প্রিয় গানঃ ওগো আগুন মেয়ে …প্রযত্নে- মহীনের ঘোড়াগুলি

মহীনের ঘোড়াগুলি ব্যান্ডের অনেক অসাধারণ গানের এই গানটা যেন মনের ভেতর সব সময় একটা হা-হুতাশ জাগায়, ভারীক্কি একটা শূন্যতার সৃষ্টি করে। এই গানটা নিয়ে মনে হয় ফেসবুকে অনেকবার নিজেও লিখেছি গুগলে সার্চ দিয়ে নিজের একটা স্টাটাস পেলাম এখানে

ওই দূরে ঝরণার পায়ে গহীন বনের নীল ছায়ে আহা কত দিন
ওই দূরে ঝরণার পায়ে গহীন বনের নীল ছায়ে আহা কত দিন
এমনি কুয়াশা ভরা রাতে এমনি শিশিরভেজা পথে বলেছিল সে
এমনি কুয়াশা ভরা রাতে এমনি শিশিরভেজা পথে বলেছিল সে
ওগো ফাগুন ছেলে নতুন পাতার দিনে ফিরে এসো এই গাঁয়ে দুখী দিন ফেলে
ওগো ফাগুন ছেলে নতুন পাতার দিনে ফিরে এসো এই গাঁয়ে দুখী দিন ফেলে
অবাক আমি তাকে বলি কঠিন পথের বাঁকে চলি আমি চিরদিন
অবাক আমি তাকে বলি কঠিন পথের বাঁকে চলি আমি চিরদিন
অনেক মানুষ নিয়ে সাথে সুখি দিনের ইশারাতে আমি চলেছি
অনেক মানুষ নিয়ে সাথে সুখি দিনের ইশারাতে আমি চলেছি
ওগো আগুন মেয়ে তুমিও চল না সাথে আমার প্রিয় মন এসো অলস নীড় ফেলে
ওগো ফাগুন ছেলে নতুন পাতার দিনে ফিরে এসো এই গাঁয়ে দুখী দিন ফেলে
ওগো আগুন মেয়ে তুমিও চল না সাথে আমার প্রিয় মন এসো অলস নীড় ফেলে
ওগো ফাগুন ছেলে নতুন পাতার দিনে ফিরে এসো এই গাঁয়ে দুখী দিন ফেলে।

(প্রযত্নে: মহীনের ঘোড়াগুলি)

[soundcloud url=”https://api.soundcloud.com/tracks/97537436″ width=”100%” height=”166″ iframe=”true” /]

‘অনন্ত জলিলকে নিয়ে ড: আসিফ নজরুল স্যার এর ভাবনা’ নিয়ে আমার কিঞ্চিৎ ভাবনা

গত শনিবারে প্রথম আলোতে ড: আসিফ নজরুল স্যার  একটা দারুন লেখা ছিল। লেখার শিরোনাম “অনন্ত জলিল: কিছু আত্মজিজ্ঞাসা” http://www.prothom-alo.com/home/article/52904 আমার কাছে মনে হয়েছে স্যার আর লেখায় অপূর্ণতা রয়ে গেছে।

এটা আত্মজিজ্ঞাসা না বলে আত্মসমালোচনা বলা যেতে পারে। আর কেন অপূর্ণ রয়ে গেছে তার কারণ উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাত হলে উনি চ্যানেলে চ্যানেলে টক শো কাপিয়ে বেড়ান। উনি শুধু জিজ্ঞাসা করবেন কিংবা সমালোচনা করবেন কিন্তু কোন সমাধান দিবেন না বা কারণগুলো খুঁজে বের করবেন না তা কিভাবে হয় বা তা কেন মেনে নেব।

আচ্ছা আমি বলতে ভুলে যাব পরে যে আমি স্যার এর লেখার সাথে একমত এবং সহমত।

কিন্তু আমার এই নোটের উদ্দেশ্য কি ?

ঐযে বল্লাম স্যার লিখেছেন হতাশার কথা, আত্মসমালোচনার কথা কিন্তু কারণ খুঁজে  দেখেছেন কিনা জানি না বা তা নিয়ে কিছু লেখেননি। অনন্ত জলিলকে নিয়ে তার প্রথম সিনেম গতি- দ্যা স্পীড (নাম ভুল হল কি ? এটাইতো প্রথম সিনেমা ?)  বের হবার পর ফেসবুকে সবাই বাংলা বলে প্রতি শব্দের পর আবার ইংলিশ লিখত, আমিও তাদের দলের ছিলাম। পরে আত্মপলব্ধি হবার পর আমি আমার চিন্তা ভাবনা উন্নত করার চেস্টার ফলস্বরুপ অনন্ত জলিলকে মজা করা বাদ দিয়েছি, তারপর অনন্ত সাহেবের আরো কয়েকটি সিনেমা বের হয়েছে। তাকে নিয়ে সমালোচনা, হাসাহাসি দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। যারা হাসছে তারা অন্যায় করছে বা বোকার মত কাজ করছে এটা সত্য কিন্তু তারা কেন হাসছে ? কেন অনন্ত জলিলকে নিয়ে হাসছে ? কেন জলিলের ডায়লগ নিয়ে এত মজমাস্তি ?  স্যার নিশ্চয় তা ভেবে দেখেননি।আমি কিছুদিন আগে চেন্নাই এক্সপ্রেস দেখলাম, শাহরুখ খানের। পুরা সিনেমা দেখে আমি হেসেছি অনেক কারণ ওটা নিশ্চয় হাসির সিনেমা ছিল কিন্তু অনন্ত জলিল  এখন পর্যন্ত কোন হাসির সিনেমা বানাননি কিন্তু উনার প্রতিটি সিনেমা দেখে লোকজন হাসে। উনার সিনেমাতে ইনভেস্ট, ডেডিকেশন ইত্যাদি আমাকে মুগ্ধ করে, অন্তত একজন ছোট খাট  আইটি উদ্যোক্তা হিসাবে আমি ফিল করতে পারি। কিন্তু উনার সিনেমা বা উনার অভিনয় বা উনার ডায়লগ দেখে কেন আমি হাসি, কেন অন্যে হাসে  এবং কেন সবার হাসি আসা উচিৎ ? এর কারণ অনন্ত জলিল সাহেব নিজেই, হ্যাঁ সে নিজেই। কারণটা তার নিজের ভেতর এবং চাইলেই তিনি (কিন্তু আমি মনে করি তার সেই বোধদয় বা বিবেচনাবোধ নাই, এখানে আমি অসম্মান করছি না যা আমি ব্যাখ্যা করার চেস্টা করছি)  তা দূর করতে পারেন। উনার অনেক টাকা, উনার সিনেমার প্রতি অগাধ ভালোবাসা কিন্তু উনার নায়ক হবার মত যোগ্যতা কতখানি আছে তা প্রশ্নবিদ্ধ। বাস্তব জীবনে মোটা, কালো, বোকা মানুষটাও নায়ক হতে পারে কিন্তু সিনেমা হলে আমরা যায় সুদর্শন, ভালো অভিনয় জানেন এমন কাউকে নায়ক হিসাবে দেখতে। জলিল সাহেবের ইংলিশ উচ্চারণে সমস্যা উনি চাইলেই সিনেমায় ইংলিশ ডায়লগ না দিতে পারেন। উনি যদি অভিনয় ভালো না জানেন তাহলে টাকা দিয়ে ভালো অভিনয় জানেন এবং সুদর্শন কাউকে দিয়ে সিনেমা বানালেই পারেন। যেহেতু উনার টাকা আছে এবং উনিই প্রযোজক এবং উনি নিজেই নায়ক হতে চান তাই পরিশেষে উনি যা দেখান , উনি যা বানান তা অনেক উন্নত প্রযুক্তি এবং ঝকঝকা ছবি হলেও হাস্যকর হয়ে যায়। আর কিঞ্চিৎ বিবেচনাবোধ সম্পন্ন যে কারো উচিৎ হাসির দৃশ্যে হাসা ! সিনেমার নায়ক হচ্ছেন অনেকটা আইডলের মত। আমার মনে হয় আমি কি বলতে চেয়েছি তা সবাই বুঝতে পেরেছেন। উনি হাসির সিনেমা বানান না কিন্তু তা অনেকের সাথে হাস্যকর লাগে। যেহেতু উনার অনেক টাকা এবং সিনেমার প্রতি উনার অগাধ ভালোবাসা উনি চাইলেই ভালো উপন্যাস নিয়ে সিনেমা বানাতে পারেন, নিজেকে সব সময় নায়ক হিসাবে কাস্ট না করে অন্য কাউকে নিতে পারেন। ভালো কাহিনী এবং চিত্রনাট্য বানানোর জন্য মেধাবী লোক নিতে পারেন। … এটাই সমাধান।আসিফ স্যার তার লেখার ৩য় প্যারাতে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে নিয়ে তরুন প্রজন্ম হাসাহাসি করেন এমন কিন্তু ইংগিত দিয়েছেন (যদিও উনি নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি) কিন্তু আমার প্রশ্ন স্যার একবার নিজে ভেবে দেখেনতো যাদের নিয়ে ‘অন এভারেজ’ সবাই হাসাহাসি করে তারা কেন হাসির পাত্র হল (কিছু ব্যক্তিক্রম ছাড়া আর আমিও স্যার এর সাথে একমত যদিও)  ? আমি আবার বলছি স্যার এর সাথে আমি একমত কিন্তু আমার অনুরোধ কারণও খুঁজতে হবে এবং সমাধান এর পথও আমাদের সাজেস্ট করতে হবে না হলে শুধু সমালোচনা বা আত্মিজজ্ঞাসা মেনে নিতে কষ্ট হয় কেননা অন এভারেজ লোকজন যেমন বোকার মত হাসাহাসি করে কারণ এবং সমাধান এর পথ না বলে শুধু সমালোচনাও আমার কাছে হাস্যকর লাগে।

ধন্যবাদ,

শুভরাত্রি

বিঃ দ্রঃ আমার অনেক বানান ভুল হয় অনুগ্রহ করে যদি তা নিয়ে হাসাহাসি করার পাশাপাশি ভুলও ধরিয়ে দেন তাহলে খুশি হব যদিও আমি এটা বিশ্বাস করি কেউ হয়তো আমাকে বলতে পারেন আপনার বানান ভুল হওয়াটা ভালো দেখায় না।

ফেসবুকে নোট আকারে প্রথম প্রকাশিত।

বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে এই ডিজিটাল ক্ষনজন্ম !

ফেসবুক এর স্ট্যাটাস হিসাবে পোস্টিত

চাঁদ

এক খানা চাঁদ ভাগ করে নেই,
আধেকটা আমার আধেকটা তোমার।

এক খানা চাঁদ ভাগ করে নেই,
এক পাশ আমার অন্য পাশ তোমার।

এক খানা চাঁদ ভাগ করে নেই,
পুরাটা তোমার, শুধু তোমার ছায়াটা আমার !

চাঁদকে নিয়ে ভাগাভাগি চাঁদের নাইকো লাজ,
চাঁদ নিয়ে বাড়াবাড়ি, দেখ তোমার কপালে ভাঁজ।

//১৯০৯২০১৩

বিঃ দ্রঃ যদি চাঁদাবাজি করে আপনি জীবন নির্বাহ করেন তাহলে আজই উত্তম দিন চাঁদের কাছা চাঁদা চাওয়ার কারণ চাঁদের সকল মুরিদরা আজ খুবই উচ্ছশিত !

আমি যদি শ্যাওলার মত ভেসে যেতে পারতাম

শ্যাওলার মত ভেসে যাওয়াকে নেগেটিভ হিসাবে দেখা হয় কিন্তু এই ব্যাপারটা নিয়ে আমার একটা খোলামেলা ফ্যান্টাসী কাজ করে। নদীতে মজা করার জন্য নৌকায় চড়েছি নড়াইলে চিত্রা নদীতে, নদীর রূপ দেখে গা গরম হয়ে যাবে এমন সেক্সি নদী চিত্রা না, আর পাঁচটা নদীর মত শীতকালে শুকিয়ে এমন কাঠ খোট্টা হয়ে যায় যে আমার পিচ্ছি ভাগ্নে ইয়ে করলে এর চেয়ে বড় পানির ধারা তৈরি হবে। যাই হোক চিত্রা নদীর সাথে আমার কোন প্রেম কোন কালেই ঘটে নাই, আর সম্ভাবনা নাই। আমার খুব আদরের আর ফ্যান্টাসীর জায়গা দখল করে নিয়েছিল নদীর স্রোতে ভেসে যাওয়া শ্যাওলা। আমার খুব ইচ্ছা করে বা করত নদীর ঠিক মাঝ বরাবর চিৎ হয়ে শুয়ে চার হাত পা ছড়িয়ে ভেসে যাওয়া(গায়ে জামাকাপড় থাকবে কিনা এটা নিয়ে চিন্তা করি নাই), অবশ্যই জোৎস্না রাতে। আমাকে আস্ত গিলে খাওয়ার জন্য আকাশে ওতপেতে থাকবে বিশাল চাঁদ। আমি শ্যাওলার মত ভেসে যেতে থাকব মহাকালের পথে, অনন্ত যাত্রা শেষ হবে না কোন দিন, রাত শেষ হবে না, জোৎস্না শেষ হবে না… সবাই যেন আমার হুকুমের জন্য ক্লান্তিহীন অপেক্ষা করবে… আমি ভেসে যেতে থাকব।

//শ্যাওলানুভূতি-১৬০৯২০১৩

ফড়িং , নুলো বাছুড় এবং প্রজাপ্রতির গল্প

একদিন আমি তোমার দেওয়ালে একটা ফড়িং এঁকে দিলাম,
পরের দিন ফড়িং লাফাতে শুরু করল,
তুমি বললে, চুপ কর হতচ্ছাড়া !

তারপর একদিন আমি তোমার গোয়ালে একটা নুলো বাছুড় ছেড়ে দিলাম,
পরের দিন সেটি তিরিং বিরিং ছুটতে লাগল,
তুমি বললে, চুপ কর পাজি !

আমি একদিন তোমার ক্যানভাসে একটা প্রজাপ্রতি এঁকে দেব,
তুমি পারলে তাড়িয়ে দিও !

//২১।০৮।২০১৩, কাঁটাবন

স্থির চলাচল

আমার মাঝে মাঝে কিছু একলা সময় কাটে,
এমন নয় যে আমার আশে পাশে দুটো মানুষ নেই কিংবা
হাত তিনেক দূরে একটা টিভি নিজে থেকে সম্প্রচার করে যাচ্ছে তুমুল টক শো।
এত কিছুর মাঝেও আমি একলা সময় কাটাই।

মাঝে মাঝে আমি আমার একার জন্য কিছু সময় কাটাই,
একান্তে তুলে রাখা কিছু সময়,
প্রচন্ড শব্দের ভেতর নিঃশব্দ,
অনেকগুলো গনগনে মনের আশেপাশে আনমনে,
দুরন্ত চলাচলের মাঝে কিছু নিশ্চল সময় আমার চাই ই চাই।

//মানচুমাহারা , ১৪০৭২০১৩ , বিকাল, কাটাবন(অফিসে)