…. (মানে অনেক কিছু বলার ছিলো কিন্তু সময় নেই লেখার)
সরাসরি মূল বিষয়ে চলে আসি। আজকে সকাল থেকে একটা ছবি শেয়ার করতে দেখছি ফেসবুকে।
অরিজিনাল ছবি (via http://www.banglanews24.com)
উপরের ছবিটা ফেসবুকে প্রচার করে বলা হচ্ছিলো ইন্ডিয়ার ফ্লাগ এর রং নিয়ে মোমাবাতি জ্বালিয়ে …(বাকীটা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন )
আবার রাতের দিকে আরো একটা ছবি নজরে আসলো
via Facebook
এই ছবিতে বলা হচ্ছে যে ফেসবুকে যে ছবিটা শেয়ার করা হয়েছে তা সঠিক নয় বা ফটোশপে এটিড করা। সঠিক ছবিটি ডানে।
এবার আসি আমি কি বলতে চাইছি …
একঃ প্রথম যে ছবিটি দেওয়া হয়েছে তা সঠিক তবে বক্তব্য সঠিক নয়। কেন পরে লিখছি।
দুইঃ ২য় ছবিটি মূলত প্রথম ছবিকে সম্পাদনা করে ব্যাপারটা আবার উল্টো ভাবে কেউ প্রচার করছে এবং ১ম পক্ষকে গালাগাল করা হচ্ছে।
তিনঃ এবার আসি মূল ছবিতে যে মোববাতি আছে তার রং যথাক্রমে উপর থেকে সবুজ, সাদা এবং লাল (সাধারণত মোমবাতি সাদা হয় এবং যৌক্তিক ভাবে এখানে আমাদের জাতীয় পতাকার সাথে মিল রেখে সবুজ এবং লাল আনা হয়েছে)।
চারঃ এবার আসি ভারতের জাতীয় পতাকার রং কি ? যদি উইকিপিডিয়াতে যান তাহলে বুঝতে পারবেন ভারতের জাতিয় পতাকার রং যথাক্রমে কমলা, সাদা এবং সবুজ (বাংলাদেশের পতাকার সাথে সবুজ রং এর মিল আছে) উৎসঃ উইকিপিডিয়া
Flag of India
পাঁচঃ কেউ যদি খেয়াল করে মোমবাতির রং এর সাথে ভারতের জাতীয় পতাকার রং এর মিল নাই, রং এর অর্ডার এর মিলও নাই। মোমবাতির রং এর লাল, সবুজ এবং সাদা রাখার ভেতর নিশ্চয় কারণ আছে যা ভারতের জাতীয় পতাকার সাথে মিল নাই। তবে আপনি যদি একটু খেয়াল করে ভারতের জাতীয় পতাকার রং মিলিয়ে না দেখেন তাহলে গুলিয়ে ফেলার সম্ভবনা আছে। আর এই সুযোগটাই কেউ নিয়েছে। কে কোন দল করে, কে মোমবাতি জালালো তা আমার দেখার বিষয় নয় বা আমার আগ্রহ নাই। আমার কিঞ্চিৎ নয় অনেক খানি আগ্রহ হচ্ছে কেউ আমাকে পানির বোতলে মদ খাওয়াচ্ছে নাকি।
এখানে খেয়াল করুনঃ
কঃ একজন মোমবাতির রং সাথে ভারতের জাতীয় পতাকার ভুল মিল খুঁজে বের করে ইচ্চাকৃত প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে
খঃ কেউ আবার আসল ছবিটি ফটোশপে এডিট করে ‘ক’ পক্ষের উলটো প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে !
আমার কথা হচ্ছে কেন এই ‘ক’ এবং ‘খ’ প্রপাগান্ডা। সাধারন কেউতো দুইটাতেই ভুল বুঝবে… কেন তরুন প্রজন্মকে ভুল চিন্তা করানো হচ্ছে ? কেন তাদের বোধ চুরি করা হচ্ছে, তাদের চিন্তার জগৎ কেন নষ্ট করা হচ্ছে ? এই ‘ক’ এবং ‘খ’ এরা কারা ?
আমি শুধু বলব আপনার চিন্তার জগৎ জাগ্রত রাখুন।
আরো কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছেঃ
কঃ বিভিন্ন সময়ে এই রকম বিভ্রান্তি মূলক ছবি যারা ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে তরুন প্রজন্মকে ভুল চিন্তা করাচ্ছে তারা কারা ? তাদের লাভ কি ? তাদের কেন আমরা ছেড়ে দিচ্ছি। কেউ হয়তো বলতে পারেন, অনলাইন মিডিয়াতে কি হলো তাতে কি আসে যায়। অবশ্যই আসে যায় কারণ অনলাইনে কেউ যদি দৈনিক ৪/৫ ঘন্টা কাটায় এবং ধরুন ফেসবুকেই কাটায় এবং ফেসবুক থেকে কেউ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে তাহলে ?
খঃ (আরো প্রশ্ন মাথায় আছে লিখতে হবে)
… (মানে আরো অনেক কিছু বলার আছে কিন্তু সময় নেই লেখার)