“এখন এখানেই” নামে ‘তান’ ব্যান্ডের একটা অসাধারন গানের এলবাম আছে কিন্তু কাউকে কোনদিন না শুনেছি তাদের ব্যান্ডের নাম বলতে কিংবা এলবামের নাম। তারা কি আসলেই আর গান গেয়েছে নাকি তাও জানি। আমার মনে পড়ে প্রথমে পাইরেটেড ভার্সন শুনে পরে মুগ্ধ হয়ে একটি অরিজিনাল সিডিই কিনেছিলাম। সিডিটা কোথায় আছে জানি না, হয়তো বাড়িতে রেখে এসেছি। ডিজিটাল ভার্সনগুলো আছে।
[soundcloud url=”http://api.soundcloud.com/tracks/90535996″ params=”” width=” 100%” height=”166″ iframe=”true” /]
মায়া
কথা নয় মিছে ভালোবেসে পিছে খুন হয়ে যাবে লাশ
হিরকের ধারে খাঁজ কাটা হবে বলে কাঁচের উল্লাস।
বাতাসে গায়ে কথা ভেসে ভেসে উড়ে যাবে পাহাডের গায়
পাহাড় তুমি কি জানো ? মানো বা না মানো, ভুল তুমি দাঁড়িয়ে ঠায়।
রোদের আঁচে পুড়ে পুড়ে বাঁচে, পথিকের পথ কি ফুরায় ?
পথ তুমি কিযে ! আঁকো বাঁকো মিছে, অচেনা ইচ্ছে ভেলায়।
ছায়ার কি দোষ, মায়া পড়ে যায়, যদি দেখা হয়ে যায় পথে।
ইচ্ছেটা যদি পেরিয়ে যায় বাঁধা, খাঁচার সে পাখির হাসফাঁস কিযে !
(চলবে)
নোটঃ এই লেখাটার শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত উদ্দেশ্য এটাকে একটা গান হিসাবে রূপ দেওয়া। আমি ঠিক করেছি গান শিখব, তারপর নিজের লেখায় নিজে সুর করব। গান শেখা তবলা বাজানোর থেকে সহজ 😛
নিরাবতা
একদিন নিরবতা ভেঙে যে বীজের অংকুরোদগম হয়েছিল তার নিঃশব্দ চিৎকারে কি পৃথিবী প্রকম্পিত হয়নি ? হয়েছে, কেউ জেনেছে আর কেউ জানেনি। সবাই জানে না, সবাইকে জানার দরকার নাই।
তারপর সময়ের সাথে বীজ থেকে চারা, চারা থেকে গাছ … সে ইতিহাস হয়তো কেউ লিখে রাখিনি।
মাটি ফুঁড়ে গাছের শিকড় বয়ে গেছে আরো গভীরে পানি আর জীবনের সন্ধানে।
কিংবা ডালপালা গজিয়ে যে বটবৃক্ষের পাতা কি বাতাসে দোলা দেয় না, শনশন শব্দ কেউ শুনি কেউ শুনি না।
বিঃ দ্রঃ
আমরা যে নিরবতার পেছনে ছুটি তা কি আদৌ সম্ভব ? আমার মনে করি সম্ভব না। ব্যাপারটা বিন্দু আর বৃত্তের মত। নিরাবতা কিংবা চিন্তা বৃত্তের ঠিক শেষ যেখানে তারপরেই আবার কোলাহল শুরু হয়।
মে দিবসে অলস বিকেল শেষ হবার ঠিক আগে আগে
কষ্টকর শ্রমের ক্যাটাগরীতে আমার চেনা জানার ভেতর মাটি কাটাকে আমার বেশ কষ্ট সাধ্য কাজ বলে মনে হয়। ছোট বেলায় আমার বাড়ির আশেপাশে কোন পুকুর কাটলে আমি গিয়ে প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম। ছোটবেলায় যদিও আমার প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে দেখার মত অনেক কিছুই ছিল, বৈশাখ মেলার সময় বিশাল দেহী সার্কাসের হাতী, দূর্গা পূজার সময় মন্দির সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে পালদের প্রতিমা বানাতে দেখতাম। বাড়ি এসে আবার নিজেও কত বানানোর চেস্টা করেছি, খড়, লাঠি, দড়ি দিয়ে কাঠামো বানিয়ে গায়ে কাদামাটি দিয়ে লেপে লেপে অনেক বার প্রতিমা বানোর চেস্টা করেছি, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মুখ বানাতে পারতাম না, হাতের আঙুল গুলো হতো না, অনেক বার মাথা ছাড়াই নারী মূর্তি বানিয়ে অনেক বার। একবার স্কুল(তখন হাই স্কুলে পড়তাম) থেকে বাড়ি এসে দেখি আমার অনেক কষ্ট করে বানানো প্রতিমা আর তার জন্য পাটের খড়ি দিয়ে বানানো ছোট ঘরে ভেঙে তচনচ, মা বলেছিল দুইটা কুকুর নাকি মারামারি করতে গিয়ে ভেঙে ফেলেছে, আমি সেকি কান্না ! ধূর কোথা থেকে কোথায় চলে গেলাম, আবার মাটি কাটতে ফিরে এলাম। মাটি কাটা শ্রমিকেরা কাজ করে আধাবেলা, পুকুরের মালিকেরা তাচ্ছল্যের সাথে বলে, দেখ বাবা সূর্য মাথার উপর উঠলেই তারা কেটে পড়ে। কিন্তু মাটি কাটা আসলেই অনেক কঠিন কাজ, ভেজা মাটি কাটা কিংবা মাথায় তুলে বড় ঝুড়িতে কিছুদূর নিয়ে ফেলা অনেক কষ্টের, জমি থেকে ধানের বোঝা নিয়ে বাড়িতে ফেরাও মনে হয় এই রকম কষ্টের। আমি নিজেকে খুব সৌভাগ্য মনে করি আমি এমন সময় এবং জায়গায় জন্মেছি যখন আমি গ্রাম এবং শহরের(যদি ঢাকাতে শহর হিসাবে ধরে নেই) দুটোই দেখার সুযোগ পেয়েছি। ২০০৩ এর আগে পর্যন্ত ঢাকার আসার সুযোগ হয়নি। আবার বার সেই মাটি কাটা থেকে সরে গেলাম। যাই হোক, ছুটির দিনের অন্য বিকালের মত আজকের বিকাল এক নয়। শুক্র শনিবারের দিন গুলো সারা দিন শুয়ে কিংবা বই পড়ে কাটায় আজকেও তাই করেছি কিন্তু আজকের বিকালটা অন্য রকম। বিশেষ কোন ছুটির দিন গুলো কেন আমার ভীষন করম ছটফট লাগে, আজকে মে দিবস, কেন বার বার মাটিকাটা শ্রমিক এবং মাটিকাটা শ্রমের কথা বলছি তা বলছি এখুনি। প্রতিদিন শনি থেকে বৃহঃবার অফিসে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যে পরিমান পরিশ্রম করি তা মাটিকাটার থেকে কম নয়। নিজেকে একজন কীবোর্ড শ্রমিকও মনে হয়। সূর্য মাথার উপর উঠলেই যে আমার কাজ শেষ হয় না, আমার কাজ শেষ হয় সূর্য ডোবার, কাটাবনের নতুন অফিস শুরু করার পর এখন দিনের আলো থাকতে বের হই। বিকালে কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি না করলে বাসায় ফিরে যেন চোখ অন্ধকার দেখি।
বুয়েটে হলে থাকার দিন গুলোতে বিকালে আমার একটা নেশা ছিল কম্পিউটার নিয়ে পড়ে থাকা, একদম শুরুর দিকে যখন কীবোর্ড মাউস চালাতে শিখতেছিলাম তখন আমার একটা শখের কাজ ছিল ভিডিও এডিট করে কোন পছন্দের গান জুড়ে দেওয়া। এই রকম বেশ কিছু মজার মিউজিক ভিডিও আমার বানানো ছিল, রুমমেট চন্দনদাকে দেখাতাম। বন্ধু সুজিত আমাকে প্রথম তার দিদির বাসা থেকে প্রথম একটা ডেক্সটপ কমপিউটার ছুয়ে দেখার সুযোগ করে দিয়েছিল। কিভাবে মিডিয়া প্লেয়ার গান চালাতে হয় দেখিয়ে দিল এক নিমিষে, আমি পরের পলকে ভুলে গেলাম। পরে হল জীবনে চন্দনদা শুরুতে কম্পিউটার বেসিক ব্যবহার শিখিয়ে দিয়েছিলেন, পরের টুকু আমি নিজে নিজেই শিখেছিলাম। হঠাৎ কেন এই বিকেলকে অন্য বিকালের মত মনে হচ্ছে না কিংবা কেন সেই ভিডিও এডিট এর কথা মনে পড়ে গেল তা মনে হয় এই মুহুর্তে যখন আমি লিখছি আমি বেশ কিছুদিন বাদে আবার আজকে জেসমসের গান শুনছি। আমার একটা মিউজিক ভিডিও ছিল জেসস এর গান নিয়ে। গানের কথার সাথে আমি খুঁজে খুঁজে এমন একটা ভিডিও লাগিয়েছিলাম(আমি ভিডিও কেটে কেটে জুড়াতাম তখন) যে আমি নিজেই অবাক হয়ে গেলাম আর তখন নতুন কম্পিউটার কিনেছি, ছোট বেলার মত অবাক এবং অকৃত্রিম আগ্রহ নিয়ে যন্ত্রটাকে নিয়ে খেলা করতাম। জেমসের কোন গানটা ব্যবহার করেছিলাম এ আমি কাউকে বলব না, কখনই বলব না 😛 আমার কাছে জেমস এর অনেক গান আছে, সচারাচর শোনা যায় এসব গান থেকে বেশ কিছু পুরাতন গান আছে। এখনকার পোলাপাইন যে ধরনের ব্যান্ডের গান শুনে আমার কৈশোর কিংবা যৌবনের শুরুতে ব্যান্ডের গানের ধরন আলাদা ছিল। আমরা জেসম, আয়ুব্বাচ্চু কিংবা হাসান কে ভালো গায় তা নিয়ে বন্ধুরা অনেক তর্ক করতাম। আমি তখন জেসস এর গান শুনেছি ক্যাসেটে, চেহারা জানতাম না, পোস্টারে দেখলে চিনতাম না। বন্ধুদের বলতাম ঐযে দ্বরাজ কন্ঠ, ভারী কন্ঠ যার তার গান ভালো লাগে।
আজকের দিনটা অন্য রকম। যখন লেখা শুরু করেছিলাম তখন আলো ছিল, আমার জানালা দিয়ে বাইরের নতুন বানানো বিল্ডিং দেখতে পাচ্ছিলাম, এখন অন্ধকার হয়ে গেছে। লিখতে লিখতে এই রকম দিন থেকে অন্ধকার এর পরিবর্তন আমি খুব খেয়াল করি। কিন্তু কেন যেন আমাকে ফাঁকি দিয়ে কখন হঠাৎ অন্ধকার নেমে গেল টের পেলাম না। ছোট বেলায় বিকালে খেলাধুলা করতে বাড়ি থেকে বাধা দিত না, কিন্তু কথা ছিল সন্ধ্যার আগে আগে ফিরে আসতে হবে। আমি মাঠে খেলতাম আর খেয়াল করতাম কখন অন্ধকার নামবে। হঠাৎ খেয়াল করতে অন্ধকার হয়ে গেছে চারিধার আর আমি সন্ধ্যা নামার পর বাড়ি ফিরছি। বাড়ি ফিরে দেখতাম মা সন্ধ্যা পূজা দিচ্ছে, শংখ ফু দিচ্ছে। অনেক দিন মা আমাকে বলত, মনি তুই একটু সন্ধ্যাটা লাগাতো, বৃহঃবার সন্ধ্যা পূজার সাথে লক্ষি পূজা হত। কলা আর বাতাসা দিয়ে। আমি বাজার থেকে কলা আর বাতাসা এনে দিতাম কিংবা বাবা নিয়ে আসত। মার ভেতর একটা অস্থিরতা দেখতাম কলা বাতাসা আনতে দেরি হলে। পুজার শেষ হলে , কিছু সময় দিতাম ঠাকুরকে খাওয়ার জন্য। হ্যাঁ তখন বিশ্বাসটা এই রকম ছিল, পূজার পর ভগবান ঐ কলা বাতাসা খাবে, কিন্তু দেখ যেত কিছু কালো পিঁপড়া এসে খাওয়া শুরু করেছে। আমি আর দিদি মনে করতাম কালো পিঁপড়াদের ভগবান পাঠিয়ে দেয়। আমি মনের ভেতর এখনো সেই ছোট বেলার সত্ত্বাকে খুঁজে পাই, কি নিষ্পাস ছিল চিন্তা ভাবনা কিংবা দিন গুলো।
Flute Attempt One (বাঁশি ১)
আমি স্কেল বুঝি না, চেস্টা করেও সারেগামা বাজানো শিখতে পারি নাই। তাই যেমন ইচ্ছা বাজাই। আগুন পানি বাতাস এর কাছে মানুষ আদিম কাল থেকেই বন্ধি, তাই বাতাসকে বুকের ভেতর বন্ধি করে সরু বাঁশের ভেতর দিয়ে বের করে যে নির্মম আনন্দ পাওয়া যায় তা আরো খানিকটা বেড়ে যায় যখন কিছুটা হলেও নিজের কানে ভালো লাগে।
[soundcloud url=”http://api.soundcloud.com/tracks/90004434″ params=”” width=” 100%” height=”166″ iframe=”true” /]
Category Post Count in WordPress (Custom Taxonomy with Custom Post Type)
Let me explain my need in short:
I want to show post count for any category/any custom taxonomy registered for any custom post type. I searched wordpress forums and in google, found some solutions using
- http://wordpress.org/support/topic/category-post-count-2?replies=6
- http://wordpress.org/support/topic/category-post-count?replies=6
- http://www.intechgrity.com/get-post-count-of-a-category-including-sub-categories-in-wordpress/#
- http://www.web-templates.nu/2008/09/21/get_category_count/index.html
Nothing helped me such way, so I managed my own way with my little knowledge.
wp_get_productcat_postcount($id, $posttype = ‘product’, $taxname = ‘product_cat’)
$id = category or any taxonomy id(term id)
$posttype = post type name, example: post, page, or any custom post type
$taxname = taxonomy name or any category type name, for joomla default taxonomy it will category, post_tag, nav_menu, link_category, post_format, but we can use any custom taxonomy name as I used ‘product_cat’ which is used with custom post type ‘product’ , post type name.
[code lang=”php”]
function wp_get_productcat_postcount($id, $posttype = ‘product’, $taxname = ‘product_cat’) {
$result = wp_cache_get( ‘taxpostcount’.$id, ‘cbtaxpostcount’ );
//var_dump($resul);
if ( false === $result ) {
$args = array(
‘post_type’ => $posttype,
‘post_status’ => ‘publish’,
‘posts_per_page’ => -1,
‘tax_query’ => array(
‘relation’ => ‘AND’,
array(
‘taxonomy’ => $taxname,
‘field’ => ‘id’,
‘terms’ => array( $id )
)
)
);
$query = new WP_Query( $args);
/*
echo ‘<pre>’;
print_r($query->post_count);
echo ‘</pre>’;
*/
$result = (int)$query->post_count;
$cacheresult = wp_cache_set( ‘taxpostcount’.$id, $result, ‘cbtaxpostcount’ );
//var_dump($cacheresult);
}
return $result;
}
[/code]
Note: As I used wordpress object cache for better performance.
Thanks for reading, any comment is appreciable.
রিক্সা+চা+মুড়ি(ওয়ালা) এবং আমি
সেদিন কে যেন বলছিল আমরা নাকি কখন কোন রিক্সাওয়ালার চেহারা মনে রাখি না। যদ্দুর মনে পড়ে পল্লব দা(বন্ধুবর পল্লব দা) বলেছিল, আমি তার কথা সায়ও দিয়েছিলাম। কিন্তু গত কয়েকদিন আমি নিজেকে ভুল আবিস্কার করেছি। আমি অন্তত দুইজন রিক্সাওয়ালাকে চিনি যারা আমাকেও চেনে। আজকে একজনকে জ্জিজ্ঞাসা করলাম, আপনাকে আমি আগেও দেখেছি। আপনি কি আমাকে দেখে চিনতে পেরেছেন। সে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়াল। আমার মনে পড়ছে আমি অনেকজন রিক্সাওয়ালার চেহারা এই মুহুর্তে মনে করতে পারছি যারা আমাকে চিনবে না কিন্তু তাদের আমি দেখলে চিনতে পারব। তাদের কেউ অল্প বয়সে কিংবা খুন খুনে বৃদ্ধ বয়সে রিক্সা চালাচ্ছে। আমি সাধারণত যে রিক্সাওয়ালাকে ভালো মনে করি তার সাথে গল্প জুড়ে দেই। খেসারতও দিতে হয়েছে মানে অতিরিক্ত খাজুরে আলাপ জুড়ে দেওয়ার পর পারিবারিক সমস্যা, ছেলেপুলের লেখাপড়ার কথা বলে কেউ কেউ সাহায্য চেয়েছে এবং আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত সাহায্য করেছি। এটাকে কেন খেসারত বল্লাম জানি না, আমি কি তাহলে মন থেকে সাহায্য করিনি। আমি মনে করি করেছি কিন্তু আমার মনের ভেতর একটা সংশয় কাজ করে আর তা হলে এদের কেউ কেউ মিথ্যা বলে আমাকে ঠকিয়েছে। ঠকালেও বা কি আমাকে কত জন ঠকিয়েছে, কত জন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে ওয়েব সাইট বা এপ্লিকেশন এর কাজ করিয়ে তারপর টাকা না দিয়ে ভেগে গেছে। হিসাব করে যোগ করলে তা দিয়ে এখন একটা হাই কনফিগারেশন এর ম্যাক বুক প্রো কিনে ফেলতে পারতাম ! আমি সব সময় জিততে চাই না, তবে মাঝে মাঝে কিছু বিষয়ে আমি জিততে চাই। এটা আমার জিদ না, এটা আমার চাওয়া, মন থেকে চাওয়া। জিদ আর চাওয়া এক নয়। আমি যখন জিদ করে জিতি তখন তার প্রতি পরে আর আগ্রহ নাও থাকতে পারে কিন্তু যখন মন থেকে চায় মানে এই জেতা আসলে মনের বাসনা পূর্ণ হওয়ার থেকেও বেশি। এই ২য় জেতার বিষয়টা অনেক জটিল। প্রথম জেতার বিষয়টা জেতার পর তাচ্ছিল্য চলে আসে, ২য় জেতার বিষয়টা আত্মিক এবং আরো অনেক দায়িত্ব বেড়ে যায়। ভয় হয় ঠিক মত যত্নে রাখতে পারবতো !
আমি শুধু রিক্সাওয়ালা না, আমি অন্তত একজন মুড়িওয়ালাকে চিনি যে আমাকেও চেনে। মাঝে আমি এক সময় প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার সময় পাঁচ টাকা মুরি চানাচুর খেতাম সরিসার তৈল দিয়ে। শীতের সময় সুযোগ পেলে দিন দুই একবার এই কাজ করি। কিন্তু আমি যার কাছ থেকে খেতাম সে প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় একটা নির্দিষ্ট জায়গায় দাড়াত আর আমাকে দেখলেই ‘প্রিফরম্যাটে’ মুড়ি বানানো শুরু করত। আমরা মনে হয় চাইলেই একজন মুরি বিক্রেতার মুখ অনেক দিন মনে করতে পারি। আমি অন্তত দুই জন মুড়ি আলার সাথে মোটামুটি সখ্যতা গড়ে তুলেছি এই পর্যন্ত। একজনের সাথে অনেক দিন দেখা হয়না কিন্তু আম নিশ্চিৎ জানি সে আমাকে দেখলেই চিনে ফেলবে।
চা খাওয়া আমার ঠিক নেশা নয় কিন্তু প্রতিদিন ২-১০ কাপ চা আমি খাই। হিসাব করে দেখলাম আমাকে ৫ জন চাওয়ালা কম বেশি চেনে। এরপেছনে কারণ থাকতে পারে আমি মাঝে মাঝে একটা ব্যতিক্রম ভাবে চা চাই, যেমন
১। আদা ছাড়া
২। লতাপাতা ছাড়া, এটা যে আমি ইচ্চা করে বলি তা নয়। আমার কেন যেন প্লেইন রং চা খেতে পছন্দ হয় কিন্তু যে জায়গা গুলোতে রং চার প্রাপ্যতা বেশি সেখানে কেন যেন ওরা রং চা বানানো ভুলে গেছে, চায়ের সাথে আদা, জর্দা, তেজপাতা, লতাপাতা, পান তামুক কত কিছু যে মেশায় !
৩। ঢাকা ইউনির হাকিম চত্তর বা লাইব্রেরীর পেছনে একটা চার দোকান থেকে প্রতিদিনই প্রায় এখন পেপের জুস খাই। ওদের দোকানে অনেকেই বসে তবে একজন আছে আমাকে দেখলেই একটা মিষ্টি করে হাসি দেয় কারণ আমি প্রায় পর পর দুই গ্লাস জুস খাই 😛
আপনি কোন থাকার কথা বলছেন ?
কেমন আছেন এই প্রশ্ন কাউকে করা কি উচিৎ ?
কেউ কেমন আছে তা জেনে আমার কি লাভ কিংবা সে কেন আমাকে জানাবে।
কেন সে মিথ্যা উত্তর দিবে, ভালো আছি।
আচ্ছা মানুষটা যদি উলটো জিজ্ঞাসা করে,
আপনি কোন ‘থাকার’ কথা বলছেন ? তাকে কি উত্তর দেব !
………………………
২৭।০৪।২০১৩, মানচুমাহারা
বিঃ দ্রঃ বন্ধু সুজিত এর সাথে একদিন কথা বলতে বলতে ফন্দি করে ফেললাম কেউ যখন জিজ্ঞাসা করবে কেমন আছি তখন তাকে এই প্রশ্নটা উলটা জিজ্ঞাসা করব, আপনি কোন ‘থাকার’ কথা কইছেন ? অবশ্য আপনজন ছাড়া উলটা প্রশ্ন করলে তাতে লোকসান বই লাভ কিছু হবে না।
Google Plus Comment for WordPress
Google Plus Introduced Social comment plugin(unofficially). so I just made a small shortcode based plugin for wordpress to test the baby.
BTW, I noticed about this from google plus.
Download from bellow:
[download id=”36″]
Demo:
Please check here .
Shortcode:
[gpluscomment]
For more technical people
'url' => '', // leave empty for current post
'width' => '500',
'js' => 1,
'showarchive' => false,
'showhome' => false
My Test results screenshots:
মনের শরীর
আমি সব সময় ভেবেছি যদি শরীর থেকে মনটা আলাদা করে শিঁকোয় তুলে রাখা যেত।
কিংবা জামা কাপড়ের মত আড়ে ঝুলিয়ে রাখি, রোদে শুকোতে দেই,
ভিজিয়ে রাখি পানিতে কিংবা বাতাসে ছেড়ে দেই উঠে বেড়াক যেখানে খুশি।
বাতাসে ছেড়ে দিলে একটা সমস্যা আছে, ভুল ঠিকানায় উড়ে গিয়ে বাধাবে বিপদ !
পানিতে ভিজিয়ে রাখলে যদি নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, যদি মাছেরা খেয়ে ফেলে, মাছের মনতো !
আমি মনকে যদি একটা গুঁয়ে মাছির সাথে বেঁধে দেই ? উঠে বেড়াবে বাঁশি পচা নর্দমায় , মজা হত, ঘেন্না হত।
আচ্ছা মন শরীরকে নিয়ন্ত্রন করে নাকি শরীর মনকে, মন খারাপ হলে কি শরীর খারাপ হয়, শরীর খারাপ হলে কি মন খারাপ হয়,
মন কেন খারাপ হয় ? মন কেন ভালো হয় ? শরীর থেকে কি মন আলাদা করে ব্যাংকে জমা রাখা যায় না ?
আচ্ছা শরীরের যেমন মন থাকে, মনের শরীর থাকে না ? থাকা উচিৎ।
আমি অনেক বার ভেবেছি শরীর থেকে কিভাবে মনকে আলাদা করা যায়।
মনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে ঘুরে বেড়াবো। বকা দেব, ভালোবাসব।
………………………… মানচুমাহারা, ২৩।০৪।২০১৩