in Uncategorized

ধৈর্য হারিয়ে সার্টফিকেট বা মটর সাইকেল পুড়ানো !

সার্টিফিকেট মানুষের চাকরির নিশ্চয়তা দেয় না এই বোধদয় এই সময়ে হওয়াটাও জরুরী। যারা চাকরি দেন তাদেরও চাকরির জন্য সার্টিফিকেট এর চাইতে স্কিল সেট এর বিষয় ফোকাস করে বিজ্ঞাপন দেওয়া উচিত।
সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলা বা রাস্তায় মটর সাইকেল এর রুল ব্রেক করার পর মামলা বা ফাইন খেয়ে মটর সাইকেল পুড়িয়ে ফেলা একই বিষয়। দুটোই হচ্ছে ধৈর্য হারানো অথবা কারো কারো ভাষায় অন্যায় করে মানুষের সহানুভূতি আদায়। সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলা ধৈর্য বিচ্যুতি ছাড়া আর কিছু না।

যে সার্টিফিকেট দিয়ে আপনি চাকরি পাচ্ছেন না সেটার গুরুত্ব আপনার কাছে নাও থাকতে পারে এটা ঠিক। আমার বুয়েট এর সার্টিফিকেট আমি ১০ বছর পর গিয়ে উঠাইছিলাম(এই সার্টিফিকেট তোলার জন্য আমি কলেজ এর সার্টিফিকেট তুলতে গেছিলাম ১২/১৩ বছর পর, সেইটা অন্য ইতিহাস)। আমার কোন কাজে সেই সার্টিফিকেট ফটোকপি করে জমা দেওয়া লাগে নাই কিন্তু বুয়েটে ভর্তির সময় আগের এডুকেশন গুলোর সার্টিফিকেট অসংখ্যবার ফটোকপি করা লেগেছিল। এমনকি ঐ সময় সার্টিফিকেট ফটোকপি করতে যে খরচ হত সেটার ব্যয় নিজের কাছেই ভারীই লাগত।

এটা ঠিক যে সবার সার্টিফিকেট লাগবে এমন সিচুয়েশন না। কারো কারো সার্টিফিকেটই সব। আর এজন্যই এখন থেকে নতুন ভাবে ভাবতে হবে। ১০টা চাকরির পোস্ট আর প্রার্থী যদি হয় ১০০০ তাহলে ১০ জন বাদে অন্যরা সার্টিফিকেট থাকলেও চাকরি পাবে না। এটা মাথায় রেখেই সার্টিফিকেট এর জন্য পড়তে হবে যদি আপনার কাছে সার্টিফিকেটই সব হয়। আর না হলে ক্লাস্ট ৫ বা বড় জোর ১০ ক্লাস পড়ার পর ইস্তফা ব্যবসা বানিজ্য বা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করা শুরু করা উচিত। সবার লেখাপড়া শেখার দরকার নাই। স্বাভাবিক জ্ঞান অর্জন স্কুল কলেযে না গিয়েও বিভিন্ন বই পড়ে শিখে নেওয়া যায়। আর ছোট বেলা থেকেই টাকা পয়সা ইনকামের জন্য লেগে পড়া যেতে পারে।