ছোট ছোট ঈশ্বরের ঈশ্বর

ছোট ছোট ঈশ্বরের ঈশ্বর

হে ঈশ্বর তুমি আমাদের পাঠালে
আমরা তোমাকে ছোট ছোট খন্ড করলাম !
আমরা তোমার শাখাপ্রশাখার
ভেতর আরও ছোট ছোট ঈশ্বর তৈরি করলাম।
এখন তোমার অনেক নাম ,আমাদের দেওয়া নাম
তোমার নামে আমরা ব্যবসা করি,
তোমাকে প্রতিদিন বিক্রি করি এবং
তোমার নামে ছদ্দবেশে জিকির করি।

হে প্রভু ,আমি অনুতপ্ত এবং
আমি এই ছোট ছোট ঈশ্বরদের দলে মিশে আছি।

হে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঈশ্বর
তোমারা এক হও,
হে ঈশ্বরদের ঈশ্বর তুমি জেগে ওঠো।

মানচুমাহারা
28.03.06 ,Tuesday

স্থির অস্থির গাংচিল

স্থির অস্থির গাংচিল

=======================

সময়ের দীর্ঘপথে আমি স্থির পথিক
আমার দুরন্ত মন ছোট্ট একটা সময়ের বন্ধী।
উলঙ্গ আমি ভবঘুড়ে সারাদিন-প্রতিদিন
ছুটে চলি একই পথে-একই বৃত্তের পরিধিতে।।
স্বপ্ন ছবি মনের রঙে রঙ্গীন করি -আমি এক স্বপ্ন পথিক।
ছায়াঘুমে জড়িয়ে পড়ে বহেম-আমি ছায়া পথ-
ধরে হেঁটে যাই-ছায়া পথিক।।

রংধনুর মায়ায় থেমে যায় আমার অস্থির পথ চলা
ঝোলার ঈশ্বর বাক্স-বন্ধী,আদরের হাসি উদ্বায়ী-
একটু একটু করে ব্যাসার্ধ বাড়ে আমার বৃত্তের ।।

ছোট ছোট নুড়ি করে ধুলার মন চুরি
উড়ে যায় ধোয়াটে আকাশে
হাড়-কাপুনি শীত নগ্ন বাতাসে।।

রুপসী সাদা-বক লুকায় হাসি-সারা গায়ে
মেখে মায়াজাল,
চিকচিকে আলো পিঠে নিয়ে স্তব্ধ মহাকাল।।

স্থির সময়,স্থির পথিক,স্তির গাংচিল ডানা মেলে
স্থির অস্থির বাতাসে।।

…………………………………………

06.11.06
মানচুমাহারা

ব্লগং কে আমি কিভাবে/যেভাবে দেখি


এখন অনেক রাত, না ঠিক অনেক রাত নয়, রাত জেগে ভোর এসে হাজির প্রায়। জানালা দিয়ে হালকা কুয়াশা গায়ে ভোর এসে উঁকি দিচ্ছে। হঠাৎ ইচ্ছা হলো ব্লগিং নিয়ে কিছু লিখি। বাংলায় ব্লগিং খুব বেশি দিন শুরু হয়নি। বলা যায় ইউনিকোড চালু হবার পরই বাংলায় ব্লগ লেখা শুরু করেছে অনেকেই। এর আগে ইংলশ ছাড়া উপায় ছিলো না।
আমি প্রথম ব্লগ শব্দটার পরিচিত হই ইয়াহু৩৬০ ব্লগের মাধ্যমে, আমার রুমের প্রাক্তন বড় ভাই দেখিয়েছিলেন এটা। এর পর ব্লগ স্পট, ওয়ার্ড প্রেস ইত্যাদির সাথে সাক্ষাৎ হয়। একদিন প্রথম আলোতে দেখলাম সামহোয়ারের কথা। আগ্রহ একটা নিক খুললাম(সামহোয়ারে আমার এখনকার নিক মানচুমাহারা, আগে অন্য নিক ছিলো)। প্রথমে বুঝতাম না ব্লগে কি লিখে, কি লিখবো, বা কি লেখা উচিৎ। একটা দুইটা লাইন ছড়া মতো লিখে পোস্ট দিই। বেশ মজা, অনেকেই কমেন্ট করে। মাঝে মাঝে কেউ বকুনি দেয় যে চেস্টা করতে কিছু ভালো লেখার জন্য, হাবিজাবি লিখে হোম পেজে জায়গা দখল না করতে। আমি চেস্টা করতাম এরপর আমার সাধ্যমত ভালো লেখার। উল্লেখ্য আমি ভালো লেখক নই। যান্ত্রিকতায় যখন অস্থির হয়ে যাই তখনই পেট থেকে(মাথা নয়, আমি পেটই বলবো) কিছু মিছু লেখা বের হয়, তা খুবই সাধারন।
Continue reading

খন্ডিত সত্ত্বা

আমি প্রতিনিয়ত খন্ডিত হই,
খন্ডিত অংশ গুলো আবার খন্ডিত হয়,তারাও আবার খন্ডিত হয় ।
প্রতিটি খন্ড আমার সত্ত্বাকে বয়ে নিয়ে যায়
ওরা আমার চিন্তা বহন করে,আমার ভাবনা গুলোকে ধারন করে
প্রতিটি খন্ড আমার না মেলানো প্রশ্ন নিয়ে তোমাদের দুয়ারে যায়,
কিছু কিছু আমি আমার কাছে ফিরে আসে !
আমি আমার চিন্তা গুলোকে ফিরে পাই,
ওরা আমাকে আশাবাদী করে তুলে,
আমার আত্মবিশ্বাস দৃঢ় হয়,
কিন্তু কিছু কিছু কালের গর্ভে হারিয়ে যায়!
অনন্ত অসীমের তৃষ্ণায় ওরা ছুটে বেড়ায়,
না পাওয়া প্রশ্নোত্তরের আশায় ওরা ভবঘুরে,
ওরা ভবঘুরে ঈশ্বরের পেছনে ঘুরে বেড়ায়,
আমার ভাবনা চুরি করে ওরা ফেরি করে !!
আমি ওদের আমার ভাবনা গুলোকে ফিরিয়ে দিতে বলি,
ওরা দেয় না,
ওরা ফিরে আসে না,
ওদের ধরতেই ছুটে চলেছে মানচুমাহারা।
…………………………………………………
মানচুমাহারা
১,৮,২০০৬