in Uncategorized

Vibe coding 2025/ভাইব কোডিং ২০২৫

Vibe coding/ভাইব কোডিং
——————————

মিলেনিয়াল প্রজন্মের ভাইব কোডিংঃ

সকালে দারুন কড়া এক কাপ কফি খেয়েছি। বাইরে সকাল থেকে ঝির ঝির বৃষ্টি হচ্ছে। কম্পিউটারে ইউটিউবে দেশোদ্ধার সম্পর্কিত গতকালের ভিডিও গুলো অডিও আকারে শুন্তেছি। কোডিং এডিটরে কিছু কোড লিখছি, টিমের কোড রিভিউ করছি । টিমের সাথে মাঝে মাঝে রিমোট কলে ছোট ছোট মিটিং করছি(এটা যদিও সারাদিন চলতে থাকে কারণ আমি প্রায় ৫০% এর বেশি এখন রিমোট ম্যানেজ করি)। আমরা যে সময়ে প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করেছি আমরা ভাইব কোডিং বলতে এই ধরনের কোডিং বুঝতাম। মূলত আমাদের সময় ভাইব কোডিং বলতে কিছু ছিল না। এইটা ২০২৪/২০২৫ এর দিকে আসছে।

জেঞ্জি/সাম্প্রতিক প্রজন্মের ভাইব কোডিংঃ

আমরা মিলেনিয়াল প্রজন্ম এনালগ থেকে ডিজিটাল যুগে এসেছি। বলায় প্রায় ১৮/২০ বছর পর্যন্ত আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করি নাই। অন্য দিকে জেঞ্জি শুরু থেকে মোবাইল এবং কম্পিউটার দেখছে। বর্তমানে ভাইব কোডিং শুব্দটা ট্রেন্ডি। উইকিপিডিয়াতে গেলে ভাইব কোডিং এর সংগা এভাবে পাওয়া যাবে “Vibe coding is an artificial intelligence-assisted software development style popularized by Andrej Karpathy in early 2025.[”

মানে হচ্ছে এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করে কোড করা যা artificial intelligence ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রমট ব্যবহার করেই কোড লেখা যেতে পারে। artificial intelligence এর লেখা কোড নিজে কিছু পরিবর্তন করা যেতে পারে। পরিবর্তিত কোড এর উপর আবার প্রমট লিখে artificial intelligence দিয়ে আরো উন্নত এবং নতুন ফিচার লেখার যে ব্যাপারটা এই প্রসেসই ভাইব কোডিং। যদিও artificial intelligence ইন্ট্রিগ্রেটেড প্রোগ্রামিং এডিটর ব্যবহার এখন একদম নতুন। নতুন কিছু অনলাইন এবং অফলাইন বেসড এডিটর এসেছে এবং আসবে। পুরাতন পপুলার এডিটর প্লাগিন বা এক্সটেনশন আকারে ফিচার গুলো নিয়ে আসতেছে।

ভাইব কোডিং এর কারণে কি প্রোগ্রামিং শেখার দরকার হবে না?

আসলে প্রোগ্রামিং শেখার ব্যাপারটা চিরকাল একই থেকে যাবে যদি কারো শেখার দরকার হয়। ভাইব কোডিং এর মাধ্যমে বিশেষ করে প্রফেশনাল কাজ গুলো এগিয়ে নেওয়া দ্রুত হবে, যারা প্রোগ্রামিং পারে না তারা অনেকে নিজেদের প্রয়োজন মত কিছু টেমপ্লেটেড টুল বানাতে পারবেন। তবে যখনই কাস্টম বা সৃজনশীল কিছু দরকার হবে তখন নিজের মেধা এবং প্রোগ্রামিং স্কিল এর দরকার হবেই।

শুরুর দিকে আমি চ্যাটজিপিটি বা এই ধরনের টুল গুলো আলাদা উইন্ডোতে রেখে চ্যাট এর মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করে কোড কিছু লিখে নেওয়া বা সহজ করে নেওয়ার কাজ করলেও এখন এডিটরে ইন্টিগ্রেটেড এক্সটেনশন ব্যবহার করা শুরু করেছি। অনেকেই আগে থেকে ভিজুয়াল স্টুডিও কোড , পিএইচপি স্ট্রম ব্যবহার করছে যা এআই এক্সটেনশন। কেউ কেউ কারসর এর মত নতুন এডিটর ব্যবহার করা শুরু করেছে।

ভাইব কোডিং কি আমাদের বুদ্ধি চর্চা সীমিত করে দেবে?

আমার কাছে মনে হয় না যে ভাইব কোডিং আমাদের বুদ্ধি চর্চাকে থামিয়ে দেবে। অন্তত আমি এটাকে সহায়ক হিসাবে ব্যবহার করছি। অনেক সময় এআইকে ঠিক মত ব্যাখ্যা করতে অনেক সময় ধরে লিখতে হয় যা আমরা প্রমট বলে থাকি। এই লেখালেখি করতেও অনেক সময় লাগে। ছোট খাট অনেক কিছু নিজের স্কিল থাকলে প্রমট লেখার সময় ব্যায় না করে নিজেই লেখা যায়।

ভাইব কোডিং শুরু হয়েছে, যেতে হবে অনেক দূরঃ

ভাইব কোডিং সাম্প্রতিক(২০২৫) বছরেই এসেছে। আরো অনেক দূর যাবে। প্রোগ্রামিং বা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর সাথে যুক্ত পেশাজীবিদের সময়ের সাথে সাথে অনেক এডজাস্ট করতে হবে।

#CodeVibes #ProgrammingLife #CoderMood #TechVibes #CodeAndChill #DevLife #CodingZen #ProgrammerHustle #TechTribe #CodeFlow
(হ্যাশট্যাগ গুলো এআই দিয়ে লেখা)