একদিন একটা কবিতা লিখেছিলাম

একদিন একটা ল্যাম্পপোস্টকে ভালোবেসেছিলাম, জানান না দিয়েই ওটা ঝড়ে ভেঙে পড়েছিল।

একদিন একটা ইনার্জি সেভিং বাল্বকে দেখে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম, কিছুদিনের ভেতর ফিউজ হয়ে গিয়েছিল।

একদিন একটা ডাস্টবিনের ময়লাগুলোকে মনে ধরে ছিল, পরের দিন দেখি সেগুলো সিটিকর্পোরেশন নিয়ে গেছে !

একদিন একটা কবিতা লিখেছিলাম, কেউ পড়ার আগেই ছিড়ে টুকরো টুকরো করে উড়িয়ে দিলাম।

নোটঃ ফেসবুকের স্ট্যাটাস হিসাবে যোগকৃত এখানে

ছোট্ট পুঁটি মাছ

জানার চেস্টা করি নাই ঠিক তা নয়,
তবে জানতে জানতে যে সময় চলে যায় তা ঠাওর করা কঠিন হয়ে যায়।

ছোট্ট পুঁটি মাছ, আধার পরিক্ষা করতে গিয়ে যেভাবে বর্শিতে বিঁধে যায় শেষ করে প্রাণ সেভাবে আমাকে একদিন খেয়েছিল মহাকাল !

প্রাণ ভয়ে আমি সেবার ঠিক পিছু হঠে আসি নাই বরং পেরিয়ে গিয়েছিলাম ল্যাংটা কাঁদা ! কারণ মরে যাবার থেকে আমাকে বেশি ভীত করেছিল আধ মরা হয়ে মৃত্যুর জন্য ঝুলে থাকা !!

মনে আছে সেই আসামীর কথা যাকে ফাঁসীর দরিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল কিন্তু আজও মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়নি। রশিতে রশিতে ঝুলতে ঝুলতে সে ক্লান্ত হয়ে মুখ দিয়ে আউড়ে দিয়েছিল খিস্তি “অস্পৃশ্য, ছোটলোক !”

০৫.০৮.২০১২
ফেসবুকে স্ট্যাটাস হিসাবে যোগকৃত।

কপাল ! লোকজন কেমনে বুঝল আমি বড় মনিদের ভিডিও দেখছি অমুক সাইটে !!

“কপাল ! লোকজন কেমনে বুঝল আমি বড় মনিদের ভিডিও দেখছি অমুক সাইটে !!”  এই রকম অনুভূতি যে কারো হতে পারে। তবে কেন  এবং কিভাবে অন্য কেউ বুঝে ফেলছে থলের বিড়াল 🙂 এমন প্রশ্ন মনে আসতেই পারে।

যাই হোক এতক্ষন মজা করছিলাম। তবে ঘটনা হচ্ছে অনেকেই অনেক সাইটে একটা নিউজ পড়ছে বা ভিডিও দেখছে বা ব্লগ পড়ছে তা আবার অন্য ফেসবুক বন্ধুরা জেনে যাচ্ছে। যেমন একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। হঠাৎ আপনার ফেসবুকের হোম পাতায় দেখলেন একটা পোস্ট

“Mr. X watched a video on Dailymotion”

Continue reading

তরুন প্রজন্ম তোমার বোধ কি চুরি হয়ে যাচ্ছে, শকুনেরা কি গিলে খাচ্ছে তোমার চিন্তার জগৎ ?

…. (মানে অনেক কিছু বলার ছিলো কিন্তু সময় নেই লেখার)

সরাসরি মূল বিষয়ে চলে আসি। আজকে সকাল থেকে একটা ছবি শেয়ার করতে দেখছি ফেসবুকে।

অরিজিনাল ছবি (via http://www.banglanews24.com)

উপরের ছবিটা ফেসবুকে প্রচার করে বলা হচ্ছিলো ইন্ডিয়ার ফ্লাগ এর রং নিয়ে মোমাবাতি জ্বালিয়ে …(বাকীটা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন )

আবার রাতের দিকে আরো একটা ছবি নজরে আসলো

via Facebook

এই ছবিতে বলা হচ্ছে যে ফেসবুকে যে ছবিটা শেয়ার করা হয়েছে তা সঠিক নয় বা ফটোশপে এটিড করা। সঠিক ছবিটি ডানে।

এবার আসি আমি কি বলতে চাইছি …

একঃ প্রথম যে ছবিটি দেওয়া হয়েছে তা সঠিক তবে বক্তব্য সঠিক নয়। কেন পরে লিখছি।

দুইঃ ২য় ছবিটি মূলত প্রথম ছবিকে সম্পাদনা করে ব্যাপারটা আবার উল্টো ভাবে কেউ প্রচার করছে এবং ১ম পক্ষকে গালাগাল করা হচ্ছে।

তিনঃ এবার আসি মূল ছবিতে যে মোববাতি আছে তার রং যথাক্রমে উপর থেকে সবুজ, সাদা এবং লাল (সাধারণত মোমবাতি সাদা হয় এবং যৌক্তিক ভাবে এখানে আমাদের জাতীয় পতাকার সাথে মিল রেখে সবুজ এবং লাল আনা হয়েছে)।

চারঃ এবার আসি ভারতের জাতীয় পতাকার রং কি ? যদি উইকিপিডিয়াতে যান তাহলে বুঝতে পারবেন ভারতের জাতিয় পতাকার রং যথাক্রমে কমলা, সাদা এবং সবুজ (বাংলাদেশের পতাকার সাথে সবুজ রং এর মিল আছে) উৎসঃ উইকিপিডিয়া

Flag of India

পাঁচঃ কেউ যদি খেয়াল করে মোমবাতির রং এর সাথে ভারতের জাতীয় পতাকার রং এর মিল নাই, রং এর অর্ডার এর মিলও নাই। মোমবাতির রং এর লাল, সবুজ এবং সাদা রাখার ভেতর নিশ্চয় কারণ আছে যা ভারতের জাতীয় পতাকার সাথে মিল নাই। তবে আপনি যদি একটু খেয়াল করে ভারতের জাতীয় পতাকার রং মিলিয়ে না দেখেন তাহলে গুলিয়ে ফেলার সম্ভবনা আছে। আর এই সুযোগটাই কেউ নিয়েছে। কে কোন দল করে, কে মোমবাতি জালালো তা আমার দেখার বিষয় নয় বা আমার আগ্রহ নাই। আমার কিঞ্চিৎ নয় অনেক খানি আগ্রহ হচ্ছে কেউ আমাকে পানির বোতলে মদ খাওয়াচ্ছে নাকি।

এখানে খেয়াল করুনঃ
কঃ একজন মোমবাতির রং সাথে ভারতের জাতীয় পতাকার ভুল মিল খুঁজে বের করে ইচ্চাকৃত প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে
খঃ কেউ আবার আসল ছবিটি ফটোশপে এডিট করে ‘ক’ পক্ষের উলটো প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে !

আমার কথা হচ্ছে কেন এই ‘ক’ এবং ‘খ’ প্রপাগান্ডা। সাধারন কেউতো দুইটাতেই ভুল বুঝবে… কেন তরুন প্রজন্মকে ভুল চিন্তা করানো হচ্ছে ? কেন তাদের বোধ চুরি করা হচ্ছে, তাদের চিন্তার জগৎ কেন নষ্ট করা হচ্ছে ? এই ‘ক’ এবং ‘খ’ এরা কারা ?

আমি শুধু বলব আপনার চিন্তার জগৎ জাগ্রত রাখুন।

আরো কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছেঃ
কঃ বিভিন্ন সময়ে এই রকম বিভ্রান্তি মূলক ছবি যারা ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে তরুন প্রজন্মকে ভুল চিন্তা করাচ্ছে তারা কারা ? তাদের লাভ কি ? তাদের কেন আমরা ছেড়ে দিচ্ছি। কেউ হয়তো বলতে পারেন, অনলাইন মিডিয়াতে কি হলো তাতে কি আসে যায়। অবশ্যই আসে যায় কারণ অনলাইনে কেউ যদি দৈনিক ৪/৫ ঘন্টা কাটায় এবং ধরুন ফেসবুকেই কাটায় এবং ফেসবুক থেকে কেউ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে তাহলে ?
খঃ (আরো প্রশ্ন মাথায় আছে লিখতে হবে)

… (মানে আরো অনেক কিছু বলার আছে কিন্তু সময় নেই লেখার)

সোস্যাল মিডিয়া ডিজাইন বা সোস্যাল ব্রান্ডিং – ক্রিয়েটিভ ডিজাইন

যারা টুকটাক গ্রাফিক্সের কাজ জানেন তাদের জন্য সোস্যাল মিডিয়া ডিজাইন বা সোস্যাল ব্রান্ডিং এর কাজের কিছু সুযোগ আছে বা কেউ চাইলে চেস্টা করতে পারেন।
যেমনঃ
একঃ কোন কম্পানী বা ব্রান্ডের এর লোগ এর সাথে ম্যাচ করে টুইটার এর জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড ডিজাইন, টুইটার এর অন্যান্য কালার কম্বিনেশন সেট করে দেওয়া।

দুইঃ এখন অনেকেই ফেসবুকের টাইমলাইনের উপরে বড় ছবি আলাদা করে ব্রান্ডিং করার জন্য বানায়।

তিনঃ ফেসবুক ফ্যান পেজের জন্য ব্রান্ড অনুসারে বাম পাশের প্রোফাইল পিকচার তৈরি করে দেওয়া।

চারঃ ইউটিউব এর চ্যানেল ডিজাইন বা ব্রান্ডিং করে দেওয়া।
Continue reading

কৃষক যেভাবে তার ধানের দাম পেতে পারেঃ ভবিষ্যতে কৃষিকাজ করার ইচ্ছা আছে

আমাদের দেশে এখন প্রায় প্রতি বছর (বন্যা না হলে) ধান, পাট ইত্যাদি ফসলে বাম্পার(যদিও এইটা রাজনৈতিক শব্দ, তবে ফলন যে খুব ভালো হচ্ছে তা নিয়ে সন্দেহ নাই) ফলন হচ্ছে কিন্তু কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের দাম পাচ্ছে না। স্বভাবত আগের থেকে উৎপাদন মূল্য অনেকে বেড়েছে যেমন সার, বীজ, জন(শ্রমিক, প্রান্তিক কৃষক নিজেও জমিতে কাজ করে আর সেই সাথে অন্যদের দিয়েও কাজ করায়) ইত্যাদির দাম/মূল্য অনেক বেড়ে গেছে। বাই দ্য ওয়ে, এখানে আমি শুধু ধান চাষের বিষয় নিয়ে লিখছি। আর এই লেখার আইডিয়া মূলত আমার বাড়ি আসার পর থেকেই মাথায় ঘুরছে। তো আবার ফিরে আসি আগের টপিকে। সব কিছু দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের উৎপাদন মূল্য অনেক বেড়ে গেছে আর শেষের দিকে ধানের দাম আশানুরূপ থাকে না যা তাদের উৎপাদন মূল্যের অনেক নীচে থাকে বেশির ভাগ সময়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে কেন কৃষক ধানের দাম পাচ্ছে না ? আবার যদি চিন্তা করেন এদেশে চালের দাম দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, চালের দাম কমে খুব কম আর সেই তুলনায় প্রতিবছর বেড়ে যাওয়ার রেট অনেক বেশি। যদিও এই প্রভাবটা পড়ছে ধান উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়াতে। হয়তো এই কারণেই অনেকেই এখন বাদ দাদার পেশা বাদ দিয়ে শহরে গিয়ে রিক্সা চালাচ্ছে। কারণ উপায় নাই।

এখন আমার চিন্তাটা বা আইডিয়া হচ্ছে কিভাবে কিভাবে কৃষক ধানের দাম চালের মতই বেশি পেতে পারে। তার আগে একটু অন্য ভাবে। আমি নড়াইল আসার পর থেকে আমার বাবা আমাকে কয়েকবার বলেছে একটা জমির সন্ধান পাওয়া গেছে যেখানে কৃষককে ‘x’ পরিমান টাকা দিলে জমিটা সে আমাদের কাছে বন্ধক রাখবে আর আমরা ফসলে Y% ভাগ পাব। যদিও আমি রাজি হইনি কিন্তু কেন কৃষকের জমি বন্ধক রেখে টাকা নিতে হবে আর চাষ করার পর সে কেন জমির জামিনদারকে নিজের কষ্টে উৎপাদিত ফসলের ভাগ দিবে যেখানে সে নিজেই তার ফসলের সঠিক উৎপাদিত মূল্য পাচ্ছে না। সব কিছুর সাথে জড়িত অর্থ বা টাকা। এদেশের বেশির ভাগ কৃষকের হয় অনেক জমি আছে না হয় সামান্য কিংবা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করে। যাদের অনেক জমি আছে তাদের হাত প্রয়োজনীয় অর্থ নাই যা দিয়ে তারা চাষ করবে। আবার চাষ করার পরই চিন্তা আসে কিভাবে ধান বিক্রি করে দ্রুত খরচের টাকা তুলে আনা যায়। ব্যাপারটা কিন্তু সেই স্বল্প পূঁজির শেয়ার বাজারের ব্যবসায়ীদের জন্যও প্রযোজ্য। যদি শেয়ার এর দাম কমার পরও তারা ছয় মাস থেকে এক বছর অপেক্ষা করতে পারে তাহলে হয় ক্ষতি কমে যাবে কারণ দাম আবার বাড়বে এটা আশা করায় যাই। তবে এই অপেক্ষা করার জন্য দরকার প্রয়োজন খরচের টাকা হাতে থাকা যা স্বল্প পূঁজির একজন শেয়ার ব্যবসাযীর কাছে থাকে না তেমন থাকে গ্রামের প্রান্তিক কৃষকের কাছে। বরং প্রতিবছর ফসলের দাম কম পেতে পেতে তার মূলধন কমতে থাকে আবার নিজের পরিবারের খরচ কিন্তু দিনকে দিন বাড়তেই থাকে। যদি কৃষকের হাত টাকা থাকে তাহলে কিন্তু সে সাথে সাথে ধান বিক্রি করবে না। তাহলে ? …

তাহলে যা করা যেতে পারে তা হল কৃষক নিজেই ধান সিদ্ধ করে চাল বানাবে, নিজের মিলেই ধান থেকে চাল তৈরি করবে। এরজন্য দরকার চাতাল (যেখানে ধান শুকানো এবং সিদ্ধ করা হয়) আর ধান ভাঙানো মিল (চালের কল)। তাহলে ধান থেকে চাল তৈরি করে নিজেই গুদামজাত করে আস্তে আস্তে চাল হিসাবে বিক্রি করতে পারবে। আর সেক্ষেত্রে উৎপাদিত ফসলের দাম অনেক পাবে। এটা হচ্ছে একজন কৃষক কিভাবে তার উৎপাদিত ধানের দাম চাল হিসাবে বিক্রি করে বেশি পেতে পারে। কিন্তু মূল সমস্যা কৃষকের হাতে সেই পরিমান টাকা নাই। একা একা সব কিছু করা সম্ভব নয়, মানে ধান মাড়ানো বা কলে ধান থেকে চাল বানাতে অনেক খরচ।
Continue reading

পথ চলার গল্প (পুরাতন লেখার সংগ্রহ)

ইন্টারনেটে বাংলা লেখার শুরুর দিকে ইয়াহুর ব্লগ সার্ভিস ইয়াহু৩৬০ তে লিখতাম । সেইদিনগুলোতে পথচলার গল্প নিয়ে লিখতাম যা পরে প্রজন্ম ফোরাম এবং সামহোয়ার ব্লগে লিখেছিলাম। আজকে হঠাৎ মনে পড়ে গেল। আর লেখাগুলো যাতে হারিয়ে না যায় কোন ভাবে তাই এখন নিজের ব্লগেই আর্কাইভ করার চেস্টা করছি।

পথে পথে ,মানচুমাহারার পথ চলা-১

বিকাল আসলে আমার ভেতর একটা অস্থিরতা তৈরি হয় মনে হয় কখন বের হব রাস্তায়,মুক্ত হাওয়ায় কখন ঘুরে বেড়াবো।প্রায় প্রতিদিনই আমি বিকালে ১/২ ঘন্টার জন্য রাস্তা ঘাটে হাঁটি।এটা এখন আমার অভ্যাস হয়ে গেছে মনে হচ্ছে।বেশির ভাগ দিনেই একাই হাঁটি কারন মাঝে মাঝে ২/১ বন্ধুকে বললে রাজি হয়।একা তো কি হইছে পথে কতো মানুষ !
শুধু যে পথে হেঁটেই চলি তা ঠিক নয়।প্রায়ই পথের প্রেমে পড়ে যায়।আর প্রতিদিনই নিজেকে পথের মাঝে নতুন করে আবিস্কার করি।নিজের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হিসাবে আমি এই সময়টাকে বেছে নিয়েছি…।
প্রতিদিন নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হয়।ভাবছি মাঝে মাঝে আমার পথের আনন্দ-দুঃখ গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমি বেশ খামখেয়ালী,আবার কখনো সিরিয়াস।একদিন রিক্সার ঘুরবো ভাবলাম।এক রিক্সাওয়ালাকে বললাম ভাই যাবেন।সে রাজি হলো ভাড়া চাইলো ২০ টাকা।আমি বললাম ঐখানে ভাড়া ১৫ টাকার বেশি হয় না।ঠিক আছে আমি আপনাকে ১৮ টাকা দেবো।সে আমাকে বেশ তুচ্ছ করে বললো ২ টাকা আবার কোন ব্যাপার নাকি।আমার কথাতা বেশ খারাপ লাগলো।আমি বললাম ২টাকা আপনার কাছে কোন ব্যাপার না।আমি যত দূর জানি দিন মজুর কিংবা খেটে খাওয়া মানুষের ২ টাকা আয় করতেই গায়ের ঘাম ঝরাতে হয়।আমি তাকে বললাম ঠিক আছে,”আপনার কাছে তো ২ টাকা কোন ব্যাপার না,তাহলে আমারে ২ টা টাকা দেন”, সে আশেপাশের রিক্সাওয়ালাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে পকেট থেকে ২ টাকা বের করে দিলো।আমি ঐ ২ টাকা আমার নিজের পকেটে রেখে আমার গন্তব্যের দিকে আবার পায়ে হেঁটেই চলা শুরু করলাম।মাঝে মাঝে একবার পেছেন ফিরে চেয়ে দেখালাম ঐ রিক্সাওয়ালা আমার দিকে করুন দৃষ্টুতে চেয়ে আছে।
আমি জানি না আমি পাপ করেছিলাম না ঠিক করেছিলাম।আমি সেই দিন ঐ ২ টাকা নিয়ে চলে এসেছিলাম পৃথিবীর সব খেটে খাওয়া মানুষকে শ্রদ্ধা জানাতে।আজ এই টুকুই …।
“আমি আজন্ম ভবঘুরে,
মৃত্যুহীন পথিক ।
একদিন তুই ও এই পথে আসবি কিন্তু
সেই দিন পথিক থাকবে না।।”

Continue reading

ছাত্র জীবনে মরিয়া হয়ে টাকা আয় করার জন্য কেন ছুটতে হবে আমার বোধগম্য নয়

ছাত্র জীবনে মরিয়া হয়ে টাকা আয় করার জন্য কেন ছুটতে হবে আমার বোধগম্য নয়। ইউনিভার্সিটিতে থাকা অবস্থায়ও অনেক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ১/২ টার বেশি টিউশনি করতাম না। হালাল উপায় পরিশ্রম না করে আমি টাকা আয় করতে কোন ভাবেই রাজি নই। প্রোগ্রামিং স্কিল নাই এই রকম অনেকেই আমার কাছে অনলাইনে কাজের ব্যাপারে সাহায্যের জন্য বলেন, যখনই কাউকে কোন কিছু শিখার জন্য বলি আর খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ সবার ধারণা অনলাইনে কাজ করতে আবার পরিশ্রম করা লাগে নাকি ?
Continue reading

একজন বিভ্রান্ত মেসি এবং একটি স্বপ্রনোদিত হঠাৎ অদৃশ্য গোলপোস্ট !

আমি দীর্ঘ দিন, মানে প্রায় সেই ২০০৩ সাল থেকে সময় পেলেই রাস্তায় হাঁটি বিকাল বা সন্ধার মাঝা মাঝি সময়। আগে হাতে থাকতো একটা ল্যাংটা আইসক্রিম যেটা চুক চুক করে খেতাম আর রাস্তায় হাঁটতাম। এখন আইসক্রিম খাই না, মুটিয়ে যাচ্ছি বলে 😛 যাই হোক রাস্তা দিয়ে আপন মনে চলার সময় বেশ কিছু ছোট ছোট আইডিয়া মাথায় আসে যেগুলোকে চাইলে নাটকের গল্পে পরিনত করা যায়। আগের দিন একটা লিখেছিলাম একটা নাটকের কাহিনী পরিকল্পনা করে ফেল্লাম !-একটা কুকুরের কাহিনী!

আজকের গল্প একজন মেসিকে নিয়ে, তিনি একজন ফুটবলার। যা ভাবছেন আসলে তা না, এই মেসি আর্জেন্টিনার তারকা খেলোয়ার মেসি না। এই মেসি একটি ছোট পরিসরের ভেতর তারকা খেলোয়ার, তিনিও ফুটবল খেলেন, তিনিও এই ছোট্ট পরিসরে পরিচিত। এখানে অন্য কুশিলব হলেন একজন গোলপোস্ট, হ্যাঁ আমি ফুটবল মাঠের দুই প্রান্তে যে দুইটা গোলপোস্ট থাকে তাদের একজনের কথা বলছি তবে এই গোলপোস্ট মেসি যেপাশে খেলে তার উল্টোপাশের।
Continue reading

একটা নাটকের কাহিনী পরিকল্পনা করে ফেল্লাম !

সকাল থেকে অনেক উড়ামুড়া করেও কাজে মন বসাতে পারলাম না। যদিও কাজ শুরু করার আগের সময় টুকুকে আমি ইঞ্জিন গরম হবার সাথে তুলনা করি। মাথায় বেশ কিছু কাহিনী গুরপাক খাচ্ছে যেগুলোকে টেনে লম্বা বানালে একটা এক পর্বের নাটক বানিয়ে ফেলা যাবে। যাই হোক, এই মুহুর্তে যে চিন্তাটা মাথায় আসছে তা অনেকটা পরিচিত গল্পের মতো বা অনেকেই হয়তো বলবেন এটা নতুন কোন গল্প না।

আচ্ছা নাটকের কাহিনী বলার আগে একটা প্রশ্ন করি, কেউ কি কখনো মুরগীর স্বাভাবিক মৃত্যু দেখেছেন ? এই ব্যাপারটা গত দুই তিন ধরে মাঝে মাঝেই চিন্তা সীমানায় আছড়ে পড়ছে !

এখন নাটকে আসা যাক, কাহিনীর নায়ক বলেন আর কুশিলব বলেন, প্রধান চরিত্রে আছেন একজন কুকুর(দ্য ডগ )।

এটা একটা কুকুরের আত্মকাহিনী বা এই রকম কিছু না, এটা একটা কুকুরের জীবনের এক খাবলা কাহিনী মানে কাহিনীর আগে পরে আরো অনেক ঘটনা আছে যা আমার জানা নাই।
Continue reading