শুরুতে একটু অন্য বিষয় নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোচনা করি।
ডিম ভাজাঃ
ঢাকায় কেউ খায় কিনা জানি না তবে আমাদের এলাকায় গেলে দেখি বাজারে ভ্রাম্যমান দোকান থেকে অনেকে ডিম ভাজা খায়। আমার খুবই হাসি পাই। বাজারে গিয়ে ডিম ভাজা খাইতে হবে !
দুধ চিনি লিকার ছাড়া চাঃ
অনেকেই দেখি চায়ের দোকানে গিয়ে বলে,
কঃ মামা দুধ চিনি বাড়ায় এক কাপ চা দেন
খঃ মামা চিনি বেশি কড়া লিকার এর এক কাপ চা দেন।
গঃ মামা কড়া লিকার ছোট্ট করে একটা চা দেন…
এই রকম বহুত প্যাচাল, আরে বিটা খাবি এক কাপ চা খাইলেই হল। দুধ বাড়াও চিনি কমাও লিকার ‘কড়াও’ এত ক্যাচালের দরকার কি ?
আমি অবশ্য মাঝে মাঝে তাড়াতাড়ি বলে বসে, “মামা দুখ চিনি লিকার ছাড়া এক কাপ চা দেনতো!” ঘটনা ঘটে, প্রথমে চাওয়ালা অনেক আগ্রহ নিয়ে চা বানানো শুরু করে পরে হ্যাং হয়ে যায় !
আরে বিটা ডিমের মালাইকারী খা !
আগে যখন হলে থাকতাম বিকালে বা সকালে ক্যান্টিনে যেতাম নাস্তা খেতে, রাতে পলাশী বাজারে যাইতাম পরটা খেতে, ইদানিং মাঝে মাঝে জগনাথ হলে দুই একদিন বন্ধু সুজিতকে নিয়ে নাস্তা করি ওদের হলে টেনিস কোর্টের ছোট ছোট দোকান থেকে। এবার আবারো সেই ডিম ভাজা নিয়ে ঝামেলা। পোলাপাইন হেব্বি ভাব নিয়ে এসে কেউ বলে
কঃ ডিমের পোচ
খঃ ডিমের কড়া ভাজি
গঃ ডিমের ঝুড়ি ভাজি
ঘঃ ডিম আস্ত পোচ
ঙঃ ডিম ভেঙে পোচ
… এই রকম হাজারটা রকম ডিম এর বাইনা। আমার এমন বিরক্তি লাগে, আরে *আল খাবিতো এক ডিম , কইলেই হয় ডিম ভাজি খাব
লতাপাতা ছাড়া চাঃ
অফিস থেকে আসার পথে কিংবা ছুটির দিনে পলাশাবাজার এর মোড় এ প্রায় যাওয়া হয়। উদ্দেশ্য এক কাপ রং চা খাওয়া। বিপত্তি হচ্ছে চা হলেই হল তা না, চায়ের ভেতর আদা, তেজপাতা, গরম মশলা হাবি জাবি তরকারী দিয়ে … আমি প্রতিদিন চা খাওয়ার সময় ঐ “লতাপাতা ছাড়া এক কাপ চা দে” , প্রথম দিকে সেই তরকারীসহ চা এনে হাজির করত, আমিও নাছর বান্দা প্রতিদিন সেই গুলো ফেলে দিয়ে আবার আনতে বলি।
মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রতিদিন ‘লতাপাতা ছাড়া চা’ বলতে বলতে এখন আমারে দেখলেই আদা টাদা ফেলে দিয়ে নিয়ে আসে। যদি ভুলেও যায় তাহলে আমার হাতে দেওয়ার আগে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আদা, তেজপাতা ফেলে আবার নিয়ে আসে। আমি মোটামুটি ‘লতাপাতা ছাড়া চা’ এর একটা নতুন ব্রান্ড চালু করে দিছি !