ভাই আমি ফোন না দিলে তুই ফোনও দিস না :(

দিদিঃ ভাই কবে আসবি আমার বাড়ি, কত দিন আসিস না। বিয়ে দিয়ে পর করে দিছিস … 🙁
আমিঃ
এক/এইতো দিদি দেখি এই মাস শেষে যাইতে পারি নাকি
দুই/ আগামী শুক্রবার যাইতে পারি
তিন/ চেস্টা করছি।
চার/ দেখ দিদি আমি খুব খারাপ, আমি অপরাধি
পাঁচ/ ….

এক হাজার/ …
… এই ভাবে দেড় বছর তার শ্বশুর বাড়ি যাওয়া হয় নাই যদিও এর মাঝে তার ‘বাপের বাড়িতে’ দেখা হয়েছে কয়েকবার ।

আজকে //

দিদিঃ ভাই আমি ফোন না দিলে তুই ফোনও দিস না 🙁

আমার আমি আছি রে, আমার আমি আছি :)

1.

মাঝে মাঝে ভালো থাকাটাও হয়ে যায় একঘেঁয়ে,
কোন বিরোধীদল নাই, তৃতীয় পক্ষ কিংবা তত্ত্বাবধায়ক নাই,
একটি বিশেষ গনতান্ত্রিক রাস্ট্রের এক মাত্র নাগরিক আমি ||

2.
বুয়া লাপাত্তা হবার শেষ দিন যা রান্না করেছিল তা আস্তে আস্তে হাড়ি কড়াইতে পঁচা শুরু করেছে। আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ঢাকুন তুলে তরকারী কতখানি পচলো সেইটা পরীক্ষা করি। প্রতিদিন একটু একটু গন্ধ বাড়ছে। আজকে দেখলাম তারকারীর উপাদান গুলোর চেহারা অচীন হয়ে গেছে। কোনটা আলু আর কোনটা গাজর বুঝা যাচ্ছে না। মানুষ মরে গেলে এমন করে একদিন একদিন পঁচে যায় আর অচেনা হতে শুরু করে।

3.
এর আগে যেদিন তালাচাবি আর মানি ব্যাগ নিয়ে ক্যাউ ক্যাউ করেছিলাম, সেদিন বাসায় ফিরে দেখলাম আসলে আমি তালা প্রথমে ঠিক অর্ডারে লাগাইছিলাম, পরে কি চিন্তা করে আবার ভুল করলাম, আসল ভুল ছিল মানি ব্যাগ ফেলে আসা।

4.
One day I will tell you a tale 🙂

বিঃ দ্রঃ ছোট বেলায় আমি ইংলিশ প্যান্ট পড়তাম

সাঁকো ভূত – হাতে বানানো ভূতের গল্প

ghost_council_of_orzhova_by_velinov-d5moyq4
আমি ঠিক করেছি একটা হাতে বানানো ভূতের গল্প শোনাব আজ। আজকের ভূতের নাম সাঁকো ভূত। ব্রীজ এর গ্রাম্য ভার্সন হচ্ছে সাঁকো যাকে কিছু কিছু এলাকায় বলে ‘চার’।
মাঝ রাতে এই চার পার হতে গিয়ে দেখা হয়ে গেল ভৌতিক অনুভূতির সাথে।

ঢাকা থেকে রাতে বাড়িতে ফিরছি। শেষ রাতের দিকে রাস্তায় বাড়ির সামনে নামিয়ে দিল ঈগল পরিবহণ। তাড়াতাড়ি ব্যাগ নিয়ে নামলাম। রাস্তার পাশে খাল, খাল পার হতে হবে চার দিয়ে। ছোট বেলা থেকে এই চার পার হচ্ছি। একেবারে চোখ বন্ধ করে পার হতে পারি। কিন্তু একি চার গেল কই। চারতো নাই ! চোখে ভুল দেখছি নাতো। ভাবছিলাম ঘুম ঘুম চোখে হয়তো ভুল দেখছি কিন্তু আসলেই চার নাই। জোড়ে ডাক দিলে বাড়ির লোকজন আমার ডাক শুনতে পারার কথা। অনেক আগে যখন চার ছিল না তখন রাস্তা থেকে হাঁক দিলে বাড়ি থেকে নৌকা নিয়ে এসে পার করে নিয়ে যেত। কিন্তু আজকে অনেক চেঁচামেচি করেও কারো সাড়া পেলাম না। ভয়ে গা দিয়ে ঘাম দেখা দিছে।

কিছুক্ষন পর দেখি পাশের বাড়ির এক কাকা খালের ওপাশে দাঁড়িয়ে বলছেন, বাবা চারতো এখন আগের জায়গায় নাই, চারতো সরিয়ে ঐ দেখ ঐদিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একটু সাহস ফিরে ফেলাম। কিন্তু ঐ কাকা এতো সকালে ওখানে কি করে, ভাবলাম মনে হয় প্রাকৃতিক পরিবেশে টয়লেট … হা হা হা। চার পার হলাম কিন্তু কাকা গেল কই ! কারো ছায়াও দেখছি না। হঠাৎ পেছনে তাকিয়ে দেখলাম দূরের যে চার দিয়ে পার হলাম তা আর নাই। আমি কি আসলেই এই চার দিয়ে পার হয়েছি। খেয়াল করলাম আগে চারটা যেখানে ছিল সেখানে দিব্যি আছে। তাহলে আমি কোন চার দিয়ে পার হলাম ! আমি এক দৌড়ে বাড়ির দিকে ছুট দিলাম। বাড়িয়ে গিয়ে দেখি আমার হাত ঘড়ির সময়টা সকাল পাঁচটার ধরে গিয়ে আটকে আছে।

আজকে এই টুকু। আগামী কোন দিন এই সাঁকো ভূতকে গাছে চড়ানোর ইচ্চা রাখি।

বিঃ দ্রঃ আমাদের বাড়ি যেতে খাল পার হতে হয় না।

পূনশ্চঃ বানান ভুল পেলে মন্তব্যে লিখে দেন, আমি শুধরে নেব।

লতাপাতা ছাড়া চা !

শুরুতে একটু অন্য বিষয় নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোচনা করি।

ডিম ভাজাঃ
ঢাকায় কেউ খায় কিনা জানি না তবে আমাদের এলাকায় গেলে দেখি বাজারে ভ্রাম্যমান দোকান থেকে অনেকে ডিম ভাজা খায়। আমার খুবই হাসি পাই। বাজারে গিয়ে ডিম ভাজা খাইতে হবে !

দুধ চিনি লিকার ছাড়া চাঃ
অনেকেই দেখি চায়ের দোকানে গিয়ে বলে,
কঃ মামা দুধ চিনি বাড়ায় এক কাপ চা দেন
খঃ মামা চিনি বেশি কড়া লিকার এর এক কাপ চা দেন।
গঃ মামা কড়া লিকার ছোট্ট করে একটা চা দেন…
এই রকম বহুত প্যাচাল, আরে বিটা খাবি এক কাপ চা খাইলেই হল। দুধ বাড়াও চিনি কমাও লিকার ‘কড়াও’ এত ক্যাচালের দরকার কি ?

আমি অবশ্য মাঝে মাঝে তাড়াতাড়ি বলে বসে, “মামা দুখ চিনি লিকার ছাড়া এক কাপ চা দেনতো!” ঘটনা ঘটে, প্রথমে চাওয়ালা অনেক আগ্রহ নিয়ে চা বানানো শুরু করে পরে হ্যাং হয়ে যায় !

আরে বিটা ডিমের মালাইকারী খা !
আগে যখন হলে থাকতাম বিকালে বা সকালে ক্যান্টিনে যেতাম নাস্তা খেতে, রাতে পলাশী বাজারে যাইতাম পরটা খেতে, ইদানিং মাঝে মাঝে জগনাথ হলে দুই একদিন বন্ধু সুজিতকে নিয়ে নাস্তা করি ওদের হলে টেনিস কোর্টের ছোট ছোট দোকান থেকে। এবার আবারো সেই ডিম ভাজা নিয়ে ঝামেলা। পোলাপাইন হেব্বি ভাব নিয়ে এসে কেউ বলে
কঃ ডিমের পোচ
খঃ ডিমের কড়া ভাজি
গঃ ডিমের ঝুড়ি ভাজি
ঘঃ ডিম আস্ত পোচ
ঙঃ ডিম ভেঙে পোচ
… এই রকম হাজারটা রকম ডিম এর বাইনা। আমার এমন বিরক্তি লাগে, আরে *আল খাবিতো এক ডিম , কইলেই হয় ডিম ভাজি খাব

লতাপাতা ছাড়া চাঃ
অফিস থেকে আসার পথে কিংবা ছুটির দিনে পলাশাবাজার এর মোড় এ প্রায় যাওয়া হয়। উদ্দেশ্য এক কাপ রং চা খাওয়া। বিপত্তি হচ্ছে চা হলেই হল তা না, চায়ের ভেতর আদা, তেজপাতা, গরম মশলা হাবি জাবি তরকারী দিয়ে … আমি প্রতিদিন চা খাওয়ার সময় ঐ “লতাপাতা ছাড়া এক কাপ চা দে” , প্রথম দিকে সেই তরকারীসহ চা এনে হাজির করত, আমিও নাছর বান্দা প্রতিদিন সেই গুলো ফেলে দিয়ে আবার আনতে বলি।
মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রতিদিন ‘লতাপাতা ছাড়া চা’ বলতে বলতে এখন আমারে দেখলেই আদা টাদা ফেলে দিয়ে নিয়ে আসে। যদি ভুলেও যায় তাহলে আমার হাতে দেওয়ার আগে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আদা, তেজপাতা ফেলে আবার নিয়ে আসে। আমি মোটামুটি ‘লতাপাতা ছাড়া চা’ এর একটা নতুন ব্রান্ড চালু করে দিছি !

একদিন একটা কবিতা লিখেছিলাম

একদিন একটা ল্যাম্পপোস্টকে ভালোবেসেছিলাম, জানান না দিয়েই ওটা ঝড়ে ভেঙে পড়েছিল।

একদিন একটা ইনার্জি সেভিং বাল্বকে দেখে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম, কিছুদিনের ভেতর ফিউজ হয়ে গিয়েছিল।

একদিন একটা ডাস্টবিনের ময়লাগুলোকে মনে ধরে ছিল, পরের দিন দেখি সেগুলো সিটিকর্পোরেশন নিয়ে গেছে !

একদিন একটা কবিতা লিখেছিলাম, কেউ পড়ার আগেই ছিড়ে টুকরো টুকরো করে উড়িয়ে দিলাম।

নোটঃ ফেসবুকের স্ট্যাটাস হিসাবে যোগকৃত এখানে

ছোট্ট পুঁটি মাছ

জানার চেস্টা করি নাই ঠিক তা নয়,
তবে জানতে জানতে যে সময় চলে যায় তা ঠাওর করা কঠিন হয়ে যায়।

ছোট্ট পুঁটি মাছ, আধার পরিক্ষা করতে গিয়ে যেভাবে বর্শিতে বিঁধে যায় শেষ করে প্রাণ সেভাবে আমাকে একদিন খেয়েছিল মহাকাল !

প্রাণ ভয়ে আমি সেবার ঠিক পিছু হঠে আসি নাই বরং পেরিয়ে গিয়েছিলাম ল্যাংটা কাঁদা ! কারণ মরে যাবার থেকে আমাকে বেশি ভীত করেছিল আধ মরা হয়ে মৃত্যুর জন্য ঝুলে থাকা !!

মনে আছে সেই আসামীর কথা যাকে ফাঁসীর দরিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল কিন্তু আজও মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়নি। রশিতে রশিতে ঝুলতে ঝুলতে সে ক্লান্ত হয়ে মুখ দিয়ে আউড়ে দিয়েছিল খিস্তি “অস্পৃশ্য, ছোটলোক !”

০৫.০৮.২০১২
ফেসবুকে স্ট্যাটাস হিসাবে যোগকৃত।