ভালোবাসার পাল্লা

তুমি এক কেজি ভালোবাসা চাইলে …
আমি ভালোবাসা মেপে দিলাম।
আমার স্বভাব বসত পুরাতন ঝং ধরা বাটখারা ব্যবহার করে ৫০ গ্রাম কম দিলাম।
মাপার সময় দাঁড়িপাল্লা এদিক সেদিক হেলিয়ে দুলিয়ে আরো ৫০ গ্রাম কম দিলাম।
তুমি ভালোবাসা নেওয়ার সময় খেয়াল করনি, আমি ঐখান থেকে আরো ৫০ গ্রাম উঠিয়ে নিয়েছিলাম।
আর হ্যাঁ বলতে ভুলে গেছি, কিছু পচা আর মেয়াদ উত্তীর্ণ ভালোবাসা ছিল যা প্রায় আরও ১৫০ গ্রাম হবে।
তুমি কোন কিছু ভালোমত খেয়াল না করে বেহিসাবীর মত ৩০০ গ্রাম ফাঁকি নিয়ে চলে গেলে।
আচ্ছা যাবার সময় তুমি মুচকি হেসেছিলে কেন ?

আমি ভেবেছিলাম আমি চালাক আর তুমি বুঝি খুব বোকা।
আমার প্রচন্ড ভুল ভাঙল সেদিন যেদিন তুমি ৭০০ গ্রাম ভালোবাসা আমার দাঁড়িপাল্লা বাটখারা দিয়ে মেপে ১ কেজি হিসাবে ফেরত দিয়ে গেলে!

১০ মার্চ, ২০১৯
দুপুরের ভাত ঘুম আসার আগে

Easy PHP Error Debug for Joomla – System Plugin – CBX PHP Debug

I don’t see any easy way to debug or see php error log for Joomla, If I am not wrong. While working with WordPress I just put some constant in wp-config.php file to enable debug and display , log errors.

define('WP_DEBUG', true);
define( 'WP_DEBUG_DISPLAY', true);
define( 'WP_DEBUG_LOG', true);

Then WordPress creates a debug.log file in wp-content folder. I don’t need to go to php error log file in the server to check the error. I know we can configure local domain so that the log file is generated in the joomla local site folder but that is also not native joomla solution ! I was thinking to enable something for Joomla but didn’t find. So, I created a system plugin for Joomla to make this easy. The idea for “System Plugin – CBX PHP Debug” comes here. Just install the system plugin, enable and configure as need “Enable Debug, Display Errors, Log Error in debug file”, save and you are done. This plugin will create a file debug.log inside Joomla’s logs folder as configured in the configuration.php file.

BTW, I copied the debug init function from WordPress 🙂

Download the plugin from here

Version 1.0.0 direct download here.

https://gist.github.com/manchumahara/977e85fede164cb2d26579f59896129d

কোন এলাকায় ব্রীজ হলে সেই এলাকার মাঝিরা পেশা বদল করে !

সারা দিন কাজের স্ট্রেস এর কারণে কতবার রেগে গিয়ে রাগ প্রকাশ করলাম আর কতবার করলাম না সেই হিসাব নিয়ে বাসায় ফিরতে ফিরতে খেয়াল করলাম বাসার কাছেই স্বপ্ন চেইন শপ নতুন শাখা খুলেছে। বাসার পাশের দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করলাম ওমুক নাম্বার এর বাসাটা কোন দিকে, দোকানদার বলল, কি ‘স্বপ্ন’ এর ঠিকানা জানতে চাইছেন। অন্যদিন এর তুলনায় আজকে তার চেহারা কিছু্টা ম্লান। অন্যদিন কোন কিছুর দাম ২টাকা কম রাখতে বল্লে মুখের উপর না বলে দিতেন, আজকে দেখলাম মনে হয় কিছুর দাম জিজ্ঞাসা করলেই বলে দেবেন ভাই, আপনি আমাকে প্রতিটি জিনিসের দাম ১০ টাকা কম দিয়েন এখন থেকে। তার দোকান থেকে বের হবার সময় আমাকে খুব যত্ন করে বলল, ভাই আমাদের ভুলে যাবেন না তো!

এরপর গেলাম স্বপ্ন এর নতুন শাখা দেখতে। ঢুকার মুখেই বেশ জটলা। মনে হচ্ছে ৫ টাকা কেজি দরে পোলাউ এর চাল বেচতেছে কেউ ! ভেতরে আর ঢুকা হলা না কারণ প্রচুর লোক আসছে আর কিনতেছে। স্বপ্ন থেকে বের হবার সময় স্বপ্নে প্রবেশ করতে করতে এক কাস্টমার দেখলাম বলতেছে, আজকেই সব কিনে নিয়ে যাবে মনে হচ্ছে !

স্বপ্ন যে বিল্ডিং এ নতুন শাখা খুলেছে আমি তার সামনে থেকে কাচা তরকারি কিনতাম একজনের কাজ থেকে। অনেক দিন ধরে ভ্যানে করে তরকারি বেচত। তার ভালো দিক হচ্ছে, সে দামাদামিতে কিছুটা দাম কম রাখত। সর্বমোট দামের উপর আবার কিছু কম রাখত। আবার বাজার নিয়ে চলে আসার সময় যত্ন করে বলত, স্যার আইসেন, কম রাখার চেস্টা করব যত টুকু পারি। সেই লোকটা আজকে আর সেই জায়গায় নাই। স্বপ্নের সামনে নিশ্চয় ভ্যানে করে কাঁচা তরকারির দোকান দিতে পারবে না।

বাস্তবতা হচ্ছে এক জনের স্বপ্ন অন্যের দুঃস্বপ্নের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমি অবশ্য কাউকে দোষারোপ করছি না। কোন এলাকায় ব্রীজ হলে সেই এলাকার মাঝিরা পেশা বদল করে !

গুটেনবার্গ চিন্তা: ওয়ার্ডপ্রেস

#গুটেনবার্গ_চিন্তা #ওয়ার্ডপ্রেস

গুটেনবার্গ এডিটরের ক্ষেত্রে একটা পারফরমেন্স সমস্যা করবে অসংখ্য প্লাগিন থেকে ব্লক এর জন্য জাভাস্ক্রিপ্ট এবং সিএসএস ফাইলে লোডিং নিয়ে। রহিমের বানানো দুইটা ব্লক এবং করিমের বানানো দুইটা ব্লক … এই রকম ব্লক যুক্ত করতেই থাকবে ব্যবহারকারিরা। কেউ বলতে এখন যে সব বিজুয়াল পেজ বিল্ডার আছে তাদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। হ্যাঁ ঠিক, তবে কেউ চাইলে এখন পেজ বিল্ডার ছাড়া ক্লাসিক্যাল এডিটর ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু গুটেনবার্গকে এগিয়ে নিতে ওয়ার্ডপ্রেস কয়েক বছর পর ক্লাসিক্যাল এডিটর ফেলে দিবে কোর থেকে। মানে সবাই ডিফল্ট বাধ্য হবে গুটেনবার্গ ব্যবহার করতে যদি নিজে থেকে অন্য এডিটর প্লাগিন ইনস্টল না করে। আমি কিছু কমিউনিটি আলোচনাতে গুটেনবার্গ এডিটর দিয়ে আগের লেখা কনটেন্ট লোডিং টাইম অনেক বেশি এই ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। যদিও আমি জানি শুরুতে পারফর্মেন্স সমস্যা থাকলে আস্তে আস্তে এটা ইম্পরুভ হবে, একদিন আমরা ভুলে যাব ক্লাসিক্যাল এডিটর বলে কিছু ছিল। অন্যদিকে দ্রুপালও গুটেনবার্গকে ফর্ক করে আগাচ্ছে।

Are We Adding add_shortcode Properly in Plugin?

WordPress one of the most popular function is add_shortcode. We can use this in theme or plugin.
The most simple way of adding a new shortcode is like

add_shortcode('my_gf_unique_name', 'callback_function');
function callback_function($atts){
  //do your duty for your gf unique name
}

But we should not use the add_shortcode in same way in plugin but call it from an ‘init’ action callback.

add_action('init', 'init_callback');
function init_callback(){
 add_shortcode('my_gf_unique_name', 'callback_function');
}

function callback_function($atts){
  //do your duty for your gf unique name
}

Reference: WordPress Developer portal plugin handbook

Everyday I am trying to learn something new. Whenever I find something new like this I try to update my old plugins and use the new learning in new plugin.

What did you learn new this week ?

মানচু ‘কুফি’ হাউজ

#উদ্যোগ #উদ্যোগের_পরিবেশ #নতুন_উদ্যোগ

যে কোন ব্যবসার জন্য একটা চিন্তা থাকে আমার পন্য বা সেবা কে কিনবে। আমাদের দেশের জনসংখ্য ১৫/২০ কোটি। মানে কেনার মত লোক আছে আমাদের দেশে। আমাকে একজন বলেছিল আমাদের দেশে এত মানুষ এত মানুষ যে পাড়ার এক মহল্লার মুদি দোকান থেকে যদি একই ব্যক্তি ২য়বার ক্রয় না করে তাহলেও ঐ মুদি দোকান এর ব্যবসা তেমন কোন ক্ষতি হবে কারণ দোকানের সামনে দিয়ে সারাদিন এত ফ্লোটিং কাস্টমার আসা যাওয়া করে তাতেই অনেক।

অনেক বড় বড় কম্পানী উন্নত দেশে সার্ভিস দিলেও আমাদের দেশে আসে না। কিন্তু চিন্তা করেন আমাদের দেশে কত মানুষ। এরপরেও কেন আসে না। এই যেমন গত প্রায় ১০ বছর ধরে দেশে কেন পেপ্যাল আসে না এইটা নিয়ে কত আলোচনা- সমালোচনা। কিন্তু কিন্তু কেউ বলে নাই দেশে কেন উবার আসে না। অথচ উবার দেশে এসে হাজির! আপনি এদেশের ২০ কোটি মানুষ সবার কাছে এক কেজি চাল বেচতে পারবেন কিন্তু সবার কাছে একটা স্মার্টফোন বেচতে পারবেন না। কিংবা যারা স্মার্টফোন কেনার যোগ্যতা রাখে তারা সবাই আইফোন কিংবা দামী এন্ড্রয়েড ফোন কেনার সামার্থ রাখে না। যেদিন এপল মনে করবে এদেশেও লাইন ধরে আইফোন কেনার মত অবস্থা তৈরি হয়েছে প্রয়োজনে ওরা আমেরিকার দুইটা রিটেইল বন্ধ করে বাংলাদেশে চালু করবে ১০টা। কারন তখন ওরা মনে করবে আমেরিকা আর বাংলাদেশে উভয় দেশে সেম কোয়ালিটির কাস্টমার কিন্তু বাংলাদেশে কাস্টমার এর ডেন্সিটি বেশি।

দেশে মানুষ অনেক, কাস্টমারও অনেক কিন্তু কাস্টমার এর কোয়ালিটি এবং ধরন অনুসারে এক একটা ব্যবসা চলে। যেহেতু প্রায় এখন সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করে এবং যেহেতু আমাদের দেশে বছরের পর বছর পাবলিক যানবহনের তেমন কোন উন্নতি হয়নি, বরং অবনতি হয়েছে তাই এদেশে উবার ব্যবসা হবে মনে করেছে। গ্রামে মটর বাইকে মানুষ টানাকে ট্যাবু হিসাবেও দেখে, অনেকে বলে ঐ শালা মটর সাইকেলে খ্যাপ মারে। ওর বাইক বেশি দিন টিকবে না। অথচ দেখেন সেই শহরের লোক পাশাপাশি গ্রামে খ্যাপ মারত যারা তারাও এখন ঢাকায় এসে হাজির বাইক নিয়ে !

ধরুন আপনি ERP সফটওয়্যার বেচেন, আপনার কাস্টমার যদি হয় ১০ জন অন্য দিকে মোবাইল লেনদেন বিকাশ এর কাস্টমার সেই অনুপাতে এক লাখ ! আপনি যত টাকায় ERP বেচেন না কেন বিকাশ এর এক ঘন্টা বা এক দিনের আয় এর সমান সারা মাসে করতে পারবেন না। বিকাশ এর পাশাপাশি আরো কিছু মোবাইল পেমেন্ট এসেছে তারাও আপনার ERP থেকে বেশি ব্যবসা করছে কারণ মোবাইল মানি দেশের ২০কোটি সবাই ব্যবহার করার মত, কিন্তু আপনার ERP এর কাস্টমার গুটি কয়েক।

আমাদের দেশ(মানে আপনার কাস্টমার বা ক্লায়েন্ট যদি হয় শুধুমাত্র বাংলাদেশ) বর্তমানে আইটি বিজনেস এর বদলে আইটি এনাবল ‘লো টেক’ বা খুব সহজ টেকনলজি বিজনেস এর জন্য উপযুক্ত।

কিছুদিন আগে কো-ওয়ার্কিং স্পেস ভাড়া দেওয়ার কিছু কম্পানী শুরু হয়েছিল, আরো কিছু আসবে, কিন্তু ইতোমধ্যে কিছু বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল নর্থএন্ড কফিতে আমরা বেশ কয়েক জন্য বন্ধু বান্ধব(যারা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এর সাথে যুক্ত) আড্ডা দিচ্ছিলাম। দেখলাম অনেকে ২৫০ টাকা দিয়ে কফি কিনে দিব্যি বসে ল্যাপটপ এনে কাজ করছে, কেউ কেউ দুই তিন জন বসে জমায়ে গল্প করছে। এর মানে দাড়াচ্ছে, কোওয়ার্কিং স্পেস এর বিজনেস চলার সময় আসে নাই কিন্তু এক সাথে জমায়ে বসে দামী কফি খাওয়ার বিজনেস আমাদের দেশে এখন সম্ভব। কো-ওয়ার্কিং স্পেস না দিয়ে যত বলত, “কফি খান, দরকার হলে বসে কাজ করেন” তাহলে কিন্তু চলবে শিউর!

আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি “মানচু কুফি হাউজ” নামে কিছু একটা চালু করব। আমার অফিসের পাশে আমজাদ এর জিঙ্গারা ভালো, ওদের কাছ থেকে ১০ টাকা সিংগারা কিনে আমার শপে ৫০ টাকায় বেচব, সাথে নর্থএন্ড এর মত চা কফি থাকবে। তবে অতিরিক্ত হিসাবে শুধু চেয়ার টেবিলে বসে না খেয়ে শুয়ে শুয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখব। চেয়ার টেবিলের মত বাথ টাব, বাথ টাবে চার পাশ বন্ধু বসে পানি খেলতে পানি খেলতে বসে কফি খাওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে। যদি পার্টনার হিসাবে কেউ ইনভেস্ট করতে চান ইনবক্সে জানান।

আপনি আইটি উদ্যোক্তা হিসাবে আপনাকে সফটওয়্যার বেচতে হবে এমন কোন কথা নাই। এদেশে আপমর জনগনের সফটওয়্যারতো দরকার নাই, শুধু শুধু ব্যবসার শুরুতে কেন আপনার কাস্টমার এর ডোমেইন ছোট করবেন। অনলাইনে যদি বেচতে হয় , বেচেন দই না হলে বই।

এক জোড়া দামী স্যান্ডল

ধরুন বর্তমানে যে ছ্যান্ডল জোড়া আপনি পরতেছেন তা নতুন এবং দামি(কত দামি সেইটা এখানে উহ্য থাক)।

এটার বর্তমান অনুভূতি হচ্ছে, আপনার এক জোড়া দামী স্যান্ডল আছে।

এক সময় ছ্যান্ডল জোড়া পুরাতন হবে এবং ছিড়ে যাবে।

তখন অনুভূতি হবে, “আপনার এক জোড়া দামী ছেড়া ছ্যান্ডল আছে”।

এক সময় বেশি পুরাতন হওয়ায় আপনি তা ফেলে দিবেন, তখন আপনার অনুভূতি হবে, “আপনার এক জোড়া দামী ছ্যান্ডল ছিল”

এখানে খেয়াল করার বিষয় হচ্ছে, নতুন এক জোড়া ছ্যান্ডল পরতে পরতে ছিড়ে যাবার পর ফেলে দিয়ে তা আবার নতুন হয়ে গেল।

ঠিক এই কারণে শয়তান বজ্জাত টাইপ লোক মারা যাবার পর লোকজন তার শয়তানি ভুলে যেতে থাকে এবং তাকে আবার ভালো ভাবা শুরু করে।

কবিতা ও ক্যাফেঃ দই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না

কাঁটাবন মোড়ের খুব কাছেই বসে বসে বই পড়া এবং চা কফি খাওয়ার আরও একটা জায়গা খুঁজে পেয়েছি, নাম ‘কবিতা ও ক্যাফে’। ঘটনা হচ্ছে, সেদিন সন্ধ্যার দিকে ঐদিক দিয়ে ফিরতেছি, অনেক দূর থেকে চোখে পড়ল “দই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না” । হ্যাঁ আমি এটাই পড়েছি। যেহেতু পড়ার পর নিজের ভেতরে একটা অস্থির অনুভূতি হচ্ছিল তাই অন্ধকারে আবার পরিস্কার করে পড়ার চেস্টা করলাম। এবার ঠিক ঠাক পড়লাম “বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না”

এখন কেউ হয়তো বলতে পারেন, কেন আপনি ভুল পড়লেন এটার উত্তর আমার কাছে নাই। কেউ বলতে পারেন, আপনি বই এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ফান করতেছেন। আমার কাছে বিষয়টা এমন না। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে যেমন মানুষ ভুল করে সেই ভাবেই ভুল পড়েছি। ভুল করার পর আবার নিজের ভুল বুঝতে পেরে সুধরে নিলাম। এখন যত বার আমি কাটাবন মোড় দিয়ে যাচ্ছি তত বার আমার মাথায় প্রতিধবনি হচ্ছে, “দই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না”!

দই খাওয়ার লোভে গিয়েও যদি একটা বই এর দুটো পাতা পড়ি তাহলেও খারাপ কি?

যদি মনের চোখ অসুস্থ হয় সারাবেন না, সারালেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়বেন

কোন দোকান বা চেইন শপ থেকে কেনাকাটার সময় যদি একবার তাদের মোবাইল নাম্বার দেন তাহলে আপনি শেষ। আপনাকে প্রতিদিন ওরা এত যত্নের সাথে এসএমএস পাঠাবে যে আপনার পরিবারের লোকজনও আপনাকে এত মনে রাখে না। এখন কেউ এসএমএস পাঠাতে পারে আবার আপনি চাইলে এসএমএস নাও পেতে পারেন বা ভোক্তা হিসাবে সেই অধিকার আপনার আছে। আপনি ঐ শপে গিয়ে বলবেন যে আমি এসএমএস চাই না, আপনাকে শোনাবে স্যার আমাদের এসএমএস বন্ধ করার সিস্টেম নাই, ম্যানাজার নাই, বন্ধ করা যায় না, আমাদের অনলাইন সাপোর্ট এ যোগাযোগ করুন । এরপর আপানাকে তাদের অনালাইন বা ফোন সাপোর্ট এ যোগাযোগ করে আর একবার আপনার মোবাইল নাম্বার তাদের জানিয়ে দিয়ে তাদের অনুরোধ করতে হবে। কাজ হলে হতে পারে, নাও হতে পারে। তত দিন ঐ ফোন সাপোর্ট কম্পানি আপনার মোবাইল নাম্বার আরও ১০০ জনের কাজে বেচে দিয়েছে তাদের কাছে ফোন করে আপনি এসএমএস বন্ধ করার কোন সুযোগ পাবেন না। যারা একটু বড় যেমন ধরেন গ্রামীন ফোন এরাও বলে যে এসএমএস বন্ধ করা যায় না বা সব এসএমএস বন্ধ হয়ে যাবে তাহলে। তখন আপনাকে খুব গম্ভীর ভাবে বা চেচামেচি করে বলতে হবে যদি কাজ হয়, আমার হয়েছে। তবে যাদের কোণ সাপোর্ট নাম্বার নাই যেমন অমুক তমুক ফার্নিচার কম্পানী, তমুক কম্পানী যারা প্রিন্টার এর কালি বেচে তাদের আপনি কোথায় পাবেন কিন্তু এসএমএসতো আপনার ইনবক্সে এসে ভরে যাচ্ছে।

মোবাইল নাম্বার দেশের কিছু আইটি কম্পানীও বেচে। তারা ইমেইল এড্রেসও বেচে। তাদের কাছে মোবাইল এসএসএস বা ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য গেলে তাদেরকে আপনার মোবাইল নাম্বার ডাটাবেস বা ইমেইল ডাটাবেজ দিতে হবে না, ওরাই আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে কয় লাখ লাগবে? সেই কয় লাখের ভেতর আবার দেখা যাবে ২৫% ফেক অথবা ডুপলিকেট !

দেশে এসএমএস সার্ভিস প্রোভাইড করেও নির্দিষ্ট কিছু কম্পানী, তারা কারা আমরা জানি। ৫০% ক্ষেত্রেই তাদের সার্ভিস এর অপব্যবহার করা হয়, এসএমএস থেকে অপটআউট করার সুযোগ তারা রাখেন না, কেন ?

গতকাল একজন বিশাল আইটি এন্ট্রাপ্রানারকে দেখলাম পাঠাও এর প্রাইভেসি সম্পর্কিত ভিডিও শেয়ার দিতে ‘অথচ’ শ্রেদ্ধেয় বড় ভাই বিভিন্ন জায়গা থেকে ইমেইল খুঁজে খুঁজে অসংখ্য জিমেইল একাউন্ট খুলে ইমেইল পাঠাতেন যা বন্ধ করার সুযোগ ছিল না। আমার ব্যক্তিগত ইমেইলে ফিল্টার যুক্ত করে তার ইমেইল গুলো স্প্যাম করে রক্ষে পেয়েছি। এদেশে ইমেইলে যারা নিউজ লেটার পাঠায় তাদের ইমেইল গুলো বেশির ভাগ কুচুরি পূর্ণ, ৪/৫ রং ব্যবহার, কোন সৌন্দর্যবোধ নাই, সবচেয়ে বিপদজনক ব্যাপার তারা অসংখ্য মানুষকে সিসি করেন, সিসিতে থাকা প্রতিটি ব্যক্তি একে অপরের পরিচিত না হয়েও এক্সপোজ হয়ে যাচ্ছেন। ইমেইল গুলো কম্পানীর ইমেইল এড্রেস থেকে পাঠায় না, নতুন নতুন জিমেইল এড্রেস থেকে পাঠায়। এই সব ইমেইল থেকে আপনি কোণ ভাবেই অপটআউট করার সুযোগ পাবেন না কারন এরা কোন স্টান্ডার্ড ইমেইল নিউজলেটার সার্ভিস ব্যবহার করে না।

অনলাইন শপ গুলো অর্ডার দিলে ২০% ক্ষেত্রে সময় মত আসে না অথবা ভুল প্রডাক্ট পাঠায়। আমার অবশ্য কোন সমস্যা নাই তাতে কারণ আমি কারো কাজ থেকে কোন ভালো সার্ভিস আশা করি না যদিও আমি অপ্টিমিস্টিক পার্সন।

সাম্প্রতিক পাঠাও এপ এসএমএস, ইনবক্স ইত্যাদি চুরি করছে নিয়ে আপসেট, আমি আপসেট না। কেন না তা আমি আর লিখব না।

একটা গল্প আছে, যারা এক কান কাঁটা সে গ্রামের পাশ দিয়ে হাটে, যার দুই কান কাটা সে গ্রামের ভেতর দিয়ে হাঁটে।

আমার ৩২ বছরের জীবনে শিক্ষা হচ্ছে আমাদের দেশে মাস পিপল এর সাথে জড়িত যে ব্যবসা গুলো সেগুলো ভালো করতে হলে আপনাকে শুধু দুই কান কেটে না পারলে দুই কানা কেটে ল্যাংটা হয়ে গ্রামের ভেতর দিয়ে হাঁটতে হবে।

সবাই ভালো থাকুন, মানসিক এবং শারীরিক ভাবে শুস্থ থাকুন তবে যদি মনের চোখ অসুস্থ হয় সারাবেন না, সারালেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়বেন।

আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে

কে বেশি শক্তিশালী?

পজেটিভ চিন্তা করার শক্তি আর নেগেটিভ চিন্তা করার শক্তি প্রায়ই একই, তবে এরা একে উপরের বিপরীত। খুব প্রচলিত একটা উদাহরন চালু আছে “একটা গ্লাসের অর্ধেক পানি ভরে বা ফুল গ্লাসের অর্ধেক পানি ফেলে দিয়ে কারও সামনে রাখা হয় তাহলে কেউ ভাববে অর্ধেক পানি নাই, কেউ ভাববে অর্ধেক পানি আছে।” এটা হয়তো আপনার নিজস্ব পছন্দ আপনি অর্ধেক পানি আছে র দলে যাবেন নাকি অর্ধেক পানি নাই এর দলে যাবেন। একই ভাবে আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার এই দলীয় অংশগ্রহন অবশ্যই আপনার আশেপাশের দলের লোকদের প্রভাবিত করবে। আপনার নেগেটিভ চিন্তা শক্তি দিয়ে আপনি একজন পজেটিভ চিন্তা লোককে সর্বদা যেমন ব্যস্ত রাখতে পারবেন আবার পজেটিভ চিন্তার লোক আপনাকে নেগেটিভ চিন্তা থেকে দূরে রাখতে পারে। এটা নির্ভর করছে কার শক্তি কেমন তার উপর নয়, নির্ভর করে কে কতটা শক্তিশালী তার উপর। এর মানে হচ্ছে আপনি পজেটিভ চিন্তা করলেই জিতে যাবেন তা নয় বা আপনি নেগেটিভ চিন্তা করেন বলে হেরে যাবেন তা না। বরং আপনি আপনার পজেটিভ বা নেগেটিভ চিনার শক্তিতে কতখানি শক্তিশালী তার উপর নির্ভর করছে।