বছরের পর বছর কচ্ছপ আর খরগোশের যে অদ্ভুত গল্প আমাদের শোনানো হয়েছে!
আধুনিক সময়ে দেখা যায় দৌড় প্রতিযোগতিয়ায় কেউ পরে গেলে বা হোচট খেলে পাশের খেলোয়ার তাকে টেনে তুলে, প্রয়োজনে তাকে সাথে নিয়ে এক সাথে দৌড়ের শেষ দাগ পার হয়। মানে গুড স্পোর্টসম্যান্সশিপ বলতে আমরা এটাই বুঝি এখন। যদিও খুব স্বল্প দুরত্বের দৌড়ের ক্ষেত্রে এটা হয় না যা স্বাভাবিক।
কচ্ছপ এবং খরঘোশের গল্পে আমরা দেখি ঘুমন্ত খরঘোশের পাশ দিয়ে কচ্ছপ ঠিকই চলে গেছে কিন্তু খরগোশকে একবার ডেকে দেয় নাই, জিজ্ঞাসা করে নাই ভাই তুমি কি অসুস্থবোধ করছ? এই আধুনিক সময়ে কচ্ছপকে ভিলেন মনে হয় না?
আচ্ছা, কচ্ছপ আর খরখোশতো একই গতিতে দৌড়ানোর কথা না কিন্তু তাদের নিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজনের গল্প যে লোকটা লিখেছিল সে কি স্বাভাবিক ছিল? যদি দুইটা কচ্ছপ বা দুইটা খরগোশ এর ভেতর দৌড় প্রতিযোগিতা নিয়ে গল্পটা হত তাহলে সেইটা নিয়ে ভাবা যেত। গরু আর ঘোড়া প্রায় কাছাকাছি ধরনের প্রানী হলেও তাদের ভেতর দৌড় প্রতিযোগিতা হয় না। এমঙ্কি গরু আর মহিষও না।
আগে ভাগে দৌড়ে না জিতে বরং কচ্ছপ এর জন্য খরগোশ যে অপেক্ষা করেছিল এটাই আমার কাছে মহান আচরণ বা স্পোর্টসম্যানশিপ মনে হয়ে গেছে। আর একজন অন্য জনের জন্য কত সময় বসে থাকতে পারে! এভাবে বসে থেকে থেকে একটা পর্যায়ে খরগোশ যে ঘুমিয়ে পরেছিল সেটাই স্বাভাবিক। খরগোশতো চাইলে এক দৌড় দিয়ে জিতে যেত পারত। দেখা যেত, জিতে কাপ নিয়ে বাড়ি গিয়ে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে গেছে তখন কচ্ছপ এসে দেখত তাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্যও কেউ নাই। মানে আদৌ কোন দৌড় প্রতিযোগিতা হচ্ছিল কিনা এটা নিয়েই সে কনফিউজড হয়ে যেত!