এক অচেনা অজানা মানুষের চোখ থেকে এক ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল মাটিতে।
মাটি তাকে জিজ্ঞাসা করল, কি হয়েছে তোমার?
অশ্রুফোটাঃ আহা মানুষটার মনে কি কষ্ট , তাই আমি গড়িয়ে পড়লাম !
মাটিঃ তোমার কষ্ট হলে তুমি কি কর ?
অশ্রুফোটাঃ …।
সব কিছু গুনি না, গুনতে নাই
সব কিছু গুনতে নাই, সব কিছু গুনি না।
কতবার হেসেছি, কতবার কেশেছি মনে নাই।
কতবার লাফিয়েছি, কতবার বসে থেকেছি ভ্যাবলার মত মনে নাই।
কতবার দুঃখ দিয়েছি অন্যকে, কতবার নিজে দুঃখ পেয়েছি,
কতবার ভালোবাসা পেয়েছি কিংবা বেসেছি কিংবা প্রত্যাখাত হয়েছি গুনে রাখিনি, আমি গুনে রাখি না।
সব কিছু হিসাব করি কি ? সব হিসেবে থাকে না।
কতবার কীবোর্ডের এন্টার বাটন চেপেছি, কতবার কপি পেস্ট করেছি জানি না।
গোনার চেস্টা করিনি কতবার মাউস দিয়ে ক্লিক করেছি।
আমি কিছুই লিখে রাখিনি কত বার চিন্তা না করেই বলেছি ভালো আছি। কতবার আনমনে বলেছি ধুর !
কত দিন তোমাকে দেখিনি, কতদিন দেখেছি, কতবার দেখবো হিসাবের খাতায় জমা করি না।
আমি হিসাব করতে জানি না, জানি কি, জেনেছি কি ?
কতবার মালায়ন সম্বোধন শুনেছি, কত বার পত্রিকা উল্টাতে পড়েছি মন্দির ভাংচুর লিখে রাখিনি।
কতবার হতাশ হয়েছি, কতবার আশা নিয়ে আবার বেঁচে উঠেছি জানি না। কতবার গালি খেয়েছি, কতবার গালি দিয়েছি জানি না।
হিসাব করিনি অনেক কিছুই, কত কিছু লিখেছি, কি কি লিখি নাই। কি কি বলার কথা ছিল। কি কি বলিনাই আর কত কিছু এখনো বলব।
কত কিছু গুনতে পারিনি তাও গুনে দেখিনি, দেখতে চাই না।
————————–
মানচুমাহারা, ০৯।০৪।২০১৩
সেই বিশাল আম, কাঠাঁলচাঁপা আর হিউম্যান ডাং :P
আর কিছুদিন পরেই আম গাছের মুকুল গুলো ডাঙর হবে। ছোট বেলায় আমের সময় ঝড় ছাড়লেই আম কুড়াতে চলে যেতাম। কোন কোন দিন ভর দুপুর বেলা আম গাছের নীচে শকুনের দৃষ্টি নিয়ে ঘুরাঘুরি করতাম যদি গাছ থেকে ঝরে পড়া পাকা আম পাওয়া যায়। একদিন দুপুরে গেছি, দেখি সত্যি সত্যি বড় একটা আম পড়ে আছে কিন্তু সমস্যা আমের কোল ঘেষে কোন মানব সন্তানের এক গাদা নেদি শোভা পাচ্ছে। কি করব সেই পিচ্ছি বয়সে এত বড় একটা আম ফেলে চলে আসব কিনা বুঝতে পারছিলাম না। মজার ব্যাপার হচ্ছে ঐ আম বাগানেই একটা কাঠাঁলচাপা গাছ ছিল যাতে মোটামুটি সারা বছর ফুল ফুটত আর পাশ দিয়ে গেলেই গন্ধে মৌ মৌ করত। ঐদিন, সেই বিশাল আম, কাঠাঁলচাপা, মানুষের মল আর আমার মনের আম নেওয়ার জন্য আকুতি(আনন্দও বলা যায়) সেই সাথে মল ঘেষা আম নেব এমন একটা ঘেন্না ভাব … একটা মিথষ্ক্রিয়ার মত ব্যাপার।
বিঃ দ্রঃ আমি আমটা নিয়েই বাড়িতে ফিরেছিলাম।
বিঃ দ্রঃ একজনের ফেসবুকের স্ট্যাটাসে কাঠাঁলচাপা নিয়ে লেখা পড়তে গিয়ে ছোট বেলার ঘটনা মনে আসল। যেহেতু আমি দুষ্টু প্রকৃতির লোক তাই আমার লেখার ভেতর দুর্গন্ধ থাকবেই। আমার চিন্তা ভাবনায়ও অনেক দূর্গন্ধ বের হয় মাঝে মাঝে। মানুষের মনতো ! মজার ব্যাপার কি জানেন, আমার বেশির ভাব লেখা, কাজ, আঁকার চিন্তা আসে আমি যখন টয়লেটে বসে থাকি। আমার চারপাশে চারটি দেওয়াল, ভেতর আমি একা উলঙ্গ ! মাথার ভেতর এই আইডিয়া ঐ আইডিয়া দৌড়াদৌড়ি করে। এখন যে বাসায় থাকি এইটাতে হাই কমোড নেই, আগের বাসাটাই ছিল, তখন টয়লেটে পারলে ঘন্টা দুই থেকে আসার চিন্তা করতাম একবার ঢুকলে। আমি নাদান মানুষ কিন্তু আমার ধারণা পৃথিবীর সব বড় বড় আইডিয়াগুলো এসেছে মলমুত্র আশেপাশে থেকেই।
বিঃ দ্রঃ একটা ব্যাপার কি ভেবে দেখেছেন যে লোকগুলো প্রতিদিন ময়লা টানে তারা কি কবিতা লেখা না, গান গায় না? আমি মনে করি অবশ্যই করে। আমার কথা অবিশ্বাস হলে একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন। মিথ্যা প্রমানিত হলে আপনি আমার বাসায় একদিন পেট ভরে খেয়ে যাবেন, খুশি ?
টক টক
//
অভিজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শে ৫০ লিটার কোক খাওয়ার সিদ্ধান্ত বাদ দিলাম, তবে এক সপ্তাহে যে ৫ লিটার পূর্ণ করেছি তাতেই খুশি। আশা করি আগামীতে আরো বড় কর্মসূচী গ্রহন করব।
//
গতকাল একটা মজার ঘটনা ঘটেছে,
আমি বন্ধু সুজিতকে(রাতে খাওয়ার সময়)ঃ দোস্ত দেখতো ডাল টক হয়ে গেছে কিনা, গতকালের মনে হয়, আমি ফ্রিযে রেখেদিছিলাম।
সুজিতঃ হুম মনে হচ্ছে টক টক হয়ে গেছে, খাওয়া ঠিক হবে না।
সকালে রান্নার খালাঃ মামা ডাল ফেলে দিছেন ক্যান রাতে, আমিতো রাতে নতুন ডাল রান্না করলাম, দুই ঘন্টায় কিভাবে ডাল টক হয়ে গেল ! :O
খালাকে মনে মনেঃ খালা আমার খালা , আমার মায়ের পেটের আপন খালা, আপনি বুঝবেন না। ডালতো ডাল, মানুষের মানুষের চিন্তা চেতনা, অনুভূতি সবই হুটহাট টক হয়ে যাচ্ছে, ডালের কি দোষ !
Ref: My Facebook Status
মনের মন্দির
দই
দই জমাট বাধার জন্য যথেষ্ট পরিমান ব্যাকটেরিয়ার দরকার হয়।
দই আর ব্যাকটেরিয়ার এই পারস্পারিক সহবাস (সহবস্থান) একটা সমাধান, এটা কোন সমস্যা না।
……………………………………………………………
মানচুমাহারা, ০২।০৪।২০১৩
গন্ধ পাই
একবার হায় ভোল্টেজে আমার বাসার সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সুইচ পুড়ে গেল,
আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, প্রচন্ড পোড়া গন্ধে আমার ঘুম ভেঙে গেল। আমি আজও হঠাৎ হঠাৎ সেই পোড়া গন্ধ পাই।
এরপর আর কখনো আর এমনটি হয়নি কিন্তু মাঝে মাঝেই আমি কল্পনা করি,
আমার ল্যাপ্টপ এর চার্জার গলে যাচ্ছে, ছাদ থেকে বৈদ্যুতিক পাখাটি গলে ছিড়ে পড়ছে ফ্লোরে !
আমি আমার ভেতরের পোড়াকে কখনো পাত্তা দেই না, কারণ ওটা বাইরে থেকে দেখা যায় না,
তাই অত বড় পৃথিবীটা পুড়ে ছাই হলে আমি কোন কবিতা লিখব না, কথা দিচ্ছি।
আমি না চাইনা তবুও উপসনালয় পুড়ে দূরে কোথাও,
মানুষের হাতের কব্জি পুড়ে, বাস পুড়ে, বাড়ি পুড়ে, স্বপ্ন আর ভালোবাসা পুড়ে, বিশ্বাস পুড়ে।
আমি চাই না তবু জানি তোমার এখনো বেঁচে থাকা চোখ একদিন আমাকে দগ্ধ করবে ঠিকই।
তোমাকে পুড়িয়ে আদিম মানুষের মত তোমার চারপাশে আমি হাউলা হাউলা করব না কথা দিচ্ছি,
তবু তুমি পুড়বে কিনা আমি জানি না, আমি তোমাকে বাঁচাতে পারব না যদি তুমি আপনি তাপে পুড়ে যাও।
আমি আগুন আর জলের ব্যবহার জানি না, জ্বালাতে জানি না, জ্বলেছি ঢের বার।
আমি নিরপেক্ষ নই, আমি জলা কিংবা জ্বলার দলের নই, আমি জলিত এবং আমি জ্বালিত।
হয়তো আমি একদিন তোমার পোড়ার জন্য গন্ধ পাব।
………………………………………
মানচুমাহারা, ০২।০৪।২০১৩
ভাই আমি ফোন না দিলে তুই ফোনও দিস না :(
দিদিঃ ভাই কবে আসবি আমার বাড়ি, কত দিন আসিস না। বিয়ে দিয়ে পর করে দিছিস … 🙁
আমিঃ
এক/এইতো দিদি দেখি এই মাস শেষে যাইতে পারি নাকি
দুই/ আগামী শুক্রবার যাইতে পারি
তিন/ চেস্টা করছি।
চার/ দেখ দিদি আমি খুব খারাপ, আমি অপরাধি
পাঁচ/ ….
…
এক হাজার/ …
… এই ভাবে দেড় বছর তার শ্বশুর বাড়ি যাওয়া হয় নাই যদিও এর মাঝে তার ‘বাপের বাড়িতে’ দেখা হয়েছে কয়েকবার ।
আজকে //
দিদিঃ ভাই আমি ফোন না দিলে তুই ফোনও দিস না 🙁
বনসাই
প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মকে কাঁচকলা দেখিয়ে কিছু মানুষ গাছের বৃদ্ধি হ্রাসকরণ হরমোন প্রয়োগ করে বনসাই বানিয়ে সৌদর্য খুঁজে।
কেউ কেউ মনের সহজাত অনুভূতি/আবেগকে বনসাই বানিয়েও যুক্তি খুঁজে।
বিঃ দ্রঃ কবিতাটির অপঘাতে মৃত্যু হয়েছে, মৃত্যুকালে তার উচ্চতা হয়েছিল দুই লাইন। কবিতাটির কাছে কারো কোন দেনা পাওনা থাকলে নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন।
———————
৩০।০৩।২০১৩
মানচুমাহারা
কাতুকুতু
নিশ্বব্দে বোনা জালে ধরা পড়ে মনপাখি
অছ্যুৎ ঘুমে ডুবে আসে নির্লজ্জ দুআখি …
কথা ছিল এদুচোখ আটকাবে ঘোর লাগা চাঁদে,
দিক ভুলে আসা মশা মরবে দুহাতের পাতা ফাঁদে।
কথা ছিল জোনাকীর আলোতে ভুল মনে হবে দুষ্টুমী
কথা ছিল তুমি ঘুমিয়ে পড়লে কাতু কুতু দেব আমি !
কাতু কাতু কাতু কাতু কাতু
ঘুমে ঢুলু ঢুলু চোখ পুতু পুতু ।
——————-
29.03.2013
মানচুমাহারা