একবার হায় ভোল্টেজে আমার বাসার সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সুইচ পুড়ে গেল,
আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, প্রচন্ড পোড়া গন্ধে আমার ঘুম ভেঙে গেল। আমি আজও হঠাৎ হঠাৎ সেই পোড়া গন্ধ পাই।
এরপর আর কখনো আর এমনটি হয়নি কিন্তু মাঝে মাঝেই আমি কল্পনা করি,
আমার ল্যাপ্টপ এর চার্জার গলে যাচ্ছে, ছাদ থেকে বৈদ্যুতিক পাখাটি গলে ছিড়ে পড়ছে ফ্লোরে !
আমি আমার ভেতরের পোড়াকে কখনো পাত্তা দেই না, কারণ ওটা বাইরে থেকে দেখা যায় না,
তাই অত বড় পৃথিবীটা পুড়ে ছাই হলে আমি কোন কবিতা লিখব না, কথা দিচ্ছি।
আমি না চাইনা তবুও উপসনালয় পুড়ে দূরে কোথাও,
মানুষের হাতের কব্জি পুড়ে, বাস পুড়ে, বাড়ি পুড়ে, স্বপ্ন আর ভালোবাসা পুড়ে, বিশ্বাস পুড়ে।
আমি চাই না তবু জানি তোমার এখনো বেঁচে থাকা চোখ একদিন আমাকে দগ্ধ করবে ঠিকই।
তোমাকে পুড়িয়ে আদিম মানুষের মত তোমার চারপাশে আমি হাউলা হাউলা করব না কথা দিচ্ছি,
তবু তুমি পুড়বে কিনা আমি জানি না, আমি তোমাকে বাঁচাতে পারব না যদি তুমি আপনি তাপে পুড়ে যাও।
আমি আগুন আর জলের ব্যবহার জানি না, জ্বালাতে জানি না, জ্বলেছি ঢের বার।
আমি নিরপেক্ষ নই, আমি জলা কিংবা জ্বলার দলের নই, আমি জলিত এবং আমি জ্বালিত।
হয়তো আমি একদিন তোমার পোড়ার জন্য গন্ধ পাব।
………………………………………
মানচুমাহারা, ০২।০৪।২০১৩