in Bangla Blogs

প্রতিবছর জন্মদিনে বেঁচে থাকার এক একটা মাইলস্টোন পূর্তির ফূর্তিটা খারাপ না

যারা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, যারা জানাতে ভুলে গেছেন, যারা ‘শুভেচ্ছা না জানালেও চলে’ স্টাইলে চুপচাপ বসে ছিলেন, যারা আগামী জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর দৌড়ে বৌনি খাপ মারবেন সবাইকে ধন্যবাদ। প্রতিজনকে আলাদা ভাবে উত্তর না দিয়ে একবারে শর্টকাট মাইরে দিলাম। গিফট খুব বেশি পাইনি, লুকজন খুব কিপটা আর খারাপ, একটু বয়স বাড়লেই আর জন্মদিনে কিছু গিফট দিতে চায়না অথচ ছোট বেলায় যখন বাচ্চারা কিছুই বুঝে না তখন হাতি ঘোড়া নিয়ে হাজির হয়। আর ফেসবুক আসার পর বিষয়টা পানির উপর তেল ভাসার মত হালকা হয়েছে। কমেন্টে, মেসেঙজারে কিংবা টাইমলাইনে “শুভ জন্মদিন” লিখে খালাস। আরে বাবা ৩/৪ হাজার বন্ধু যদি সবাই এক প্যাকেট করে বিড়ি গিফট দিতেন তাহলে সেই বিড়ি ফুকে বছর পার করে দিতে পারতাম। আপসোস।

প্রতিবছর জন্মদিনের দুই একদিন আগে থেকে মনটা খুব নরম হয়ে যায়। মন নরম হলেই আমি ভাবতে শুরু করি। অফিসের চেয়ারে বসি ভাবি, টয়লেটের প্যানের উপর বসে ভাবি, রাতে ঘুমোতে যাবার আগে ভাবি, শুধু ভাবতেই থাকি। আর একটু পরপর মাথায় গল্প বা কবিতা বা কোন দুষ্টু বুদ্ধি এসে হাজির হয়। এবছর জন্মদিনের দুইদিন আগে থেকে শুধু “গরুর ঘাস খাওয়া আর বৃত্ত” বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় এসে মাথায় হাজির হচ্ছে। এই ধরনের বিষয় নিয়ে একটা দুই লাইন গান বেধে নিজে গেয়ে মানুষ হাসিয়ে, ভাবিয়ে সাউন্ডক্লাউড হয়ে ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছিলাম। এরপর থেকে আরো দুইটা গল্প গুচ্ছ এসে হাজির হয়েছে মাথায় যা আগামী দুই একদিনের ভেতর ফেসবুক বা অন্য কোন মাধ্যমে প্রসব করার ইচ্ছা রাখি।

মানুষের জন্ম, জন্মদিন পালন আর মৃত্যু আর মৃত্যুদিন পালন বিড়ি ফুকার মত। আপনি বিড়ি ফুকবেন, ধোয়া এনজয় করে আবার ছেড়ে দিবেন, অন্যদিকে বিড়ি আগুনে জ্বলে জ্বলে ছোট হতে হতে এক সময় আপনার হাত থেকে পরে রাস্তায় গড়িয়ে হারিয়ে যাবে। আপনি হিসাব করতে পারেন ‘আহা বিড়িটা যা টানলাম না !” অথবা “আহা বিড়িটা শেষ হয়ে গেল, আস্ত একটা বিড়ি টেনে শেষ করে দিলাম !” আমি কিভাবে চিন্তা করি সেটা আমার ভেতরে থাক।

বিঃ দ্রঃ অনেকে আছে লেখার শেষ অংশ পড়ে উজবুকের মত কমেন্ট করবে ‘দাদা আপনি বিড়ি খান ?’ … বেটা থাবড়ায়ে পাছা লাল করে দেব।

বিঃ দ্রঃ – ২ আমি বিড়ি পান করি না। কখনও একবার টেনে পরিক্ষাও করি নাই। বিড়ির গন্ধ আমার সহ্য হয় না, পারলে আমার সামনে বিড়ি টানবেন না।

সবাইকে ধন্যবাদ। বেঁচে থাকার ভেতর একটা আনন্দ আছে। প্রতিবছর জন্মদিনে বেঁচে থাকার এক একটা মাইলস্টোন পূর্তির ফূর্তিটা খারাপ না। সবাই দোয়া/আশীর্বাদ করবেন যেন সব সময় সুস্থ থাকি।