I found that when we post job in social media if salary is not handsome some people started to use negative comments and slang languages sometimes. I recorded a video about my thoughts
বুদবুদ
আমিতো ঘুমে ডুবে ছিলাম,
স্বপ্নে যখন বুদবুদ ছাড়লাম
ঠিক – ঠিক তখনি তুমি বুঝলে আমার খিদে পেয়েছে!
For the Sake of Bloody Story!
সিনেমায় ধর্ষনের দৃশ্য রসিয়ে রসিয়ে কেন দেখানো হয়? এই প্রশ্নের উত্তর সবাইকে খুঁজতে হবে। সিনেমায় ধর্ষনের দৃশ্য দেখানো বন্ধ করতে হবে। অবশ্যই এই ধরনের ঘটনা বুঝানোর জন্য বিকল্প উপায় বের করা যেতেই পারে এবং তা খুব বেশি কঠিন নয়।
অফিস থেকে বাসায় ফিরে টিভি দেখছিলাম, চ্যানেলের নাম মনে নেই, রিমোট চাপতে চাপতে সামনে যা আসে টুকটাক দেখি। জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার এর প্রস্তুতি নিয়ে একটা টিভি প্রতিবেদনে এফডিসি গিয়ে টিভি সাংবাদিক বেশ কয়েকজনের ছোট ছোট মন্তব্য নিলেন। এক নায়িকা বার বার জোর দিয়ে বলল, অবশ্যই যেন ভালো ভালো গল্প লেখা হয় এবং সেই গল্পে সিনেমা তৈরি হয়। বিষয়টা আমাকে বেশ ভাবালো। চিন্তা করে দেখলাম গল্পের প্রয়োজনে সাহসী শট গুলো নায়িকাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় অথচ গল্পটা সিনেমা সংশ্লীষ্ট কেউ না কেউ লেখে। এই বিষয়টা নিয়ে আমার মাথায় একটা দুষ্টু গল্প এসে হাজির হয়েছিল কিছুদিন আগে যা আমার এক বন্ধুর সাথে শেয়ার করেছিলাম যদি এটা দিয়ে একটা শর্টফিল্ম বানানো যায়। দেখি সময় সুযোগ পেলে আমিই বানাবো। তাহলে গল্পটা বলি।
গল্পঃ
নতুন একটা সিনেমা রিলিজ হয়েছে আর তা নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেছে। রেডিও, টিভি, ফেসবুক সব জায়গায় বিরাট আলোচনা চলছে সিনেমার একটা দৃশ্য নিয়ে।
পরিচালক বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তব্যে বলছেন, ” এটা আর্ট হিসাবে নিতে হবে, আর তা ছাড়া গল্পের প্রয়োজনে এই রকম কিছু হলে ক্ষতি কি? আমরাতো মানুষের জীবনের গল্পই দেখাচ্ছি … ”
নায়ক আর এক কাঠি সরেস, ” হ্যাঁ দৃশ্যটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল, নায়িকা বেশ হেল্প করেছে আমাকে আর আমি চেষ্টা করেছি পুরাটা দেবার জন্য … ”
নায়িকা বরাবরের মত, ” গল্পের প্রয়োজনে এই রকম সাহসী শটতো দিতে হয়। আমার পরিবার সব সময় আমার পাশে থাকে তাই গল্পের প্রয়োজনে যে কোন ধরনের অভিনয় করতে আমার কোন ভয় লাগে না। আমার হাজব্যান্ড এই ব্যাপারে আমার প্রতি বেশি সাপোর্টিভ … ”
প্রযোজক এড়িয়ে গেলেন, ” আমি এখনো সিনেমাটা দেখার সুযোগ পাইনি, আশা করি সব সমালোচনা পেছনে ফেলে সিনেমাটা দর্শকের মন জয় করতে পারবে … ”
অবশেষে অনেক খুঁজে বের করা হল সিনেমার গল্প যিনি লিখেছেন মানে কাহিনীকার। তার বক্তব্য, “আমিতো লিখেছিলাম বিদ্যুৎ না থাকায় লিফট বন্ধ ছিল , নায়ক নায়িকা সিড়ি বেয়ে হেঁটে উঠে ৬ তলায়, বাসায় ঢুকেই দুইজনের শ্বাসপ্রশ্বাস ঘন হয়ে আসে … ! ”
ধন্যবাদ
ফেসবুক ভিত্তিক ব্যবসা আর ফুটপাথের ব্যবসার ভেতর তেমন কোন পার্থক্য নাই
ফেসবুক ভিত্তিক ব্যবসা আর ফুটপাথের ব্যবসার ভেতর তেমন কোন পার্থক্য নাই। প্রথম লাইন পড়েই যারা ফেসবুকে ভিত্তিক ব্যবসা করেন তারা আমার উপর বিরাট খেপে যাবেন, মুখে গালি আসবে, অভদ্রতার খাতিরে সেই গালি দিয়েও দিতে পারেন। মাঝে মাঝে যখন ফুটপাথ থেকে হকার উচ্ছেদ হয় তখন হকাররা হাই হাই শুরু করে, বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ মানি না, মানবা স্লোগান দেয় অথচ ফুটপাথে ব্যবসাই অবৈধ। অবৈধ ব্যবসা তুলে দেওয়ার বৈধতা না মানাও অবৈধ কার্যক্রম। ফুটপাথে বাদাম ফুট বেচা সাময়িক বা ভ্রাম্যমান ব্যবসা হতে পারে।
প্রায় ৭/৮ মাস ধরে ফেসবকে Slovakia, Cambodia, Guatemala সহ আর কিছু দেশে ব্যক্তগত প্রোফাইলে বিজনেস পেজের আপডেট দেখাচ্ছে না। ফলাফল স্বরূপ প্রায় ৮০-৯০ ভাগ ভিজিটর কমে গেছে। ঐদেশ গুলোতে একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে টাকা দিয়ে বিজ্ঞাপন দিলেই শুধুমাত্র কোন পেজের সেই পোস্ট ব্যক্তিপ্রোফাইলে দেখাবে।
গত দুই বছরে দেশে ব্যাঙের ছাতার মত ফেসবুকে কমার্স শুরু করছে অনেকে, কেউ কেউ ভালো ব্যবসা করতেছে কিন্তু সামনে যখন বাংলাদেশেও ফেসবুকের নিউজ ফিডের পরিবর্তন আসবে এই ব্যবসা ঠিকবে না বার ফেসবুক থেকে হকার উচ্ছেদ এর মত ঘটনা ঘটবে। হাবিজাবি ২৪ নিউজ গুলোও ধাক্কা খাবে যাদের একমাত্র ট্রাফিক ফেসবুক এবং একমাত্র আয় গুগল এডসেন্স আর নিউজের একমাত্র সোর্স প্রতিষ্ঠিত নিউজ সাইট থেকে নিউজ কপি করে পেষ্ট করা।
ফেসবুক আসার আগে দেশীয় সাইট গুলোর একটা অর্গানিক থ্রোথ ছিল। দেশীয় একটা সাইট থেকে অন্য সাইটে যেত অনেকে। দেশিয় সাইটে ট্রাফিক আনার এখন একমাত্র সহজ লভ্য মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক, অন্য উপায় গুলোর অনেক খরচ যেমন রেডিও, টিভি, পেপার কাগুজে কপিতে বিজ্ঞাপন, বিলবোর্ড ইত্যাদি। ফেসবুক যদি তাদের নিউজ ফিডে পরিবর্তন করে তাহলে দেশীয় সাইট গুলোর মার্কেটিং নিয়ে যারা কাজ করে তাদের অবশ্যই নড়েচড়ে বসতে হবে।
এখনি সময় ফেসবুকের বিকল্প চিন্তা করতে। প্রয়োজনে ফেসবুক বা এই রকম যে সাইট গুলো আমদের নিজেদের ইকো সিস্টেমে অনেক বেশি প্রভাব ফেলছে সেই গুলো আগামি ৫ বছরের জন্য বন্ধ রাখা। এতে করে অনলাইন বেসড বিজনেস এর সঠিক ভাবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিৎ করা যাবে।
ভাই ঘুষি যখন মারবেন তখন একটু আস্তে মাইরেন
ধরুন একটা গুন্ডা টাইপ লোক, যাকে আপনি কোন ভাবেই বুঝাতে পারছেন না এবং সে আপনাকে ঘুষি দিবেই। এই পরিস্থিতিতে আপনি যদি গুন্ডা মানুষকে বলতে পারেন, ভাই ঘুষি যখন মারবেন তখন একটু আস্তে মাইরেন।
যদি আপনার কথা শুনে হেসে ফেলে তাহলে নিশ্চিত আপনি ঘুষি থেকে মুক্তি পাবেন। যদি তাও না হয় সে লজ্জা পেয়ে আস্তেই ঘুষি দিবে। এবং আপনি তাকে এটা মানতে বাধ্য করছেন যে লোকটা ঘুষিখোর।
এখন একজন গুন্ডা ঘুষিখোরের যদি আপনি আত্মসম্মান বাড়াতে পারেন তাহলে কেল্লা ফতে।
অবশ্য অতীত ইতিহাস যা বলে, মানুষের আত্মসম্মান বাড়ানো খুব কঠিন কাজ। একবার দেশে আলোচিত একটা ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছিল। যেখানে মা বলেছিল, বাবা আমার মেয়েটা খুব ছোট তোমরা একজন একজন করে আসো। যদি ধর্ষন ইচ্ছুক বা ধর্ষকদের সামান্যতম আত্মসম্মান বোধ থাকত তাহলে এই কথা শুনে তাদের মুখ নিচু করে চলে যাবার কথা ছিল।
তাই অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ভাই আস্তে ঘুষি মাইরেন এটা বলেও ঘুষি মারা থামানো যাবে না।
কিছুদিন সময় দিলে অনলাইন কোচিং আর লোকাল কোচিং মাঝামাঝি জায়গায় এসে হ্যান্ডশেক করবে
যদি লোকাল কোচিং সেন্টার গুলো ২ ঘন্টা বা ১০ ঘন্টা স্কুল নামে অনলাইন লার্নিং সাইট খুলে তাহলে এদের হোয়াইট লিস্ট করে নিবেন? কেন জিজ্ঞাসা করছি কারণ কোচিং সেন্টার এর বিজনেসকে ভালো চোখে দেখে না অনেকে। লোকাল কোচিং সেন্টারগুলোর কিন্তু নলেজ বেস রেডি, শুধু তাদের দরকার ভিডিও লেকচার রেকর্ড করা এবং তারা প্রতিদিন এতো বেশি ক্লাস নেয় যে দুই একদিন প্রাকটিস করলেই যে কোন ক্লাস পুরাটা ভিডিও করলে অনলাইন লেকচার হিসাবে চালিয়ে দিতে পারবে। এরপর এরা ২ ঘন্টার ক্লাস থেকে ১০ মিনিটের মিনি ভিডিও বানিয়ে ফ্রি দিবে, এর পুরাটা দেখতে হলে টাকা লাগবে। অন্য দিকে যারা ১০ মিনিটের ভিডিও বানাচ্ছে তারা কিছুদিন পর দুই ঘন্টার ভিডিওর জন্য টাকা চাইবে।
এরপরের দিন দুইজন শিক্ষিত ব্যক্তি আসলেন একইভাবে ধান খেতের আইল ধরে
নড়াইল জেলায় একজন কবি ছিলেন(উনি মারা গেছেন) নাম বিপিন সরকার। উনি স্বভাব কবি বিপিন সরকার নামে পরিচিত। আমাদের বাড়ির পাশে রহমান চাচা ছিলেন। উনি শেষ বয়সে সময় কাটানোর জন্য একটা ছোট মুদি দোকান রাস্তার পাশে চালাতেন, বসে থাকতেন, বই পড়তেন এই রকম। আমি মাঝে মাঝে উনার দোকানে গিয়ে উনার সাথে গল্প করলাম। তখন হাই স্কুলে পড়ি না হলে প্রাইমারি। আমি এলাকার মুরুব্বী আরো একজনের সাথে মিশতাম , উনি জলিল চাচা। তার কাছ থেকে দাবা খেলা শিখেছিলাম। জলিল চাচা সময় কাটানোর জন্যই দাবা খেলতেন। যাই হোক, একদিন রহমান চাচার দোকানে বসে আছি, দেখি উনি একটা খাতা থেকে কিছু পড়ছেন, হাতে লেখা কিছু। জিজ্ঞাসা করলে বল্লেন, এটা স্বভাব কবি বিপিন সরকারের কবিতার একটা খাতা, উনাকে পড়ার জন্য দিয়েছেন। সেই দিন উনি বেশ কিছু কবিতা আমাকে শোনালেন যার একটা কবিতার অর্থ আমার এখনো মনে আছে।
কবিতা বা ছড়াটা ছিল ধান খেতের আইল নিয়ে, যারা ধান খেতে গিয়েছেন দেখবেন পাশাপাশি দুইটি জমি ভেতর সরু একটা পা দেওয়ার মত করে আইল বা রাস্তা তৈরি থাকে। এই আইলের উপর দিয়ে একজন মানুষই হাঁটা কষ্টকর হয়ে যায়, দুইজন যেতে গেলে ঝুঁকি থাকে। কবিতাটাতো মনে নেই তবে ভাবার্থ এই রকম যে, দুই ডাকাত ধান খেতের আইল দিয়ে হাটতে হাটতে সামনা সামনি পড়ছে, কেউ কারে রাস্তা ছাড়ে না। শেষ পর্যন্ত হাতাহাতি, মারামারি, সেই মারামারিতে দুই ডাকাতের তাদের স্ব স্ব গ্রামের লোকের অংশ গ্রহন(একে গ্রাম্য ভাষায় বলে কাইয্যা বা কায্যে) বিরাট হুলুস্থুল ব্যাপার।
এরপরের দিন দুইজন শিক্ষিত ব্যক্তি আসলেন একইভাবে ধান খেতের আইল ধরে সামনাসামনি। তারা উভয় উভয়কে যাওয়ার যায়গা দিতে গিয়ে দুইজনই আইল থেকে নেমে ধান খেতের কাঁদার ভেতর নেমে গেলে, দুজন দুজনকে সালাম দিয়ে চলে গেলেন।
জলিল চাচা চলে গেছেন অনেক আগে যার সাথে দাবা খেলতাম, আমার যদি ভুল না হয় রহমান চাচাও নাই এখন। তবে সেইদিন তার দোকানে বসে স্বভাব কবি বিপিন সরকারের যে কবিতা শুনেছিলাম তারই প্রতিফলন পেলাম সাম্প্রতিক লক্ষীপুরের একজন এডিসি এবং সাবেক সিভিল সার্জন এর কে পথ ছাড়বে সেইটা নিয়ে ঝগড়া থেকে হাতাহাতি, জেল জরিমানা ইত্যাদি নিউজ পড়ে। তবে বিপিন সরকারের কবিতার ডাকাত আর শিক্ষিত ব্যক্তি এখানে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে।
বিপিন সরকার বেঁচে থাকলে এই কবিতা পুনরায় লিখতেন এটা আমরা আশা করতেই পারি।
First Time Became WordPress Core Contributor
একটা ফাংশনে একটা অতিরিক্ত প্যারামিটার যুক্ত করে হয়ে গেলাম ওয়ার্ডপ্রেস 4.9 এর কোর কন্ট্রিবিউটার 🙂
আমি অবশ্যই বলতে চাই ওয়ার্ডপ্রেস এর কোর কমিটাররা খুবই আন্তরিক এবং হেল্পফুল। অন্তত আপনি কোন ইস্যু পোস্ট করলে দ্রুত উত্তর পাবেন, কোন প্যাচ পাঠালে দ্রুত যাচাই করে। অন্যরা যারা কোর কমিটার না কিন্তু রেগুলার ইস্যু গুলোতে কন্ট্রিবিউট করে তারা আপনাকে সাহায্য করবে।
যে কেউ https://core.trac.wordpress.org/ এখানে গিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস এর কোরের কোন বাগ পেলে ইস্যু সাবমিট করতে পারেন। যদি আপনি জানেন ফিক্স করার জন্য কি ধরনের কোড পরিবর্তন দরকার তাহলে তা করে প্যাচ আকারে সাবমিট করতে হবে।
অনেক সময় যখন আপনি কাস্টম কিছু বানাচ্ছেন হয়তো দেখছেন কোর কোডে নতুন কোন হুক যুক্ত হলে সুবিধা হবে বা কোন হুকে নতুন একটা প্যারামিটার থাকা যুক্তিযুক্ত আপনি সেই পরিবর্তন করে প্যাচ সাবমিট করতে পারেন। গ্রহনযোগ্য যে কোন কিছু খুব যত্নের সাথে ওয়ার্ডপ্রেস এক্সেপ্ট করে এবং বিষয়টা দ্রুত। আপনাকে কোন পেইন এর ভেতর দিয়ে যেতে হবে না এবং মনে হবে না যে কেউ আপনার রেকয়েস্ট নজরেই আনছে না।
ধরুন ব্যক্তি ‘ক’ ব্যক্তি ‘খ’ কে একটা ঘুষি দিল
ধরুন ব্যক্তি ‘ক’ ব্যক্তি ‘খ’ কে একটা ঘুষি দিল। এখন ব্যক্তি ‘ক’ কোন পেশার তার উপর নির্ভর করে পত্রিকার পাতার শিরোনাম লেখা হবে।
যদি ব্যক্তি ‘খ’ একজন সাংবাদিক হন তাহলে শিরোনাম আরো ইন্টারেস্টিং হবে।
যদি ব্যক্তি ‘ক’ সাধারণ মানুষের সাথে বেশি ইন্টারএকজশন হয় এই ধরনের পেশা যেমন পুলিশ, ডাক্তার, ইন্টার্ন ডাক্তার(এটা বিশেষ ভাবে লিখলাম), সরকারী অফিসার, ব্যাংক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ইত্যাদি হন তাহলে নিউজ এর টাইটেল এবং লেখার ধরনে আলাদা কিছু হবেই হবে।
মানে যে ঘুসি দিচ্ছে আর যে খাচ্চে তাদের পেশানুসারে নিউজ এর টাইটেল এবং খবরের গল্পটা সাজানো হয়। সাজানো হয় কারণ ধরুন কেউ দিনাজপুর থেকে পায়ে হেঁটে ঢাকা আসল সেইটা নিউজ হতে পারে ‘অমুক পায়ে হেঁটে দিনাজপুর থেকে ঢাকা আসল’ আবার কেউ লিখতে পারে ‘অমুক দিনাজপুর থেকে ঢাকা আসল’।
অন্যদিকে সাধারণ মানুষ সেই নিউজ এর টাইটেল এবং মূল খবর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা করে। যেমন ধরুন একবার একটা নিউজ এই রকম ছিল, ‘ডাক্তার ইনজেকশন পুশ করার পরপরই রোগী মারা যায়’ … এটা কোন মিথ্যা নিউজ ছিল না কারণ ডাক্তার ইনজেকশন পূশ করেছিল এটা যেমন সত্য এবং এরপর রোগী মারা গিয়েছিল সেটাও সত্য। তবে রোগী ছিলেন মরাপন্ন আর ডাক্তার প্রচন্ড সংকটাপন্ন রোগীকে যে চিকিৎসা দেওয়া উচিৎ ছিল সেইটাই দিয়েছেন, না দিলেও যে রোগী বাঁচত এটা কেউ দাবী করতে পারবে না আবার ইনজেকশন দেওয়ার কারণে যে রোগী মারা গেছে তা ঠিক নয় কারণ সেটা রোগীকে বাঁচানোর জন্যই দেওয়া হয়েছে। যেমন, প্রচন্ড জ্বর হলে রোগীকে ট্যাবলেট বা লিকুইড ওষূধ না দিয়ে পাছার ফুটো দিয়ে ডুকানোর ওষূধ দেওয়া হয় কারণ এটা সবচেয়ে তাড়াতাড়ি কাজ করে, ধরেন কেউ এই ওষূধ গ্রহন করার পরপর মারা গেল তাহলে নিউজটা কেমন হবে ?
“পাছার ফুটো দিয়ে ওষূধ ঢোকানোর পরপর রোগী মারা গেল !”
আমাদের সব পেশার মানুষের সাথে পেশায় নিযুক্ত থাকা কালীন সময়ে সাধারণ মানুষের সাথে ইন্টারএকশন হয় না। পুলিশ, ডাক্তার, ইন্টার্ন ডাক্তার(এটা বিশেষ ভাবে লিখলাম), সরকারী অফিসার, ব্যাংক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ইত্যাদি পেশার মানুষের বেশি হয়। অনেকসময় শরীর স্পর্শ করা বা খুব কাছাকাছি থেকে সেবা দেওয়া লাগে। শিক্ষিত মানুষ আর ভদ্র মানুষ আলাদা, কারো দুইটা গুন থাকে, কারো একটা এবং কারো কোনটাই থাকে। সমস্যাটা বাধে এই খানে। কেউ হয়তো একজন মহিলা পেশাজীবীর গায়ে হাত দিয়েই ডাকতেছে, “ওআপা ওআপা” … বিষয়টার ইমপ্যাক্ট অনেক রকম হতে পারে এবং সেই ইমপ্যাক্ট এর ফলাফল পত্রিকার পাতায় ভিন্ন ভিন্ন ভাবে লেখা হতে পারে, নির্ভর করবে ‘কে’ এবং ‘কাকে’ ঘুষিটা দিচ্ছে তার উপর।
দেখেন পূরা লেখার ভেতর কিন্তু “পাছার ফুটো দিয়ে ওষূধ ঢোকানোর পরপর রোগী মারা গেল !” এই লাইনটা আপনি বিশেষ ভাবে খেয়াল করেছেন। এখন যদি এটা নিউজের টাইটেল হয় তাহলে অনেক হিট হবে তাই না ? যদি রোগী ডাক্তারকে পেটায় সেই নিউজ কেউ খাবে না, কিন্তু ডাক্তার যদি রোগীকে পেটায় তাহলে সেই নিউজের টাইটেল কিন্তু লোকজন খাবে। ধরুন দুজন দুজনকেই পেটাল কিন্তু নিউজে করার সময় একটা নিউজ হাউজ কিংবা সাংবাদিক কিন্তু ‘ডাক্তার রোগীকে পেটাল !’ এটাকেই বেছে নিবে।
ধন্যবাদ
Ref: Facebook post
বাংলাদেশে আইটির উন্নতির জন্য ব্যক্তির চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক উন্নতি বেশি জরুরী
প্রথম ফ্রিল্যান্স শব্দটি শুনেছিলাম সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত একজনের কাছ থেকে। একজনকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আপনার পেশা কি বা কি করেন, উত্তরে উনি বলেছিলেন, আমি ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তাৎক্ষনিক ভাবে বুঝতে পারলাম না, ও আচ্ছা বলে সায় দিয়েছিলাম। পরে বুঝতে পারলাম, উনি স্বাধিন ভাবে সংবাদ সংগ্রহ করেন, সেটা কোন নিউজপেপারে কন্ট্রিবিউট করেন, বা নিউজ বেঁচেন , কোন কোন সময় ফিচার লিখে জমা দেন বা বিক্রি করেন।
এক সময় আমি প্রায় ২/৩ বছর ফ্রিল্যান্স পেশার সাথে ছিলাম। তবে আমি স্বাধিন ভাবে বেচতাম প্রোগ্রামিং এর দক্ষতা। আমি জানতাম এটা কখনই আমার সারাজীবনের জন্য পেশা হবে না। তখন ৬ মাস চাকরির(ওটাই আমার একমাত্র চাকরি যা পরে পড়ালেখা শেষ করার জন্য ছেড়ে দেই যা নিয়ে লিখতে গেলে আর একটা বড় গল্প হয়ে দাঁড়াবে) অভিজ্ঞতা ছিল। সব সময় মাথায় ছিল স্বাধিন পেশা থেকে এটাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার এবং সেটাই গন্তব্য হওয়ার কথা ছিল এবং আমি তাই করেছি। আমি বিশ্বাস করি না যারা এখন টেক ফ্রিল্যান্স করেন তারা যদি রিমোটলি কোন কম্পানীতে পার্মানেন্ট চাকরি না করেন তাহলে কেউ আগামী পাচ বা দশ বছর পর ফ্রিল্যান্স কাজ করবেন।
একটা দেশ এমনি এমনি গঠন হয় না, এটাতে পরিকল্পনা করে তৈরি করতে হয়। যেমন কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট একটা সময় প্রচন্ড লোডশেডিং থেকে মুক্ত হতে সহায়তা করেছিল বটে তবে তা পার্মানেন্ট সল্যুশন ছিল না কোন দিনই এবং হবার কথা না। একটি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য দরকার দীর্ঘ মেয়াদী এবং স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা। স্বল্পমেয়াদী আপনাকে আপাতত ঠেকার কাজ চালাতে সাহায্য করতে পারে তবে তা কিছুদিনের ভেতর অকার্যকর হবে এটা নিশ্চিৎ।
আলোচনার সুবিধার্তে যারা রিমোটলি কাজ করেন তাদের ফ্রিলান্সার না বলে যারা শুধুমাত্র অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করেন তাদের ফ্রিল্যান্সার হিসাবে ধরে নিচ্ছি।
একজন মানুষ তার জীবন ধারণের জন্য টাকা উপার্জন করবে এবং সেইটার একটা ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। যেমন, ৫ দিন অসুস্থ থেকে যদি অফিসে না যেতে পারেন আপনার চাকরিতে আপনি মাস শেষে পুরা বেতনই পাবেন। যিনি ব্যবসা করছেন বা কম্পানী চালাচ্ছেন তিনিও যদি অসুস্থ থাকেন তাহলে ৬ষ্ঠ দিনে তিনি আবার তার প্রতিষ্ঠানে ফিরবেন।
আইটিতে বাংলাদেশ মাত্র কিছু করা শুরু করেছে। আমাদের দরকার প্রচুর দেশীয় আইটি প্রতিষ্ঠান, দেশীয় আইটি প্রফেশনাল ( ফ্রিল্যান্সার নয়) এবং দেশীয় আইটি প্রডাক্ট ও সার্ভিস কনজুমার। দেশীয় প্রতিষ্ঠান গুলো অবশ্যই দেশী এবং বিদেশী উভয় শ্রেনীর ক্লায়েন্টকে সার্ভ করতে পারে। তবে শুধু মাত্র বিদেশী ক্লায়েন্ট নির্ভর হয়ে টিকে থাকা অনেকাংশে ঝুঁকি থেকে যায় যদি না প্রডাক্ট বা সার্ভিস যা অফার করা হচ্ছে তা শুধুমাত্র গ্লোবাল ক্লায়েন্টদের জন্য।
একজন ফ্রিল্যান্সার যদি একা ইনকাম করে পরিবারের চারো ৪-৫ জনের পেট চালান তাহলে একজন আইটি বিজনেস ম্যান ৫০ জন শনের খোরাক ম্যানেজ করছেন। একজন ফ্রিল্যান্সার যা আয় করেন একটা প্রতিষ্ঠান তার অনেক গুন আয় করছে। প্রতিষ্ঠান গুলো অনলাইন মার্কেট প্লেসের উপর যদি ১০% নির্ভরশীল হয় তো ফ্রিল্যান্সাররা প্রায় ৯০% ভাগ। প্রায় শুনি অমুক অনলাইন মার্কেট প্লেসে বাংলাদেশ থেকে কাউকে নতুন ভাবে এপ্রুভ করছে না আবার যদি একাউন্ট ব্যান করে দেয় তাহলে পুনরায় নতুন করে শুরু করতে হবে !
কয়েক বছর ধরে দেখছি সরকারী ভাবে যতটা না প্রতিষ্ঠান গুলোতে এগিয়ে নিতে সাহায্য করা দরকার তার চেয়ে বেশি আগ্রহ ফ্রিল্যান্সার তৈরিতে যা অবশ্যই হাস্যকর এবং এটা কোন ভাবেই দীর্ঘ মেয়াদী হতে পারে না। শিক্ষিত ত্রুনদের অনেকটা ভুল পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি একজন ব্যক্তি কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে যে রেটে নতুন কিছু শিখে বাসায় একা কাজ করলে তার ২০%ও শিখতে পারে না। অন্যদিকে অনেক বেশি ফ্রিল্যান্স পেশা নিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার কারণে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গুলো পেশাজীবি পাচ্ছে না, এগোতে পারছে না, অনেকে ডলারে আসক্ত হয়ে পড়ায় টাকার অংকে দেশীয় কম্পানীতে চাকরি করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
সাম্প্রতিক পেপাল এবং জুম নিয়ে অনেক বিতর্ক হচ্ছে আমি এটার ভেতর যাব না, সরকারের চিন্তা কেউ যেন হুন্ডি করে টাকা না আনে, আমার জানা মতে ফ্রিল্যান্সাররা এটা করে না, এটা করে শ্রমিক হিসাবে যারা দেশের বাইরে যায় তারা এবং এর কারণ হচ্ছে বৈধ পথে টাকা পাঠাতে অনেক খরচ। জুম দিয়ে শুধু ব্যক্তিগত টাকা আনা যায় , প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীক লেনদেন না অথবা যদি ওরা বুঝতে পারে এটা ব্যবসায়িক লেনদেন তাহলে সেই ট্রান্সজেকশন আটকিয়ে দিতে পারে।
কেন এত কথা বলছি ? ভাবুন দেশের সব শিশু স্কুলে না গিয়ে বাসায় বসে পড়ালেখা করছে। দেশীয় স্কুল কলেজ,ইউনিভার্সিটি সব বন্ধ। বিষয়টা ভাবতে অবাক লাগছে নিশ্চয়। যদি দেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রিকে সত্যিই এগিয়ে নিতে হয় তাহলে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে সকল প্রচারণা বন্ধ করুন, যদি কেউ ব্যক্তিগত আগ্রহ থেকে সাময়ীক কিছুদিনের জন্য করে সেটা ব্যতিক্রম হিসাবে নেই।
LICT প্রজেক্ট আলাদা করে না করে এই টাকা দিয়ে ভকেশনাল গুলোকে উন্নত করা যেত, এখন কেউ পাওয়ার টিলার চালানো শিখতে ভকেশনালে কেন কেউ যাবে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এখন যে ধরনের কোর্স করানো দরকার সেই গুলো চালু করা যেত, নতুন এবং আধুনিক কোর্স। অন্যদিকে ইউনিভার্সিটি থেকে যারা আইটির উপযোগী সাবজেক্ট থেকে বের হচ্ছে তাদের জন্য কোর্সকারিকুলাম ঢেলে সাজানো যেত, LICT প্রজেক্টের কিছু টাকা টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিগুলোকে দেওয়া যেত।
স্বল্প মেয়াদি এই সব কোর্স করে কোনদিনও প্রফেশনাল কাজ করা সম্ভব না বা এটা দেশকে দীর্ঘ মেয়াদী কিছু দিতে পারবে না। তাই যদি দেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিতে হয় প্রতিষ্ঠান টার্গেট পরিকল্পনা করুন, প্রযুক্তি টার্গেট পরিকল্পনা করুন, প্রফেশনাল তৈরি করুন তারা যেন ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করে প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য প্রস্তুত থাকে।
অনেকে শুধু অভিযোগ করে আমি পরামর্শ দিলাম। পরামর্শে মামুর বেটা বেজার হলে হোক।