মানচুলোচনা-1

//মানচুলোচনা
//তারিখঃ ০৯/০৪/২০১৫

একঃ কোন মানুষকে জাজ করার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। সেই সময় এর জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে যে সময় স্বার্থের দ্বন্দ্ব হবে তার আগে পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাক থাকে। আমি আমার কাছের মানুষগুলোর অন্ধকার দিক দেখার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি।

দুইঃ কারো সাথে কুট কৌশল বা চালাকি মার্কা কথা বলার আগে ভালো করে ভেবে নিন যার সাথে বলছেন তার বুদ্ধিমত্তা কেমন না হলের অপরজন আপনাকে বোকা ই মনে করবে। কেউ আমার সাথে খুব চালাকি করে কথা বলার চেস্টা করলে আমার বিরক্ত লাগে, প্রচন্ড বিরক্ত লাগে।

তিনঃ মানুষ গরু না কিন্তু গরুর সাথে মানুষের একটা নিখাঁদ মিল আছে আর তা হচ্ছে মানুষের চিন্তা করার শক্তি আর গরুর ঘাস খাবার গন্ডি। গরু মাঠে যে দড়িতে বাঁধা থাকে তার যে দৈর্ঘ্য গরু সেই ব্যাসার্ধের গোল জায়গায় ঘাস খায়। মানুষের চিন্তা শক্তি বা বুদ্ধিমত্তা এই রকম নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের ভেতর আবদ্ধ। অতি অবশ্যই সত্যি যে আমি নিজেও এর কোন না কোন ব্যাসার্ধের গোলকে অবস্থান করি।

চারঃ কোন কিছু সম্পর্কে ভালো করে বুঝার জন্য অনেক সময় তার ভেতর থেকে নিজেকে বের করে আনতে হয়, না হলে আপনি অন্ধ ভাবে বিবেচনা করবেন। মানে খেলার মাঠ থেকে নিজেকে থার্ড আম্পায়্যার এর অবস্থানে না নিলে আপনি নিজেও যে খেলার মাঠে আছেন তা নিয়ে কোন ঝামেলাকে আপনি সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করতে পারবেন না। কোন কিছু নিয়ে বিচার করার আগে আমি নিজেকে কাঠ গড়ায় দাড় করানোর চেস্টা করি।

পাঁচঃ রাগের মাথায় কারো সাথে তর্ক করবেন না, তাতে আপনার ভেতর খারাপ দিক গুলো দ্রুত বের হয়ে যাবে। পোশাক খুলে ফেললে আমরা সবাই ই নাঙ্গা হয়ে যায় কিন্তু আমরা খুলি না, কারণ আমাদের কিছু সামাজিক এবং পারিবারিক দ্বায়বদ্ধতা থাকে। আমাদের উচিৎ না হুট হাট করে নাঙ্গা হয়ে যাওয়া তাতে সামাজিক এবং পারিবারিক সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট হয়।

ছয়ঃ আমাদের চাওয়া গুলো অনেকটা আমাদের নিজের চিন্তা ফসল। আপনি কি চাইছেন সেটা আপনার নিজের ব্যাসার্ধের সাথে সম্পর্কিত। যদি অন্যের চাওয়ার সাথে নিচের চাওয়ার হিসাব মেলাতে থাকেন তাহলে নিশ্চিৎ ভাবে আপনার এবং অন্যের ব্যাসার্ধের সাথে তুলনা করতে শিখবেন। অনর্থক চাওয়া আপনার মানসিক পীড়ার কারণ হতে পারে। আপনি ভুল তুলনার করতে পারেন কিংবা আপনি কেজি আর লিটার কেন এক পরিমান নয় সেটা বুঝতে না পেরে অযথা অস্থির হতে পারেন।

সাতঃ আপনি অনেক ব্যস্ত তাই সামাজিক সম্পর্ক রাখতে পারেন না এটা বলে নিজেকে অনেক ভারী এবং দামী করার চেস্টা করা বোকামী কারণ আপনার মত আরো অনেকেই ব্যস্ত। যদি নিজের ব্যস্ততাকে সম্মান দিতে চান তাহলে অন্যেরটাও দিন। আর আপনি যদি আপনার স্বাভাবিক ক্ষমতার চেয়ে বেশি কাজ করে বেশি ব্যস্ত থাকেন তাহলে সেটা আপনার সমস্যা, এটা অন্যের সাথে কমপেয়ার করতে যাওয়া উচিৎ না। এতে ভারসাম্য নষ্ট হয়। আপনার চাওয়া পাওয়াটা ভুল সমীকরনে চলে যাবে। আপনি চাইবেন একটা আপনার আশেপাশের মানুষরা সেটালে গুরুত্ব দিবে না কারণ আমি আগে উল্লেখ করেছি আপনি আপনার ক্ষমতার থেকে বেশি পরিশ্রম করতে গিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকছেন যা আপনার সমস্যা অন্যের নয়। তাই এটা নিয়ে অন্যের কাছে নিজেকে ভারী করে তোলার কিছু নাই।

Sometimes we are unhappy because we don’t want to be

Sometimes we fail to match our expectation. The expectation can be incoming and outgoing from different perspective and dimension. Sometimes our math question is wrong and we waste time to solve the math. Sometimes we solve the math in a way that we try to proof with a known solution but we fail. Sometimes we are unhappy because we don’t want to be.

A letter to our bengali community of joomla and wordpress

to whom it may concern or not concern

নোটঃ একান্ত ব্যক্তিগত মতামত, পজেটিভ সমালোচনাও আছে কিছু জায়গায়, কারো কারো ব্যক্তিগত ভাবে লাগতে পারে কিন্তু সত্য সব সময় কঠিন হবে এটা মেনেই বাকীটুকু পড়তে হবে।

// দেশের বিভিন্ন টেক ইভেন্ট আমার অংশ গ্রহন এই রকম প্যাটার্নের ০ ০ ০ ১ ০ ০ ১০১০০০১ মানেই বুঝত পারতে ৩/৪টা ইভেন্টের (যা আমার কাছের সাথে সম্পর্কিত ) গড়ে একটিতে যাওয়া পড়ে। শেষ দুইটি ইভেন্টে অংশগ্রহন ছিল এক/ আজকে জুমলা ৩.x বাংলা অনুবাদ দুই/ ওয়ার্ডপ্রেসিয়ান গ্রুপ এর সম্ভবত ৬ষ্ঠ বা ৭ম মিটাপ। নিজের কিছু ব্যক্তিগত কারণ যেমন, ইভেন্টের দিন সময় বের করা , ইভেন্টে আমার কাজ যদি হয় শুধু বসে বসে শোনা (এক্ষেত্রে এক টানা কিছুক্ষন বসে থাকার পর আবার শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় যেটা স্নায়ুবিক)

// দেশে যারা প্রডাক্ট বিক্রি করে তাদের সবাই এনভাটো গিয়ে বিক্রি করে না। অনেকেই নিজদের মার্কেট প্লেস তৈরি করে বিক্রি করে। এর মানে দাড়াচ্ছে এনভাটোর দেশের বর্তমান অনেক অথর যখন মার্কেটপ্লেস কি এটাই জানতো না তখন আমরা কয়েক জন ছোট স্টার্ট আপ দাড় করিয়ে কেউ বিভিন্ন সিএমএস এর জন্য এক্সটেনশন আবার কেউ থীম বা টেমপ্লেট বানিয়ে বিক্রি করতাম। তার মানে দাড়াচ্ছে আমাদের কেউ কেউ এখনো বড় মার্কেট প্লেসের সাথে পাল্লা দিয়ে নিজেদের প্রডাক্ট নিজেদের মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করে যাচ্ছি এখনো।

//আমার শেষ থেকে অংশগহন করা ২য় ইভেন্ট ছিল ওয়ার্ডপ্রেসিয়ান এর ৬ষ্ঠ বা ৭ম মিটাপ, সেখানে আমি আর জুমশেপার এর কাউছার ভাই গিয়েছিলাম। একজন সাধারণ অংশগ্রহনকারী হিসাবে গিয়েছিলাম এবং যথেষ্ট ধৈর্য ধরে প্রায় প্রতিটি প্রেজেন্টেশন এর কম বেশি শুনেছি মাঝ খানে টুক টাক আড্ডা ছাড়া। শেষের দিকে যখন কাউছার ভাইকে জুমলার টেমপ্লেট ডেভেলপার হিসাবে পরিচয় করায়ে দেওয়া হল তখন আমি একসময় বের হয়ে আসছি। আমার সামান্য লেগেছিল, কারণ আমরা দুইজনই জুমলা নিয়ে কাজ করে বেশি পরিচিত, উনি টেমপ্লেট বানান, আমি এক্সটেনশন। কাউছার ভাইয়ের উপর কোন রাগ নেই, সে তার কাছের যোগ্য সম্মান পাবে, তার কাজকে আমিও সম্মান করি। কিন্তু মনে হচ্ছে, কিছু মানুষ ওয়ার্ডপ্রেস এর উপর ডেভেলপ করে ফাটিয়ে ফেলতেছে কিন্তু জুমলার এক্সটেনশনের নাম শুনে নাই কখনো ? যেহেতু আমি জুমলা বাংলাদেশ গ্রুপের এডমিনদের একজন এবং যদি জুমলার কোন ইভেন্টের সঞ্চালক থাকি আর সেখানে ওয়ার্ডপ্রেস এর কোন নোটেবল ডেভেলপার থাকে তাহলে আমি তাকে অবশ্যই ডেকে নিব। কারো সাথে যদি আমার ব্যক্তিগত কোন সমস্যাও থাকে কমিউনিটি ইভেন্টে সেটা আমি কোন ভাবেই প্রকাশ করব না।

//ডিজিটাল ওয়ার্ড এর সিএমএস কনফারেন্সে যাওয়ার সময় ম্যানেজ করতে পারি নাই। তবে জানতে পারলাম সেখানে এমন স্পিকারও সিলেক্ট করা হয়েছে যে, জুমলা ফালতু বা জুমলা ৪২০ এমন কথাও বলেছে। আমার মনে হয় জেনে কথা বলা উচিৎ। যে জুমলা এবং ওয়ার্ডপ্রেস বা আরো অন্য সিএমএস নিয়ে জানে সে বুঝতে পারবে এক একটা সিএমএস এর ফিলোসফি, লার্নিং কার্ভ, মার্কেট প্লেস, ব্যবহারের রেটের আপ্স -ডাউন, ব্যবহারের প্রয়োগ এক এক রকম। এটা নির্ভর করে দৃষ্টিভঙ্গির উপর । একটা ছোট উদাহরন দিলে সহজ হবে বুঝতে, একবার জুমলার একটা ইভেন্ট শেষে আমরা সবাই খেয়াল করলাম, কাউছার ভাই এর লেকচার ছিল জুমলা দিয়ে সাইট বানানোর জন্য আপনাকে কোডিং জানতে হবে না আর আমার লেকচার ছিল কোডিং জানতে হবে। যেহেতু উনি টেমপ্লেট নিয়ে বলেছেন উনার পারসপিক্টিভ থেকে, আমি এক্সটেনশন নিয়ে বলেছি আমার পারস্পিক্টিভ থেকে। দুইজনই সঠিক। এর মানে দাড়াচ্ছে আপনি যদি জুমলা নিয়ে সমালোচনা করেন তাহলে এটা জেনে করেন। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে জুমলার এক্সটেনশন ডেভেলপ নিয়ে একটা লেকচার/স্পিক থাকতেই পারত। কমিউনিটিতে পোস্ট হতে পারত আগ্রহী স্পীকার এবং টপিক লিস্ট নিয়ে। হয়তো বেসিস এটা ম্যানেজ করে, সেটা তাদের ব্যাপার। আমি আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত দিচ্ছি।

// একই বিষয় নিয়ে কাজ করার জন্য অনেক গুলো গ্রুপ থাকতে পারে, জাতীয় ইভেন্টে সবাইকে এক্টিভ গ্রুপগুলোকে সমন্বয় করা উচিৎ, ব্যক্তি কেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত না নিয়ে।

//কোন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছি সেটা আমরা জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ না, সেই অপারেটিং সিস্টেমে আমি স্বাচ্ছন্দে কাজ করছি পারছি কিনা সেটাকে গুরুত্ব দেয়।

//জুমলা সম্পর্কে জানার আগে থেকে ওয়ার্ডপ্রেস এর প্রেমে পড়েছি। পরে চাকরী করতে গিয়ে জুমলাতে কাজ করে এটাতেও কাজ শুরু করি। জুমলা, ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা মুডল এগুলোর প্রতিটিতে কাজ করছি প্যাশন থেকে, টাকা আয় করার জন্য না। টাকা আয় একটি প্রাকটিক্যাল ধাপ কারণ কাজ করলে টাকা আসবে।

// আমি হনু বলে আমার আশে পাশের বাগানে আর কোন হনুমান থাকতে পারবে না বা আর কেউ কাজ করতে পারবে না এমন ভাবার কারণ নাই। আমি ‘x’ নিয়ে কাজ করছ বলে আশে পাশের সবাই ‘x’ নিয়ে কাজ করবে এমন ভাবার কিছু নাই। সহজ কাজ সবাই করে, কঠিন কাজ করার লোকের অভাব। ‘ক’ প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে কোর্স করালে ‘খ’ গ্রুপের গাত্র দাহ হবার কিছু নাই। ‘গ’ জুমলার একটা ভালো টেমপ্লেটে বানালে ‘ঘ’ কম্পানীর এটা নিয়ে ঘষাঘষির কিছু নাই। পারলে ভালো কিছু কর, পারলে ভালো কাজের প্রশংসা কর, খারাপ কাজের পজেটিভ সমালোচনা কর। কিছুদিন আগে রাগীব ভাইয়ের শিক্ষক সাইটের ওয়ার্ডপ্রেস এর একটা কোর্স নিয়ে ওয়ার্ডপ্রেসিয়ান গ্রুপের সাধারণ সদস্যের পাশাপাশি এডমিনদের পক্ষ থেকে কুৎশিত ভালো নেগেটিভ সমালোচনা করতে দেখেছি। দ্বায়িত্বশীলতা আর বালখিল্যতা এক নয়। আমি নিজেও ওয়ার্ডপ্রেসিয়ান গ্রুপের নিয়মিত সদস্য, সময় পেলেই সাহায্য করি অন্যদের যেমনটা জুমলা বাংলাদেশ গ্রুপে। নতুনরা উদ্ভুৎ ভাবে প্রশ্ন করলে তাদের মাথা ঠান্ডা করে কোন সময় মজা করে বা কোন সময় বকা দিয়ে সাহায্য করার চেস্টা করি।

//কাউকে ফলো না করে নিজের মত নিজের ট্রেন্ড নিয়ে চলতে পছন্দ করি। কেউ আমাকে ফলো করুক না করুক তা নিয়ে আমার কোন চিন্তা নাই। আমার কাউকে ফলো করতেই হবে এমন ভাবার কিছু নাই। তবে কমিউনিটি ইভেন্ট গুলোতে আমি সবাইকে সম্মান দেওয়ার চেস্টা করি এবং সবার মতামত গ্রহন করে কাজ করতে পছন্দ করি, দিন শেষে কাজগুলো শেষ করতে পছন্দ করি।

// হুট জুমলা বা ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে কাজ করে টাকা করা টাইপ লোক আমি নই, আমি আমার ক্যারিয়ার এর শুরু থেকে এগুলো নিয়ে কাজ করি, যতদূর সম্ভব কমিউনিটিতে কন্ট্রিবিউট করার চেস্টা করি। প্যাশন থেকে করি।

নোটঃ একান্ত ব্যক্তিগত মতামত, পজেটিভ সমালোচনাও আছে কিছু জায়গায়, কারো কারো ব্যক্তিগত ভাবে লাগতে পারে কিন্তু সত্য সব সময় কঠিন হবে এবং আপনি হয়তো মনে করতে পারেন , আমার এই লেখাকে আপনি পাত্তা দেন না কিন্তু সময় নিয়ে ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ

পোস্টটির সাথে সম্পর্কিত এবং সম্পর্কিত নয় এমন কয়েকজনকে ট্যাগ করলাম। কেউ চাইলে নিজেকে আন ট্যাগ করে নিতে পারেন।

How Not to Ask Job

শেষের থেকে শুরুঃ

কঃ সকালে অফিসের ইমেইল খুলেই একটা মেইল পেলাম, যার সাবজেক্ট আপনার কম্পানীতে চাকুরি করতে চায়, মেইলের কনটেন্টে সিভি এবং ওয়ার্ক স্যাম্পল আছে কিন্তু ইমেইলটা করা হয়েছে আরো ৮-১০টা কম্পানীকে সিসি করে ! এরে আমি কোন উপদেশ দেব না , এ আমার থেকেও বেশি বুঝে।

খঃ দুই দিন আগে তখন রাত ‘১২টা’, একজন স্কাইপতে যুক্ত করল, আমি বলাম, “who is there ?” সে রিপ্লাই দিল “I am here” !, এরপর তার পরিচয় জানতে চাইলে, প্রায় সব কিছু জানালো একবারে আর সাথে সে ওয়েল নোন কম্পানীতে চাকরী করার ইচ্ছা পোষন করল, নিজের স্কিল গুলো জানালো … আমি তাকে একটা প্রফেশনাল টিপস দিয়ে শেষ করলাম, “তুমি যদি কোন কম্পানীতে চাকরী চাও তাহলে সেই কম্পানীর বসকে রাত ১২টার সময় স্কাইপতে যুক্ত কর না”

ধন্যবাদ

Basic Rules for Asking Help in Public Forums

পাবলিক ফোরামে কিভাবে সাহায্য চাইবেন ?
=> ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যবর্তী সময়টুকুতে আমি পড়ালেখা এবং কাজের চেয়ে বিভিন্ন ফোরামে অনেক সময় দিয়েছি, এর আগেরআরো অনেক বেশি। এমনকি “আমাদের প্রযুক্তি” নামে একটা বাংলা ভাষার টেকনোলজি জিজ্ঞাসা উত্তর ফোরাম দীর্ঘদিন চালিয়েছিলাম(এখন রিসোর্সের অভাবে বন্ধ বা প্রাইভেট করা রাখা কারণ ফেসবুকের কল্যানে মানুষকে সাধারণ ফোরাম সাইটগুলো আর বেশি টানে না !)। আমার অভিজ্ঞতা বলে, সাধারনত কিভাবে প্রশ করতে হয় সেটাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনেকে জানে না। অনেকের প্রশ্ন করার ধরন এই রকমঃ
ধরন-১ঃ যারা ঝেড়ে কাশে না এবং প্রশ্নের ভেতর কোষ্ঠ কাঠিন্য থাকে
প্রশ্নঃ আমার কোড কাজ কারছে না , কি করব ?
=> এই ধরনের প্রশ্নে, প্রথমতই পালটা প্রশ্ন করতে হয় আপনার কোডটা শেয়ার করেন। মানে দাড়ালো কেউ যদি একবারেই কোড শেয়ার করে স্পেফিসিক ভাবে জানান যে আমি এই কোড করেছি, কোডের এই জায়গাটা কাজ করছে না তাহলে যে কেউ সহজে সাহায্য করবে। অনেক সময় প্রশ্ন দেখেই শরীর জ্বলে যায় টাইপ অবস্থা হয় ।
ধরন-২ঃ প্রফেশনাল প্রজেক্ট নিয়ে ফোরামে এসে একে ওকে দিয়ে করিয়ে নেওয়ার ধান্ধা
প্রশ্নঃ এই রিকোয়ারমেন্ট ক্লায়েন্ট আমাকে পাঠিয়েছে, কিভাবে করব ?
=> ফোরামে রিকোয়ারমেন্ট পোস্ট করা উচিৎ না, আপনি যখন কোন প্রজেক্ট নিয়েছেন মানে আপনি সেইটা সম্পর্কে ৭৫% এর বেশি জানেন এবং আপনার কনফিডেন্স আছে আপনি পারবেন। আপনি ফোরামে নির্দির্ষ্ট কোন সমস্যা নিয়ে পোস্ট করলে সহজে উত্তর পাবেন।
ধরন-৩ঃ অস্পষ্ট স্ক্রীনশট দেওয়া বা এলাইনমেন্ট নাই এমন কোড পেস্ট বা শেয়ার করা
প্রশ্নঃ ভাই এইটা আমার কোড এটা কাজ করছে না
=> আপনার কোড দেখে কি আপনি বুঝতে পারছেন ? যদি স্ক্রীনশট দিতে হয় তাহলে পরিস্কার করে বড় স্ক্রীনশট দিন, স্ক্রীনশটে এনোটেট করুন। কোড শেয়ার করলে কোড এ কমেন্ট করে প্রব্লেম কোন লাইনে পাচ্ছেন বুঝিয়ে বলুন, এরপর অবশ্যই সমাধান পেয়ে যাবেন
ধরন-৪ঃ প্রশ্ন করার সাথে সাথে উত্তর এর জন্য মন্তব্য করতে থাকা
প্রশ্নঃ আমার প্রশ্নের উত্তর কেউ কেন দিচ্ছেন না ?
=> আপনি মাঝ রাতে প্রশ্ন করতে পারেন, অফিস এর বিজি আওয়ারে প্রশ্ন করতে পারেন, আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। যারা যে ফোরাম বা গ্রুপে প্রতিনিয়ত আসেন তারা দিনের নির্দির্ষ্ট সময় একবার হলেও ঢু মারেন। তাই আপনার প্রশ্নের উত্তর এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে এবং সেই সাথে নিজেও চেস্টা করবেন। যদি সমাধান পেয়ে যান তাহলে মূল পোস্ট এবং কমেন্ট জানিয়ে যাবেন, সাথে কি সমাধান পেলেন সেইটাও জানাবেন।
আরো অনেক ধরন আছে, আপাতত এই টুকু।

প্রতিমা ভেঙে ফেললে কি মনের ভেতরে যে প্রতিমা লুকিয়ে থাকে তা হারিয়ে যায় ?

স্মৃতিচারণঃ
প্রতিবছর দুর্গাপূজা আসলে মনে এবং শরীরে একটা অন্যরকম অনুভূতি জেগে উঠে। আমাদের বাড়ির সবচেয়ে কাছে যে মন্দিরটি তার আলোক সজ্জা আমাদের বাড়ি থেকে দেখা যেত। ঢাকের বাড়ি যেই শুরু হত মনের ভেতর সুরসুরি কবে ঠাকুর (প্রতিমা) দেখতে বের হব। তখনকার সময়ে বাটা থেকে লাইলন বা প্লাস্টিক সাদা জুতা পাওয়া যেত, সাথে ইংলিশ প্যান্ট(মানে হাফ প্যান্ট) আর একটা ফুলহাতা জামা ছিল প্রতি পূজোর নিদেনপক্ষে চাহিদা। পাশের মন্দিরটা খুব কাছে হওয়াতে প্রতিমা বানানো দেখা আমার জন্য নেশা ছিল। আমি প্রতিদিন স্কুল থেকে এসেই অন্তত একবার ছুটে যেতাম মন্দিরে। প্রথম দিকে খড় আর সুতা দিয়ে বিড়ে বানাতো (প্রাথমিক কাঠামো), এরপর কাঠ বাঁশের পাটাতনের উপর প্রতিমা বসানো হতো। এরপর শুরু হত মাটি আর পানি দিয়ে প্রতিনিয়ত পালিশ। আস্তে আস্তে তৈরি হয়ে যেত সুন্দর প্রতিমা। আমার সবচেয়ে আগ্রহ হত কিভাবে অসুরকে বানানো হচ্ছে, বাঘটা কতখানি হিংস্রমূর্তি ধারণ করছে। প্রতিমার হাতের আঙুল আর মাথা বসানো দেখার ইচ্ছা হত সবচেয়ে বেশি। আর শেষের দিকে পর্দা টানাঙো হতো রং করার সময়। অনেকটা এই রকম যে, পূজা শুরুর দিন সবাই একবারে পোশাক পড়ানো প্রতিমা দেখবে।

প্রতিমা বানানোর প্রতিটা ধাপ, যে পরম মমতা দিয়ে ভাস্করের তৈরি করে তা নিয়ে চিন্তা করতেই অন্য রকম একটা অনুভূতি আসে। এইযে আমি এখন প্রতিদিন অফিসে এসে যেমন এক মনে প্রোগ্রামিং বা কোডিং করি ওরাও সুচালো হাতে নিখুঁত ভাবে তৈরি করে। সেই সময় আমার কাজ ছিল মন্দির থেকে এসেই বাড়িতে বসে ছোট প্রতিমা বা রেপলিকা তৈরি করা। আমিও লেগে যেতাম খড়কুটো নিয়ে। মা মাঝে মাঝে রাগ করত কারণ অদ্ভুত ভাবে এই বাড়ি আগে যাদের ছিল সেই বাড়ির একটা ছেলে নাকি নিজে কালি প্রতিমা বানিয়ে পুজো করত আর একদিন সে আত্মহত্যা করে কি কারণে। তাই আমাকে প্রতিমা বানাতে দেখে মা ভয় পেত। যাই হোক, মার বকা খেয়েও আমি বানাতাম। প্রতিমার জন্য ছোট্ট একটা ঘর আর সেই ঘরের ভেতর আমিও মন্দিরের ভাস্করের মত প্রথমে খড় আর সুতো দিয়ে প্রাথমিক কাঠামো বা বেড়ি, তারপর পানি আর মাটি দিয়ে লেপতে থাকা। আমার সবচেয়ে বড় দূর্বলতা ছিল আমি কোন ভাবেই হাতের আঙুল আর মাথা বানাতে পারতাম না। আমার প্রতিটি প্রতিমার হাতের আঙুলগুলো অসম্ভব বড় হত (মানে রেশিও অনুসারে হত না) আর মাথা বানাতে পারলেও তার চোখ নাক কিছু বুঝা যেত না।

একদিন স্কুল থেকে এসে, দেখি আমার ছোট প্রতিমা আর মন্দির তচনচ। বাড়ির লোকজনের কাছে জিজ্ঞাসা করতে জানতে পারলাম দুইটা কুকুর মারামারি করতে গিয়ে আমার প্রতিমা ভেঙে ফেলেছে। আমি সেকি কান্না। এত কষ্ট পেয়েছিলাম। আজ হঠাৎ মনে পড়ে গেল। আচ্ছা বড় বড় প্রতিমাগুলো যখন কথিত দূর্বৃত্তরা ভেঙে দেয় তখন ঐ ভাস্কররেরা কি মনে অনেক কষ্ট পায় ? আর যে মানুষগুলো একটা বছর অপেক্ষা করে থাকে প্রতিমার মুখ দেখবে তারা যখন মন্দিরে গিয়ে দেখে প্রতিমার মাথা কেউ ভেঙে ফেলেছে তারা কি মনে কষ্ট পায় ? প্রতিমা ভেঙে ফেললে কি মনের ভেতরে যে প্রতিমা লুকিয়ে থাকে তা হারিয়ে যায় ?

পাগল

যা পাগল তোকে মুক্ত করে দিলাম ছুটে যা ইচ্ছা খুশি
ছুঁয়ে আয় সুউচ্চ হিমালয় কিংবা ডুব দিয়ে আয় সাগরের তলা থেকে।
আষাঢ়ের ঘন বর্ষায় কাক ভেজা হয়ে ইচ্ছে হলে ঘরে ফিরিস
কিংবা ঝির ঝির বৃষ্টিতে গায়ে কাঁদা মেখে মাঝ উঠানে নাচিস তা-ধিন।
চৈত্রের খাঁ খাঁ রোদে পুড়ে মর, সারা দিন পথে হেঁটে –
এক হাঁটু ধুলোর সর পায়ে মেখে দিন শেষ ইচ্ছে হলে ঘরে ফিরিস।

যা পাগল তোকে মুক্ত করে দিলাম উড়ে যা ইচ্ছে খুশি।
আটকে থাক জ্যামের ভেতর ঘন্টার পর ঘন্টা, ঘামে ভিজে পরীক্ষা দে ধৈর্য্যের।
ইচ্ছে হলে দিন শেষে ঘরে ফিরিস ।

১৯/০৪/২০১৪, কাটাবন
~ মানচুমাহারা