ফেসবুক ভিত্তিক ব্যবসা আর ফুটপাথের ব্যবসার ভেতর তেমন কোন পার্থক্য নাই। প্রথম লাইন পড়েই যারা ফেসবুকে ভিত্তিক ব্যবসা করেন তারা আমার উপর বিরাট খেপে যাবেন, মুখে গালি আসবে, অভদ্রতার খাতিরে সেই গালি দিয়েও দিতে পারেন। মাঝে মাঝে যখন ফুটপাথ থেকে হকার উচ্ছেদ হয় তখন হকাররা হাই হাই শুরু করে, বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ মানি না, মানবা স্লোগান দেয় অথচ ফুটপাথে ব্যবসাই অবৈধ। অবৈধ ব্যবসা তুলে দেওয়ার বৈধতা না মানাও অবৈধ কার্যক্রম। ফুটপাথে বাদাম ফুট বেচা সাময়িক বা ভ্রাম্যমান ব্যবসা হতে পারে।
প্রায় ৭/৮ মাস ধরে ফেসবকে Slovakia, Cambodia, Guatemala সহ আর কিছু দেশে ব্যক্তগত প্রোফাইলে বিজনেস পেজের আপডেট দেখাচ্ছে না। ফলাফল স্বরূপ প্রায় ৮০-৯০ ভাগ ভিজিটর কমে গেছে। ঐদেশ গুলোতে একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে টাকা দিয়ে বিজ্ঞাপন দিলেই শুধুমাত্র কোন পেজের সেই পোস্ট ব্যক্তিপ্রোফাইলে দেখাবে।
গত দুই বছরে দেশে ব্যাঙের ছাতার মত ফেসবুকে কমার্স শুরু করছে অনেকে, কেউ কেউ ভালো ব্যবসা করতেছে কিন্তু সামনে যখন বাংলাদেশেও ফেসবুকের নিউজ ফিডের পরিবর্তন আসবে এই ব্যবসা ঠিকবে না বার ফেসবুক থেকে হকার উচ্ছেদ এর মত ঘটনা ঘটবে। হাবিজাবি ২৪ নিউজ গুলোও ধাক্কা খাবে যাদের একমাত্র ট্রাফিক ফেসবুক এবং একমাত্র আয় গুগল এডসেন্স আর নিউজের একমাত্র সোর্স প্রতিষ্ঠিত নিউজ সাইট থেকে নিউজ কপি করে পেষ্ট করা।
ফেসবুক আসার আগে দেশীয় সাইট গুলোর একটা অর্গানিক থ্রোথ ছিল। দেশীয় একটা সাইট থেকে অন্য সাইটে যেত অনেকে। দেশিয় সাইটে ট্রাফিক আনার এখন একমাত্র সহজ লভ্য মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক, অন্য উপায় গুলোর অনেক খরচ যেমন রেডিও, টিভি, পেপার কাগুজে কপিতে বিজ্ঞাপন, বিলবোর্ড ইত্যাদি। ফেসবুক যদি তাদের নিউজ ফিডে পরিবর্তন করে তাহলে দেশীয় সাইট গুলোর মার্কেটিং নিয়ে যারা কাজ করে তাদের অবশ্যই নড়েচড়ে বসতে হবে।
এখনি সময় ফেসবুকের বিকল্প চিন্তা করতে। প্রয়োজনে ফেসবুক বা এই রকম যে সাইট গুলো আমদের নিজেদের ইকো সিস্টেমে অনেক বেশি প্রভাব ফেলছে সেই গুলো আগামি ৫ বছরের জন্য বন্ধ রাখা। এতে করে অনলাইন বেসড বিজনেস এর সঠিক ভাবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিৎ করা যাবে।