সাঁকো ভূত – হাতে বানানো ভূতের গল্প

ghost_council_of_orzhova_by_velinov-d5moyq4
আমি ঠিক করেছি একটা হাতে বানানো ভূতের গল্প শোনাব আজ। আজকের ভূতের নাম সাঁকো ভূত। ব্রীজ এর গ্রাম্য ভার্সন হচ্ছে সাঁকো যাকে কিছু কিছু এলাকায় বলে ‘চার’।
মাঝ রাতে এই চার পার হতে গিয়ে দেখা হয়ে গেল ভৌতিক অনুভূতির সাথে।

ঢাকা থেকে রাতে বাড়িতে ফিরছি। শেষ রাতের দিকে রাস্তায় বাড়ির সামনে নামিয়ে দিল ঈগল পরিবহণ। তাড়াতাড়ি ব্যাগ নিয়ে নামলাম। রাস্তার পাশে খাল, খাল পার হতে হবে চার দিয়ে। ছোট বেলা থেকে এই চার পার হচ্ছি। একেবারে চোখ বন্ধ করে পার হতে পারি। কিন্তু একি চার গেল কই। চারতো নাই ! চোখে ভুল দেখছি নাতো। ভাবছিলাম ঘুম ঘুম চোখে হয়তো ভুল দেখছি কিন্তু আসলেই চার নাই। জোড়ে ডাক দিলে বাড়ির লোকজন আমার ডাক শুনতে পারার কথা। অনেক আগে যখন চার ছিল না তখন রাস্তা থেকে হাঁক দিলে বাড়ি থেকে নৌকা নিয়ে এসে পার করে নিয়ে যেত। কিন্তু আজকে অনেক চেঁচামেচি করেও কারো সাড়া পেলাম না। ভয়ে গা দিয়ে ঘাম দেখা দিছে।

কিছুক্ষন পর দেখি পাশের বাড়ির এক কাকা খালের ওপাশে দাঁড়িয়ে বলছেন, বাবা চারতো এখন আগের জায়গায় নাই, চারতো সরিয়ে ঐ দেখ ঐদিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একটু সাহস ফিরে ফেলাম। কিন্তু ঐ কাকা এতো সকালে ওখানে কি করে, ভাবলাম মনে হয় প্রাকৃতিক পরিবেশে টয়লেট … হা হা হা। চার পার হলাম কিন্তু কাকা গেল কই ! কারো ছায়াও দেখছি না। হঠাৎ পেছনে তাকিয়ে দেখলাম দূরের যে চার দিয়ে পার হলাম তা আর নাই। আমি কি আসলেই এই চার দিয়ে পার হয়েছি। খেয়াল করলাম আগে চারটা যেখানে ছিল সেখানে দিব্যি আছে। তাহলে আমি কোন চার দিয়ে পার হলাম ! আমি এক দৌড়ে বাড়ির দিকে ছুট দিলাম। বাড়িয়ে গিয়ে দেখি আমার হাত ঘড়ির সময়টা সকাল পাঁচটার ধরে গিয়ে আটকে আছে।

আজকে এই টুকু। আগামী কোন দিন এই সাঁকো ভূতকে গাছে চড়ানোর ইচ্চা রাখি।

বিঃ দ্রঃ আমাদের বাড়ি যেতে খাল পার হতে হয় না।

পূনশ্চঃ বানান ভুল পেলে মন্তব্যে লিখে দেন, আমি শুধরে নেব।