ঠিক যত জোড়ে চিৎকার করলে আমার গলার প্রকোষ্ঠ থেকে-
কন্ঠনালী ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসবে তার থেকেও জোড়ে চিৎকার করতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে।
আমার চিৎকারে আমার কানের তালা লেগে যাবে,
বাঘে মহিষে এক ঘাটে পানি খাওয়ার সময় ঝগড়া বিবাদ ভুলে থর থর করে কাঁপবে।
আমার চিৎকারে মৃত্যু পথযাত্রী মৃত্যু যন্ত্রনা ভুলে ভীমড়ি খেয়ে চেয়ে থাকবে,
আমাজন জঙ্গলের আধা সভ্য মানুষগুলো কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে সভ্যতা থেকে পশ্চাৎপদ হবে।
আমি ঠিক তত জোড়ে চিৎকার করতে চাই যাতে আমি চিরদিনের জন্য আর চিৎকার করতে না পারি,
এই হবে আমার শেষ চিৎকার, আমি এরপর আর কোন শব্দ উচ্চারণ করতে পারবো না।
আমার প্রচন্ড চিৎকারে একজন বোমাবাজ বোমা ছুড়তে ভুলে যাবে, নিজের হাতেই বোমা ফুটিয়ে নিজেই ফুটে যাবে।
আমার প্রচন্ড চিৎকারে নতুন বিবাহিত দম্পতি সারা রাত কানে আঙুল দিয়ে কাটিয়ে দেবে।
আমি এতজোড়ে চিৎকার করব যে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের রাষ্ট্রপতি বিরক্ত হয়ে, ক্ষুব্ধ হয়ে বলবে, আহ ওকে থামা, ওর গলা চেপে ধর সাড়াশি দিয়ে।
আমার প্রচন্ড চিৎকারে মঙ্গল গ্রহের নতুন নাম হবে অমঙ্গল, পৃথিবীর সব জাত পাগল পাগলামী ভুলে করুনার দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে থাকবে নিষ্পলক। আমি হা হা হু হু শব্দে ভয়ংকর অসুরের মত দিক বিদিক প্রকম্পিত করে চিৎকার করে ডেকে আনবা মহাপ্রলয়।
আমি প্রচন্ড চিৎকারে এই মহাবিশ্বের ইকোসিস্টেমকে ধংস করে দিয়ে শান্তির ঘুম ঘুমাবো। আহ।
……………………………
মানচুমাহারা, ১৭.০৪.২০১৩ ১:১০ AM