How Not to Ask Job

শেষের থেকে শুরুঃ

কঃ সকালে অফিসের ইমেইল খুলেই একটা মেইল পেলাম, যার সাবজেক্ট আপনার কম্পানীতে চাকুরি করতে চায়, মেইলের কনটেন্টে সিভি এবং ওয়ার্ক স্যাম্পল আছে কিন্তু ইমেইলটা করা হয়েছে আরো ৮-১০টা কম্পানীকে সিসি করে ! এরে আমি কোন উপদেশ দেব না , এ আমার থেকেও বেশি বুঝে।

খঃ দুই দিন আগে তখন রাত ‘১২টা’, একজন স্কাইপতে যুক্ত করল, আমি বলাম, “who is there ?” সে রিপ্লাই দিল “I am here” !, এরপর তার পরিচয় জানতে চাইলে, প্রায় সব কিছু জানালো একবারে আর সাথে সে ওয়েল নোন কম্পানীতে চাকরী করার ইচ্ছা পোষন করল, নিজের স্কিল গুলো জানালো … আমি তাকে একটা প্রফেশনাল টিপস দিয়ে শেষ করলাম, “তুমি যদি কোন কম্পানীতে চাকরী চাও তাহলে সেই কম্পানীর বসকে রাত ১২টার সময় স্কাইপতে যুক্ত কর না”

ধন্যবাদ

Basic Rules for Asking Help in Public Forums

পাবলিক ফোরামে কিভাবে সাহায্য চাইবেন ?
=> ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যবর্তী সময়টুকুতে আমি পড়ালেখা এবং কাজের চেয়ে বিভিন্ন ফোরামে অনেক সময় দিয়েছি, এর আগেরআরো অনেক বেশি। এমনকি “আমাদের প্রযুক্তি” নামে একটা বাংলা ভাষার টেকনোলজি জিজ্ঞাসা উত্তর ফোরাম দীর্ঘদিন চালিয়েছিলাম(এখন রিসোর্সের অভাবে বন্ধ বা প্রাইভেট করা রাখা কারণ ফেসবুকের কল্যানে মানুষকে সাধারণ ফোরাম সাইটগুলো আর বেশি টানে না !)। আমার অভিজ্ঞতা বলে, সাধারনত কিভাবে প্রশ করতে হয় সেটাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনেকে জানে না। অনেকের প্রশ্ন করার ধরন এই রকমঃ
ধরন-১ঃ যারা ঝেড়ে কাশে না এবং প্রশ্নের ভেতর কোষ্ঠ কাঠিন্য থাকে
প্রশ্নঃ আমার কোড কাজ কারছে না , কি করব ?
=> এই ধরনের প্রশ্নে, প্রথমতই পালটা প্রশ্ন করতে হয় আপনার কোডটা শেয়ার করেন। মানে দাড়ালো কেউ যদি একবারেই কোড শেয়ার করে স্পেফিসিক ভাবে জানান যে আমি এই কোড করেছি, কোডের এই জায়গাটা কাজ করছে না তাহলে যে কেউ সহজে সাহায্য করবে। অনেক সময় প্রশ্ন দেখেই শরীর জ্বলে যায় টাইপ অবস্থা হয় ।
ধরন-২ঃ প্রফেশনাল প্রজেক্ট নিয়ে ফোরামে এসে একে ওকে দিয়ে করিয়ে নেওয়ার ধান্ধা
প্রশ্নঃ এই রিকোয়ারমেন্ট ক্লায়েন্ট আমাকে পাঠিয়েছে, কিভাবে করব ?
=> ফোরামে রিকোয়ারমেন্ট পোস্ট করা উচিৎ না, আপনি যখন কোন প্রজেক্ট নিয়েছেন মানে আপনি সেইটা সম্পর্কে ৭৫% এর বেশি জানেন এবং আপনার কনফিডেন্স আছে আপনি পারবেন। আপনি ফোরামে নির্দির্ষ্ট কোন সমস্যা নিয়ে পোস্ট করলে সহজে উত্তর পাবেন।
ধরন-৩ঃ অস্পষ্ট স্ক্রীনশট দেওয়া বা এলাইনমেন্ট নাই এমন কোড পেস্ট বা শেয়ার করা
প্রশ্নঃ ভাই এইটা আমার কোড এটা কাজ করছে না
=> আপনার কোড দেখে কি আপনি বুঝতে পারছেন ? যদি স্ক্রীনশট দিতে হয় তাহলে পরিস্কার করে বড় স্ক্রীনশট দিন, স্ক্রীনশটে এনোটেট করুন। কোড শেয়ার করলে কোড এ কমেন্ট করে প্রব্লেম কোন লাইনে পাচ্ছেন বুঝিয়ে বলুন, এরপর অবশ্যই সমাধান পেয়ে যাবেন
ধরন-৪ঃ প্রশ্ন করার সাথে সাথে উত্তর এর জন্য মন্তব্য করতে থাকা
প্রশ্নঃ আমার প্রশ্নের উত্তর কেউ কেন দিচ্ছেন না ?
=> আপনি মাঝ রাতে প্রশ্ন করতে পারেন, অফিস এর বিজি আওয়ারে প্রশ্ন করতে পারেন, আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। যারা যে ফোরাম বা গ্রুপে প্রতিনিয়ত আসেন তারা দিনের নির্দির্ষ্ট সময় একবার হলেও ঢু মারেন। তাই আপনার প্রশ্নের উত্তর এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে এবং সেই সাথে নিজেও চেস্টা করবেন। যদি সমাধান পেয়ে যান তাহলে মূল পোস্ট এবং কমেন্ট জানিয়ে যাবেন, সাথে কি সমাধান পেলেন সেইটাও জানাবেন।
আরো অনেক ধরন আছে, আপাতত এই টুকু।

প্রতিমা ভেঙে ফেললে কি মনের ভেতরে যে প্রতিমা লুকিয়ে থাকে তা হারিয়ে যায় ?

স্মৃতিচারণঃ
প্রতিবছর দুর্গাপূজা আসলে মনে এবং শরীরে একটা অন্যরকম অনুভূতি জেগে উঠে। আমাদের বাড়ির সবচেয়ে কাছে যে মন্দিরটি তার আলোক সজ্জা আমাদের বাড়ি থেকে দেখা যেত। ঢাকের বাড়ি যেই শুরু হত মনের ভেতর সুরসুরি কবে ঠাকুর (প্রতিমা) দেখতে বের হব। তখনকার সময়ে বাটা থেকে লাইলন বা প্লাস্টিক সাদা জুতা পাওয়া যেত, সাথে ইংলিশ প্যান্ট(মানে হাফ প্যান্ট) আর একটা ফুলহাতা জামা ছিল প্রতি পূজোর নিদেনপক্ষে চাহিদা। পাশের মন্দিরটা খুব কাছে হওয়াতে প্রতিমা বানানো দেখা আমার জন্য নেশা ছিল। আমি প্রতিদিন স্কুল থেকে এসেই অন্তত একবার ছুটে যেতাম মন্দিরে। প্রথম দিকে খড় আর সুতা দিয়ে বিড়ে বানাতো (প্রাথমিক কাঠামো), এরপর কাঠ বাঁশের পাটাতনের উপর প্রতিমা বসানো হতো। এরপর শুরু হত মাটি আর পানি দিয়ে প্রতিনিয়ত পালিশ। আস্তে আস্তে তৈরি হয়ে যেত সুন্দর প্রতিমা। আমার সবচেয়ে আগ্রহ হত কিভাবে অসুরকে বানানো হচ্ছে, বাঘটা কতখানি হিংস্রমূর্তি ধারণ করছে। প্রতিমার হাতের আঙুল আর মাথা বসানো দেখার ইচ্ছা হত সবচেয়ে বেশি। আর শেষের দিকে পর্দা টানাঙো হতো রং করার সময়। অনেকটা এই রকম যে, পূজা শুরুর দিন সবাই একবারে পোশাক পড়ানো প্রতিমা দেখবে।

প্রতিমা বানানোর প্রতিটা ধাপ, যে পরম মমতা দিয়ে ভাস্করের তৈরি করে তা নিয়ে চিন্তা করতেই অন্য রকম একটা অনুভূতি আসে। এইযে আমি এখন প্রতিদিন অফিসে এসে যেমন এক মনে প্রোগ্রামিং বা কোডিং করি ওরাও সুচালো হাতে নিখুঁত ভাবে তৈরি করে। সেই সময় আমার কাজ ছিল মন্দির থেকে এসেই বাড়িতে বসে ছোট প্রতিমা বা রেপলিকা তৈরি করা। আমিও লেগে যেতাম খড়কুটো নিয়ে। মা মাঝে মাঝে রাগ করত কারণ অদ্ভুত ভাবে এই বাড়ি আগে যাদের ছিল সেই বাড়ির একটা ছেলে নাকি নিজে কালি প্রতিমা বানিয়ে পুজো করত আর একদিন সে আত্মহত্যা করে কি কারণে। তাই আমাকে প্রতিমা বানাতে দেখে মা ভয় পেত। যাই হোক, মার বকা খেয়েও আমি বানাতাম। প্রতিমার জন্য ছোট্ট একটা ঘর আর সেই ঘরের ভেতর আমিও মন্দিরের ভাস্করের মত প্রথমে খড় আর সুতো দিয়ে প্রাথমিক কাঠামো বা বেড়ি, তারপর পানি আর মাটি দিয়ে লেপতে থাকা। আমার সবচেয়ে বড় দূর্বলতা ছিল আমি কোন ভাবেই হাতের আঙুল আর মাথা বানাতে পারতাম না। আমার প্রতিটি প্রতিমার হাতের আঙুলগুলো অসম্ভব বড় হত (মানে রেশিও অনুসারে হত না) আর মাথা বানাতে পারলেও তার চোখ নাক কিছু বুঝা যেত না।

একদিন স্কুল থেকে এসে, দেখি আমার ছোট প্রতিমা আর মন্দির তচনচ। বাড়ির লোকজনের কাছে জিজ্ঞাসা করতে জানতে পারলাম দুইটা কুকুর মারামারি করতে গিয়ে আমার প্রতিমা ভেঙে ফেলেছে। আমি সেকি কান্না। এত কষ্ট পেয়েছিলাম। আজ হঠাৎ মনে পড়ে গেল। আচ্ছা বড় বড় প্রতিমাগুলো যখন কথিত দূর্বৃত্তরা ভেঙে দেয় তখন ঐ ভাস্কররেরা কি মনে অনেক কষ্ট পায় ? আর যে মানুষগুলো একটা বছর অপেক্ষা করে থাকে প্রতিমার মুখ দেখবে তারা যখন মন্দিরে গিয়ে দেখে প্রতিমার মাথা কেউ ভেঙে ফেলেছে তারা কি মনে কষ্ট পায় ? প্রতিমা ভেঙে ফেললে কি মনের ভেতরে যে প্রতিমা লুকিয়ে থাকে তা হারিয়ে যায় ?

পাগল

যা পাগল তোকে মুক্ত করে দিলাম ছুটে যা ইচ্ছা খুশি
ছুঁয়ে আয় সুউচ্চ হিমালয় কিংবা ডুব দিয়ে আয় সাগরের তলা থেকে।
আষাঢ়ের ঘন বর্ষায় কাক ভেজা হয়ে ইচ্ছে হলে ঘরে ফিরিস
কিংবা ঝির ঝির বৃষ্টিতে গায়ে কাঁদা মেখে মাঝ উঠানে নাচিস তা-ধিন।
চৈত্রের খাঁ খাঁ রোদে পুড়ে মর, সারা দিন পথে হেঁটে –
এক হাঁটু ধুলোর সর পায়ে মেখে দিন শেষ ইচ্ছে হলে ঘরে ফিরিস।

যা পাগল তোকে মুক্ত করে দিলাম উড়ে যা ইচ্ছে খুশি।
আটকে থাক জ্যামের ভেতর ঘন্টার পর ঘন্টা, ঘামে ভিজে পরীক্ষা দে ধৈর্য্যের।
ইচ্ছে হলে দিন শেষে ঘরে ফিরিস ।

১৯/০৪/২০১৪, কাটাবন
~ মানচুমাহারা

Search User by Display Name in WordPress Sitewide

In wordpress in backend or if you use wordpress user query ‘WP_User_Query’ by default it will not search by display_name even if you add display_name in “search_columns” field of WP_User_Query
So, this can be achieved by this small filter https://gist.github.com/manchumahara/9910185 (after add this code now if you search in your wordpress admin panel for user with their display name it will work)

ref: https://codex.wordpress.org/Class_Reference/WP_User_Query

হিসেব নিকেশ

আমরা সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় উঠে আমাদের হিসাবের খাতা মেলে ধরব
ঠান্ডা হিম শীতল বাতাস আমাদের আন্দোলিত করবে আর
হিসাবের খাতা থেকে একটা একটা করে পাতা উড়ে যাবে অজানা ঠিকানায়।
আমরা পাতা বিহীন একটা মলাটের খোলস নিয়ে নীচে নেমে আসব।
আমরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসব,
একজন আরেকজনের নাক টিপে দেব।

কাটাবন, ১১.০৩.২০১৪