedback from others to gain fresh perspectives and insights.

  21. Embrace the learning process: Pursuing a passion often involves learning and acquiring new skills or knowledge. Embrace the learning process and view it as an opportunity for growth and development. Stay curious and open to learning, and be willing to invest time and effort in improving your skills related to your passion.

  22. Limit distractions: Distractions can hinder your ability to stay focused on your passion. Identify and limit potential distractions, such as turning off notifications on your phone, closing irrelevant tabs on your computer, or finding a quiet space to work. Minimize interruptions and create a conducive environment that promotes focus and concentration.

  23. Practice time management: Effective time management can help you stay focused on your passion. Create a schedule or a routine that allocates dedicated time for your passion-related tasks. Prioritize your time and avoid wasting it on non-essential activities. Use tools such as calendars, task lists, or productivity apps to help you manage your time effectively.

  24. Celebrate small wins: Celebrating your progress, no matter how small, can boost your motivation and help you stay focused on your passion. Acknowledge and celebrate your achievements along the way, whether it’s completing a task, reaching a milestone, or overcoming a challenge. This positive reinforcement can help you stay motivated and committed to your passion.

  25. Take care of your mental well-being: Your mental well-being plays a significant role in maintaining focus and motivation. Practice self-care, manage stress, and prioritize your mental health. If you find yourself feeling overwhelmed or struggling with negative emotions, seek support from a therapist, counselor, or trusted friend. Taking care of your mental well-being can help you stay resilient and focused on your passion.

  26. Stay true to yourself: When pursuing your passion, it’s essential to stay true to yourself and your authentic desires. Avoid comparing yourself to others or trying to conform to external expectations. Stay aligned with your values, interests, and passions, and follow a path that feels genuine to you. This authenticity will help you maintain motivation and focus on what truly matters to you.

  27. Be patient and kind to yourself: Pursuing a passion can be a challenging journey with ups and downs. Be patient and kind to yourself throughout the process. Avoid self-criticism or negative self-talk, and instead, practice self-compassion. Treat yourself with kindness, understanding, and encouragement, and celebrate your progress at each step of the way.

This article is written using Chatgpt

আমার মা এবং গিরিশ কর্ম

আজকে হচ্ছে পহেলা মার্চ। ২০১৬ সালের এই দিনে আমাদের মা ইহলোক ত্যাগ করেন। আমার মাকে নিয়ে আজকে দুটো/তিনটে বিষয় একটু স্মৃতিচারণ করব।

ডিম ভাজিঃ
আমি ছোট বেলায় ডিম সেদ্ধ খাওয়ার থেকে ভাজি (ডিম ভাজি বলতে সহজ ভাষায় যা বুঝি মানে পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে ডিম ভাজি) খেতে পছন্দ করতাম। আমি মাকে বলতাম মা আমাকে বড় করে ডিম ভাজি করে দাও। মানে একটা ডিম তো একটা ডিমই, সেইটার পরিমানতো আর বাড়ানো যায় না কিন্তু যদি কড়াইতে অনেক বেশি জায়গা নিয়ে ডিমটা ছড়িয়ে ভাজা হয় তাহলে অনেক বড়ই মনে হয়। অন্তত সেই শৈশবে এই বড় ডিম ভাজি আমার জন্য ছিল একটা আনন্দের উৎস। একদিন সবার জন্য ডিম ভাজি হল। আমার মনে হল আমাকে যে ডিম ভাজি দেওয়া হয়েছে সেটা ছোট। আমি বায়না ধরলাম যে আমি এই ছোট ডিম খাব না। পরে মা উপরন্তু না পেয়ে সেই বড় আকারে ডিম ভেজে দিলেন। এমনিতে আমার মায়ের রান্নার হাত ছিল মারাত্মক, তিনি অসাধারণ রাধুনি ছিলেন। তার রান্না স্কিল নিয়ে ২৩ পাতা লিখে ফেলা যাবে। আজকে ওদিকে যাব না।

গিরিশ কর্মঃ
সম্ভবত একটা রংয়ের কৌটার ভেতর কিছু ব্যবহৃত বা পুরাতন কিছু লোহালক্কর এর জিনিস থাকত আমাদের বাড়িতে। ধরেন পেরেক, জিনেরি , স্ক্রু এই ধরনের কিছু। বাবা মাঝে মাঝে বাড়ির কিছু সারানোর জন্য এগুলো ব্যবহার করতেন। আমার এই পুরাতন জিনিসের কৌটার প্রতি প্রচন্ড আকর্ষণ কাজ করত। মাঝে মাঝে এই কৌটার জিনিস পত্র কোন ছালার উপর ঢেলে নাড়াচাড়া করতাম বা কিছু করার চেস্টা করতাম। এই ধরনের কোন কাজ করতে দেখতে আমার মা বলত, কি গিরিশ কর্ম কত্তিছিস ? গিরিশ কর্ম বলতে মা সম্ভবত স্বাভাবিক কাজ কর্মের বাইরে ব্যতিক্রম কিছু করাকে বুঝাতো কিনা জানি না। মাঝে মাঝে মতমত কাজ না এমন কিছু আবার অন্য দিকে মনে হত বিশেষ কিছু করাকে মা গিরিশ কর্ম বলতেন। এই ‘গিরিশ কর্ম’ শব্দটা মা কোথা থেকে পেয়েছিলেন আমি জানি না। তবে গিরিশ চন্দ্র সেন এবং গিরিশ চন্দ্র ঘোষ নামে দুজন বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন। আমার মা কি উদ্দেশ্যে এই ধরনের কাজ কর্মকে গিরিশ কর্ম বলতেন আমার জানা নাই।

খাওয়ার পর থাল না ভিজিয়ে রাখলে মায়ের বুক শুকিয়ে যাওয়াঃ
মা বলতেন, মনি খাওয়ার পর থাল জল দিয়ে ভিজায়ে না রাখলি মায়ের বুক শুকায়ে যায়। তো আমি ছোট বেলা থেকে কম বেশি চেস্টা করি খাওয়ার পর থালে একটু জল ঢেলে রাখতে, এখন অবশ্য জল দিয়ে এবং সময় পেলে জল দিয়ে + ভিম দিয়ে ধুয়েই রাখি। মা কেন জল ঢেলে রাখতে বলত এবং এর সাথে মায়ের বুক শুকিয়ে যাওয়া মানে খাওয়ার পর থাল শুকিয়ে যাওয়ার সাথে মায়ের বুক শুকিয়ে যাওয়ার মিল কোথায় সেইটার একটা অর্থ আমার নিজের মত আমি দাড় করেছি। এটা হচ্ছে, থাল শুকিয়ে যাওয়া মানে অনেক সময় ধরে খাওয়া যা ঠিক না। হয়তো সন্তানের খাওয়া শেষ হবার জন্য মায়েদের অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয় তারপর তারা খান। এর ২য় কারণ হচ্ছে, খাওয়ার পর যদি থালের ময়লা শুকয়ে যায় এবং সেই ভাবে রাখা হয় তাহলে থাল যখন পরিবারের মহিলা সদস্য বা মায়েরা পরিস্কার করেন তখন তাদের অনেক কষ্ট হয়। আগেকার দিনে এক পরিবারে ২০-৩০ জন সদস্য কোন বিষয়ই ছিল না। একবার ভাবুন ২০টা ময়লা শুকিয়ে যাওয়া থাল + রান্নার অনান্য হাড়ি বাসন একজন মানুষের ধুতে কত সময় লাগার কথা এবং সেটা করতে গেলে পরিশ্রমে বুক শুকিয়ে যাবার কথা।

সবাই ভালো থাকবেন। আমার মায়ের জন্য দোয়া/আশীর্বাদ/শুভকামনা জানাবেন।

হাহুতাশ এবং ‘হাহা’

একদিন দলে দলে সোনার ডিম পারা হাঁসের লোভে
ঘর ছাড়া সাথীরা পরবর্তিত পরিস্থিতিতে বিষ্মিত হতে হতে থিতু হবে।

একদিন মটিভেশন এর চোটে ছটফটানিতে ভুগা হার্ট
ছুটে বেড়াবে দিগ্বিদিক, ডিমটিভেশন এর গুরুর খোঁজে।

সেদিন পেছন ফিরে আর নিজের পেছন দেখতে পাবে না,
সেদিন হাহুতাশ করতে কতে হা হয়ে থাকা হা পরিনত হবে ‘হাহা’ তে।

২৬ অক্টোবর, ২০২২
হাতিরপুর, ঢাকা

আত্মচিৎকার

আদরের ঝরাপাতা মাটিতে পতিত হবার আগে এসো
আর একটি বার করি আত্মচিৎকার।

শব্দজট গল্পজট এর ফাঁদ পেরিয়ে অশান্ত কবিতার মত
এসো উড়ে বেড়াই সচিত্র কিংবা নির্বিকার ।

জুলাই ১৬, ২০১৩

আপনার থাপ্পড় এর রেশিও ঠিক আছে কী?

এক ব্যক্তি ২য় অন্য ব্যক্তিকে উত্তপ্ত আলোচনার এক পর্যায়ে দিল গালে কষে থাপ্পড় কসিয়ে। ২য় ব্যক্তি ১ম ব্যক্তির হাতের দিকে উদ্ভুত দৃষ্টি নিয়ে থাকিয়ে থাকল। ১ম ব্যক্তি ব্যক্তি আরো রাগত স্বরে চিৎকার করে জিজ্ঞাসা করল হাতে কি দেখেন?
২য় ব্যক্তি উত্তর দিল, “মনে হচ্ছে আপনার হাতের রেশিও ঠিক নাই !”

২য় ব্যক্তি থাপ্পড় এর ব্যাথা ভুলে গেল দিন শেষে, মনের কষ্টও দিন শেষ হতে হতে হালকা হয়ে গেল।
১ম ব্যক্তি সারা দিন তার হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে পার করল যে তার হাতের রেশিও কি আসলেই সমস্যা, দিন শেষে রাতেও তার ঘুম আসল না হাতের চিন্তা নিয়ে … এভাবে হাত নিয়ে ১ম ব্যক্তি দিনের পর দিন পর করে ফেলল, তার হাতে সমস্যা, তার হাতের রেশিও ঠিক নাই।

নোটঃ ২য় ব্যক্তি হিমু হতে পারে, ১ম ব্যক্তি কে আমি জানি না।

পরামর্শঃ কাউকে থাপ্পড় দেওয়ার আগে হাতের রেশিও ঠিক আছে কিনা দেখে নিবেন।

How to Set Default Directory in Mac Terminal

As a tech person I need to use the terminal a lot. So, after opening the terminal need to browse or open any specific dir if I want to run any command based on dir or services like git. At home I mostly use mac(though as office I use windows long time) and I was looking for how to set any specific directory default in mac’s terminal. After doing some search found some help in stackoverflow. Here is how I have set for mine.

Open your mac’s termnial. Run command nano ~/.bash_profile .

bash_profile. This file is loaded before Terminal loads your shell environment and contains all the startup configuration and preferences for your command line interface.

via this article

Now write the below line in the bash profile file, the first has my fav dir that I want to open at terminal start

export START="/Applications/XAMPP/xamppfiles/htdocs/projects" //this is my fav dir I like to open as default dir for mac
if [[ $PWD == $HOME ]]; then
cd $START
else
cd $HOME
fi

Save the bash profile and exit. Now open your terminal.

Note: I used the tricks from here at stackoverflow and tried to write as my own way.