সাহসের সাথে বলুন, আমি পারব না

আমি পারব, আমাকে দিয়ে হবে… ব্লা ব্লা যদি আত্মবিশ্বাস হয় তাহলে আমি পারব না, আমাকে দিয়ে হবে না…এগুলোও আত্মবিশ্বাস। দিন শেষে এগুলো বিশ্বাস, ফ্যাক্টস না। আমি পারতেও পারি আবার নাও পারতে পারি।

অনেকে কোন কিছু এচিভ করার পর বলে, আমিতো ভাবছিলাম আমাকে দিয়ে হবে না কিন্তু কেমনে কেমনে যেন হয়ে গেল। আবার অনেকে ফেইল করে বলে, আমি ১০০% নিশ্চিত ছিলাম এটা আমি পারব কিন্তু কিভাবে কি হল আমি পেরে গেলাম!

তাই যদি আপনার মনে হয় আপনি কোন কিছু পারবেন না সেটাও আত্মবিশ্বাস এর সাথে বলুন। আপনি পারবেন না এটা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হোন। সাহসের সাথে বলুন, আমি পারব না, আমাকে দিয়ে হবে না!

বছরের পর বছর কচ্ছপ আর খরগোশের যে অদ্ভুত গল্প আমাদের শোনানো হয়েছে!

বছরের পর বছর কচ্ছপ আর খরগোশের যে অদ্ভুত গল্প আমাদের শোনানো হয়েছে!

আধুনিক সময়ে দেখা যায় দৌড় প্রতিযোগতিয়ায় কেউ পরে গেলে বা হোচট খেলে পাশের খেলোয়ার তাকে টেনে তুলে, প্রয়োজনে তাকে সাথে নিয়ে এক সাথে দৌড়ের শেষ দাগ পার হয়। মানে গুড স্পোর্টসম্যান্সশিপ বলতে আমরা এটাই বুঝি এখন। যদিও খুব স্বল্প দুরত্বের দৌড়ের ক্ষেত্রে এটা হয় না যা স্বাভাবিক।

কচ্ছপ এবং খরঘোশের গল্পে আমরা দেখি ঘুমন্ত খরঘোশের পাশ দিয়ে কচ্ছপ ঠিকই চলে গেছে কিন্তু খরগোশকে একবার ডেকে দেয় নাই, জিজ্ঞাসা করে নাই ভাই তুমি কি অসুস্থবোধ করছ? এই আধুনিক সময়ে কচ্ছপকে ভিলেন মনে হয় না?

আচ্ছা, কচ্ছপ আর খরখোশতো একই গতিতে দৌড়ানোর কথা না কিন্তু তাদের নিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজনের গল্প যে লোকটা লিখেছিল সে কি স্বাভাবিক ছিল? যদি দুইটা কচ্ছপ বা দুইটা খরগোশ এর ভেতর দৌড় প্রতিযোগিতা নিয়ে গল্পটা হত তাহলে সেইটা নিয়ে ভাবা যেত। গরু আর ঘোড়া প্রায় কাছাকাছি ধরনের প্রানী হলেও তাদের ভেতর দৌড় প্রতিযোগিতা হয় না। এমঙ্কি গরু আর মহিষও না।

আগে ভাগে দৌড়ে না জিতে বরং কচ্ছপ এর জন্য খরগোশ যে অপেক্ষা করেছিল এটাই আমার কাছে মহান আচরণ বা স্পোর্টসম্যানশিপ মনে হয়ে গেছে। আর একজন অন্য জনের জন্য কত সময় বসে থাকতে পারে! এভাবে বসে থেকে থেকে একটা পর্যায়ে খরগোশ যে ঘুমিয়ে পরেছিল সেটাই স্বাভাবিক। খরগোশতো চাইলে এক দৌড় দিয়ে জিতে যেত পারত। দেখা যেত, জিতে কাপ নিয়ে বাড়ি গিয়ে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে গেছে তখন কচ্ছপ এসে দেখত তাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্যও কেউ নাই। মানে আদৌ কোন দৌড় প্রতিযোগিতা হচ্ছিল কিনা এটা নিয়েই সে কনফিউজড হয়ে যেত!

মানুষ কি ডায়নোসর এর মাংস খাবে?

আমার ধারনা মানুষ একদিন মাংস খাওয়ার জন্যই ডায়নোসর এর চাষ করবে। যেভাবে মানুষ বাড়ছে তাতে প্রোটিং এর চাহিদা যোগান দেওয়া এক সময় প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। কিন্তু কথা হচ্ছে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ডায়নোসর বা বিশাল লোমশ হাতি যদি আমরা গবেষনার মাধ্যমে আবার ফিরিয়ে আনতে পারি তাহলে তাদের পোষ মানাবো কিভাবে, তাদের মাংসের জন্য ব্যবহার করার জন্যতো অত বড় ছুড়ি দাও কিভাবে ম্যানেজ করব আমরা?

নিশ্চয় গেম অব থ্রন্স এ রানী ডেনেরিস এর ভাষা বা কমান্ড যেভাবে ড্রাগন পালন করত কিংবা কুপি/ল্যাম্প থেকে বের হওয়া দৈত্য যেভাবে কথা শুনত সেই ভাবে কিছু একটা নিশ্চয় ম্যানেজ করা যাবে। কিন্তু কিভাবে হবে সেটা, এই আধুনিক যুগে কি যাদু দিয়ে হবে?

নিশ্চয় হবে, তবে ইলন মাস্কের নিউরাল লিঙ্ক কম্পানী যা করছে সেই রকম কিছু হবে নিশ্চয়। একটা শিশু ডায়নোসর এর ব্রেনে একটা চিপ বসিয়ে দেওয়া হবে। সেই চিপ এর মাধ্যমে তার ব্রেন বা তার আচরণ নিয়ন্ত্রন করা হবে। তাকে সারাদিন কলকাতার নিউজ চ্যানেল গুলো দেখিয়ে বোকা বানিয়ে রাখা হবে।

ইলন এর বোরিং কম্পানী যা বিশাল বিশাল মেশিন দিয়ে মাটির নিচে সুরঙ্গ বানায় ঐ রকম বড় বড় যন্ত্র দিয়ে ডায়নোসর জবাই করে মাংস ছোট ছোট পিচ করা হবে। এত বড় ফ্রিজ কোথায় পাব আমরা এই মাংস সংরক্ষন করার জন্য। হয়তো এন্টার্টিকায় নিয়ে রাখা হবে।

আচ্ছা সব কিছু সম্ভব হয়, মানুষ কি ডায়নোসর এর মাংস খাবে?

Colossal Biosciences নামের একটা কম্পানী অনেক আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া লোমশ বড় হাতি ফিরিয়ে আনার প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে।

টেকক্রাঞ্চ এর একটা নিউজ এর সামারি নিম্নরুপঃ

কলসাল বায়োসায়েন্সেস, যে কোম্পানিটি বিখ্যাতভাবে উলি ম্যামথ এবং আরো দুটি বিলুপ্ত প্রজাতিকে ফিরিয়ে আনার মিশনে রয়েছে, TWG গ্লোবাল থেকে $২০০ মিলিয়ন সিরিজ সি তহবিল সংগ্রহ করেছে, যার মূল্যায়ন $১০.২ বিলিয়ন। TWG গ্লোবাল হচ্ছে গুগেনহাইম পার্টনার্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক ওয়াল্টার এবং বিলিয়নিয়ার থমাস টুলের বিনিয়োগ কোম্পানি।

এই তহবিলটি এসেছে কোম্পানির পূর্ববর্তী রাউন্ড বন্ধের দুই বছর পরে, যার মূল্যায়ন ছিল $১.৫ বিলিয়ন।

দই এবং বিড়ালের বন্দোবস্ত

আমাদের পাতের দই
খেয়ে ফেলেছে, খাচ্ছে কিংবা খাবে
পাশের বাড়ির বিড়াল।

আমাদের দই এর বন্দোবস্ত হলেও দই খাব কিনা এটা নিয়ে আমরা হেজিমনি করব।

আমরা দই খাব নাকি বিড়াল তাড়াবো নাকি বিড়াল খাব তা নিয়ে আমরা হৈ হুল্লোড় করব কিংবা হোচট খাব।

আমাদের পাতে দই এসেছিল নাকি দই এর জন্য ট্রাকের পেছনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকব এটা নিয়ে আমাদের গা গরম করতে হবে।
আমাদের মারা খাওয়া ফাঁকা পকেটে হাত ঢুকিয়ে আমরা ফেসবুকে রিল দেখে আমাদের বিনোদনের বন্দোবস্ত ঠিক করব।

আমাদের বিবেক কে দই খেয়ে ফেলবে নাকি বিড়াল খাবে তা নিয়ে আমরা কোন হেজিমনি করব না।

যে বিড়ালের গোঁফে দই লেগে নেই তাকে আমরা মাথায় তুলে নেব।
আর গোঁফে দই লেগে থাকা বিড়ালদের
কেলিয়ে আমরা সাময়িক আনন্দের বন্দোবস্ত বুঝে নেব।

দেখেন আপনাদের যা ভালো মনে হয়-৩৫

অফিসে আসার সময় দৈব চয়নে একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম, ভাই কেমন আছেন? কি করেন?

লোকটা বিস্মিত হয়ে খুব গম্ভীর ভাবে উত্তর দিলেন, কেমন আছি এইটা আপনি বুঝতে পারবেন আমি কি করি সেইটা যদি আপনি বুঝতে পারেন।

আমি প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ভাই আপনি কি করেন কনতো!

লোকটা এবার নির্মোহ ভাবে বলল, ঝাঝর বা ঝালই চিনেন? এইটার পুঙায় ফুটো থাকে জানেন? আমি ঝাঝর এর পুঙার ফুটো গুনি!

আমি আর কিছু জিজ্ঞাসা না করে বললাম, চলেন একই দিকে যখন যাচ্ছি একই সাথে আরো দু’পা ফেলি।

শুভ সকাল!

ব্যাটারি চালিত রিক্সা দেখার প্রথম অনুভূতি!

একদিন রিক্সায় অফিস যাচ্ছিলাম। পলাশী মার্কেট, বুয়েট থেকে নীলক্ষেত এর রোড দিয়ে। ঐ রোডের মাঝামাঝি থাকা অবস্থায় পাশ দিয়ে একটা ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলে গেল ফুশ করে। আমি যে রিক্সায় যাচ্ছিলাম ঐটা ‘বিচি’ চালিত। আমাকে বহন করা রিক্সার চালককে বল্লাম, দেখেন এইডা সামনে গিয়ে উষ্ঠা খায়া পরব। কি কব রে মনি, সত্যি সত্যি নীলক্ষেত মোরে এসে দেখি ঐ রিক্সা উষ্ঠা খায়া রাস্তার ডিভাইডার এর উপর উল্টায় আছে। ভেঙেও গেছে। আমার রিক্সার চালক, আমার দিকে তাকায় কেমনে কেমনে যেন দেখতেছে! বলে, ভাই আপনার মুখের কথা সত্যি হয় নাকি? আমিও বুঝতেছি না কি থেকে কি হয়ে গেল। ব্যাটারিচালিত রিক্সাটা বিচি চালিত রিক্সা থেকে এত জোরে চলতেছিল যে মনে হল পাশ দিয়ে কোন সুন্দরী ভাবী ১০০ মিটার রেস দৌড়াইতেছে, মানে ধরেন উসাইন বোল্ট ভাবী। আমারও মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে! নিজের উপর নিজেরও সন্দেহ হওয়া শুরু করল। ঐ প্রথম আমি ঢাকা শহর না আমার জীবনে প্রথম ব্যাটারি চালিত রিক্সা দেখলাম আর সেইটা আমার মুখের কথা মুখ থেকে মাটিতে পরতে না পরতে উষ্ঠা খেয়ে ভেঙে পরল! যারা এই ঘটনা মিথ্যা ভাববে [বির বির করে বল্লাম, শালার কার কি হয়ে যায় পরে ঝামেলায় লটকায়ে যাব!]

বিপলব বেলায় পেম পিরিত খেলা

ভালোবাসা শিখাইয়া যদি বল
আর পিরিত করবা না
আমি তা সহজে মাইনা নিব ক্যান?

আন্দোলন শিখাইয়া যদি কও, যুদ্ধ বন্ধ কর,
আমারে কেন তা মাইন্যা নিতে হইব।

আমারে চ্যা*র বা* মনে কইরা কাইটা ফেলবা!
আমি তা সহজে মাইনা নিব ক্যান?
হপতা খানেক যাইতে মাথা উচু কইরা আমি কইবই কইব
আয় *য়োরের বা* চা*এর বা* কাট!

নার্ভে চড়বেন না!

কোলে চড়া, ঘাড়ে চড়া, মাথায় চড়ার সাথে নার্ভে চড়ার একটা বিরাট পার্থক্য আছে। নার্ভে ফিজিক্যালি চড়া যায় না। চড়ার অনুভূতি দেওয়া যায় কাউকে, কেউ চড়েছে সেইটা অন্য কেউ অনুভব করতে পারে। আমার কাছে নার্ভে চড়ার বিষয়টা সম্পূর্ণ হয় যখন যার নার্ভে চড়া হয় সে যদি রিএক্ট না করে হজম করে ফেলে।

গত সপ্তাহে একটা কাপড়ের দোকানে গিয়েছি প্রায় বাজার বন্ধ হবার শেষের দিকে। সাধারনত পরিচিত যে দোকান থেকে কেনাকাটা করি তারা বন্ধ করে দিয়েছে, আসলে বেশির ভাগ কাপড় এর দোকানই তখন বন্ধ। একটা দোকান খোলা পেয়ে গেলাম যেটা অনেক আগের চেনা কিন্তু অনেক দিন যাই না। কিছু কাপড় দেখালো, আমার পছন্দ হল না। বাজেট, বয়স এবং রং এর ধরন উল্লেখ করে পরিস্কার করে বলেছি। সাথে খুব কাছের বন্ধু ছিল একজন। দোকানদার ৪/৫ টি শাড়ি দেখালো। আমি বল্লাম, আমার পছন্দ হচ্ছে না। উনি বল্লেন, অত শাড়ি দেখায়ে উনি বেচেন না। নিলে নেন না হলে ব্লা ব্লা…।

আমার বন্ধু আমার দিকে তাকাচ্ছে, আমি তার দিকে তাকাচ্ছি। আমার একটা শাড়ি কেনা খুব দরকার ছিল, সকালে কিনলে হবে না। ঐ ৪/৫টা থেকে বেটার যেটা আমি চয়েজ করে নিলাম। আমার চিন্তা ভাবনার অংশ এটা। যখন সব খারাপ হয় আমি কম খারাপকে বেজে নেই।

দোকানদার তখন আমার নার্ভে চড়ে বসে পিঠে চাবুক মারতেছে! আমি দিব্যি হজম করে ফেললাম।

আমি এই রকম অনেক মানুষকে আমার নার্ভে চড়তে দিছি। এরা দিব্যি আমারে চাবুক মারতে থাকে। এরা যখন নার্ভ থেকে নামতে চাইবে আমি নামতে দেব না। ধরেন ঘোড়ায় চড়ছেন, আনন্দ করছেন, ঘোড়াকে চাবুক মারছেন, হাই হুই করে তাড়াইছেন, চড়তে চড়তে ক্লান্ত হয়ে গেছেন কিন্তু যখন নামতে চাইছেন তখন আর ঘোড়া থামতেছে না। থামতেছে না তো থামছেই না। আপনি কি করবেন তখন?

নার্ভে চড়বেন না। কোলে চড়েন, ঘাড়ে উঠেন, পিঠে উঠেন, মাথায় উঠেন, নার্ভে চড়বেন না।

আমি ঐ শাড়ির দোকানদার(নড়াইলের) এর জন্য আশবীর্বাদ, দোয়া সব কিছু করি সে যেন সারাজীবন সফলতার সাথে ৩/৪টা শাড়ি দেখায়েই বেচার কৃতিত্ত্ব ধরে রাখতে পারেন, কোন সময় যেন তাকে কাস্টমার এর জন্য সারাদিন বসে থাকা না লাগে।

পরিশেষে, কেউ কারো নার্ভে চড়বেন না।
————————————————————————
দেখেন আপনাদের যা ভালো মনে হয়-২৮

একটা নতুন আন্ডারস্ট্যান্ডিং

সাম্প্রতিক জীবনে একটা নতুন আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছে যা ফেসবুকে এক ছোট ভাইকে কমেন্ট আকারে করেছিলাম নিম্নরুপঃ

আমার জীবনের একটা নতুন আন্ডারস্ট্যান্ডিং হচ্ছে, আমরা যার/যাদের কাছ থেকে যেটা আশা করি না সে/তারা যেন সেইটাই করে। ধর কোন ছেলে (বা ভাইস ভারসা) কেউ বিয়ের জন্য মেয়ে পছন্দ করছে, সে খুব চাইছে মেয়ের জন্য কোন বয় ফ্রেন্ড না থাকে দেখা যাবে মেইয়ের বয় ফ্রেন্ড আছে। আবার ভাবলো, বয় ফ্রেন্ড বা গার্ল ফ্রেন্ড থাকলেও এরা যেন লিটন এর ফ্লাটে না গিয়ে থাকে, দেখা যাবে এরা গেছে! এই রকম বিয়ের পাত্রপাত্রী থেকে শুরু করে, বাপ, ভাই, মা, বাবা, ছেলে মেয়ে, নেতা, পিতা, তালগাছ, বট গাছ যার কাছ থেকে যেটা আশা করবা না সে কেন যেন সেইটাই করে বসে!