চিৎকার

ঠিক যত জোড়ে চিৎকার করলে আমার গলার প্রকোষ্ঠ থেকে-
কন্ঠনালী ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসবে তার থেকেও জোড়ে চিৎকার করতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে।
আমার চিৎকারে আমার কানের তালা লেগে যাবে,
বাঘে মহিষে এক ঘাটে পানি খাওয়ার সময় ঝগড়া বিবাদ ভুলে থর থর করে কাঁপবে।

আমার চিৎকারে মৃত্যু পথযাত্রী মৃত্যু যন্ত্রনা ভুলে ভীমড়ি খেয়ে চেয়ে থাকবে,
আমাজন জঙ্গলের আধা সভ্য মানুষগুলো কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে সভ্যতা থেকে পশ্চাৎপদ হবে।

আমি ঠিক তত জোড়ে চিৎকার করতে চাই যাতে আমি চিরদিনের জন্য আর চিৎকার করতে না পারি,
এই হবে আমার শেষ চিৎকার, আমি এরপর আর কোন শব্দ উচ্চারণ করতে পারবো না।

আমার প্রচন্ড চিৎকারে একজন বোমাবাজ বোমা ছুড়তে ভুলে যাবে, নিজের হাতেই বোমা ফুটিয়ে নিজেই ফুটে যাবে।
আমার প্রচন্ড চিৎকারে নতুন বিবাহিত দম্পতি সারা রাত কানে আঙুল দিয়ে কাটিয়ে দেবে।

আমি এতজোড়ে চিৎকার করব যে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের রাষ্ট্রপতি বিরক্ত হয়ে, ক্ষুব্ধ হয়ে বলবে, আহ ওকে থামা, ওর গলা চেপে ধর সাড়াশি দিয়ে।

আমার প্রচন্ড চিৎকারে মঙ্গল গ্রহের নতুন নাম হবে অমঙ্গল, পৃথিবীর সব জাত পাগল পাগলামী ভুলে করুনার দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে থাকবে নিষ্পলক। আমি হা হা হু হু শব্দে ভয়ংকর অসুরের মত দিক বিদিক প্রকম্পিত করে চিৎকার করে ডেকে আনবা মহাপ্রলয়।

আমি প্রচন্ড চিৎকারে এই মহাবিশ্বের ইকোসিস্টেমকে ধংস করে দিয়ে শান্তির ঘুম ঘুমাবো। আহ।

……………………………
মানচুমাহারা, ১৭.০৪.২০১৩ ১:১০ AM

রিট

কি হবে ছুটে মিছে অন্ধের পিছে,
কালের স্রোত বইছে পিঠে,
ভালোবাসা হয়না রে পাগল আদালতের রিটে !!

ref: My facebook status

মেলা দেখা আর চিপ্স খাওয়া

আজাকে ছিল পয়েলা বৈশাখ ১৪২০, সারা দিন বাসায় শুয়ে বসে কাটিয়ে সন্ধ্যার আগে বের হলাম। হাতে ছিল সান চিপ্স এর প্যাকেট। রাস্তা দিয়ে হাটছি আর চিপ্স এর প্যাকেট থেকে এক একটা চিপ্স বের করে মুখে দিচ্ছি। সন্ধ্যার দিকে সবাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে নববর্ষের ঘুরাঘুরি শেষে। আমি খুব ধীর পায়ে এগুচ্ছি। আমি মাঝে মাঝেই এটা করি। বিশেষ দিনে সন্ধ্যার আগে আগে বের হই রাস্তায়। মানুষ দেখি। হরেক রকমের মানুষ। আমি কাউকে চিনি না, আমাকে কেউ চেনে না। আমার চারপাশে অসংখ বাঁশির প্যা প্যা আওয়াজ। আমার মনে হচ্ছিল সবাই যেন তাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে বাঁশিতে ফু দিচ্ছে, ফু দিয়ে দিয়ে পৃথিবী থেকে বাঁশির শব্দ মঙ্গল গ্রহে পাঠিয়ে দেবে, তারপর ভীন গ্রহ থেকে অচীন প্রজাতির মানুষ এসে আমাদের সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করবে। আরো একটা ব্যাপার আমার খুব অনুভব হয় আর তা হল , আমি হেটে চলেছি আমার দুই পাশ দিয়ে অসংখ্য মানুষ ফিরে যাচ্ছে, মানে চলে যাচ্ছে আমার বিপরীত দিকে। আমার মনে হয় আমি স্থির আছি আর আমার চারপাশের মানুষ সবাই প্রচন্ড গতিতে আমাকে ফেলে ছুটে যাচ্ছে !

হাটতে হাটতে জগন্নাথ হলের মাঠে পৌচ্ছালাম। এই মাঠখানা আমার খুব চেনা। আমি অনেক দিন সন্ধ্যার দিকে এই মাঠে এসে বসে থেকেছি, শুয়েও থেকেছি, এমনকি এক আধা ঘন্টা ঘুমও দিয়েছি। আজকেও বেশ ভালো লাগছিল। আধো আলো, আধো অন্ধকার। এই মাঠটার শেপ বেশ ভালো। আকাশে তাকালে বিশাল আকাশ। আমার মনে হয় বিশাল আকাশ অনুভব করার জন্য বিশাল ফাঁকা মাঠে বসা উচিৎ না। বসতে হবে নিকট ব্যাসার্ধের কোন মাঠে। না হলে মাঠের বিশালতা যদি আপনাকে খেয়ে ফেলে তাহলে আকাশের বিশালতা আপনাকে ছুঁতে পারবে না। এক বনে দুই বাঘকে পাত্তা দেওয়া উচিৎ না। হয় বিশাল আকাশ নয়তো বিশাল মাঠ আপনাকে বেছে নিতে হবে। দুই নৌকায় পা দিলে আপনি আকাশকেও ছুতে পারবেন না, আবার মাঠকেও আপন করতে পারবেন না।

সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

…।।
১৪।০৪।২০১৩
মানচুমাহারা

বোশেখ

ইচ্ছে করে প্রচন্ড বড় দুইটা শিং নিয়ে ক্ষেপা সাঁড়ের মত ছুটে যায় মানুষের জঙ্গলে,
কিংবা কাল বোশেখীর প্রচন্দ ছোবলে শহর গ্রামের সব ময়লা উড়িয়ে নিয়ে ফেলি মঙ্গলে।
অথবা পাগলা চৈতে রোদে পোড়াব অলস দেহের অবশ চিন্তা প্রকৌষ্ঠ ||

বিঃ দ্রঃ আগামী বোশেখে না হয় আরো কিছু লাইন যুক্ত করব।
১৪।০৪।২০১৩

চারুকলায় গিয়ে দেখি মহাকান্ড

IMG_0508

আগামী কাল সকাল বাংলা ১৪২০ , শুভ নববর্ষ । ছুটির দিনে হাটতে হাটতে টিএসসির হাকিম চত্ত্বর থেকে চা খেয়ে চারুকলায় গিয়ে দেখি মহাকান্ড। নববর্ষের সকালের মঙ্গল যাত্রার জন্য বানানো হয়েছে বিভিন্ন ধরনের মুখোস, পট, ছবি ইত্যাদি তবে আরো মজা হচ্ছে বিশাল বিশাল কাঠামো গুলো, ঘোড়া, পুতুল, রাজারানী, পাখি ইত্যাদির মহাসমারোহ, তখনো পুরাদমে পেপার পেস্টিং এর কাজ চলছে। বাই দ্য ওয়ে, সাথে ছিল প্রিন্স ভাই।

আরো ছবির জন্য আমার টাম্বলার ব্লগ অথবা গুগল প্লাসের এলবাম দেখুন।

অশ্রুফোটা এবং মাটির কথোপকথন

এক অচেনা অজানা মানুষের চোখ থেকে এক ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল মাটিতে।
মাটি তাকে জিজ্ঞাসা করল, কি হয়েছে তোমার?
অশ্রুফোটাঃ আহা মানুষটার মনে কি কষ্ট , তাই আমি গড়িয়ে পড়লাম !
মাটিঃ তোমার কষ্ট হলে তুমি কি কর ?
অশ্রুফোটাঃ …।

সব কিছু গুনি না, গুনতে নাই

সব কিছু গুনতে নাই, সব কিছু গুনি না।

কতবার হেসেছি, কতবার কেশেছি মনে নাই।
কতবার লাফিয়েছি, কতবার বসে থেকেছি ভ্যাবলার মত মনে নাই।
কতবার দুঃখ দিয়েছি অন্যকে, কতবার নিজে দুঃখ পেয়েছি,
কতবার ভালোবাসা পেয়েছি কিংবা বেসেছি কিংবা প্রত্যাখাত হয়েছি গুনে রাখিনি, আমি গুনে রাখি না।

সব কিছু হিসাব করি কি ? সব হিসেবে থাকে না।
কতবার কীবোর্ডের এন্টার বাটন চেপেছি, কতবার কপি পেস্ট করেছি জানি না।
গোনার চেস্টা করিনি কতবার মাউস দিয়ে ক্লিক করেছি।

আমি কিছুই লিখে রাখিনি কত বার চিন্তা না করেই বলেছি ভালো আছি। কতবার আনমনে বলেছি ধুর !
কত দিন তোমাকে দেখিনি, কতদিন দেখেছি, কতবার দেখবো হিসাবের খাতায় জমা করি না।
আমি হিসাব করতে জানি না, জানি কি, জেনেছি কি ?

কতবার মালায়ন সম্বোধন শুনেছি, কত বার পত্রিকা উল্টাতে পড়েছি মন্দির ভাংচুর লিখে রাখিনি।
কতবার হতাশ হয়েছি, কতবার আশা নিয়ে আবার বেঁচে উঠেছি জানি না। কতবার গালি খেয়েছি, কতবার গালি দিয়েছি জানি না।

হিসাব করিনি অনেক কিছুই, কত কিছু লিখেছি, কি কি লিখি নাই। কি কি বলার কথা ছিল। কি কি বলিনাই আর কত কিছু এখনো বলব।
কত কিছু গুনতে পারিনি তাও গুনে দেখিনি, দেখতে চাই না।

————————–
মানচুমাহারা, ০৯।০৪।২০১৩

সেই বিশাল আম, কাঠাঁলচাঁপা আর হিউম্যান ডাং :P

আর কিছুদিন পরেই আম গাছের মুকুল গুলো ডাঙর হবে। ছোট বেলায় আমের সময় ঝড় ছাড়লেই আম কুড়াতে চলে যেতাম। কোন কোন দিন ভর দুপুর বেলা আম গাছের নীচে শকুনের দৃষ্টি নিয়ে ঘুরাঘুরি করতাম যদি গাছ থেকে ঝরে পড়া পাকা আম পাওয়া যায়। একদিন দুপুরে গেছি, দেখি সত্যি সত্যি বড় একটা আম পড়ে আছে কিন্তু সমস্যা আমের কোল ঘেষে কোন মানব সন্তানের এক গাদা নেদি শোভা পাচ্ছে। কি করব সেই পিচ্ছি বয়সে এত বড় একটা আম ফেলে চলে আসব কিনা বুঝতে পারছিলাম না। মজার ব্যাপার হচ্ছে ঐ আম বাগানেই একটা কাঠাঁলচাপা গাছ ছিল যাতে মোটামুটি সারা বছর ফুল ফুটত আর পাশ দিয়ে গেলেই গন্ধে মৌ মৌ করত। ঐদিন, সেই বিশাল আম, কাঠাঁলচাপা, মানুষের মল আর আমার মনের আম নেওয়ার জন্য আকুতি(আনন্দও বলা যায়) সেই সাথে মল ঘেষা আম নেব এমন একটা ঘেন্না ভাব … একটা মিথষ্ক্রিয়ার মত ব্যাপার।

বিঃ দ্রঃ আমি আমটা নিয়েই বাড়িতে ফিরেছিলাম।

বিঃ দ্রঃ একজনের ফেসবুকের স্ট্যাটাসে কাঠাঁলচাপা নিয়ে লেখা পড়তে গিয়ে ছোট বেলার ঘটনা মনে আসল। যেহেতু আমি দুষ্টু প্রকৃতির লোক তাই আমার লেখার ভেতর দুর্গন্ধ থাকবেই। আমার চিন্তা ভাবনায়ও অনেক দূর্গন্ধ বের হয় মাঝে মাঝে। মানুষের মনতো ! মজার ব্যাপার কি জানেন, আমার বেশির ভাব লেখা, কাজ, আঁকার চিন্তা আসে আমি যখন টয়লেটে বসে থাকি। আমার চারপাশে চারটি দেওয়াল, ভেতর আমি একা উলঙ্গ ! মাথার ভেতর এই আইডিয়া ঐ আইডিয়া দৌড়াদৌড়ি করে। এখন যে বাসায় থাকি এইটাতে হাই কমোড নেই, আগের বাসাটাই ছিল, তখন টয়লেটে পারলে ঘন্টা দুই থেকে আসার চিন্তা করতাম একবার ঢুকলে। আমি নাদান মানুষ কিন্তু আমার ধারণা পৃথিবীর সব বড় বড় আইডিয়াগুলো এসেছে মলমুত্র আশেপাশে থেকেই।

বিঃ দ্রঃ একটা ব্যাপার কি ভেবে দেখেছেন যে লোকগুলো প্রতিদিন ময়লা টানে তারা কি কবিতা লেখা না, গান গায় না? আমি মনে করি অবশ্যই করে। আমার কথা অবিশ্বাস হলে একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন। মিথ্যা প্রমানিত হলে আপনি আমার বাসায় একদিন পেট ভরে খেয়ে যাবেন, খুশি ?

Ref: From My Facebook Status

টক টক

//
অভিজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শে ৫০ লিটার কোক খাওয়ার সিদ্ধান্ত বাদ দিলাম, তবে এক সপ্তাহে যে ৫ লিটার পূর্ণ করেছি তাতেই খুশি। আশা করি আগামীতে আরো বড় কর্মসূচী গ্রহন করব।

//
গতকাল একটা মজার ঘটনা ঘটেছে,

আমি বন্ধু সুজিতকে(রাতে খাওয়ার সময়)ঃ দোস্ত দেখতো ডাল টক হয়ে গেছে কিনা, গতকালের মনে হয়, আমি ফ্রিযে রেখেদিছিলাম।
সুজিতঃ হুম মনে হচ্ছে টক টক হয়ে গেছে, খাওয়া ঠিক হবে না।

সকালে রান্নার খালাঃ মামা ডাল ফেলে দিছেন ক্যান রাতে, আমিতো রাতে নতুন ডাল রান্না করলাম, দুই ঘন্টায় কিভাবে ডাল টক হয়ে গেল ! :O

খালাকে মনে মনেঃ খালা আমার খালা , আমার মায়ের পেটের আপন খালা, আপনি বুঝবেন না। ডালতো ডাল, মানুষের মানুষের চিন্তা চেতনা, অনুভূতি সবই হুটহাট টক হয়ে যাচ্ছে, ডালের কি দোষ !

Ref: My Facebook Status