ইমোশনাল ভার্সেন রেসপেক্টফুল মার্কেটিং

সাম্প্রতিক দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রিন্স বাজার এর পক্ষ থেকে অনেক কিছুর সাথে গরুর মাংসের ছাড় নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে। আমি ভাবলাম এটার সাথে আরো সামান্য যুক্ত করি কারণ আমি জানি আমার ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় কয়েকজন আছেন যারা অনলাইন শপের সাথে যুক্ত।

একটা ছোট পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করি। সাধারণত অনলাইন শপিং গুলো থেকে এসএমএস আসা শুরু করে আপনি ঘুম থেকে উঠার আগে থেকে বা অফিসে এসে বসলেন দেখলেন একটার পর একটা এসএমএস আসছে। তো ধরুন সকালে ঘুমিয়ে আছেন একটা এসএমএস আসলো মোবাইল হাতে নিয়ে পড়া শুরু করলেন, “Beef 450tk, Ilish small 250 tk ….” মোবাইল ফোন সেট যদি স্মার্ট হয় তাহলে স্কিনের উপর আপনি এই রকম “Beef 450tk, Ilish small 250 tk ….” কিছু দেখা শুরু করবেন। মানে দাড়ালো আপনি যদি হিন্দু ধর্মাবলম্বী হন বা বিফ খান না ধর্মীয় কারণে তাহলে আপনার দিনের শুরু হচ্ছে বিফের দাম জানা দিয়ে। চাইলে Beef এর দামটা শেষের দিকে লেখা যেতে পারে এসএমএস এ, অথবা কাস্টমার নাম দেখে ধর্ম অনুসারে এ সএমএস আলাদা আলাদা চাংকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

এখানে দুইটা বিষয় খুব লক্ষ্যনীয়, এক হচ্ছে আমি এসএমএসই পেতে চাই না, পেলাম কিন্তু পেলেও আমি বিফ বা আমার ধর্মের সাথে সরাসরি কনফ্লিক্ট করে এমন কিছুর বাজার দর এসএমএসএ জানতে কোন ভাবেই আগ্রহী না।

কাস্টমারকে ‘রেসপেক্ট’ করা এটা মার্কেটিং এর একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে।

মুনির ভাইকে ট্যাগ করলাম কারণ উনি ইমোশনাল মার্কেটিং নিয়ে সাম্প্রতিক লিখছেন, আমি ভাবলাম রেসপেক্টফুল মার্কেটিং নিয়ে লিখি … এই ফিল্ড ফাঁকা আছে।

#respectful_marketing

ফ্রম ফেসবুক https://www.facebook.com/manchumahara/posts/10155510801067331

তোমার মুক্তি নাই!

আমাদের প্রজন্ম যেসব আইকনদের ফলো করে বা সাম্প্রতিক সময়ে যারা মারা গেলে আমরা প্রচন্ড আবেগ আপ্লুত হচ্ছি সেই আইকনদের মোটামুটি সবার গল্প একই আর সেইটা হচ্ছে তারা যা করতে চাইছে তাদের বাবা মা বা পরিবার সেইটাতে সাপোর্ট দেয় নাই। খুব কাছাকাছি উদাহরণ হচ্ছে ব্যান্ড সংগীত এবং গীটার শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। তিনি চেয়েছিলেন বাউল হতে আর তার বাবা বলে দিয়েছিলেন সংসারে বাউলের জায়গা হবে না। আমাদের বাবা মা একটা নির্দিষ্ট ফরম্যাটে চিন্তা করেন, ছেলে মেয়ে বড় হবে, পড়ালেখা করবে, পরীক্ষায় ফার্স্ট হবে, মোটামুটি অনার্স পাস করে চাকুরি শুরু করবে এবং কারি কারি টাকা আয় করবে, বিয়ে করবে বাচ্চা পয়দা করবে, বাচ্চা বড় করবে, সেই বাচ্চাকে আবার একই ফর্মুলায় ফেলে কড়াইতে রান্না করবে। আমি অবশ্য বাবা মা বা আত্মীয় স্বজনদের দোষ দেয় না কারণ তাদের বাবা মা তাদের কমন(কমন ফর্মূলা মানে পুরাতন বাংলা সিনেমায় যেমন দেখতাম নির্যাতিত বৌমা এক সময় শাশুড়ি হয়ে বৌমাকে নির্যাতন করত) ফর্মুলায় মানুষ করেছেন। প্রয়োজনে ছেলে মেয়েদের পোঙা থাপড়ায়ে লাল করে তাদের সাকসেস ফুল বানানোর প্রথা অনেক পুরাতন।

তুমি পৃথিবীতে এসেছ মানেই – তোমাকে সাকসেস ফুল হতেই হবে । তুমি যদি সাকসেস ফুল হতে নাও চাও তাও তোমাকে চিড়ে ভাঙানো মেশিনে বা ডাইসে বসিয়ে সাইজ করা হবে। তোমার মুক্তি নাই!

Embed in WordPress Outside of Editor or Content

Embed anything in wordpress is so easy, just paste the url in the editor and check the preview. WordPress automatically parse url in the content of the editor and embed almost near 20+ urls from social media audio, video, links etc. Here is a list of available auto embed links or services. But how about if we need to embed or parse any url outside of wordpress editor or inside theme or plugin custom code ? It’s just easy. Just check the following code snippet

https://gist.github.com/manchumahara/224cc85a1c8df6d6128b6901ba0298b9

দেশীয় ইকমার্সদের “ব্যাঙের ছাতা” সাথে তুলনা ?

Amazon বাংলাদেশে আসার খবরে অনেকে দেশীয় ইকমার্সদের “ব্যাঙের ছাতা” সাথে তুলনা করে স্ট্যাটাস দিয়েছে। বিষয়টা খুব লজ্জা জনক, তবে যাদের ব্যাঙের ছাতা বলা হচ্ছে তাদের জন্য না, যে বলছে তার জন্য লজ্জাজনক হবার কথা। একটা দেশে বড় বড় প্রতিষ্ঠানও যেমন থাকে তেমন ফুটপাথের ছোট দোকানও থাকে এটা দোষের কিছু না। তবে দেশের ভেতরের প্রতিষ্ঠান গুলোর ভেতর প্রতিযোগিতা আর বাইরের প্রতিষ্ঠানের সাথে দেশীয় প্রতিষ্ঠান এর প্রতিযোগিতা এক বিষয় না।

একটা ছোট উদাহরণ দেই, শুরুতে যখন আমাদের দেশের মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করল তখন ফেসবুক ছিল না। দেশীয় অনেক ফোরাম, ব্লগ অনেক জনপ্রিয় ছিল। ফেসবুক আসার পর সেই সব ব্লগ, ফোরাম হারিয়ে গেছে। মিডিয়াম বর্তমানে একটা জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক কনটেন্ট লেখা এবং পড়ার ব্লগ। আপনি যদি বেশি বেশি পড়েন তাহলে ওরা আপনাকে আটকায়ে টাকা চায়। যদি ফেসবুক না আসত বাংলাদেশে বা শুরু থেকেই যদি দেশে ফেসবুক বন্ধ করে রাখা হত তাহলে দেশীয় ব্লগ, ফোরাম গুলো আজকে অন্য জায়গায় থাকত। আমি নিজে একটা ফোরাম প্রথমে শেয়ারড, এরপর আরো একটু ভালো রিসোর্স আলা শেয়ারড, এরপর ক্লাড হোস্টিং এ নিয়েও শেষ পর্যন্ত ছাত্র অবস্থায় আর হিট সামলাতে পারি নাই। পরে যখন ফেসবুক আসল তখন মানুষের আগ্রহ এই সব ব্লগ, ফোরাম থেকে ফেসবুকের গ্রুপ গুলো আর পেজে চলে গেল। চাইলে দেশীয় এই সব ছোট ছোট উদ্যোগ গুলো ফ্রি এবং কমার্শিয়াল দুইটাই অফার করত। মিডিয়ামে নিশ্চয় কেউ কেউ টাকা দিয়ে সব আর্টিকেল পড়ার সুযোগ পায়, খোঁজ নিলে দেখা যাবে দেশীয় অনেকের প্রোএকাউন্ট আছে। এখন কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ আন্তর্জাতিক অনেক সাইট থেকে অনলাইনে অনেক কিছু কেনে।

আমাজন আজকে যে অবস্থানে সেই অবস্থানে সে শুরুতে ছিল না। শুরুতে আমাদের দেশীয় “ব্যাঙের ছাতা” ইকমার্স এর মতই ছিল। আর হ্যাঁ আমাজনের মত অসংখ্য ইমার্স তখনও শুরু হয়েছিল আমাজন টিকে গেছে। তখন আমাজনের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিল না। দেশীয় “ব্যাঙের ছাতা” ইকমার্স প্রতিষ্ঠান গুলো মাত্র ডানা মেলা শুরু করেছে তাকে বটবৃক্ষ টাইপ ইকমার্সের সাথে পাল্লা দিত বলা বা কমপেয়ার করা বোকামি।

আবার কোন কোন সময় দেশীয় গন্ডি পেরিয়ে দেশীয় কম্পানীকে আন্তজার্তিক পর্যায়েও প্রতিযোগিতা করতে হয় যদি আপনার প্রডাক্ট/সার্ভিস আন্তর্জাতিক মানের হয়।

এই বিষয় গুলো নিয়ে এত দ্রুত জেনেরালাইজড মন্তব্য করা উচিৎ না। অনেক সময় দেশীয় কম্পানীগুলো সার্ভিস নিয়ে আমরা অখুশি থাকি। কিন্তু আপনি নিজে যে প্রতিষ্ঠানে সার্ভিস দিচ্ছেন সেইখানে আপনি কি করছেন বা আপনার মত অন্য জনই অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে সে কি করে বা করছে সেইটার সার্বিক দিক বিবেচনা করলে আপনি বুঝতে পারবেন দেশীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর সার্ভিস জাতিগত মূল্যবোধ এর সাথেও জড়িত। কেউ যখন দেশীয় ইকমার্স থেকে কিছু কিনে অখুশি হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় আমি বেশির ভাগ সময় মন্তব্য করি আমি খুব ভালো সার্ভিস এখন আশাই করি না, কেউ অনলাইনে কিছু বেচতেছে , ৫টা অর্ডার এর ভেতর ৩টা বাসায় সঠিক সময়ে, ২টা দেরিতে আর ১টা গরমিল করে দিতেই পারছে না এতেই আমি খুশি। কারণ আমাদের দেশীয় জাতিগত মূল্যবোধের যে জায়গাটা সেইটা ৫/৫ বা ৫/৪ এর মতও না। বরং আমাজনকে ঠেকিয়ে রেখে জাতিগত মূল্যবোধ বাড়ানোর চেস্টা করলেই হবে।

আমাদের দেশের অফলাইন মুরগির শপে কোণ ভাবেই আপনি ডিজিটাল স্কেল পাবেন না কারণ মুরগি ব্যবসায়ীর মুল্যবোধই হচ্ছে আপনাকে ঠকাবে। কতখানি ঠকাবে, এই যে ধরুন ১০০ থেকে ২৫০ গ্রাম। এক পাল্লায় দ্রুত মেপে দিবে, যদি ডিজিটাল স্কেল থাকে তাহলে স্কেলের উপর প্রচন্ড জোরে ফ্যানের বাতাস দিয়ে রাখবে। এই মূল্যবোধের সমস্যা খোঁজ নিলে দেখবেন যেখানে আমাজনের জন্ম সেখানেও ছিল, আমরা অদের থেকে অনেক বছর পিছিয়ে।

আমাদের নৈতিক মূল্যবোধের জায়গার সমস্যার কারণে অনেক দেশীয় ভালো উদ্যোগ আগাতে পারে না। ধরুন একটা ডিলের সাইট অর্ডার নিল। এখানে অনেক ভেন্ডর যুক্ত থাকে, স্টকে না থাকা সত্তেও ভেন্ডর অর্ডার নিবে, বা অর্ডার নিয়েও সঠিক পন্য দিবে না। আপনি কিন্তু ভেন্ডরকে দেখতে পাবেন না আপনি দেখতে পাবেন ডিল সাইটকে। আপনি বলতে পারেন তাহলে এই দুষ্ট ভেন্ডরকে বাদ দিলেই হয়। আমি বলব ঠগ বাছতে গাও উজার করে দিতে চান ?

নতুন টাকার গন্ধ শুকি

আমাকে ভাঁজ করে তোমার মানি ব্যাগের কচকচে নোট গুলোর পাশে রেখে দাও
আমি বুক ভরে নতুন নোটের গন্ধ নেব আর
ইদুরের মত দাঁত দিয়ে কুট কুট করে কাটব নতুন রঙ্গিন কাগজ গুলো।

তোমার ঘর্মাক্ত পাছার পেছনে,
প্যান্টের পকেটে,
পকেটের ভেতর রাখা মানি ব্যাগে নতুন টাকার নোট,
নোটের পাশে আমি শুয়ে থাকব নিশ্চিত যেন।

অথবা

তোমার সুগন্ধি বোগলের নিচে ভ্যানিটি ব্যাগ,
ব্যাগের ভেতর রাখা মানি ব্যাগে নতুন টাকার নোট,
নোটের পাশে আমি গুটিশুটি মেরে রইব মরার মত।

//১৯ সেপ্ট, ২০১৮, বীর উত্তম রোড, ঢাকা

WordPress: How to Check if the is_front_page a page ?

In WordPress reading option if you select page as home then that is called frontend page technically and in that is_home() returns false as it’s not the actual archive page home page that we find default. There is another helper function in wordpress to check if regular or page based home using is_front_page() but if you check in plugin or theme using is_front_page() it will return true for both regular archive home or frontpage based home page(if you set a page as home). So, how can we check if the home page is page based front page or archive base front page or home ?

https://gist.github.com/manchumahara/9112df535b704409bc4ba24311c540d6

ঐ লোকটার নাম হল ‘দেশ’ আর তার পরিবারের সদস্যদের সবার নাম ‘নাগরিক’

এক লোক দীর্ঘদিন রোগে শোকে ভুগার পর সে গেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য। বিভিন্ন রকম টেস্ট করার পর দেখা গেল লোকটার ব্লাড ক্যান্সার, স্কিন ক্যান্সার, মাথার ক্যান্সার, হাতের ক্যান্সার, পাছার কান্সার, পেটের ক্যান্সারএবং সর্বপরি তার চোখের ক্যান্সার হয়েছে। ডাক্তারবাবুরা হতাশ হয়ে বসে পড়লেন, আরে আপনারতো সারা শরীরে ক্যান্সার। তাও আবার কোন প্রকার বাদ রাখেননি। এত কিছু নিয়ে কিভাবে বেঁচে আছেন ? লোকটাকে তার নাম পরিচয় বলার জন্য সবাই খুব চাপাচাপি করল। প্রচন্ড চাপাচাপিতে নত স্বীকার করে লোকটা তার পরিচয় প্রকাশ করল।

ঐ লোকটার নাম হল ‘দেশ’ আর তার পরিবারের সদস্যদের সবার নাম ‘নাগরিক’।

আমরা কি আমাদের তারাদের ভালোবাসি না?

আমাদের ছোট ছোট তারারা জ্বলার আগেই নিভে যাচ্ছে,
তাদের নিভিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ওদের গাড়ি চাপা দিয়ে মারা হচ্ছে,
কারো গায়ে গরম খুন্তির ছ্যাকা দেওয়া হচ্ছে।
রোজ সকালে ওদের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয় শরীরের ওজনের সমান বইয়ের ভারি ব্যাগ।

আমাদের তারাদের মেরে ফেলা হচ্ছে।
বুঝতে শেখার আগেই কারো যৌনাঙ্গ হয়ে যাচ্ছে পাশবিক অত্যাচারে ছিন্নভিন্ন!
মিথ্যা চুরির অপরাধে পিটিয়ে মারা হচ্ছে ওদের।
ওরা জ্বলে উঠার আগেই দপ করে নিভে যাচ্ছে।

আমাদের তারাদের খেলার মাঠ ক্ষুধার্তরা খেয়ে ফেলছে।
ওদের শিক্ষা এবং পরীক্ষার পদ্ধতি চরম হাস্যকর।
আমাদের তারাদের জোর করে ইংলিশ খাওয়ানো হয়।
ওদের অনেকের স্কুলে মাঠ নাই, কারো মাঠ থাকলে সেই মাঠে কাঁদা জমে না, গরু চড়ে না। ওদের ঘাসের উপর হাটতে দেওয়া হয় না।

আমাদের তারাদের জন্য বিশুদ্ধ বায়ু নাই।
আমাদের তারাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি নাই।
আমাদের তারাদের জন্য বিশুদ্ধ সবজি বাজারে বিক্রি হয় না।
আমাদের তারাদের খেতে দেওয়া মাছে ফরমালিন থাকে।
ওরা জ্বলে ওঠার আগেই নিভে যাচ্ছে। ওদের নিভিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

//আমরা কি আমাদের তারাদের ভালোবাসি না?
৩০.০৭.২০১৮

গরু, ঘাস এবং বৃত্তের গল্প

একদিন এক অংক ক্লাসে স্যার ছাত্রছাত্রিদের বৃত্ত সম্পর্কে পড়ানো শুরু করলেন। তিনি বিন্দু, বৃত্ত ইত্যাদি বিষয়ে পড়ালেন কিন্তু ছাত্রছাত্রিরা কিছুতেই বুঝতে পারছে না। স্যারও পড়লেন বিপদে। এমন সময় হঠাৎ করে ক্লাসের জানালাতে একটা গরু ফিক করে হেসে দিল। স্যার হুংকার দিয়ে বলল, কে ওখানে, কে হাসে রে ?

গরু মুখ কাচুমাচু করে স্কুলের জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে বলল, “স্যার আমি গরু !”

স্যার বল্লেন, “বুঝলাম তুই গ্রু কিন্তু মাঠে ঘাস না খেয়ে তুই এখানে কি করিস আর এমন ফিক করে হেসে দিলি ক্যান ?”

গরু বলল, “আজকে আমার মালিক ঠিক মত আমার গলার দড়ির সাথে যুক্ত খুটো মাটিতে পুতে দেয় নাই তাই আমি ছাড়া পেয়ে স্কুলে আসছি পড়ালেখা করতে। এসে জানালায় উকি দিতেই দেখি আপনি বৃত্ত পড়াচ্ছিলেন কিন্তু ছাত্রছাত্রিরা বুঝতে পারছে না দেখে হেসে দিলাম। এতো সহজ একটা বিষয় এরা বুঝতে পারছে না !”

স্যার কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বল্লেন, “বটে ! তা তুই কি পারবি বৃত্ত কি বুঝাতে ?”
গরুটা ঠিক এই সুযোগ এর অপেক্ষায় ছিল। প্রতিদিন মাঠে ঘাস খেতে খেতে সে ক্লান্ত। সে সমাজিক কর্মকান্ডে অংশ নিতে চায়। গরু বলল, “অবশ্যই পারব স্যার তবে তার জন্য সবাইকে যেতে হবে মাঠে।”

স্যার ছাত্রছাত্রিদের নিয়ে গরুর পেছন পেছন মাঠে গেলেন। মাঠের মাঝ খানে গিয়ে গরু বলল, ‘স্যার এবার আমার গলার দড়ির সাথে যুক্ত খুটোটা মাটিতে ভালো করে পুতে দেন’। স্যার তাই করলেন আর এবার গরু শুরু করল বৃত্ত পড়ানো।

… এই খুটোটা মাটিতে যে গর্ত তৈরি করল এটা হল বিন্দু। এখন আমি এই খুটো থেকে সবোর্চ দুরত্ব যতদূর দড়ি যাবে সেই বরাবর ঘাস খাব। দেখতে দেখতে গরু ঘাস খেতে খেতে মাটিতে পুতে রাখা খুটোর চারপাশে একটা পাক দিয়ে দিল। তৈরি হয়ে গেল বৃত্ত। গরু হাফাতে হাতে বলল, এই যে খুটো থেকে দড়ি টান টান রেখে আমি যে বরাবর খাস খেলাম এইটা একটা বৃত্ত তৈরি হল। আর আমার দড়ির দৈর্ঘ হল এই বৃত্তের ব্যাসার্ধ। এই রকম দৈর্ঘের দুইটা দড়ি মিলালে হবে ব্যাস। আর আমি যে বরাবর ঘাস খেলাম সেইটা হচ্ছে পরিধি …

ছাত্রছাত্রিরা হাত তালি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করল। এখন বৃত্ত, বিন্দু, ব্যাসার্ধ, পরিধি সব স্বচ্ছ পানির মত পরিস্কার সবার কাছে। স্যারও গরুকে বাহবা দিল। “ঘাস খাওয়া থেকে যদি ভালো কিছু হয় হোক তবে …”

গরুকে বিদায় জানিয়ে স্যার যখন ছাত্রছাত্রিদের নিয়ে ক্লাসে ফিরে যাচ্ছিলেন, গরুটা তখন তার গলার দড়ির সাথে যুক্ত খুটোটা আবার উন্মক্ত করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করল। কিন্তু সেই অনুরোধ না রেখে সবাই আবার ক্লাসে ফিরে গেল।

উৎসর্গঃ যে সকল শিশুদের খেলার মাঠ নেই, যাদের স্কুলের মাঠে গরু চড়ে না, যারা স্কুলের জানালা দিয়ে মাঠে গরু চড়ানো দেখতে পারে না …