করোনা পরবর্তী সময়ে প্রতিটি দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিবে। আমি একাউন্টিং অভিজ্ঞের মত বুঝি না তবে আয় আর ব্যয় বুঝি। যদি আয় বাড়ানো না যায় তাহলে ব্যয় কমিয়ে এটা নিয়ন্ত্রন করা যায়। আবার আয় যদি স্থির থাকে তাহলে ব্যয় কমিয়েও মন্দা কমিয়ে আনা সম্ভব। ব্যয় কমানো মানে যে কম কনজিউম করা তা না। দেশের সাপেক্ষে যদি বাইরে থেকে কিছু কিনি বা আমদানী করি তাহলে সেই ব্যয় আর দেশের ভেতরে কিছু কেনাকাটা আলাদা বিষয়।
প্রতি বছর চিকিৎসার জন্য প্রতিবেশী দেশ ইন্ডিয়াতে অনেক মানুষ যায়। আর যাদের কাঁচাপাকা টাকা আছে তারা আরো উন্নত দেশ বা চিকিৎসা সেবার জন্য অন্য দেশ গুলোতে যায়।
করোনার পরে যদি স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি করা যায়, দূর্নীতি কমিয়ে সেবার মান, পরিবেশ উন্নত করা যায় তাহলে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া কমিয়ে আনা সম্ভব। বৈদেশিক মুদ্রা আয় আর দেশের মুদ্রা বিদেশে না নিয়ে যাওয়া কিন্তু অনেকটা একই রকম ব্যাপার। তো চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যয় কমিয়ে আনা যায় বা বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বন্ধ করা যায় তাহলে সেটা দেশের অর্থনীতির জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে।
এটা করার জন্য প্রথমে দরকার দেশ যারা চালান তারা যদি আগামী ৫ বছর কোন রকম চিকিৎসার জন্য ভিন্ন দেশে না যান এবং সরকারি হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা নেন। আরো ভালো হয় দেশের সরকারি হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা নেওয়ার সময় যেন কোন রকম ভিআইপি সুবিধা না নেন। সাধারণ নাগরিক যেভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কেটে চিকিৎসা নেন, সাধারণ নাগরিক যেভাবে জেনারেল ওয়ার্ডে বা বেডে থাকেন সেই ভাবে। প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল এবং বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ভিআইপি ওয়ার্ড বা বেড সরিয়ে ফেলতে হবে।
বিঃ দ্রঃ ‘করোনা পরবর্তী অর্থনীতি’ হচ্ছে বর্তমান সময়ের হটটপিক
Wrote in facebook here