“এখন এখানেই” -‘তান’ ব্যান্ডের একটা অসাধারন গানের এলবাম

“এখন এখানেই” নামে ‘তান’ ব্যান্ডের একটা অসাধারন গানের এলবাম আছে কিন্তু কাউকে কোনদিন না শুনেছি তাদের ব্যান্ডের নাম বলতে কিংবা এলবামের নাম। তারা কি আসলেই আর গান গেয়েছে নাকি তাও জানি। আমার মনে পড়ে প্রথমে পাইরেটেড ভার্সন শুনে পরে মুগ্ধ হয়ে একটি অরিজিনাল সিডিই কিনেছিলাম। সিডিটা কোথায় আছে জানি না, হয়তো বাড়িতে রেখে এসেছি। ডিজিটাল ভার্সনগুলো আছে।
[soundcloud url=”http://api.soundcloud.com/tracks/90535996″ params=”” width=” 100%” height=”166″ iframe=”true” /]

মে দিবসে অলস বিকেল শেষ হবার ঠিক আগে আগে

কষ্টকর শ্রমের ক্যাটাগরীতে আমার চেনা জানার ভেতর মাটি কাটাকে আমার বেশ কষ্ট সাধ্য কাজ বলে মনে হয়। ছোট বেলায় আমার বাড়ির আশেপাশে কোন পুকুর কাটলে আমি গিয়ে প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম। ছোটবেলায় যদিও আমার প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে দেখার মত অনেক কিছুই ছিল, বৈশাখ মেলার সময় বিশাল দেহী সার্কাসের হাতী, দূর্গা পূজার সময় মন্দির সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে পালদের প্রতিমা বানাতে দেখতাম। বাড়ি এসে আবার নিজেও কত বানানোর চেস্টা করেছি, খড়, লাঠি, দড়ি দিয়ে কাঠামো বানিয়ে গায়ে কাদামাটি দিয়ে লেপে লেপে অনেক বার প্রতিমা বানোর চেস্টা করেছি, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মুখ বানাতে পারতাম না, হাতের আঙুল গুলো হতো না, অনেক বার মাথা ছাড়াই নারী মূর্তি বানিয়ে অনেক বার। একবার স্কুল(তখন হাই স্কুলে পড়তাম) থেকে বাড়ি এসে দেখি আমার অনেক কষ্ট করে বানানো প্রতিমা আর তার জন্য পাটের খড়ি দিয়ে বানানো ছোট ঘরে ভেঙে তচনচ, মা বলেছিল দুইটা কুকুর নাকি মারামারি করতে গিয়ে ভেঙে ফেলেছে, আমি সেকি কান্না ! ধূর কোথা থেকে কোথায় চলে গেলাম, আবার মাটি কাটতে ফিরে এলাম। মাটি কাটা শ্রমিকেরা কাজ করে আধাবেলা, পুকুরের মালিকেরা তাচ্ছল্যের সাথে বলে, দেখ বাবা সূর্য মাথার উপর উঠলেই তারা কেটে পড়ে। কিন্তু মাটি কাটা আসলেই অনেক কঠিন কাজ, ভেজা মাটি কাটা কিংবা মাথায় তুলে বড় ঝুড়িতে কিছুদূর নিয়ে ফেলা অনেক কষ্টের, জমি থেকে ধানের বোঝা নিয়ে বাড়িতে ফেরাও মনে হয় এই রকম কষ্টের। আমি নিজেকে খুব সৌভাগ্য মনে করি আমি এমন সময় এবং জায়গায় জন্মেছি যখন আমি গ্রাম এবং শহরের(যদি ঢাকাতে শহর হিসাবে ধরে নেই) দুটোই দেখার সুযোগ পেয়েছি। ২০০৩ এর আগে পর্যন্ত ঢাকার আসার সুযোগ হয়নি। আবার বার সেই মাটি কাটা থেকে সরে গেলাম। যাই হোক, ছুটির দিনের অন্য বিকালের মত আজকের বিকাল এক নয়। শুক্র শনিবারের দিন গুলো সারা দিন শুয়ে কিংবা বই পড়ে কাটায় আজকেও তাই করেছি কিন্তু আজকের বিকালটা অন্য রকম। বিশেষ কোন ছুটির দিন গুলো কেন আমার ভীষন করম ছটফট লাগে, আজকে মে দিবস, কেন বার বার মাটিকাটা শ্রমিক এবং মাটিকাটা শ্রমের কথা বলছি তা বলছি এখুনি। প্রতিদিন শনি থেকে বৃহঃবার অফিসে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যে পরিমান পরিশ্রম করি তা মাটিকাটার থেকে কম নয়। নিজেকে একজন কীবোর্ড শ্রমিকও মনে হয়। সূর্য মাথার উপর উঠলেই যে আমার কাজ শেষ হয় না, আমার কাজ শেষ হয় সূর্য ডোবার, কাটাবনের নতুন অফিস শুরু করার পর এখন দিনের আলো থাকতে বের হই। বিকালে কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি না করলে বাসায় ফিরে যেন চোখ অন্ধকার দেখি।

বুয়েটে হলে থাকার দিন গুলোতে বিকালে আমার একটা নেশা ছিল কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থাকা, একদম শুরুর দিকে যখন কীবোর্ড মাউস চালাতে শিখতেছিলাম তখন আমার একটা শখের কাজ ছিল ভিডিও এডিট করে কোন পছন্দের গান জুড়ে দেওয়া। এই রকম বেশ কিছু মজার মিউজিক ভিডিও আমার বানানো ছিল, রুমমেট চন্দনদাকে দেখাতাম। বন্ধু সুজিত আমাকে প্রথম তার দিদির বাসা থেকে প্রথম একটা ডেক্সটপ কমপিউটার ছুয়ে দেখার সুযোগ করে দিয়েছিল। কিভাবে মিডিয়া প্লেয়ার গান চালাতে হয় দেখিয়ে দিল এক নিমিষে, আমি পরের পলকে ভুলে গেলাম। পরে হল জীবনে চন্দনদা শুরুতে কম্পিউটার বেসিক ব্যবহার শিখিয়ে দিয়েছিলেন, পরের টুকু আমি নিজে নিজেই শিখেছিলাম। হঠাৎ কেন এই বিকেলকে অন্য বিকালের মত মনে হচ্ছে না কিংবা কেন সেই ভিডিও এডিট এর কথা মনে পড়ে গেল তা মনে হয় এই মুহুর্তে যখন আমি লিখছি আমি বেশ কিছুদিন বাদে আবার আজকে জেসমসের গান শুনছি। আমার একটা মিউজিক ভিডিও ছিল জেসস এর গান নিয়ে। গানের কথার সাথে আমি খুঁজে খুঁজে এমন একটা ভিডিও লাগিয়েছিলাম(আমি ভিডিও কেটে কেটে জুড়াতাম তখন) যে আমি নিজেই অবাক হয়ে গেলাম আর তখন নতুন কম্পিউটার কিনেছি, ছোট বেলার মত অবাক এবং অকৃত্রিম আগ্রহ নিয়ে যন্ত্রটাকে নিয়ে খেলা করতাম। জেমসের কোন গানটা ব্যবহার করেছিলাম এ আমি কাউকে বলব না, কখনই বলব না 😛 আমার কাছে জেমস এর অনেক গান আছে, সচারাচর শোনা যায় এসব গান থেকে বেশ কিছু পুরাতন গান আছে। এখনকার পোলাপাইন যে ধরনের ব্যান্ডের গান শুনে আমার কৈশোর কিংবা যৌবনের শুরুতে ব্যান্ডের গানের ধরন আলাদা ছিল। আমরা জেসম, আয়ুব্বাচ্চু কিংবা হাসান কে ভালো গায় তা নিয়ে বন্ধুরা অনেক তর্ক করতাম। আমি তখন জেসস এর গান শুনেছি ক্যাসেটে, চেহারা জানতাম না, পোস্টারে দেখলে চিনতাম না। বন্ধুদের বলতাম ঐযে দ্বরাজ কন্ঠ, ভারী কন্ঠ যার তার গান ভালো লাগে।

আজকের দিনটা অন্য রকম। যখন লেখা শুরু করেছিলাম তখন আলো ছিল, আমার জানালা দিয়ে বাইরের নতুন বানানো বিল্ডিং দেখতে পাচ্ছিলাম, এখন অন্ধকার হয়ে গেছে। লিখতে লিখতে এই রকম দিন থেকে অন্ধকার এর পরিবর্তন আমি খুব খেয়াল করি। কিন্তু কেন যেন আমাকে ফাঁকি দিয়ে কখন হঠাৎ অন্ধকার নেমে গেল টের পেলাম না। ছোট বেলায় বিকালে খেলাধুলা করতে বাড়ি থেকে বাধা দিত না, কিন্তু কথা ছিল সন্ধ্যার আগে আগে ফিরে আসতে হবে। আমি মাঠে খেলতাম আর খেয়াল করতাম কখন অন্ধকার নামবে। হঠাৎ খেয়াল করতে অন্ধকার হয়ে গেছে চারিধার আর আমি সন্ধ্যা নামার পর বাড়ি ফিরছি। বাড়ি ফিরে দেখতাম মা সন্ধ্যা পূজা দিচ্ছে, শংখ ফু দিচ্ছে। অনেক দিন মা আমাকে বলত, মনি তুই একটু সন্ধ্যাটা লাগাতো, বৃহঃবার সন্ধ্যা পূজার সাথে লক্ষি পূজা হত। কলা আর বাতাসা দিয়ে। আমি বাজার থেকে কলা আর বাতাসা এনে দিতাম কিংবা বাবা নিয়ে আসত। মার ভেতর একটা অস্থিরতা দেখতাম কলা বাতাসা আনতে দেরি হলে। পুজার শেষ হলে , কিছু সময় দিতাম ঠাকুরকে খাওয়ার জন্য। হ্যাঁ তখন বিশ্বাসটা এই রকম ছিল, পূজার পর ভগবান ঐ কলা বাতাসা খাবে, কিন্তু দেখ যেত কিছু কালো পিঁপড়া এসে খাওয়া শুরু করেছে। আমি আর দিদি মনে করতাম কালো পিঁপড়াদের ভগবান পাঠিয়ে দেয়। আমি মনের ভেতর এখনো সেই ছোট বেলার সত্ত্বাকে খুঁজে পাই, কি নিষ্পাস ছিল চিন্তা ভাবনা কিংবা দিন গুলো।

রিক্সা+চা+মুড়ি(ওয়ালা) এবং আমি

সেদিন কে যেন বলছিল আমরা নাকি কখন কোন রিক্সাওয়ালার চেহারা মনে রাখি না। যদ্দুর মনে পড়ে পল্লব দা(বন্ধুবর পল্লব দা) বলেছিল, আমি তার কথা সায়ও দিয়েছিলাম। কিন্তু গত কয়েকদিন আমি নিজেকে ভুল আবিস্কার করেছি। আমি অন্তত দুইজন রিক্সাওয়ালাকে চিনি যারা আমাকেও চেনে। আজকে একজনকে জ্জিজ্ঞাসা করলাম, আপনাকে আমি আগেও দেখেছি। আপনি কি আমাকে দেখে চিনতে পেরেছেন। সে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়াল। আমার মনে পড়ছে আমি অনেকজন রিক্সাওয়ালার চেহারা এই মুহুর্তে মনে করতে পারছি যারা আমাকে চিনবে না কিন্তু তাদের আমি দেখলে চিনতে পারব। তাদের কেউ অল্প বয়সে কিংবা খুন খুনে বৃদ্ধ বয়সে রিক্সা চালাচ্ছে। আমি সাধারণত যে রিক্সাওয়ালাকে ভালো মনে করি তার সাথে গল্প জুড়ে দেই। খেসারতও দিতে হয়েছে মানে অতিরিক্ত খাজুরে আলাপ জুড়ে দেওয়ার পর পারিবারিক সমস্যা, ছেলেপুলের লেখাপড়ার কথা বলে কেউ কেউ সাহায্য চেয়েছে এবং আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত সাহায্য করেছি। এটাকে কেন খেসারত বল্লাম জানি না, আমি কি তাহলে মন থেকে সাহায্য করিনি। আমি মনে করি করেছি কিন্তু আমার মনের ভেতর একটা সংশয় কাজ করে আর তা হলে এদের কেউ কেউ মিথ্যা বলে আমাকে ঠকিয়েছে। ঠকালেও বা কি আমাকে কত জন ঠকিয়েছে, কত জন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে ওয়েব সাইট বা এপ্লিকেশন এর কাজ করিয়ে তারপর টাকা না দিয়ে ভেগে গেছে। হিসাব করে যোগ করলে তা দিয়ে এখন একটা হাই কনফিগারেশন এর ম্যাক বুক প্রো কিনে ফেলতে পারতাম ! আমি সব সময় জিততে চাই না, তবে মাঝে মাঝে কিছু বিষয়ে আমি জিততে চাই। এটা আমার জিদ না, এটা আমার চাওয়া, মন থেকে চাওয়া। জিদ আর চাওয়া এক নয়। আমি যখন জিদ করে জিতি তখন তার প্রতি পরে আর আগ্রহ নাও থাকতে পারে কিন্তু যখন মন থেকে চায় মানে এই জেতা আসলে মনের বাসনা পূর্ণ হওয়ার থেকেও বেশি। এই ২য় জেতার বিষয়টা অনেক জটিল। প্রথম জেতার বিষয়টা জেতার পর তাচ্ছিল্য চলে আসে, ২য় জেতার বিষয়টা আত্মিক এবং আরো অনেক দায়িত্ব বেড়ে যায়। ভয় হয় ঠিক মত যত্নে রাখতে পারবতো !

আমি শুধু রিক্সাওয়ালা না, আমি অন্তত একজন মুড়িওয়ালাকে চিনি যে আমাকেও চেনে। মাঝে আমি এক সময় প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার সময় পাঁচ টাকা মুরি চানাচুর খেতাম সরিসার তৈল দিয়ে। শীতের সময় সুযোগ পেলে দিন দুই একবার এই কাজ করি। কিন্তু আমি যার কাছ থেকে খেতাম সে প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় একটা নির্দিষ্ট জায়গায় দাড়াত আর আমাকে দেখলেই ‘প্রিফরম্যাটে’ মুড়ি বানানো শুরু করত। আমরা মনে হয় চাইলেই একজন মুরি বিক্রেতার মুখ অনেক দিন মনে করতে পারি। আমি অন্তত দুই জন মুড়ি আলার সাথে মোটামুটি সখ্যতা গড়ে তুলেছি এই পর্যন্ত। একজনের সাথে অনেক দিন দেখা হয়না কিন্তু আম নিশ্চিৎ জানি সে আমাকে দেখলেই চিনে ফেলবে।

চা খাওয়া আমার ঠিক নেশা নয় কিন্তু প্রতিদিন ২-১০ কাপ চা আমি খাই। হিসাব করে দেখলাম আমাকে ৫ জন চাওয়ালা কম বেশি চেনে। এরপেছনে কারণ থাকতে পারে আমি মাঝে মাঝে একটা ব্যতিক্রম ভাবে চা চাই, যেমন
১। আদা ছাড়া
২। লতাপাতা ছাড়া, এটা যে আমি ইচ্চা করে বলি তা নয়। আমার কেন যেন প্লেইন রং চা খেতে পছন্দ হয় কিন্তু যে জায়গা গুলোতে রং চার প্রাপ্যতা বেশি সেখানে কেন যেন ওরা রং চা বানানো ভুলে গেছে, চায়ের সাথে আদা, জর্দা, তেজপাতা, লতাপাতা, পান তামুক কত কিছু যে মেশায় !
৩। ঢাকা ইউনির হাকিম চত্তর বা লাইব্রেরীর পেছনে একটা চার দোকান থেকে প্রতিদিনই প্রায় এখন পেপের জুস খাই। ওদের দোকানে অনেকেই বসে তবে একজন আছে আমাকে দেখলেই একটা মিষ্টি করে হাসি দেয় কারণ আমি প্রায় পর পর দুই গ্লাস জুস খাই 😛

ভাবালব্ধিঃ কবিতা এবং গান

ভাবালব্ধিঃ কবিতা এবং গান
বিষয়ঃ শব্দ চয়ন

কবিতার ভাষা যত কঠিন হয় মানুষ তত পছন্দ করে কারণ কবিতার কঠিন শব্দ না বুঝলেই লোক জন মনে করে আহা কি দারুন কবিতা। গানের ক্ষেত্রে পুরা ব্যাপারটা আলদা, গানের চরণে যত সহজ শব্দ থাকবে গান তত ভালো লাগে। এটার একটা টেকনিক্যাল ব্যাখ্যা আছে, কবিতা পড়া হয় ধীরে, কিন্তু গান গাওয়া হয় কবিতার থেকে দ্রুত গতিতে। মাথা/চিন্তার জগৎ দ্রুত কিছু parse করতে গেলে সহজ ভাষা সহজে parse করে, কঠিন শব্দ খাবি খায়।

বিঃ দ্রঃ একান্তই নিজস্ব ভাবনা।

যখন শব্দ আমাকে হারায়

প্রায় সকাল বেলা অফিসে যাওয়ার সময় রিক্সা ঠিক করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ি কারণ মাথায় “কাটাবন ” শব্দটা আসে না। কিছুক্ষন চিন্তা ভাবনা করার পর মনে পড়ে। এটা কিছু কিছু শব্দ মনে রাখার ব্যাপারে ঘটে। আমার ধারণা কিছু শব্দ আমি মনে রাখতে চাই না বা ডিপ মেমোরিতে পৌচ্ছায় না( মেমোরিতে ব্যাড সেক্টরও পরতে পারে) ।

বিঃ দ্রঃ আমার এমন রেকর্ডও আছে যে কাগজে লিখে মানি ব্যাগে রেখে দিছি যদি দরকারের সময় প্রয়োজনীয় শব্দ মনে না পড়ে।

বিঃ দ্রঃ২ একবার ‘দাদা’ শব্দটা মাথায় না আসায় বুদ্ধি করে বলে ফেললাম ‘আরে ঐ যে ভাবীর হাজবেন্ড’ !

Ref: My Facebook Status

মেলা দেখা আর চিপ্স খাওয়া

আজাকে ছিল পয়েলা বৈশাখ ১৪২০, সারা দিন বাসায় শুয়ে বসে কাটিয়ে সন্ধ্যার আগে বের হলাম। হাতে ছিল সান চিপ্স এর প্যাকেট। রাস্তা দিয়ে হাটছি আর চিপ্স এর প্যাকেট থেকে এক একটা চিপ্স বের করে মুখে দিচ্ছি। সন্ধ্যার দিকে সবাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে নববর্ষের ঘুরাঘুরি শেষে। আমি খুব ধীর পায়ে এগুচ্ছি। আমি মাঝে মাঝেই এটা করি। বিশেষ দিনে সন্ধ্যার আগে আগে বের হই রাস্তায়। মানুষ দেখি। হরেক রকমের মানুষ। আমি কাউকে চিনি না, আমাকে কেউ চেনে না। আমার চারপাশে অসংখ বাঁশির প্যা প্যা আওয়াজ। আমার মনে হচ্ছিল সবাই যেন তাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে বাঁশিতে ফু দিচ্ছে, ফু দিয়ে দিয়ে পৃথিবী থেকে বাঁশির শব্দ মঙ্গল গ্রহে পাঠিয়ে দেবে, তারপর ভীন গ্রহ থেকে অচীন প্রজাতির মানুষ এসে আমাদের সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করবে। আরো একটা ব্যাপার আমার খুব অনুভব হয় আর তা হল , আমি হেটে চলেছি আমার দুই পাশ দিয়ে অসংখ্য মানুষ ফিরে যাচ্ছে, মানে চলে যাচ্ছে আমার বিপরীত দিকে। আমার মনে হয় আমি স্থির আছি আর আমার চারপাশের মানুষ সবাই প্রচন্ড গতিতে আমাকে ফেলে ছুটে যাচ্ছে !

হাটতে হাটতে জগন্নাথ হলের মাঠে পৌচ্ছালাম। এই মাঠখানা আমার খুব চেনা। আমি অনেক দিন সন্ধ্যার দিকে এই মাঠে এসে বসে থেকেছি, শুয়েও থেকেছি, এমনকি এক আধা ঘন্টা ঘুমও দিয়েছি। আজকেও বেশ ভালো লাগছিল। আধো আলো, আধো অন্ধকার। এই মাঠটার শেপ বেশ ভালো। আকাশে তাকালে বিশাল আকাশ। আমার মনে হয় বিশাল আকাশ অনুভব করার জন্য বিশাল ফাঁকা মাঠে বসা উচিৎ না। বসতে হবে নিকট ব্যাসার্ধের কোন মাঠে। না হলে মাঠের বিশালতা যদি আপনাকে খেয়ে ফেলে তাহলে আকাশের বিশালতা আপনাকে ছুঁতে পারবে না। এক বনে দুই বাঘকে পাত্তা দেওয়া উচিৎ না। হয় বিশাল আকাশ নয়তো বিশাল মাঠ আপনাকে বেছে নিতে হবে। দুই নৌকায় পা দিলে আপনি আকাশকেও ছুতে পারবেন না, আবার মাঠকেও আপন করতে পারবেন না।

সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

…।।
১৪।০৪।২০১৩
মানচুমাহারা

চারুকলায় গিয়ে দেখি মহাকান্ড

IMG_0508

আগামী কাল সকাল বাংলা ১৪২০ , শুভ নববর্ষ । ছুটির দিনে হাটতে হাটতে টিএসসির হাকিম চত্ত্বর থেকে চা খেয়ে চারুকলায় গিয়ে দেখি মহাকান্ড। নববর্ষের সকালের মঙ্গল যাত্রার জন্য বানানো হয়েছে বিভিন্ন ধরনের মুখোস, পট, ছবি ইত্যাদি তবে আরো মজা হচ্ছে বিশাল বিশাল কাঠামো গুলো, ঘোড়া, পুতুল, রাজারানী, পাখি ইত্যাদির মহাসমারোহ, তখনো পুরাদমে পেপার পেস্টিং এর কাজ চলছে। বাই দ্য ওয়ে, সাথে ছিল প্রিন্স ভাই।

আরো ছবির জন্য আমার টাম্বলার ব্লগ অথবা গুগল প্লাসের এলবাম দেখুন।

সেই বিশাল আম, কাঠাঁলচাঁপা আর হিউম্যান ডাং :P

আর কিছুদিন পরেই আম গাছের মুকুল গুলো ডাঙর হবে। ছোট বেলায় আমের সময় ঝড় ছাড়লেই আম কুড়াতে চলে যেতাম। কোন কোন দিন ভর দুপুর বেলা আম গাছের নীচে শকুনের দৃষ্টি নিয়ে ঘুরাঘুরি করতাম যদি গাছ থেকে ঝরে পড়া পাকা আম পাওয়া যায়। একদিন দুপুরে গেছি, দেখি সত্যি সত্যি বড় একটা আম পড়ে আছে কিন্তু সমস্যা আমের কোল ঘেষে কোন মানব সন্তানের এক গাদা নেদি শোভা পাচ্ছে। কি করব সেই পিচ্ছি বয়সে এত বড় একটা আম ফেলে চলে আসব কিনা বুঝতে পারছিলাম না। মজার ব্যাপার হচ্ছে ঐ আম বাগানেই একটা কাঠাঁলচাপা গাছ ছিল যাতে মোটামুটি সারা বছর ফুল ফুটত আর পাশ দিয়ে গেলেই গন্ধে মৌ মৌ করত। ঐদিন, সেই বিশাল আম, কাঠাঁলচাপা, মানুষের মল আর আমার মনের আম নেওয়ার জন্য আকুতি(আনন্দও বলা যায়) সেই সাথে মল ঘেষা আম নেব এমন একটা ঘেন্না ভাব … একটা মিথষ্ক্রিয়ার মত ব্যাপার।

বিঃ দ্রঃ আমি আমটা নিয়েই বাড়িতে ফিরেছিলাম।

বিঃ দ্রঃ একজনের ফেসবুকের স্ট্যাটাসে কাঠাঁলচাপা নিয়ে লেখা পড়তে গিয়ে ছোট বেলার ঘটনা মনে আসল। যেহেতু আমি দুষ্টু প্রকৃতির লোক তাই আমার লেখার ভেতর দুর্গন্ধ থাকবেই। আমার চিন্তা ভাবনায়ও অনেক দূর্গন্ধ বের হয় মাঝে মাঝে। মানুষের মনতো ! মজার ব্যাপার কি জানেন, আমার বেশির ভাব লেখা, কাজ, আঁকার চিন্তা আসে আমি যখন টয়লেটে বসে থাকি। আমার চারপাশে চারটি দেওয়াল, ভেতর আমি একা উলঙ্গ ! মাথার ভেতর এই আইডিয়া ঐ আইডিয়া দৌড়াদৌড়ি করে। এখন যে বাসায় থাকি এইটাতে হাই কমোড নেই, আগের বাসাটাই ছিল, তখন টয়লেটে পারলে ঘন্টা দুই থেকে আসার চিন্তা করতাম একবার ঢুকলে। আমি নাদান মানুষ কিন্তু আমার ধারণা পৃথিবীর সব বড় বড় আইডিয়াগুলো এসেছে মলমুত্র আশেপাশে থেকেই।

বিঃ দ্রঃ একটা ব্যাপার কি ভেবে দেখেছেন যে লোকগুলো প্রতিদিন ময়লা টানে তারা কি কবিতা লেখা না, গান গায় না? আমি মনে করি অবশ্যই করে। আমার কথা অবিশ্বাস হলে একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন। মিথ্যা প্রমানিত হলে আপনি আমার বাসায় একদিন পেট ভরে খেয়ে যাবেন, খুশি ?

Ref: From My Facebook Status

টক টক

//
অভিজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শে ৫০ লিটার কোক খাওয়ার সিদ্ধান্ত বাদ দিলাম, তবে এক সপ্তাহে যে ৫ লিটার পূর্ণ করেছি তাতেই খুশি। আশা করি আগামীতে আরো বড় কর্মসূচী গ্রহন করব।

//
গতকাল একটা মজার ঘটনা ঘটেছে,

আমি বন্ধু সুজিতকে(রাতে খাওয়ার সময়)ঃ দোস্ত দেখতো ডাল টক হয়ে গেছে কিনা, গতকালের মনে হয়, আমি ফ্রিযে রেখেদিছিলাম।
সুজিতঃ হুম মনে হচ্ছে টক টক হয়ে গেছে, খাওয়া ঠিক হবে না।

সকালে রান্নার খালাঃ মামা ডাল ফেলে দিছেন ক্যান রাতে, আমিতো রাতে নতুন ডাল রান্না করলাম, দুই ঘন্টায় কিভাবে ডাল টক হয়ে গেল ! :O

খালাকে মনে মনেঃ খালা আমার খালা , আমার মায়ের পেটের আপন খালা, আপনি বুঝবেন না। ডালতো ডাল, মানুষের মানুষের চিন্তা চেতনা, অনুভূতি সবই হুটহাট টক হয়ে যাচ্ছে, ডালের কি দোষ !

Ref: My Facebook Status