ভাবী জানে?

আমার ফেসবুকের বিবাহিত বন্ধুরা নিশ্চয়ই মাঝে মাঝে এই ধরনের মন্তব্য শুনে থাকে। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই মন্তব্য দাতা এবং ভাবীর সাথে বাস্তব জীবনে পরিচয় হওয়া তো দূরের কথা, ভাইয়ার সাথেই হয়ত দেখা সাক্ষাৎ ফেসবুকের বন্ধুত্ব পর্যন্ত। কিন্তু এই “ভাবী জানে ?” এই ধরনের মন্তব্য কেন করা হয় এবং কেন করা উচিত না সেইটা নিয়ে আমাদের একটু চিন্তা করা উচিত।

অনেকে যেমন এটিএম বুথ থেকে একবারে ৫০০ টাকার বেশি তুলে না তেমন অনেকে ফেসবুকে বন্ধু হিসাবে যুক্ত করে জানা শোনা আছে এবং অনেক কিছু চেক করে, মানে অচেনা অজানা কাউকে ফেসবুকের বন্ধু হিসাবে একসেপ্ট করে না এবং তাদের অধিকাংশের ফেসবুক প্রোফাইলের প্রাইভেসি ফ্রেন্সড অনলি। ফ্রেন্ডস অনলি এর মানে হল তার প্রোফাইলের সব এক্টিভিটি শুধুমাত্র ফেন্ড ছাড়া অন্য কেউ দেখতে এবং শেয়ার দিলেও দেখতে পারবে না। কিন্তু আমাদের অনেকেই আছে যারা পেশাগত এবং কমিউনিটি ওয়ার্ক এর জন্য ফেসবুক প্রোফাইলে ১০০% পাবলিক। ৯৯% পোস্ট আমরা দেই পাবলিক। একারনে অনেকে সময় ব্যক্তিগত ছবি, পারিবারিক ছবি, বউ ছেলে মেয়ের ছবি শেয়ার করি। একদিকে যেমন প্রোফাইল ১০০% পাবলিক এবং অন্যদিকে ৯৯% বন্ধুই ভার্চুয়াল তাই কিছু সমস্যা প্রায় ফেস করি। এটা শুধুমাত্র আমার একার সমস্যা না, অনেকেই এই একই সমস্যা ফেস করছে।

কঃ ভাবী জানে?

ভাবী জানে? টাইপ এর মন্তব্য বেশ কমন। যাদের সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় আছে তারা সাধারণত এই ধরনের মন্তব্য করে না, যাদের সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় নেই তাদের এই ধরনের আগ্রহ বেশি। আমার পরামর্শ কেউ ব্যক্তিগত কিছু পোস্ট করলে বিষয়টা ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাখা ভালো। এই ধরনের পোস্টে পোষ্ট দাতার বউ বা ছেলে মেয়েকে ট্যাগ করা বা তাদের উদ্দেশ্যে লেখা উচিত না যদি না আপনি ঐ ব্যক্তির সাথে বা তার পরিবারের সাথে ব্যক্তিগত ভাবে যুক্ত না থাকেন। আপনাকে বন্ধু তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে মানে আপনি যা ইচ্ছা তা বলার অধিকার রাখেন না।

খঃ ভাইয়ার বিষয়ে ভাইয়ের প্রোফাইল থেকে খুঁজে ভাবীকে জানানো

সেদিন এক বড় ভাই ফেসবুকে কি কবিতা লিখেছে সেইটা নিয়ে একজন তার ওয়াইফকে ফেসবুকে মেসেজ করেছে। এটা অবশ্যই বেয়াদবি বা অনধিকার চর্চা। নিশ্চয় ঐ ভাইয়ার দরকার হলে তার ওয়াইফকে এটা দেখাবেন বা তার ওয়াইফ ফেসবুকে ঢুকলে এটা দেখতে পারবেন। এই ধরনের অনধিকার চর্চা থেকে বিরত থাকুন।

গঃ ভাইয়ার প্রোফাইল থেকে খুঁজে ভাবীকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো

আবারও বলি, যাদের ব্যক্তিগত জীবনে পরিচয় আছে তাদের জন্য এটা নয়। যাদের পরিচয় নাই তাদের জন্য। ‘লুল পুরুষ’ বলে একটা শব্দ আছে। এটার মানে সবাই জানে আশা করি। বাস্তব জীবনে মেয়ে দেখলেই যাদের লোল ঝরে এই ধরনের পুরুষেরা ফেসবুকেও আছে। এদের স্বভাব হচ্ছে, ভাইয়ার প্রোফাইল থেকে খুঁজে ভাবীকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো এবং এরপর ভাবীকে এটা ওটা বলে মেসেজ পাঠানো। আজক জানলাম একজন ভাবী মনে করে ভাইয়াকেই মেসেজ পাঠিয়ে দিয়েছে।

ক, খ এবং গ এর মত অসংখ্য উদাহরন আছে কিন্তু এত লিখতে গেলে আরও সময় লাগবে যা অনেক দুর্লভ , তাই আজক এই টুকু।

বিঃ দ্রঃ এই নোটের শিরোনাম অনেক আকর্ষনীয়, তাই না ?
বিঃ দ্র ২ঃ বানান ভুল, শব্দ বিপর্যয় , বর্ণ বিপর্যয় ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

হালুম এবং মালুম

স্বপ্নে দেখলাম একটা বাঘের খাঁচায় জোড় পূর্বক আমাকে ফেলে দেওয়া হল।
বাঘটি আমাকে দেখে কিঞ্চিৎ বিরক্ত হল এবং কোন প্রকার হালুম মালুম করল না ! বাঘটি নিরামিষভোজি ছিল।
আমি অপমানিত বোধ করলাম এবং রেগে ক্ষেপে বাঘের ঘাড়ে কামড় দিয়ে হালুম এবং মালুম অনুভব করলাম।
দেখি ঘুম ভেঙে গেছে, জানালা দিয়ে ভোরের সাদা আলো আভা ঢুকছে রুমে।

RIP আলমগীর ভাই

অনন্ত যাত্রার যাত্রী আমরা সকলেই
কেউ কেউ বলে, যাত্রীকে ভিন্ন ভিন্ন সময় ভিন্ন ট্রেনে পুনরায় নতুন পরিচয়ে ফিরতে হয়
কেউ কেউ বলে ফিরতে হয় না
রহস্যটা যাত্রা এবং যাত্রীর ভেতরই থাক।

আমরা সহযাত্রির সাথে কাছাকাছি, পাশাপাশি কিংবা সাংঘর্ষিক অবস্থানে থেকে যাত্রা পথের যহযাত্রী হই,
কেউ কেউ আগে আর কেউ পরে
শেষমেশ সেই অনন্ত যাত্রা।
হে অনন্ত পথের যাত্রি যেভাবে থাক ভালো থেক।

#RIP আলমগীর ভাই

দৌড়

//দৌড়
তোর সাথে দৌড়াবো ভরপুর
তোর সাথে খুব দৌড়াবো
তোর সাথে ম্যারাথন দৌড়াবো
তুই সাথে থাকলে থামবো না, খুব দৌড়াবো।

তোর সাথে দৌড়াব গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে
তোর সাথে দৌড়াব শীতের কনে কনে সকালে
তোর সাথে জাপ্টাজাপ্টি হয়ে দৌড়াবো,
তোর সাথে মাখামাখি দৌড়াবো।

তোর সাথে তোর সাথে তোর সাথে
দৌড় দৌড় দৌড়, দৌড়াবো।।

//০৮/০৮/২০১৬ (অফিসে কাজের ফাঁকে)

মানচুলোচনা-1

//মানচুলোচনা
//তারিখঃ ০৯/০৪/২০১৫

একঃ কোন মানুষকে জাজ করার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। সেই সময় এর জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে যে সময় স্বার্থের দ্বন্দ্ব হবে তার আগে পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাক থাকে। আমি আমার কাছের মানুষগুলোর অন্ধকার দিক দেখার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি।

দুইঃ কারো সাথে কুট কৌশল বা চালাকি মার্কা কথা বলার আগে ভালো করে ভেবে নিন যার সাথে বলছেন তার বুদ্ধিমত্তা কেমন না হলের অপরজন আপনাকে বোকা ই মনে করবে। কেউ আমার সাথে খুব চালাকি করে কথা বলার চেস্টা করলে আমার বিরক্ত লাগে, প্রচন্ড বিরক্ত লাগে।

তিনঃ মানুষ গরু না কিন্তু গরুর সাথে মানুষের একটা নিখাঁদ মিল আছে আর তা হচ্ছে মানুষের চিন্তা করার শক্তি আর গরুর ঘাস খাবার গন্ডি। গরু মাঠে যে দড়িতে বাঁধা থাকে তার যে দৈর্ঘ্য গরু সেই ব্যাসার্ধের গোল জায়গায় ঘাস খায়। মানুষের চিন্তা শক্তি বা বুদ্ধিমত্তা এই রকম নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের ভেতর আবদ্ধ। অতি অবশ্যই সত্যি যে আমি নিজেও এর কোন না কোন ব্যাসার্ধের গোলকে অবস্থান করি।

চারঃ কোন কিছু সম্পর্কে ভালো করে বুঝার জন্য অনেক সময় তার ভেতর থেকে নিজেকে বের করে আনতে হয়, না হলে আপনি অন্ধ ভাবে বিবেচনা করবেন। মানে খেলার মাঠ থেকে নিজেকে থার্ড আম্পায়্যার এর অবস্থানে না নিলে আপনি নিজেও যে খেলার মাঠে আছেন তা নিয়ে কোন ঝামেলাকে আপনি সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করতে পারবেন না। কোন কিছু নিয়ে বিচার করার আগে আমি নিজেকে কাঠ গড়ায় দাড় করানোর চেস্টা করি।

পাঁচঃ রাগের মাথায় কারো সাথে তর্ক করবেন না, তাতে আপনার ভেতর খারাপ দিক গুলো দ্রুত বের হয়ে যাবে। পোশাক খুলে ফেললে আমরা সবাই ই নাঙ্গা হয়ে যায় কিন্তু আমরা খুলি না, কারণ আমাদের কিছু সামাজিক এবং পারিবারিক দ্বায়বদ্ধতা থাকে। আমাদের উচিৎ না হুট হাট করে নাঙ্গা হয়ে যাওয়া তাতে সামাজিক এবং পারিবারিক সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট হয়।

ছয়ঃ আমাদের চাওয়া গুলো অনেকটা আমাদের নিজের চিন্তা ফসল। আপনি কি চাইছেন সেটা আপনার নিজের ব্যাসার্ধের সাথে সম্পর্কিত। যদি অন্যের চাওয়ার সাথে নিচের চাওয়ার হিসাব মেলাতে থাকেন তাহলে নিশ্চিৎ ভাবে আপনার এবং অন্যের ব্যাসার্ধের সাথে তুলনা করতে শিখবেন। অনর্থক চাওয়া আপনার মানসিক পীড়ার কারণ হতে পারে। আপনি ভুল তুলনার করতে পারেন কিংবা আপনি কেজি আর লিটার কেন এক পরিমান নয় সেটা বুঝতে না পেরে অযথা অস্থির হতে পারেন।

সাতঃ আপনি অনেক ব্যস্ত তাই সামাজিক সম্পর্ক রাখতে পারেন না এটা বলে নিজেকে অনেক ভারী এবং দামী করার চেস্টা করা বোকামী কারণ আপনার মত আরো অনেকেই ব্যস্ত। যদি নিজের ব্যস্ততাকে সম্মান দিতে চান তাহলে অন্যেরটাও দিন। আর আপনি যদি আপনার স্বাভাবিক ক্ষমতার চেয়ে বেশি কাজ করে বেশি ব্যস্ত থাকেন তাহলে সেটা আপনার সমস্যা, এটা অন্যের সাথে কমপেয়ার করতে যাওয়া উচিৎ না। এতে ভারসাম্য নষ্ট হয়। আপনার চাওয়া পাওয়াটা ভুল সমীকরনে চলে যাবে। আপনি চাইবেন একটা আপনার আশেপাশের মানুষরা সেটালে গুরুত্ব দিবে না কারণ আমি আগে উল্লেখ করেছি আপনি আপনার ক্ষমতার থেকে বেশি পরিশ্রম করতে গিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকছেন যা আপনার সমস্যা অন্যের নয়। তাই এটা নিয়ে অন্যের কাছে নিজেকে ভারী করে তোলার কিছু নাই।

A letter to our bengali community of joomla and wordpress

to whom it may concern or not concern

নোটঃ একান্ত ব্যক্তিগত মতামত, পজেটিভ সমালোচনাও আছে কিছু জায়গায়, কারো কারো ব্যক্তিগত ভাবে লাগতে পারে কিন্তু সত্য সব সময় কঠিন হবে এটা মেনেই বাকীটুকু পড়তে হবে।

// দেশের বিভিন্ন টেক ইভেন্ট আমার অংশ গ্রহন এই রকম প্যাটার্নের ০ ০ ০ ১ ০ ০ ১০১০০০১ মানেই বুঝত পারতে ৩/৪টা ইভেন্টের (যা আমার কাছের সাথে সম্পর্কিত ) গড়ে একটিতে যাওয়া পড়ে। শেষ দুইটি ইভেন্টে অংশগ্রহন ছিল এক/ আজকে জুমলা ৩.x বাংলা অনুবাদ দুই/ ওয়ার্ডপ্রেসিয়ান গ্রুপ এর সম্ভবত ৬ষ্ঠ বা ৭ম মিটাপ। নিজের কিছু ব্যক্তিগত কারণ যেমন, ইভেন্টের দিন সময় বের করা , ইভেন্টে আমার কাজ যদি হয় শুধু বসে বসে শোনা (এক্ষেত্রে এক টানা কিছুক্ষন বসে থাকার পর আবার শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় যেটা স্নায়ুবিক)

// দেশে যারা প্রডাক্ট বিক্রি করে তাদের সবাই এনভাটো গিয়ে বিক্রি করে না। অনেকেই নিজদের মার্কেট প্লেস তৈরি করে বিক্রি করে। এর মানে দাড়াচ্ছে এনভাটোর দেশের বর্তমান অনেক অথর যখন মার্কেটপ্লেস কি এটাই জানতো না তখন আমরা কয়েক জন ছোট স্টার্ট আপ দাড় করিয়ে কেউ বিভিন্ন সিএমএস এর জন্য এক্সটেনশন আবার কেউ থীম বা টেমপ্লেট বানিয়ে বিক্রি করতাম। তার মানে দাড়াচ্ছে আমাদের কেউ কেউ এখনো বড় মার্কেট প্লেসের সাথে পাল্লা দিয়ে নিজেদের প্রডাক্ট নিজেদের মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করে যাচ্ছি এখনো।

//আমার শেষ থেকে অংশগহন করা ২য় ইভেন্ট ছিল ওয়ার্ডপ্রেসিয়ান এর ৬ষ্ঠ বা ৭ম মিটাপ, সেখানে আমি আর জুমশেপার এর কাউছার ভাই গিয়েছিলাম। একজন সাধারণ অংশগ্রহনকারী হিসাবে গিয়েছিলাম এবং যথেষ্ট ধৈর্য ধরে প্রায় প্রতিটি প্রেজেন্টেশন এর কম বেশি শুনেছি মাঝ খানে টুক টাক আড্ডা ছাড়া। শেষের দিকে যখন কাউছার ভাইকে জুমলার টেমপ্লেট ডেভেলপার হিসাবে পরিচয় করায়ে দেওয়া হল তখন আমি একসময় বের হয়ে আসছি। আমার সামান্য লেগেছিল, কারণ আমরা দুইজনই জুমলা নিয়ে কাজ করে বেশি পরিচিত, উনি টেমপ্লেট বানান, আমি এক্সটেনশন। কাউছার ভাইয়ের উপর কোন রাগ নেই, সে তার কাছের যোগ্য সম্মান পাবে, তার কাজকে আমিও সম্মান করি। কিন্তু মনে হচ্ছে, কিছু মানুষ ওয়ার্ডপ্রেস এর উপর ডেভেলপ করে ফাটিয়ে ফেলতেছে কিন্তু জুমলার এক্সটেনশনের নাম শুনে নাই কখনো ? যেহেতু আমি জুমলা বাংলাদেশ গ্রুপের এডমিনদের একজন এবং যদি জুমলার কোন ইভেন্টের সঞ্চালক থাকি আর সেখানে ওয়ার্ডপ্রেস এর কোন নোটেবল ডেভেলপার থাকে তাহলে আমি তাকে অবশ্যই ডেকে নিব। কারো সাথে যদি আমার ব্যক্তিগত কোন সমস্যাও থাকে কমিউনিটি ইভেন্টে সেটা আমি কোন ভাবেই প্রকাশ করব না।

//ডিজিটাল ওয়ার্ড এর সিএমএস কনফারেন্সে যাওয়ার সময় ম্যানেজ করতে পারি নাই। তবে জানতে পারলাম সেখানে এমন স্পিকারও সিলেক্ট করা হয়েছে যে, জুমলা ফালতু বা জুমলা ৪২০ এমন কথাও বলেছে। আমার মনে হয় জেনে কথা বলা উচিৎ। যে জুমলা এবং ওয়ার্ডপ্রেস বা আরো অন্য সিএমএস নিয়ে জানে সে বুঝতে পারবে এক একটা সিএমএস এর ফিলোসফি, লার্নিং কার্ভ, মার্কেট প্লেস, ব্যবহারের রেটের আপ্স -ডাউন, ব্যবহারের প্রয়োগ এক এক রকম। এটা নির্ভর করে দৃষ্টিভঙ্গির উপর । একটা ছোট উদাহরন দিলে সহজ হবে বুঝতে, একবার জুমলার একটা ইভেন্ট শেষে আমরা সবাই খেয়াল করলাম, কাউছার ভাই এর লেকচার ছিল জুমলা দিয়ে সাইট বানানোর জন্য আপনাকে কোডিং জানতে হবে না আর আমার লেকচার ছিল কোডিং জানতে হবে। যেহেতু উনি টেমপ্লেট নিয়ে বলেছেন উনার পারসপিক্টিভ থেকে, আমি এক্সটেনশন নিয়ে বলেছি আমার পারস্পিক্টিভ থেকে। দুইজনই সঠিক। এর মানে দাড়াচ্ছে আপনি যদি জুমলা নিয়ে সমালোচনা করেন তাহলে এটা জেনে করেন। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে জুমলার এক্সটেনশন ডেভেলপ নিয়ে একটা লেকচার/স্পিক থাকতেই পারত। কমিউনিটিতে পোস্ট হতে পারত আগ্রহী স্পীকার এবং টপিক লিস্ট নিয়ে। হয়তো বেসিস এটা ম্যানেজ করে, সেটা তাদের ব্যাপার। আমি আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত দিচ্ছি।

// একই বিষয় নিয়ে কাজ করার জন্য অনেক গুলো গ্রুপ থাকতে পারে, জাতীয় ইভেন্টে সবাইকে এক্টিভ গ্রুপগুলোকে সমন্বয় করা উচিৎ, ব্যক্তি কেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত না নিয়ে।

//কোন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছি সেটা আমরা জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ না, সেই অপারেটিং সিস্টেমে আমি স্বাচ্ছন্দে কাজ করছি পারছি কিনা সেটাকে গুরুত্ব দেয়।

//জুমলা সম্পর্কে জানার আগে থেকে ওয়ার্ডপ্রেস এর প্রেমে পড়েছি। পরে চাকরী করতে গিয়ে জুমলাতে কাজ করে এটাতেও কাজ শুরু করি। জুমলা, ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা মুডল এগুলোর প্রতিটিতে কাজ করছি প্যাশন থেকে, টাকা আয় করার জন্য না। টাকা আয় একটি প্রাকটিক্যাল ধাপ কারণ কাজ করলে টাকা আসবে।

// আমি হনু বলে আমার আশে পাশের বাগানে আর কোন হনুমান থাকতে পারবে না বা আর কেউ কাজ করতে পারবে না এমন ভাবার কারণ নাই। আমি ‘x’ নিয়ে কাজ করছ বলে আশে পাশের সবাই ‘x’ নিয়ে কাজ করবে এমন ভাবার কিছু নাই। সহজ কাজ সবাই করে, কঠিন কাজ করার লোকের অভাব। ‘ক’ প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে কোর্স করালে ‘খ’ গ্রুপের গাত্র দাহ হবার কিছু নাই। ‘গ’ জুমলার একটা ভালো টেমপ্লেটে বানালে ‘ঘ’ কম্পানীর এটা নিয়ে ঘষাঘষির কিছু নাই। পারলে ভালো কিছু কর, পারলে ভালো কাজের প্রশংসা কর, খারাপ কাজের পজেটিভ সমালোচনা কর। কিছুদিন আগে রাগীব ভাইয়ের শিক্ষক সাইটের ওয়ার্ডপ্রেস এর একটা কোর্স নিয়ে ওয়ার্ডপ্রেসিয়ান গ্রুপের সাধারণ সদস্যের পাশাপাশি এডমিনদের পক্ষ থেকে কুৎশিত ভালো নেগেটিভ সমালোচনা করতে দেখেছি। দ্বায়িত্বশীলতা আর বালখিল্যতা এক নয়। আমি নিজেও ওয়ার্ডপ্রেসিয়ান গ্রুপের নিয়মিত সদস্য, সময় পেলেই সাহায্য করি অন্যদের যেমনটা জুমলা বাংলাদেশ গ্রুপে। নতুনরা উদ্ভুৎ ভাবে প্রশ্ন করলে তাদের মাথা ঠান্ডা করে কোন সময় মজা করে বা কোন সময় বকা দিয়ে সাহায্য করার চেস্টা করি।

//কাউকে ফলো না করে নিজের মত নিজের ট্রেন্ড নিয়ে চলতে পছন্দ করি। কেউ আমাকে ফলো করুক না করুক তা নিয়ে আমার কোন চিন্তা নাই। আমার কাউকে ফলো করতেই হবে এমন ভাবার কিছু নাই। তবে কমিউনিটি ইভেন্ট গুলোতে আমি সবাইকে সম্মান দেওয়ার চেস্টা করি এবং সবার মতামত গ্রহন করে কাজ করতে পছন্দ করি, দিন শেষে কাজগুলো শেষ করতে পছন্দ করি।

// হুট জুমলা বা ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে কাজ করে টাকা করা টাইপ লোক আমি নই, আমি আমার ক্যারিয়ার এর শুরু থেকে এগুলো নিয়ে কাজ করি, যতদূর সম্ভব কমিউনিটিতে কন্ট্রিবিউট করার চেস্টা করি। প্যাশন থেকে করি।

নোটঃ একান্ত ব্যক্তিগত মতামত, পজেটিভ সমালোচনাও আছে কিছু জায়গায়, কারো কারো ব্যক্তিগত ভাবে লাগতে পারে কিন্তু সত্য সব সময় কঠিন হবে এবং আপনি হয়তো মনে করতে পারেন , আমার এই লেখাকে আপনি পাত্তা দেন না কিন্তু সময় নিয়ে ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ

পোস্টটির সাথে সম্পর্কিত এবং সম্পর্কিত নয় এমন কয়েকজনকে ট্যাগ করলাম। কেউ চাইলে নিজেকে আন ট্যাগ করে নিতে পারেন।

Basic Rules for Asking Help in Public Forums

পাবলিক ফোরামে কিভাবে সাহায্য চাইবেন ?
=> ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যবর্তী সময়টুকুতে আমি পড়ালেখা এবং কাজের চেয়ে বিভিন্ন ফোরামে অনেক সময় দিয়েছি, এর আগেরআরো অনেক বেশি। এমনকি “আমাদের প্রযুক্তি” নামে একটা বাংলা ভাষার টেকনোলজি জিজ্ঞাসা উত্তর ফোরাম দীর্ঘদিন চালিয়েছিলাম(এখন রিসোর্সের অভাবে বন্ধ বা প্রাইভেট করা রাখা কারণ ফেসবুকের কল্যানে মানুষকে সাধারণ ফোরাম সাইটগুলো আর বেশি টানে না !)। আমার অভিজ্ঞতা বলে, সাধারনত কিভাবে প্রশ করতে হয় সেটাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনেকে জানে না। অনেকের প্রশ্ন করার ধরন এই রকমঃ
ধরন-১ঃ যারা ঝেড়ে কাশে না এবং প্রশ্নের ভেতর কোষ্ঠ কাঠিন্য থাকে
প্রশ্নঃ আমার কোড কাজ কারছে না , কি করব ?
=> এই ধরনের প্রশ্নে, প্রথমতই পালটা প্রশ্ন করতে হয় আপনার কোডটা শেয়ার করেন। মানে দাড়ালো কেউ যদি একবারেই কোড শেয়ার করে স্পেফিসিক ভাবে জানান যে আমি এই কোড করেছি, কোডের এই জায়গাটা কাজ করছে না তাহলে যে কেউ সহজে সাহায্য করবে। অনেক সময় প্রশ্ন দেখেই শরীর জ্বলে যায় টাইপ অবস্থা হয় ।
ধরন-২ঃ প্রফেশনাল প্রজেক্ট নিয়ে ফোরামে এসে একে ওকে দিয়ে করিয়ে নেওয়ার ধান্ধা
প্রশ্নঃ এই রিকোয়ারমেন্ট ক্লায়েন্ট আমাকে পাঠিয়েছে, কিভাবে করব ?
=> ফোরামে রিকোয়ারমেন্ট পোস্ট করা উচিৎ না, আপনি যখন কোন প্রজেক্ট নিয়েছেন মানে আপনি সেইটা সম্পর্কে ৭৫% এর বেশি জানেন এবং আপনার কনফিডেন্স আছে আপনি পারবেন। আপনি ফোরামে নির্দির্ষ্ট কোন সমস্যা নিয়ে পোস্ট করলে সহজে উত্তর পাবেন।
ধরন-৩ঃ অস্পষ্ট স্ক্রীনশট দেওয়া বা এলাইনমেন্ট নাই এমন কোড পেস্ট বা শেয়ার করা
প্রশ্নঃ ভাই এইটা আমার কোড এটা কাজ করছে না
=> আপনার কোড দেখে কি আপনি বুঝতে পারছেন ? যদি স্ক্রীনশট দিতে হয় তাহলে পরিস্কার করে বড় স্ক্রীনশট দিন, স্ক্রীনশটে এনোটেট করুন। কোড শেয়ার করলে কোড এ কমেন্ট করে প্রব্লেম কোন লাইনে পাচ্ছেন বুঝিয়ে বলুন, এরপর অবশ্যই সমাধান পেয়ে যাবেন
ধরন-৪ঃ প্রশ্ন করার সাথে সাথে উত্তর এর জন্য মন্তব্য করতে থাকা
প্রশ্নঃ আমার প্রশ্নের উত্তর কেউ কেন দিচ্ছেন না ?
=> আপনি মাঝ রাতে প্রশ্ন করতে পারেন, অফিস এর বিজি আওয়ারে প্রশ্ন করতে পারেন, আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। যারা যে ফোরাম বা গ্রুপে প্রতিনিয়ত আসেন তারা দিনের নির্দির্ষ্ট সময় একবার হলেও ঢু মারেন। তাই আপনার প্রশ্নের উত্তর এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে এবং সেই সাথে নিজেও চেস্টা করবেন। যদি সমাধান পেয়ে যান তাহলে মূল পোস্ট এবং কমেন্ট জানিয়ে যাবেন, সাথে কি সমাধান পেলেন সেইটাও জানাবেন।
আরো অনেক ধরন আছে, আপাতত এই টুকু।

মামা তোরা এইবার থাম !

কোন নাটক সিনেমা বা গল্পের বই পড়ার সময় আমি প্রথম কিছুক্ষন দেখা বা পড়ার পর মনে মনে একটা এন্ডিং তৈরি করে ফেলি। বেশির ভাগ সময় দেখা যায় এটা মিলে যায়। আমার ধারনা এই ব্যাপারটা অনেকের সাথেই হয়। ইদানিং এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে বিজ্ঞাপন। কোন বিজ্ঞাপন নতুন দেখার সময় মনে মনে ভাবি… এই বুঝি আসল প্রডাক্ট নিয়ে দৃশ্যটি বা কথাটা বলবে।

বাংলালিঙ্ক এর ‘এই মামা সেই মামা নয় …’ নামের টিভি বিজ্ঞাপন দেখে আমার সেই রকম চিন্তা ভাবনা ছিল এবং এমনকি আমি কল্পনায় সেই রকম ভাবি যতবার বিজ্ঞাপনটা দেখি। এর সাথে আরো কিছু ব্যাপার আছে যেমন, হুমায়ুন আহমেদ বই পড়ার সময় সবাই মাথায় রাখে হুট হাট করেই হাসির খোরাক থাকবে দুই এক পাতা পরপরই, তখন হাসতে হবে।

যেহেতু মোবাইল কম্পানীগুলো এদেশের না হলে এদেশ নিয়ে তাদের দরদের কথা আমাদের কারো অজানা নয় অন্তত তাদের বিজ্ঞাপন দেখে। তাই তাদের বিজ্ঞাপন গুলো থেকে আমরা দেশাত্ববোধ, বাঙালীয়ানা শিখব এমন একটা মোটিভ নিয়ে দেখার চেস্টা করি !

তেমনি বাংলালিঙ্ক এই মামা বিজ্ঞাপন http://www.youtube.com/watch?v=hKllKRGCcDM দেখার সময় আমি ভেবেছিলাম “মহিলা/মা চরিত্রে যিনি অভিনয় করছেন তিনি মনে হয় শেষে ছেলেটিকে কষে একটা থাপ্পড় মেরে বলবেন, বন্ধুকে বন্ধু বলা শিখিসনি ? বাংলা ভাষায় এত সুন্দর সুন্দর শব্দ থাকতে কেন সবাইকে মামা ডাকতে হবে আসল মামাকে অপমান করে’ কিন্তু না, শেষে দেখালো যে, বন্ধুকে মামা ডাকতে হবে ! আমি হার মানলাম। পুরাটা না দেখেই বা পড়েই এত দিন কাহিনী আচ করার যে গোপন ক্ষমতা নিজের ভেতর ছিল বলে গর্ববোধ করতাম তা যেন ধুলায় লুটিয়ে গেল।

খুব হতাশ নিয়ে মনে হচ্ছিল বলি, “মামা তোরা এইবার থাম !”

বহিঃ সংযোগঃ http://www.youtube.com/watch?v=hKllKRGCcDM

‘জাতীয় পতাকা’ বাহী বিমানের অনুষ্ঠানে অশ্লীলতা নিয়ে নিউজঃ কালো মনের সাদা সম্পূরক প্রশ্ন

এলার্টঃ এই নোটে কিছু লিঙ্ক থাকতে পারে যা শিশু এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের দেখা ঠিক হবে না’জাতীয় পতাকা’ বাহী বিমানের অনুষ্ঠানে অশ্লীলতা ” এই ধরনের টাইটেলের নিউজ গতকাল বেশ কিছু নিউজ সাইটে দেখলাম। যেহেতু ফেসবুক থেকেই নিউজ সাইট গুলোতে বেশি যাওয়া হয়। ফেসবুকে যখন কোন নিউজ সাইট তাদের ফেসবুক পেজে কোন লিঙ্ক শেয়ার দেয় তখন ঐ লিঙ্কের সবচেয়ে বড় ছবি (বা যদি টেকনিক্যালি ওপেন গ্রাফ ইমপ্লিমেন্ট করা থাকে তাহলে সেই ভাবে আসে) গুলো আসে । ‘জাতীয় পতাকা’ বাহী বিমানের অনুষ্ঠানে অশ্লীলতা নিয়ে নিউজ গুলোর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বিমানের অনুষ্ঠানে দেশীয় ঐতিহ্য বিবেচনা না করে এমন কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে যা দেশের সংস্কৃতির সাথে যায় না এবং প্রফেশনালি এক্সেপ্টেবল না। ক্যাটওয়াক খারাপ কিছু না কিন্তু কি ধরনের পোশাক পড়ে ক্যাটওয়াক করল সেটাই বিবেচ্য। চাইলে শাড়ি পড়েও ক্যাটওয়াক করা যায় নয়কি ? র‍্যাম্পের মডেলে সমস্যা নাই ক্যাটওয়াক কিভাবে এবং কি ধরনের পোশাক বিবেচনায় আসল তা দেখার বিষয়। যা ঘটেছে বা যা দেখানো হয়েছে যা নিউজ দেখে বুঝতে পারলাম তাতে আমি েএকমত নয়। গতকাল অন্য একটা নিউজ না আর্টিকেল পড়ার পর নিজের মনে স্বগত ভাবে এসে ছিল

// এক গ্রুপ নারীকে পন্য আর অন্য গ্রুপ নারীকে বস্তুতে পরিনত করার চেস্টা করে । খুব কৌশলে এরা ব্যতিক্রমকে উদাহরণ হিসাবে চালিয়ে দেয়। উভয় গ্রুপের গ্লাসে আমি একই মদের গন্ধ পাই ! https://www.facebook.com/manchumahara/posts/10151683964592331

এখন আসল কথায় আসি। যেহেতু নিউজ ছেলে বুড়া, শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক সবাই দেখে তাই নিউজে কি ধরনের ছবি যুক্ত হবে তা অবশ্যই সাংবাদিকদের বিবেচনায় আনা উচিৎ। কারণ সংবাদপত্রকে সমাজের আয়না বলা হয়। কোথাও অশ্লীলতা হচ্ছে তা একটা ছবি এবং তা ব্লার (ঝাপসা) করেও প্রকাশ করা যায় কারণ আসল কপি তাদের কাছে প্রমান হিসাবে থাকছে। কিন্তু অনুষ্ঠানের অনেক গুলো ছবি যদি কোন রকম ঝাপসা না করেই ছেপে বা প্রকাশ করে দেওয়া হয় তাহলে যারা অনুষ্ঠান আয়োজন করল আর যারা অনুষ্ঠান থেকে ছবি তুলে এনে গনমানুষের কাছে অশ্লীলতা পৌচ্ছে দিল তাদের ভেতর কোন পার্থক্য দেখি না।

উদাহরন হিসাবে বাংলানিউজ২৪ এর নিউজটা দিলাম (প্রথম লাইনে যে আলার্ট ছিল তা এখনো বলবৎ আছে) http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=4dd07f99a49d39f3af157829cba43d5a&nttl=09112013238412

একটু পরিচিত সরেজমিন বার্তা http://www.sorejominbarta.com/61117#.UoBQV2289WA তারা একটা ছবি ছেপেছে কিন্তু দেশের ঐতিহ্যের সাথে যেতে গেলে তাদের উচিৎ ছিল নিউজের ছবিটা ব্লার বা ঝাপসা করে দেওয়া উচিৎ ছিল।দেশীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য মেনে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব সকলের। প্রচার করে অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দেওয়াও কি সমান অপরাধ নয় ?

বিঃ দ্রঃ অশ্লীলতার সংগা কি সেই আলোচনায় যেতে চাই না

ফেসবুকের নোট হিসাবে পোস্টিত