কখনই কোন জুনিয়র বা ফ্রেশারকে কোন জবে ডিরেক্টলি রিকমেন্ড করা উচিত না। আমার কাছে এই ধরনের কেস আসলে আমি যা করি।
১। যদি অন্য কোন রিলেটিভ এর মাধ্যমে এপ্রোচ করে তাহলে আমি বলে তাকে সরাসরি যোগাযোগ করতে। চাকরি আর প্রেম এই দুইটাকে যারা নিজেরা সরাসরি এপ্রোচ করে না আগে তাদের চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন দরকার। মানে ভায়া হয়ে কেউ যোগাযোগ করলে আমি কোন হেল্প করিই না। কারোই করা উচিত না। ভায়া হয়ে যোগাযোগ করলে হেল্প না করাটায় হেল্প। ভায়া হয়ে মানেঃ ভাই আমার ভাগ্নের জন্য, আমার শালার জন্য, আমার শালির জামাই এর জন্য এই রকম অনুরোধ যারা করে। এই ধরনের অনুরোধ যারা করে তাদের উচিত যাকে অনুরোধ করা হচ্ছে তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া।
২। কেউ সরাসরি যোগাযোগ করলে আমি বলি রিজিউম পাঠাতে। আমি ঐ দেখে কিছু সাজেশন দেই। যারা এই সাজেশন নিয়ে রিজিউম উন্নতি করে তাদের হেল্প করি, অন্যদের করি না।
৩। ২ স্টেপ থেকে যারা টিকে যায়, তাদের আমি নিজের স্কিল প্রদর্শন এর জন্য নিজের একটা গিটহাব বা ব্যক্তিগত প্রোফাইল তৈরি করতে বলি। নিজের করা একটা বা দুইটা প্রজেক্ট ভালো করে রেডি করতে বলি এবং জব না পাওয়া পর্যন্ত কিংবা পাওয়ার পরও সেই গুলো উন্নতি করতে থাকতে বলি। যারা এটা করে তাদের জন্য স্টেপ ৪।
৪। আমি কিছু ফেসবুক গ্রুপ এর লিঙ্ক দেই যেখানে রেগুলার জব পোস্ট হয়। জব সাইট এর লিঙ্ক দেই। সেগুলো দেখে তাকেই এপ্লাই করতে বলি। এপ্লাই করার আগে ইমেইল কিভাবে লিখবে, রিজিউম রেডি করা ইত্যাদি টিপস দিয়ে দেই। অনেক এপ্লাই না করে যাদের প্রতিষ্ঠানে এপ্লাই করছে তাদের সম্পর্কে তাদের ওয়েব সাইট থেকে জানতে বলি। জব ডেসক্রিপশন পড়ে দেখতে বলি। তারপর সেই অনুসারে এপ্লাই করতে বলি। বেশির ভাগ এই গুলো করে না। তাদের আমি সাহায্য করি না।
৫। ৪ স্টেপ ফলো করে আরা টিকে থাকে তারা কিছু কিছু জায়গা থেকে ইন্টারভিউ কল পায়। প্রাথমিক ইন্টারভিউ টিকে গেলে আমার রেফারেন্স ব্যবহার করতে আমি সাহায্য করি। সাধারনত যারা এই ৫ স্টেপ পর্যন্ত আসে তারা কর্মঠ, বিনয়ী এবং নিজেকে সাহায্য করে ধরনের মানুষ হয়। এই ধরনের মানুষদের চাকরি হওয়া উচিত এবং বিশেষ করে আইটিতে হয়।
৬। জুনিয়র লেভেলের কারো রিজিউম সরাসরি আমি কাউকে ফরওয়ার্ড করি না।
৭। যারা হেল্প এর জন্য আমার সাথে যোগাযোগ করে আমি শুরুতে বুঝার চেস্টা করি তার আসলেই আমার হেল্প লাগবে কিনা। যদি মনে হয় সে নিজেই আমার থেকে বেশি বুঝে তারে আমার জ্ঞান দেওয়ার মত কিছু নাই আমি তারে প্রফেশনাল সাহায্য করা থেকে বিরত থাকি।
৮। চাকরি দিয়ে দেওয়া আসলে মানুষকে সাহায্য করা না। বরং তাকে মানসিক ভাবে পঙ্গু করে দেওয়া। আমি নিজে যে চাকরি করেছিলাম জীবনে প্রথম এবং শেষ (৬ মাস এর মত) সেইটার জন্য আমি নিজে নিজের রিজিউম লিখেছি, নিজে নিজে দেখে শুনে বুঝে এপ্লাই করেছি। ৪ জায়গায় আমি ইন্টারভিউ দিয়েছি। ইন্টারভিউ দিতে যাবার জন্য মানসিক এবং পোশাক পরিধান এর ব্যাপারে প্রস্তুতি নিয়ে গেছি। যে চাকরিটা আমি করেছিলাম সেইটার ২য় ইন্টারভিউ এর দিন আমার পরার মত শার্ট ছিল না। ময়লা বা রেডি ছিল না। আমি রুমের জুনিয়র এর শার্ট পরে গিয়েছিলাম সম্ভবত।
৯। প্রয়োজনে অন্যের কাছ থেকে সাহায্য নেওয়া ভালো। তবে নিজেকে নিজে সাহায্য না করা ভুল।
১০। আমি এটা সাহায্য করতে চেস্টা করি যে , ‘কেউ নিজে নিজেকে সাহায্য করতে শিখুক’।