ভাবালব্ধিঃ কবিতা এবং গান

ভাবালব্ধিঃ কবিতা এবং গান
বিষয়ঃ শব্দ চয়ন

কবিতার ভাষা যত কঠিন হয় মানুষ তত পছন্দ করে কারণ কবিতার কঠিন শব্দ না বুঝলেই লোক জন মনে করে আহা কি দারুন কবিতা। গানের ক্ষেত্রে পুরা ব্যাপারটা আলদা, গানের চরণে যত সহজ শব্দ থাকবে গান তত ভালো লাগে। এটার একটা টেকনিক্যাল ব্যাখ্যা আছে, কবিতা পড়া হয় ধীরে, কিন্তু গান গাওয়া হয় কবিতার থেকে দ্রুত গতিতে। মাথা/চিন্তার জগৎ দ্রুত কিছু parse করতে গেলে সহজ ভাষা সহজে parse করে, কঠিন শব্দ খাবি খায়।

বিঃ দ্রঃ একান্তই নিজস্ব ভাবনা।

একটি হাস্যকর হাসি !

একজন প্রচন্ড হাসিখুসি মানুষ একদিন খেয়াল করলেন তিনি হাসতে পারছেন না।

তিনি আয়নার সামনে নিজেকে দেখলেন, হাসার চেস্টা করলেন কিন্তু কাজ হচ্ছে না।
তিনি হাসতে পারলেন না, হাসি কোথায় গেল ?

তিনি বাজার থেকে তুখোড় সব হাসির গল্পের বই কিনে আনলেন।
কিন্তু একি ! তিনি পড়ছেন আর আরো বেশি বেশি গম্ভীর হয়ে যাছেন, হাসিতো আসেনা,
ব্যাপারটা হাস্যকর পর্যায়ে যাবার পরও তিনি হাসতে পারছেন না।

…………………

হঠাৎ তার একটা পুরাতন কৌতুক মনে পড়ল, তিনি হো হো করে হেসে দিলেন।

…………… মানচুমাহারা, ১৯।০৪।২০১৩

বিঃ দ্রঃ কি কৌতুক মনে পড়ার পর তিনি হেসে দিলেন এটা আমিও জানি না।

Self Help+Push+Pull = Success

Problem: A man wants to climb a high wall, let see how he can do this 🙂

Step 1: Self Help + Passion + Self Motivation , yes I must do it, I just need to do it 😀

Step 2: Take help from a Friend 1 who can push from land, there may be someone , just search a bit 😛

Step 3: Take help from a Friend 2 who can pull from top of wall, and you are done.

BTW, I tried to help myself with pen & paper to draw the pictures, so don’t laugh if they looks funny 😛

যখন শব্দ আমাকে হারায়

প্রায় সকাল বেলা অফিসে যাওয়ার সময় রিক্সা ঠিক করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ি কারণ মাথায় “কাটাবন ” শব্দটা আসে না। কিছুক্ষন চিন্তা ভাবনা করার পর মনে পড়ে। এটা কিছু কিছু শব্দ মনে রাখার ব্যাপারে ঘটে। আমার ধারণা কিছু শব্দ আমি মনে রাখতে চাই না বা ডিপ মেমোরিতে পৌচ্ছায় না( মেমোরিতে ব্যাড সেক্টরও পরতে পারে) ।

বিঃ দ্রঃ আমার এমন রেকর্ডও আছে যে কাগজে লিখে মানি ব্যাগে রেখে দিছি যদি দরকারের সময় প্রয়োজনীয় শব্দ মনে না পড়ে।

বিঃ দ্রঃ২ একবার ‘দাদা’ শব্দটা মাথায় না আসায় বুদ্ধি করে বলে ফেললাম ‘আরে ঐ যে ভাবীর হাজবেন্ড’ !

Ref: My Facebook Status

চিৎকার

ঠিক যত জোড়ে চিৎকার করলে আমার গলার প্রকোষ্ঠ থেকে-
কন্ঠনালী ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসবে তার থেকেও জোড়ে চিৎকার করতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে।
আমার চিৎকারে আমার কানের তালা লেগে যাবে,
বাঘে মহিষে এক ঘাটে পানি খাওয়ার সময় ঝগড়া বিবাদ ভুলে থর থর করে কাঁপবে।

আমার চিৎকারে মৃত্যু পথযাত্রী মৃত্যু যন্ত্রনা ভুলে ভীমড়ি খেয়ে চেয়ে থাকবে,
আমাজন জঙ্গলের আধা সভ্য মানুষগুলো কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে সভ্যতা থেকে পশ্চাৎপদ হবে।

আমি ঠিক তত জোড়ে চিৎকার করতে চাই যাতে আমি চিরদিনের জন্য আর চিৎকার করতে না পারি,
এই হবে আমার শেষ চিৎকার, আমি এরপর আর কোন শব্দ উচ্চারণ করতে পারবো না।

আমার প্রচন্ড চিৎকারে একজন বোমাবাজ বোমা ছুড়তে ভুলে যাবে, নিজের হাতেই বোমা ফুটিয়ে নিজেই ফুটে যাবে।
আমার প্রচন্ড চিৎকারে নতুন বিবাহিত দম্পতি সারা রাত কানে আঙুল দিয়ে কাটিয়ে দেবে।

আমি এতজোড়ে চিৎকার করব যে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের রাষ্ট্রপতি বিরক্ত হয়ে, ক্ষুব্ধ হয়ে বলবে, আহ ওকে থামা, ওর গলা চেপে ধর সাড়াশি দিয়ে।

আমার প্রচন্ড চিৎকারে মঙ্গল গ্রহের নতুন নাম হবে অমঙ্গল, পৃথিবীর সব জাত পাগল পাগলামী ভুলে করুনার দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে থাকবে নিষ্পলক। আমি হা হা হু হু শব্দে ভয়ংকর অসুরের মত দিক বিদিক প্রকম্পিত করে চিৎকার করে ডেকে আনবা মহাপ্রলয়।

আমি প্রচন্ড চিৎকারে এই মহাবিশ্বের ইকোসিস্টেমকে ধংস করে দিয়ে শান্তির ঘুম ঘুমাবো। আহ।

……………………………
মানচুমাহারা, ১৭.০৪.২০১৩ ১:১০ AM

রিট

কি হবে ছুটে মিছে অন্ধের পিছে,
কালের স্রোত বইছে পিঠে,
ভালোবাসা হয়না রে পাগল আদালতের রিটে !!

ref: My facebook status

মেলা দেখা আর চিপ্স খাওয়া

আজাকে ছিল পয়েলা বৈশাখ ১৪২০, সারা দিন বাসায় শুয়ে বসে কাটিয়ে সন্ধ্যার আগে বের হলাম। হাতে ছিল সান চিপ্স এর প্যাকেট। রাস্তা দিয়ে হাটছি আর চিপ্স এর প্যাকেট থেকে এক একটা চিপ্স বের করে মুখে দিচ্ছি। সন্ধ্যার দিকে সবাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে নববর্ষের ঘুরাঘুরি শেষে। আমি খুব ধীর পায়ে এগুচ্ছি। আমি মাঝে মাঝেই এটা করি। বিশেষ দিনে সন্ধ্যার আগে আগে বের হই রাস্তায়। মানুষ দেখি। হরেক রকমের মানুষ। আমি কাউকে চিনি না, আমাকে কেউ চেনে না। আমার চারপাশে অসংখ বাঁশির প্যা প্যা আওয়াজ। আমার মনে হচ্ছিল সবাই যেন তাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে বাঁশিতে ফু দিচ্ছে, ফু দিয়ে দিয়ে পৃথিবী থেকে বাঁশির শব্দ মঙ্গল গ্রহে পাঠিয়ে দেবে, তারপর ভীন গ্রহ থেকে অচীন প্রজাতির মানুষ এসে আমাদের সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করবে। আরো একটা ব্যাপার আমার খুব অনুভব হয় আর তা হল , আমি হেটে চলেছি আমার দুই পাশ দিয়ে অসংখ্য মানুষ ফিরে যাচ্ছে, মানে চলে যাচ্ছে আমার বিপরীত দিকে। আমার মনে হয় আমি স্থির আছি আর আমার চারপাশের মানুষ সবাই প্রচন্ড গতিতে আমাকে ফেলে ছুটে যাচ্ছে !

হাটতে হাটতে জগন্নাথ হলের মাঠে পৌচ্ছালাম। এই মাঠখানা আমার খুব চেনা। আমি অনেক দিন সন্ধ্যার দিকে এই মাঠে এসে বসে থেকেছি, শুয়েও থেকেছি, এমনকি এক আধা ঘন্টা ঘুমও দিয়েছি। আজকেও বেশ ভালো লাগছিল। আধো আলো, আধো অন্ধকার। এই মাঠটার শেপ বেশ ভালো। আকাশে তাকালে বিশাল আকাশ। আমার মনে হয় বিশাল আকাশ অনুভব করার জন্য বিশাল ফাঁকা মাঠে বসা উচিৎ না। বসতে হবে নিকট ব্যাসার্ধের কোন মাঠে। না হলে মাঠের বিশালতা যদি আপনাকে খেয়ে ফেলে তাহলে আকাশের বিশালতা আপনাকে ছুঁতে পারবে না। এক বনে দুই বাঘকে পাত্তা দেওয়া উচিৎ না। হয় বিশাল আকাশ নয়তো বিশাল মাঠ আপনাকে বেছে নিতে হবে। দুই নৌকায় পা দিলে আপনি আকাশকেও ছুতে পারবেন না, আবার মাঠকেও আপন করতে পারবেন না।

সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

…।।
১৪।০৪।২০১৩
মানচুমাহারা

বোশেখ

ইচ্ছে করে প্রচন্ড বড় দুইটা শিং নিয়ে ক্ষেপা সাঁড়ের মত ছুটে যায় মানুষের জঙ্গলে,
কিংবা কাল বোশেখীর প্রচন্দ ছোবলে শহর গ্রামের সব ময়লা উড়িয়ে নিয়ে ফেলি মঙ্গলে।
অথবা পাগলা চৈতে রোদে পোড়াব অলস দেহের অবশ চিন্তা প্রকৌষ্ঠ ||

বিঃ দ্রঃ আগামী বোশেখে না হয় আরো কিছু লাইন যুক্ত করব।
১৪।০৪।২০১৩

চারুকলায় গিয়ে দেখি মহাকান্ড

IMG_0508

আগামী কাল সকাল বাংলা ১৪২০ , শুভ নববর্ষ । ছুটির দিনে হাটতে হাটতে টিএসসির হাকিম চত্ত্বর থেকে চা খেয়ে চারুকলায় গিয়ে দেখি মহাকান্ড। নববর্ষের সকালের মঙ্গল যাত্রার জন্য বানানো হয়েছে বিভিন্ন ধরনের মুখোস, পট, ছবি ইত্যাদি তবে আরো মজা হচ্ছে বিশাল বিশাল কাঠামো গুলো, ঘোড়া, পুতুল, রাজারানী, পাখি ইত্যাদির মহাসমারোহ, তখনো পুরাদমে পেপার পেস্টিং এর কাজ চলছে। বাই দ্য ওয়ে, সাথে ছিল প্রিন্স ভাই।

আরো ছবির জন্য আমার টাম্বলার ব্লগ অথবা গুগল প্লাসের এলবাম দেখুন।