ফ্রিল্যান্সার আইডিকার্ড এবং আমার ভাবনা

ফ্রিল্যান্স বা মুক্তব্যবসা(বাংলা ঠিক হল কিনা জানি না) এটার জন্য যদি কোন আইডেন্টিটি দরকার হয় তাহলে স্বাভাবিক ব্যবসা যাদের আছে তাদের সাথে ফ্রিল্যান্সাদের পার্থক্য কি সেটা জানা দরকার।
উদাহরণ হিসাবে আমি এক সময় বাসায় বসে ফ্রিল্যান্স(আমি নির্দিষ্ট কোন অনলাইন সাইটে কাজ করতাম না) কাজ করতাম ২০০৯/১০ সালের দিকে। তখন আমার কোন ট্রেড লাইসেন্স ছিল না, কোণ কমার্শিয়াল অফিস লোকেশন ছিল না। আইটি কম্পানীর ট্রেডলাইসেন্স নিতে গেলে এখন প্রায় দশ হাজার টাকা লাগে আর একটা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান লাগে(অফিস ভাড়ার চুক্তিপত্র লাগে)।

ফ্রিল্যান্সার কাউকে যদি আইডেন্টি দিতে হয় তাহলে প্রচলিত নিয়মেই দেওয়া যায়। তার জন্য দরকার ভার্চুয়াল অফিস লাইসেন্স মানে কোন ফিজিক্যাল অফিস ছাড়াই ট্রেড লাইসেন্স আর এই ক্যাটাগরির লাইসেন্স এর জন্য ফি কমানো বা ধরেন পাঁচ হাজার করা যেতে পারে। এই ক্যাটাগরির ট্রেডলাইসেন্স দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমান দেওয়ার ব্যবস্থা থাকা দরকার এবং প্রতিবছর লাইসেন্স রিনিউয়াল ফি’রও ব্যবস্থা থাকতে পারে।

সরকার ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড দিচ্ছে সেটা অবশ্যই ভালো উদ্যোগ, অনেকে অনেক ধরনের সমালোচনা করছে। বিশেষ করে যে ফি বা রিনিউয়াল ফি নেওয়া হবে তা নিয়ে। আমার কাছে এটা অস্বাভাবিক লাগছে না। একটা সার্ভিস নিতে ফি দিতে হবে এটা ভুল কিছু না। ব্যবসা করার জন্য একজন ব্যবসায়ী লাইসেন্স নিতে ফি দেন এবং রিনিউ ফি দেন।

আমার ব্যক্তিগত সাজেশন হচ্ছে আইডিকার্ড বাদ দিয়ে ভার্চুয়াল ট্রেডলাইসেন্স ক্যাটাগরি চালু করা এবং স্বাভাবিক নিয়মের ভেতর ফ্রিল্যান্স বা মুক্ত ব্যবসা বা কমার্শিয়াল অফিস ছাড়া ব্যবসার ধরন চালু করা। যদি কেউ টিম আকারে অফলাইনে ফিজিক্যাল অফিস বসে কাজ শুরু করে তাহলে সে ভার্চুয়াল লাইসেন্স ক্যাটাগরি বদল করে স্বাভাবিক ট্রেড লাইসেন্স নিবে।
আইটি ব্যবসার জন্য অন্যান যত সুযোগ সুবিধা আছে সেটা সব ক্যাটাগরির জন্য একই হতে পারে। যেমন বেসিস সাম্প্রতিক আলোচনা করেছিল কম্পানীর ধরন আরো বাড়ানোর জন্য যাতে ইন্ডিভিজুয়ালরাও যুক্ত হতে পারে বা আরো অন্যান্য ক্যাটাগরি, ইতোমধ্যে করে ফেলেছে কিনা জানি না।

আর একটা বিষয় হচ্ছে ফ্রিল্যান্স ছিল আইটি বা অনলাইন মাধ্যম না অফলাইন মাধ্যমের জন্যও প্রযোজ্য হতে পারে। আমি প্রথম ফ্রিল্যান্স শব্দটি শুনেছিলাম কেউ একজন তার পরিচয় দিতে বলেছি তিনি একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম সাংবাদিকতাতো বুঝি কিন্তু ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক বিষয়টা কি। উনি আমাকে বুঝানোর পর ফ্রিল্যান্স পেশাটা বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছিল।

সময় এর সাথে ব্যক্তি এবং দেশ উভয়কেই তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া দরকার।

ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য।

ফ্রিল্যান্সার নামে সরকার যে সাইট চালু করেছে তার ঠিকানা এখানে

Single Click “Visit Site” Menu in WordPress Admin Bar(Admin Top Menu)

While working with any WordPress theme or plugin it’s need to be in the dashboard and check the frontend same time. The most practical way to go to the frontend or home by clicking somewhere is the mouse hover on the Admin bar(admin top menu) site name or site icon and There come the popup sub menu as “Visit Site” is kind of two click time and a real ux problem in WordPress dashboard. There should be a single click “Visit Site” to go the home page. Here is a quick code snippet to add in plugin or theme’s functions.php file to achieve the quick visit site url in the admin top menu or admin bar menu.

https://gist.github.com/manchumahara/0e1710721ab5741b68f3e8aad84fd8fd

This is how the “Visit Site” menu look like.

ACF Field Group Export/Import Order Issue

Advance Custom Field or ACF plugin has option to export and import field groups. One common problem after import you will get all fields in reverse order. While writing this blog post I found the latest version still has same issue. One easy fix is, at first import the exported file in another site, export from there, now import where you wanted to import first hand. So, what happens, when you first export and import, it imported as reverse order, then when you export and import it’s imported in proper order. Funny huh !

বাবা খাওয়ার পর থালে একটু জল দিয়ে ভিজায়ে রাখবা না হলে মায়ের বুক শুকায়ে যায়

ছোট বেলায় মা বলত, বাবা খাওয়ার পর থালে একটু জল দিয়ে ভিজায়ে রাখবা না হলে মায়ের বুক শুকায়ে যায়। মায়ের বুক শুকায়ে যাবে এটা আমি মেনে নিতে পারতাম না তাই খাওয়ার পর থালে একটু জল ঢেলে দিতাম। যদিও ছোট বেলায় থালেই হাত ধুতাম।
আমি ব্যাপারটা একটু বড় হবার পর বুঝতে পেরেছি আর তা হল, যদি খাওয়ার পর থালা বাসনে একটু পানি না দিয়ে রাখা হয় তাহলে শুকায়ে যায় যা পরিস্কার করার সময় কষ্ট হয়। অনেক সময় ভাত বা এই ধরনের জিনিস শুকায়ে ধার হয়ে যায় যা নখ দিয়ে খোচা দিলে নখে কেটে যেতে পারে। আগেকার দিনে বড় বড় পরিবার থাকত। দেখা গেল পরিবারের সদস্য ২০ জন, প্রায় প্রতিবেলায় খাওয়ার পর ৫০-১০০ থালাবাসন জমত। হয়তো একজন মানুষকেই এই গুলো ধোয়া লাগত, এতগুলো থালা বাসান ধুতে ধুতে একজন মানুষের বুক শুকায়ে যাওয়ারই কথা।
এই ধরনের ১০০টা বিষয় এবং তার ব্যাখ্যা নিয়ে যদি একটা বই লিখি তাহলে আপনারা সেই বই কিনতে আগ্রহী হবেন কিনা আর বইয়ের দাম কত হলে অনাগ্রহী হবেন না ?
বিঃ দ্রঃ বইয়ে এই ব্যাখ্যাটা ফ্রি দেওয়া হবে মানে ১০১টা বিষয় নিয়ে আলোচনা থাকবে।

নিউ নরমাল ইজ হিউম্যান শিট !

একটা সময় ধারণা করা হত hi5 এর মত ফেসবুক হুট করে হারিয়ে যাবে। বেশ আগে একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম যেখানে বলা হয়েছিল যে আধুনিক জ্ঞান এই হুট করে হারিয়ে যাওয়া ঠেকিয়ে দিবে বা কিভাবে জায়ান্ট হয়ে অনেক বছর বেঁচে থাকা যায় সেইটা এখন মানুষ শিখে ফেলেছে। করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে ‘নিউ নরমাল নিউ নরমাল’ বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলা হচ্ছে। এটা আমার কাছে একটা হাস্যকর বিষয় মনে হয়। দেয়ার উইল বি ন নিউ নরমাল। একটু খেয়াল করেন, এর আগে কোন প্যান্ডেমিক এর সময় এত দ্রুত এন্টিভাইরাস বা টিকা বানানোর কাজ হয়নি। করোনার টিকা প্রায় রেডি, শুধু ফাইনাল ট্রায়াল বাকি যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমার ধারণা ফাইনাল ট্রায়াল শেষ হবার আগেই টিকা দেওয়া শুরু হবে।

যদি নরমাল বা স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু না হয় তাহলেও কোন কোন গোষ্ঠি লাভবান হবে বিরাট স্কেলে। তাই যত বেশি নিউ নরমাল নিউ নরমাল বলে বলে মানুষের মনে ঢুকিয়ে দেওয়া যায় তত তাদের লাভ। নিউ নরমাল ইজ হিউম্যান শিট ! খুবই দ্রুতই আবার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থ্যা এই যে বলতেছে ‘দেয়ার উইল বি নো নিউ নরমাল’ কি কনফিডেন্স অথচ ভাইরাস স্প্রেডিং এর শুরুতে তাদের খোঁজ ছিল না। এটা আমার কাছে মনে হয় বৈশ্বিক রাজনীতির অংশ।

আরে ভাই ১০০ বছর আগের পৃথিবী আর এখনকার পৃথিবী এক না। পারলে আগামীকালই মঙ্গলে গিয়ে মানুষ থাকা শুরু করে। একটা ছোট উদাহরণ দেই, ধরুন প্রায় বলা হয় প্লাস্টিক দিয়ে পৃথিবী শেষ হয়ে যাচ্ছে ব্লা ব্লা। ঠিকই দেখবেন সামনে এমন কিছু মানুষ বের করবে প্লাস্টিক পচিয়ে দিবে। হয়তো প্লাস্টিক খেকো ব্যাক্টেরিয়া তৈরি করে ফেলবে। মানে ১০০ বছর আগে সমস্যা সমাধানে মানুষ যেভাবে চিন্তা করত, যত দ্রুত কাজ করত, এখন তার থেকে বেশি ইফেক্টিভ ভাবে কাজ করে, অনেক দ্রুত অনেক সমস্যার সমাধান বের করে ফেলা সম্ভব।

এখন একমাত্র অন্তরায় থাকে বিশ্বনেতাদের কারো কারো ঘাউরামি। ট্রাম্প করোনা নিয়ে শুরু থেকে সিরিয়াস থাকলে আমেরিকার অর্থনীতি ডাউন হত না। আমেরিকার অর্থনীতি ডাউন মানে কিন্তু অসংখ্য দেশের ক্ষতি। এদিকে চায়নার অর্থনীতি উন্নতি মানেই পৃথিবীতে নতুন মেরু করন। আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশ ধংস করে দিয়েছে তবে ওদের কাজকাম মোটামুটি ট্রান্সপারেন্ট। কিন্তু চায়না কিভাবে কাকে ধংস করবে বা পুতুল বানিয়ে রাখবে এটা কেউ জানে না। পৃথিবীর অন্য সব দেশের টিকার ট্রায়াল ডাটা পাওয়া সম্ভব কিন্তু চায়নার কোন টিকার ট্রায়াল ডাটা আপনি পাবেন না।

তো এই নিউ নরমাল কন্সেপ্ট হচ্ছে ইচ্ছাকৃত তৈরি। এখন নিউজমিডিয়াকে কাজে লাগানো হচ্ছে বার বার এটা বলে মানুষের মনের ভেতর স্থায়ী ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া।

রাস্তা থেকে কেনা আম খেয়ে দেখলাম সন্ধ্যায়, ভালোই

আমার বাসার সামনে সকাল থেকেই ছাই, ঝাড়ু থেকে শুরু করে শাক, তরকারি সব কিছুই বেচতে আসে। প্রায় প্রতিদিনই আম বেচতে আসে, আজকে একজন আসছিল আম্রপালি আম বেচতে, উপর থেকে জিজ্ঞাসা করলাম দাম কত সম্ভবত ৮৫ বা ৯০ এই রকম কিছু বলেছিল।

আমরা বাসার ভেতর দ্বিধাদন্দে ছিলাম রাস্তা থেকে এই করোনার সময়ে আম কিনব নাকি। পরে উবু ১০ কুড়ি এভাবে গুনে ঠিক হল যে যা হয় হবে, অনলাইন থেকে অনেক দামি আম কিনেছি, আজকে রাস্তার আম কিনব। এবার আবার জিজ্ঞাসা করলাম, এই দাম কত, বিকাশ নাম্বার আছে ? উত্তর আসল বিকাশ নাই কিন্তু দাম সবার কাছে যা বেচছে মানে ৭০টাকা ফাইনাল দাম। আমরা ভাবছিলাম ৮০ টাকা বলব কিন্তু সে নিজে থেকেই নাকি পাশের বাসার ভাবী দামাদামি করে ১৫/২০ টাকা কমিয়ে দিয়েছে এটা জানি না, তবে শেষমেশ ৫ কেজি কিনেছি। বাসায় থাকা একটা আমের গায়ে টাকা বেধে দিলাম ফেলে, আর বাসার দারোয়ান আম দিয়ে গেল দরজায়।

রাস্তা থেকে কেনা আম খেয়ে দেখলাম সন্ধ্যায়, ভালোই। আমার মনে হয় বাসার নিচে নেমে সামান্য আরো চাপাচাপি করলে কেজি প্রতি ৫০ বা ৬০ কেনা যেত।

বাড়ির বউকে দিয়ে চুল কাটাচ্ছে !

করোনার সময়ে সবাই কিন্তু ঘরে ঘরে সেলুন খুলে ফেলেছে। বাড়ির বউকে দিয়ে চুল কাটাচ্ছে ! যাই, হোক বউ যদিও শুধু ঘরের লোকের চুল কেটে দিচ্ছে, তাও জীবনে প্রথমবারই যেভাবে দারুন চুল কেটে দিচ্ছে তা সেলুনের চুল কাটার থেকে খারাপ কিছু না। এখন আমার কথা হচ্ছে, বাড়ির বউরা যদি ফেসবুকে শপ খুলে টুকটাক যে যেটা পারে সেটা বেচে বা শপ চালায় তাতে ক্ষতি কি ?

এক সময় ঘরে ঘরে ফেসবুক শপ বিষয়টা হাস্যকর লাগলেও এটা আসলে এখন আমার কাছে সিরিয়াস বিষয়। এটা মোটেও হাস্যকর কিছু না। ঘরে ঘরে ফেসবুক শপ আমি দোষের কিছু দেখছি না, বরং এটা প্রাচীন বিনিময় প্রথার আধুনিক প্রয়োগ। সবাইকে বড় বড় শপ দিতে হবে তা নয়। কেউ ভালো রাধতে পারেন সে রান্নার রেসিপি শেয়ার করতে পারেন, কেউ রান্না করেই বেচতে পারে। এখানে ঘরে বসে ৫০ জনের রান্না করা সম্ভব, যার এর বেশি দরকার নাই, সে প্রতিদিন ৫০ জনের রান্না বেচলেই হবে। তাহলে ৫০ জন মানুষ যার রান্নার জোগাড় নাই কিন্তু সেই ৫০জন ঘরে বসেই ঘরের রান্না খেতে পারবে। এদিকে বাইক যাদের আছে তারা এই ৫০ জনের খাবার পৌচ্ছে দিয়ে রোজগার করতে পারবে, সবাইকেই যে পাঠাও এর মত এপে খ্যাপ মারতে হবে তা না। এখানে কেউ টাকার বিনিময়ে রান্নার স্কিল বিনিময় করছে, কেউ তার বাইক চালানোর সময় বিক্রি করছে। আমি আবারও বলছি সবাইকেই বিশাল বড় দোকান এর দরকার নাই, কেউ চাইলে সেটা আলাদা বিষয়। আমরা সবাই জানি সব উদ্যোগ বড় হয় না কিন্তু কোন কোনটা হয়।

আমি একটা অনলাইন শপ থেকে মাঝে মাঝে অর্ডার দেই, ওদের শপে সব কিছু নাই। যা নাই তা আমি অর্ডার এর সাথে নোট আকারে লিখে দেই। অনেক সময় দেখা যায় ওদের শপে যা অর্ডার দিয়েছে তার চার গুন আইটেম আমি লিখে দিয়েছি। পরের দিন ওদের বাইকার সকাল ১০টার দিকে ফোন দিয়ে কনফার্ম করে আর কি কি পাওয়া যাচ্ছে না বা ব্যতিক্রম থাকলে বলে। আমি আজকে গত দিন যে ডেলিভারি দিয়েছিল তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেছি কিছু কাস্টম আইটেম এর জন্য। আমার কাছে মনে হচ্ছে বিষয়টা অফলাইন অনলাইন মিক্সড একটা সামাজিক বিজনেস মডেল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। অনেকের পক্ষেই বেকার থাকা কঠিন হয়ে যাবে যদি সে সামান্য ব্রাহ্মনত্বকে দূর করতে পারে।

এখানে একটা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই যে সামাজিক কেনাবেচার নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে এটা কিন্তু বিশ্বাস এর নেটওয়ার্ক হতে হবে। আপনি কাউকে ঠকাচ্ছেন মানে এটা নয় যে শুধু আপনি আপনার ব্যবসা নষ্ট করছেন, আপনি আপনার মত আরো যারা ব্যবসা করে সবাইকে ঠকাচ্ছেন।

আমি প্রতিবছর বাসার আশেপাশের স্থায়ী হকারদের কাছ থেকে আম কিনি যারা সারা বছর বাসার আশেপাশে কিছু না কিছু বেচে এবং আমার চেহারা দেখলে চেনে(মানে প্রয়োজনে বাকি দিতেও দিধা করে না)। এরা আমাকে কোনদিনও খারাপ আম দেয় না। কিন্তু এই বছর ৩টা ফেসবুক শপ থেকে আমি আম কিনেছি কারো কাছ থেকেই আমি ১০০% ভাল আম পাইনি যদিও ভালো আম বলতে যেমন দাম হওয়া উচিৎ প্রত্যেককেই আমি যেমনই দাম দিয়েছি। আমি আগামীবছর আবার রাস্তা থেকেই আম কিনব ঠিক করেছি। আমি রাস্তা থেকে নিজে কেটে খেয়ে বেছে বেছে কিনে আনতে পারি। অনলাইন থেকে আম কেনার যে বিশ্বাস সেটা কেউ না কেউ নষ্ট করল আমাকে খারাপ আম পাঠিয়ে।

ছাই

প্রায় আমাদের বাসার সামনে এক মহিলা ফেরি করে ছাই বেচতে আসেন কিন্তু উনি এত কর্কশ ভাবে ছাই ছাই বলে চিৎকার করেন তাতে ছাই কেনার ইচ্ছাটাই মারা যায়। তাই চেস্টা করলাম ছাইকে একটু জাতে উঠাতে আর সেই সাথে আমার ছাইছাপা কন্ঠের গুনগান শোনাতে।

করোনার সময়ে সমস্যা এবং চিন্তাঃ রেগুলার টিকাদান কর্মসূচী

করোনার কারণে শিশুদের রেগুলার টিকাদান কর্মসূচীর সাথে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ। সরকারি অনেক হাসপাতালে দেওয়া যায় এখনো কিন্তু সেটা সবার জন্য ওয়াকিং ডিসট্যান্স হবে না এবং শিশুকে বেশি দূরে নিয়ে যাওয়া বেশি যুকি পূর্ণ। মিল্ক ভিটা যেভাবে বাসার সামনে দুধ নিয়ে হাজির হচ্ছে, সেই ভাবে টিকাদান এর জন্য ভ্রাম্যমান গাড়ি ব্যবহার করে বাসার সামনে এসে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা জরুরী। অন্তত ঢাকা বা শহরাঞ্চলে। টিকাদান কর্মসূচীর সাথে অনেক গুলো এনজিও জড়িত, তাদের এখনি অলটারনেটিভ কর্মসূচী বা ভ্রাম্যমান কর্মসূচী নেওয়া উচিৎ। পোলিও এবং এই ধরনের টিকা কর্মসূচী বাধাগ্রস্থ হলে এই অঞ্চলে এই রোগ আবার ফিরে আসবে।

করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক চিন্তাঃ -১

করোনা পরবর্তী সময়ে প্রতিটি দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিবে। আমি একাউন্টিং অভিজ্ঞের মত বুঝি না তবে আয় আর ব্যয় বুঝি। যদি আয় বাড়ানো না যায় তাহলে ব্যয় কমিয়ে এটা নিয়ন্ত্রন করা যায়। আবার আয় যদি স্থির থাকে তাহলে ব্যয় কমিয়েও মন্দা কমিয়ে আনা সম্ভব। ব্যয় কমানো মানে যে কম কনজিউম করা তা না। দেশের সাপেক্ষে যদি বাইরে থেকে কিছু কিনি বা আমদানী করি তাহলে সেই ব্যয় আর দেশের ভেতরে কিছু কেনাকাটা আলাদা বিষয়।

প্রতি বছর চিকিৎসার জন্য প্রতিবেশী দেশ ইন্ডিয়াতে অনেক মানুষ যায়। আর যাদের কাঁচাপাকা টাকা আছে তারা আরো উন্নত দেশ বা চিকিৎসা সেবার জন্য অন্য দেশ গুলোতে যায়।

করোনার পরে যদি স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি করা যায়, দূর্নীতি কমিয়ে সেবার মান, পরিবেশ উন্নত করা যায় তাহলে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া কমিয়ে আনা সম্ভব। বৈদেশিক মুদ্রা আয় আর দেশের মুদ্রা বিদেশে না নিয়ে যাওয়া কিন্তু অনেকটা একই রকম ব্যাপার। তো চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যয় কমিয়ে আনা যায় বা বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বন্ধ করা যায় তাহলে সেটা দেশের অর্থনীতির জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে।

এটা করার জন্য প্রথমে দরকার দেশ যারা চালান তারা যদি আগামী ৫ বছর কোন রকম চিকিৎসার জন্য ভিন্ন দেশে না যান এবং সরকারি হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা নেন। আরো ভালো হয় দেশের সরকারি হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা নেওয়ার সময় যেন কোন রকম ভিআইপি সুবিধা না নেন। সাধারণ নাগরিক যেভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কেটে চিকিৎসা নেন, সাধারণ নাগরিক যেভাবে জেনারেল ওয়ার্ডে বা বেডে থাকেন সেই ভাবে। প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল এবং বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ভিআইপি ওয়ার্ড বা বেড সরিয়ে ফেলতে হবে।

বিঃ দ্রঃ ‘করোনা পরবর্তী অর্থনীতি’ হচ্ছে বর্তমান সময়ের হটটপিক

Wrote in facebook here