ভাবী জানে?

আমার ফেসবুকের বিবাহিত বন্ধুরা নিশ্চয়ই মাঝে মাঝে এই ধরনের মন্তব্য শুনে থাকে। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই মন্তব্য দাতা এবং ভাবীর সাথে বাস্তব জীবনে পরিচয় হওয়া তো দূরের কথা, ভাইয়ার সাথেই হয়ত দেখা সাক্ষাৎ ফেসবুকের বন্ধুত্ব পর্যন্ত। কিন্তু এই “ভাবী জানে ?” এই ধরনের মন্তব্য কেন করা হয় এবং কেন করা উচিত না সেইটা নিয়ে আমাদের একটু চিন্তা করা উচিত।

অনেকে যেমন এটিএম বুথ থেকে একবারে ৫০০ টাকার বেশি তুলে না তেমন অনেকে ফেসবুকে বন্ধু হিসাবে যুক্ত করে জানা শোনা আছে এবং অনেক কিছু চেক করে, মানে অচেনা অজানা কাউকে ফেসবুকের বন্ধু হিসাবে একসেপ্ট করে না এবং তাদের অধিকাংশের ফেসবুক প্রোফাইলের প্রাইভেসি ফ্রেন্সড অনলি। ফ্রেন্ডস অনলি এর মানে হল তার প্রোফাইলের সব এক্টিভিটি শুধুমাত্র ফেন্ড ছাড়া অন্য কেউ দেখতে এবং শেয়ার দিলেও দেখতে পারবে না। কিন্তু আমাদের অনেকেই আছে যারা পেশাগত এবং কমিউনিটি ওয়ার্ক এর জন্য ফেসবুক প্রোফাইলে ১০০% পাবলিক। ৯৯% পোস্ট আমরা দেই পাবলিক। একারনে অনেকে সময় ব্যক্তিগত ছবি, পারিবারিক ছবি, বউ ছেলে মেয়ের ছবি শেয়ার করি। একদিকে যেমন প্রোফাইল ১০০% পাবলিক এবং অন্যদিকে ৯৯% বন্ধুই ভার্চুয়াল তাই কিছু সমস্যা প্রায় ফেস করি। এটা শুধুমাত্র আমার একার সমস্যা না, অনেকেই এই একই সমস্যা ফেস করছে।

কঃ ভাবী জানে?

ভাবী জানে? টাইপ এর মন্তব্য বেশ কমন। যাদের সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় আছে তারা সাধারণত এই ধরনের মন্তব্য করে না, যাদের সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় নেই তাদের এই ধরনের আগ্রহ বেশি। আমার পরামর্শ কেউ ব্যক্তিগত কিছু পোস্ট করলে বিষয়টা ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাখা ভালো। এই ধরনের পোস্টে পোষ্ট দাতার বউ বা ছেলে মেয়েকে ট্যাগ করা বা তাদের উদ্দেশ্যে লেখা উচিত না যদি না আপনি ঐ ব্যক্তির সাথে বা তার পরিবারের সাথে ব্যক্তিগত ভাবে যুক্ত না থাকেন। আপনাকে বন্ধু তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে মানে আপনি যা ইচ্ছা তা বলার অধিকার রাখেন না।

খঃ ভাইয়ার বিষয়ে ভাইয়ের প্রোফাইল থেকে খুঁজে ভাবীকে জানানো

সেদিন এক বড় ভাই ফেসবুকে কি কবিতা লিখেছে সেইটা নিয়ে একজন তার ওয়াইফকে ফেসবুকে মেসেজ করেছে। এটা অবশ্যই বেয়াদবি বা অনধিকার চর্চা। নিশ্চয় ঐ ভাইয়ার দরকার হলে তার ওয়াইফকে এটা দেখাবেন বা তার ওয়াইফ ফেসবুকে ঢুকলে এটা দেখতে পারবেন। এই ধরনের অনধিকার চর্চা থেকে বিরত থাকুন।

গঃ ভাইয়ার প্রোফাইল থেকে খুঁজে ভাবীকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো

আবারও বলি, যাদের ব্যক্তিগত জীবনে পরিচয় আছে তাদের জন্য এটা নয়। যাদের পরিচয় নাই তাদের জন্য। ‘লুল পুরুষ’ বলে একটা শব্দ আছে। এটার মানে সবাই জানে আশা করি। বাস্তব জীবনে মেয়ে দেখলেই যাদের লোল ঝরে এই ধরনের পুরুষেরা ফেসবুকেও আছে। এদের স্বভাব হচ্ছে, ভাইয়ার প্রোফাইল থেকে খুঁজে ভাবীকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো এবং এরপর ভাবীকে এটা ওটা বলে মেসেজ পাঠানো। আজক জানলাম একজন ভাবী মনে করে ভাইয়াকেই মেসেজ পাঠিয়ে দিয়েছে।

ক, খ এবং গ এর মত অসংখ্য উদাহরন আছে কিন্তু এত লিখতে গেলে আরও সময় লাগবে যা অনেক দুর্লভ , তাই আজক এই টুকু।

বিঃ দ্রঃ এই নোটের শিরোনাম অনেক আকর্ষনীয়, তাই না ?
বিঃ দ্র ২ঃ বানান ভুল, শব্দ বিপর্যয় , বর্ণ বিপর্যয় ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

কুকুরের স্বপ্ন

একদিন স্বপ্নে দেখলাম, আমি একটা কুকুরের সাথে ডাস্টবিনের ময়লা থেকে খাবার খুটে খাচ্ছি।

কিছুক্ষন পর দেখলাম পরিচিত অপরিচিত অনেকেই এসে যোগ দিল।

এক সময় খেয়াল করলাম, ঠেলাঠেলিতে বিরক্ত হয়ে কুকুরটি খাওয়া ফেলে চলে গেল। আর এদিকে কেউ কেউ খাওয়া নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে বলতে শুরু করেছে এলাকার অমুক ভাই তার আপন চাচা ! খাওয়া বেশি হয়ে যাওয়ায় খেতে খেতেই আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।

হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল, খেয়াল করলাম, মুখের উপর সকালের আলো এসে পড়েছে।

//কুকুরের স্বপ্ন (Dreaming on behalf of a Dog)
//০২-০২-২০১৭

হালুম এবং মালুম

স্বপ্নে দেখলাম একটা বাঘের খাঁচায় জোড় পূর্বক আমাকে ফেলে দেওয়া হল।
বাঘটি আমাকে দেখে কিঞ্চিৎ বিরক্ত হল এবং কোন প্রকার হালুম মালুম করল না ! বাঘটি নিরামিষভোজি ছিল।
আমি অপমানিত বোধ করলাম এবং রেগে ক্ষেপে বাঘের ঘাড়ে কামড় দিয়ে হালুম এবং মালুম অনুভব করলাম।
দেখি ঘুম ভেঙে গেছে, জানালা দিয়ে ভোরের সাদা আলো আভা ঢুকছে রুমে।

অভিশাপ

//অভিশাপ

তুমি অভিশাপ দিলে, আমার ঘর পুড়ে যাক।

আমি ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখলাম, আমার ঘর পুড়ে যাচ্ছে, এরপর আমি ঘরপোড়া ছাই দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলাম।

ঘুম থেকে উঠে দেখলাম আমার ঘর পুড়ে নাই, কারণ কোন দিন আমার কোন ঘরই ছিল না।

আমি পরের দিন তোমার অভিশাপের অপেক্ষায় আবার ঘুমিয়ে পড়লাম, স্বপ্নে দেখলাম, তুমি আমার ঘর পোড়া আগুনের তাপে আঁচে অন্তত গতকালের শীতের রাত্রি ভালো কাটয়েছিলে। আগুনে আঁচ নেওয়ার জন্য পোড়ার মত আমার ঘর নাই কেন এটা ভেবে তুমি আমাকে আবার অভিশাপ দিলে। কি অভিশাপ দিলে আমি মনে করতে পারছি না, কারণ তার আগেই আমার ঘুম ভেঙে গেল।

কোন এক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম, তুমি শীতে প্রচন্ড কাঁপছ। আমি তোমার দিকে অসহায়ের মত তাকিয়ে আছি, তোমাকে সামান্য গরমের আঁচ দেওয়ার জন্য পোড়ানোর মত আমার কোন ঘর নাই কারণ কোন দিন আমার কোন ঘরই ছিল না।

পরের দিন স্বপ্নে দেখলাম, তোমাকে শীত থেকে বাঁচাতে তোমাকে আমার বুকে জড়িয়ে রেখেছি।

//১৯.১২.২০১৬

RIP আলমগীর ভাই

অনন্ত যাত্রার যাত্রী আমরা সকলেই
কেউ কেউ বলে, যাত্রীকে ভিন্ন ভিন্ন সময় ভিন্ন ট্রেনে পুনরায় নতুন পরিচয়ে ফিরতে হয়
কেউ কেউ বলে ফিরতে হয় না
রহস্যটা যাত্রা এবং যাত্রীর ভেতরই থাক।

আমরা সহযাত্রির সাথে কাছাকাছি, পাশাপাশি কিংবা সাংঘর্ষিক অবস্থানে থেকে যাত্রা পথের যহযাত্রী হই,
কেউ কেউ আগে আর কেউ পরে
শেষমেশ সেই অনন্ত যাত্রা।
হে অনন্ত পথের যাত্রি যেভাবে থাক ভালো থেক।

#RIP আলমগীর ভাই

দৌড়

//দৌড়
তোর সাথে দৌড়াবো ভরপুর
তোর সাথে খুব দৌড়াবো
তোর সাথে ম্যারাথন দৌড়াবো
তুই সাথে থাকলে থামবো না, খুব দৌড়াবো।

তোর সাথে দৌড়াব গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে
তোর সাথে দৌড়াব শীতের কনে কনে সকালে
তোর সাথে জাপ্টাজাপ্টি হয়ে দৌড়াবো,
তোর সাথে মাখামাখি দৌড়াবো।

তোর সাথে তোর সাথে তোর সাথে
দৌড় দৌড় দৌড়, দৌড়াবো।।

//০৮/০৮/২০১৬ (অফিসে কাজের ফাঁকে)

একটা কিছুর জন্য

একটা কিছু না পাওয়ার জন্য বুকের ভেতর চিন চিনে ব্যাথা ছিল অনেক দিন
একটা কিছু পাওয়ার কথা ছিল বড্ড, পাওয়া হয়নি।
একটা কিছু পাওয়ার জন্য হাহাকার অপেক্ষা করতে করতে শেষ হয়ে গেছে
একটা কিছু সেটা বোকামি হোক কিন্তু পাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল
একটা কিছু খুব বেশি ছেলেমি হোক কিন্তু চাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল।

একটা কিছু চাওয়াপাওয়া নিয়ে একটা কবিতা লেখার কথা ছিল, হয়নি
একটা কিছুর হিসাব মেলেনি, কি মেলেনি, কেন মেলেনি সেই হিসাবও মেলেনি।

একটা কিছু পাগলামি বাকির খাতায় চলে গেল
একটা কিছু গল্প অনেক যত্নে আস্ত এক হাজার টাকার নোট হিসাবে থেকে গেল, খুচরা হল না।

একটা কিছু খুব জানা খুব চেনা কিন্তু অধরা
একটা কিছু একদম অজানা অচেনা কিংবা খুব চাওয়ার

সেই একটা কিছুর জন্য আজন্ম হাহাকার !

চলাচল

//চলাচল

সকাল সন্ধ্যা পথিকের চলাচল
মাঝে মাঝে পথিক ক্ষনিকের জন্য দাঁড়িয়ে যায়,
ডানে তাকায়, বামে তাকায় আবার ডানে তাকায়,
পথিক রাস্তা পার হয়।
পার হয়ে আসা রাস্তার ওপাশ তাকিয়ে পথিক মৃদু হাসে,
পথিকের চলাচল আবার শুরু হয়।

পথিকের চলাচলের সামনে আর পেছন নাই,
পৃথিবী যেহেতু গোল তাই পথিক যে দিক দিয়ে হেঁটে যাবে সেটাই সামনের পথ,
পথ এবং পথিকের পেছনের স্মৃতি বা ভবিষ্যই বলে কিছু নাই !
পথ এবং পথিক উভয়ের জায়গা নতুন পথ কিংবা নতুন পথিক ঠিকই জায়গা করে নেয়।

পথ একা না পথিক একা আমি জানি না, তবে উভয়ের ভেতর চলাচলের সম্পর্কটাই অকৃত্রিম !

~~ 10/04/2015, বক্সিবাজার, ঢাকা ~~

Manchu Lan Manager

In my university days I used to work on various software but as those hard disk got formatted many times for doing experiment I lost all my works many times, that time we didn’t have dropbox or google drive. I found one of my favorite work “Manchu Lan Manager” from my yahoo email.

manchu

Download:
[download id=”37″]