আমাদের প্রতিটা দিনতো এক রকম যায় না। কোন দিন খারাপ যায় আবার কোন সময় ভালো যায়। খারাপ সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে টিকে থাকা জরুরি, এধরনের বিষয় নিয়ে একটা ছোট্ট আলোচনা।
Bangla Blogs
There are 146 posts filed in Bangla Blogs (this is page 2 of 15).
গড়পরতা নয়, পড়তেও হবে চিন্তা ভাবনা করে
আমরা অনেক কিছুই পড়ি কিন্তু কি পড়ব, কেন পড়ব, কিভাবে পড়ব, কোনটা পড়া উচিত আর কোনটা পড়া উচিৎ না এই সব বিষয় নিয়ে একটা ভিডিও আলোচনা
শিশুদের যেভাবে আমরা ১-৫ পর্যন্ত গুনতে শেখাতে পারি
প্লেটে না খেয়ে কেন টিফিন ক্যারিয়ারে ভাত খাবেন
পইপই
তুমি বল পইপই
আমি বলি চৈ চৈ
এবার তবে বেধে যাবে হৈচৈ।
তুমি বল পইপই
আমি বলি কা কা
এভাবে কষলে হিসাব
কলমের কালি হবে ফাঁকা।
তুমি বল পইপই
আমি বলি সই সই
তোমার পাতে কাঁদা
আমার পাতে দই।
তুমি বল পইপই
আমি বলি কই কই।
এভাবে সবার খুললে কাছা
বের হয়ে যাবে কালো পাছা !
=====================
ভাড়া বাসায়(যে বাসার বাড়িওয়ালা কারেন্ট এর মিটার টেম্পার করে ধরে খেয়েছিল), ২৭/০৮/২০২১
Is it odd to sell vegetables in kawran bazar?
বাতাসের ভেতর দিয়ে সাঁতার কাটা
ছোট বেলায় আমি রাতে প্রায় ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখতাম যে আমি বাতাসের ভেতর দিয়ে সাঁতার কাটছি যেভাবে মাছেরা পানিতে সাঁতার কাটে। এই একই স্বপ্ন আমি প্রায়ই দেখতাম যদিও প্রতিবার চিত্রনাট্য আলাদা হত। এই স্বপ্নটা আমি যখন দেখতাম(স্বপ্নের ভেতর) আমি বিশ্বাস করতাম যে আমি সাঁতার কাটছি এবং বাতাসে পানির মত সাঁতার কাটা সম্ভব। কেন এই স্বপ্নটা আর দেখা হয় না আমি জানি না। স্বপ্নকে আহবান করার কোন উপায় থাকলে ভালো হত।
আমরা ঘুমিয়ে যে স্বপ্ন দেখি এটাই আসল স্বপ্ন। অনেক মটিভেশনাল স্পিকার আবার উলটা করে বলে যে আমরা ঘুমিয়ে যেটা দেখি সেইটা স্বপ্ন না জেগে যেটা দেখি সেইটা আসল স্বপ্ন। আমি এইটা বিশ্বাস করি না। মানিও না। আমি বিশ্বাস করি আমরা ঘুমিয়ে যে স্বপ্ন দেখি সেইটাই আসল স্বপ্ন। জেগে যেটা দেখি সেইটা পরিকল্পনা। পরিকল্পনার রিস্ক থাকে, স্বপ্নের কোন রিস্ক নাই। আমি একটা স্বপ্ন বেশ কয়েক বছর আগেও দেখতাম(কোণ কারণে ঐ স্বপ্নটা এখন আর দেখি না) যে আমি ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করি নাই, আমি পরীক্ষার হলে যাচ্ছি কিন্তু কোন ভাবেই পৌচ্ছাতে পারছি না। কিন্তু যখন ঘুম ভাঙে তখন আস্বস্থ হই যে এটা ভুল, এটা মিথ্যা ছিল, এটা স্বপ্ন ছিল। ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখার সুবিধা হচ্ছে স্বপ্নের ভেতর যা কিছু ঘটে তার কোন দ্বায় থাকে না, লাভ ক্ষতির হিসাব থাকে না।
স্বপ্নে দেখা চিত্রনাট্যের কোন কপিরাইট হয় না, স্বপ্নের কোন মেধাস্বত্ব প্রচলিত নাই আমাদের আইন কানুনে। মানুষ জেগে যে পরিকল্পনা করে তার অবশ্য কপিরাইট হয় বা মেধাস্বত্ব থাকে।
আমরা যে স্বপ্ন গুলো ঘুমিয়ে দেখি তার বেশির ভাগই আমাদের ঘুম ভাঙার পর মনে থাকে না। আমার ধারণা আমাদের মেমোরিতে প্রতিটি স্বপ্নের একটা প্রতিচ্ছবি জমা থাকে। একদিন বিজ্ঞানের সাহায্যে আমরা সেই স্বপ্নের লাইব্রেবীতে যুক্ত হতে পারব।
সবাইকে শুভ রাত্রি।
২২/০৮/২০২১
স্থানঃ টাকা নিয়ে পন্য সরবরাহ(অনলাইনে বিকিকিনি) না করার কারণে যে ভাবী একবার ভ্রাম্যমান আদালতে ২ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছিলেন আমি তার পাশের বাসায় থাকি(ঘটনা সত্য)।
Yet Another Day to Enjoy Life
নিউ নরমাল ইজ হিউম্যান শিট !
একটা সময় ধারণা করা হত hi5 এর মত ফেসবুক হুট করে হারিয়ে যাবে। বেশ আগে একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম যেখানে বলা হয়েছিল যে আধুনিক জ্ঞান এই হুট করে হারিয়ে যাওয়া ঠেকিয়ে দিবে বা কিভাবে জায়ান্ট হয়ে অনেক বছর বেঁচে থাকা যায় সেইটা এখন মানুষ শিখে ফেলেছে। করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে ‘নিউ নরমাল নিউ নরমাল’ বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলা হচ্ছে। এটা আমার কাছে একটা হাস্যকর বিষয় মনে হয়। দেয়ার উইল বি ন নিউ নরমাল। একটু খেয়াল করেন, এর আগে কোন প্যান্ডেমিক এর সময় এত দ্রুত এন্টিভাইরাস বা টিকা বানানোর কাজ হয়নি। করোনার টিকা প্রায় রেডি, শুধু ফাইনাল ট্রায়াল বাকি যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমার ধারণা ফাইনাল ট্রায়াল শেষ হবার আগেই টিকা দেওয়া শুরু হবে।
যদি নরমাল বা স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু না হয় তাহলেও কোন কোন গোষ্ঠি লাভবান হবে বিরাট স্কেলে। তাই যত বেশি নিউ নরমাল নিউ নরমাল বলে বলে মানুষের মনে ঢুকিয়ে দেওয়া যায় তত তাদের লাভ। নিউ নরমাল ইজ হিউম্যান শিট ! খুবই দ্রুতই আবার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থ্যা এই যে বলতেছে ‘দেয়ার উইল বি নো নিউ নরমাল’ কি কনফিডেন্স অথচ ভাইরাস স্প্রেডিং এর শুরুতে তাদের খোঁজ ছিল না। এটা আমার কাছে মনে হয় বৈশ্বিক রাজনীতির অংশ।
আরে ভাই ১০০ বছর আগের পৃথিবী আর এখনকার পৃথিবী এক না। পারলে আগামীকালই মঙ্গলে গিয়ে মানুষ থাকা শুরু করে। একটা ছোট উদাহরণ দেই, ধরুন প্রায় বলা হয় প্লাস্টিক দিয়ে পৃথিবী শেষ হয়ে যাচ্ছে ব্লা ব্লা। ঠিকই দেখবেন সামনে এমন কিছু মানুষ বের করবে প্লাস্টিক পচিয়ে দিবে। হয়তো প্লাস্টিক খেকো ব্যাক্টেরিয়া তৈরি করে ফেলবে। মানে ১০০ বছর আগে সমস্যা সমাধানে মানুষ যেভাবে চিন্তা করত, যত দ্রুত কাজ করত, এখন তার থেকে বেশি ইফেক্টিভ ভাবে কাজ করে, অনেক দ্রুত অনেক সমস্যার সমাধান বের করে ফেলা সম্ভব।
এখন একমাত্র অন্তরায় থাকে বিশ্বনেতাদের কারো কারো ঘাউরামি। ট্রাম্প করোনা নিয়ে শুরু থেকে সিরিয়াস থাকলে আমেরিকার অর্থনীতি ডাউন হত না। আমেরিকার অর্থনীতি ডাউন মানে কিন্তু অসংখ্য দেশের ক্ষতি। এদিকে চায়নার অর্থনীতি উন্নতি মানেই পৃথিবীতে নতুন মেরু করন। আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশ ধংস করে দিয়েছে তবে ওদের কাজকাম মোটামুটি ট্রান্সপারেন্ট। কিন্তু চায়না কিভাবে কাকে ধংস করবে বা পুতুল বানিয়ে রাখবে এটা কেউ জানে না। পৃথিবীর অন্য সব দেশের টিকার ট্রায়াল ডাটা পাওয়া সম্ভব কিন্তু চায়নার কোন টিকার ট্রায়াল ডাটা আপনি পাবেন না।
তো এই নিউ নরমাল কন্সেপ্ট হচ্ছে ইচ্ছাকৃত তৈরি। এখন নিউজমিডিয়াকে কাজে লাগানো হচ্ছে বার বার এটা বলে মানুষের মনের ভেতর স্থায়ী ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া।
রাস্তা থেকে কেনা আম খেয়ে দেখলাম সন্ধ্যায়, ভালোই
আমার বাসার সামনে সকাল থেকেই ছাই, ঝাড়ু থেকে শুরু করে শাক, তরকারি সব কিছুই বেচতে আসে। প্রায় প্রতিদিনই আম বেচতে আসে, আজকে একজন আসছিল আম্রপালি আম বেচতে, উপর থেকে জিজ্ঞাসা করলাম দাম কত সম্ভবত ৮৫ বা ৯০ এই রকম কিছু বলেছিল।
আমরা বাসার ভেতর দ্বিধাদন্দে ছিলাম রাস্তা থেকে এই করোনার সময়ে আম কিনব নাকি। পরে উবু ১০ কুড়ি এভাবে গুনে ঠিক হল যে যা হয় হবে, অনলাইন থেকে অনেক দামি আম কিনেছি, আজকে রাস্তার আম কিনব। এবার আবার জিজ্ঞাসা করলাম, এই দাম কত, বিকাশ নাম্বার আছে ? উত্তর আসল বিকাশ নাই কিন্তু দাম সবার কাছে যা বেচছে মানে ৭০টাকা ফাইনাল দাম। আমরা ভাবছিলাম ৮০ টাকা বলব কিন্তু সে নিজে থেকেই নাকি পাশের বাসার ভাবী দামাদামি করে ১৫/২০ টাকা কমিয়ে দিয়েছে এটা জানি না, তবে শেষমেশ ৫ কেজি কিনেছি। বাসায় থাকা একটা আমের গায়ে টাকা বেধে দিলাম ফেলে, আর বাসার দারোয়ান আম দিয়ে গেল দরজায়।
রাস্তা থেকে কেনা আম খেয়ে দেখলাম সন্ধ্যায়, ভালোই। আমার মনে হয় বাসার নিচে নেমে সামান্য আরো চাপাচাপি করলে কেজি প্রতি ৫০ বা ৬০ কেনা যেত।